× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আফগানিস্তান
Why the Talibans occupation of Afghanistan is a struggle in world politics
google_news print-icon

তালেবান নিয়ে উদ্বেগের ৫ কারণ

তালেবান-নিয়ে-উদ্বেগের-৫-কারণ
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ছয় বছর আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান। পুরো সময় কঠোর বিধিনিষেধ আর কট্টোর শাসন চাপিয়ে দেয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ ছিল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির ভূমিকা। ২০ বছর পর আবার তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। কিন্তু কেন?

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে আমেরিকান কূটনীতিকদের হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে নেয়ার ছবিটি আলোচিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। ছবিটির সঙ্গে সম্পর্ক টানা হচ্ছে ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সাইগন শহর থেকে একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সরিয়ে নেয়ার দৃশ্যের।

আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আগ্রাসী অভিযানের মুখে প্রায় নিরবে হার মেনেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জোটের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া আফগান সেনারা।

রাজধানী কাবুলসহ দেশের বড় ও প্রধান শহরগুলো দখলে কোনোরকম বাধার মুখেই পড়তে হয়নি তালেবান যোদ্ধাদের।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ছয় বছর আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান। পুরো সময় ইসলামের বিধানের নামে কঠোর বিধিনিষেধ আর কট্টোর শাসন চাপিয়ে দেয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ ছিল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির ভূমিকা।

২০ বছর পর আবার তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। কিন্তু কেন? বিষয়টি উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনপিআরের একটি প্রতিবেদনে

মানবাধিকার লঙ্ঘনের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান

যে কায়দায় গত ১০ দিনে রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন প্রদেশ দখল করেছে তালেবান, তাতে স্পষ্ট যে, ২০ বছর আগের আর বর্তমানের তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য খুব একটা নেই।

অতীতে নারীদের শিক্ষাগ্রহণের অধিকার প্রত্যাখ্যান, বিরোধী মতাদর্শীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, শিয়া হাজারাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও বামিয়ানে অমূল্য প্রাচীন পাথুরে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংস করে দেয়াসহ নানা কারণে সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল তালেবান।

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানির মতে, এবারও যে তালেবান মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্নে নতুন করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল হবে না, তা ভাবার কোনো কারণ নেই।

এ পর্যন্ত আফগানিস্তের যেসব অঞ্চল তালেবান পুনর্দখল করেছে, সব জায়গা থেকেই কমবেশি হত্যাকাণ্ড, নারী নির্যাতন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগের কথা জানান হাক্কানি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে আফগানিস্তানে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত রোনাল্ড নিউম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভরসা রাখা লাখ লাখ আফগান হঠাৎ আবিষ্কার করেছেন যে তারাই তালেবানের পরবর্তী লক্ষ্য। কারণ গত বছর থেকেই এমন অনেক মানুষ তালেবানের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।’

উগ্রবাদীদের নিরাপদ চারণক্ষেত্র হতে পারে আফগানিস্তান

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ যায় হাজারো মানুষের। হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরে আফগানিস্তানের তৎকালীন শাসক দল তালেবানকে অনুরোধ করেছিল ওয়াশিংটন।

বিন লাদেন আফগানিস্তানে আত্মগোপনে বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়ের বুশ সরকার। যদিও পরবর্তীতে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সেনা অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায়।

দীর্ঘদিন ধরেই তালেবান, আল কায়েদাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে।

আঞ্চলিক সংকটগুলো বিদ্যমান থাকা অবস্থায় গত কয়েক মাস ধরেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করছিলেন যে, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি সেনাদের ওপর আক্রমণ করুক বা না করুক, কিন্তু তালেবানশাসিত আফগানিস্তান আবারও সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তালেবান সন্ত্রাসী এবং তারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে যাবে। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার পর আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেটসহ সব ধরনের সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ স্বর্গ তৈরি করবে তারা। আর এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় অব্যাহত হুমকি হয়ে থাকবে গোষ্ঠীটি।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত আফগানিস্তানের প্রতিনিধি গোলাম ইসাকজাইয়েরও একই মত। সম্প্রতি তিনিও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিভিন্ন সন্ত্রাসীচক্রের সহযোগিতা তালেবানও বরাবর পেয়ে এসেছে।’

তীব্র হবে শরণার্থী সংকট

বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের। ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে অভ্যন্তরীণ শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি গৃহহীন হয়েছে আরও চার লাখ মানুষ।

প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে আগে থেকেই পাকিস্তান ও ইরানে আশ্রয় নিয়ে আছে ২৫ লাখের মতো আফগান শরণার্থী। সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণ বাঁচাতে পালানো বেসামরিক আফগানদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে পাকিস্তান, তাজিকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ।

এ ছাড়া ভারত ও ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে বিভিন্ন সময় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে লাখখানেক আফগান।

আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদলের অতীত বর্বরতা অব্যাহত থাকলে আবারও দেশটি অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকটের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা ঘনিয়ে উঠছে।

পাকিস্তানও হতে পারে অস্থিতিশীল

প্রচলিত ধারণা অনুসারে, ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান দখলে তালেবানকে সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। প্রতিবেশি ও প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ধর্মীয় ও আদর্শগত মিল থাকা আফগানিস্তানকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন ধরে।

তবে আবার আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দেশ দুটির মধ্যে কূটনীতি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না কখনোই।

বছরের পর বছর ধরে জালোজাইয়ের মতো বিভিন্ন সীমান্ত শিবিরে লাখ লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে পাকিস্তানের আশ্রয়ে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিতে এত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর বোঝা ইসলামাবাদে রাজনৈতিক অস্থিরতারও বড় কারণ।

তালেবানের পাকিস্তান শাখা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের উত্থানের পেছনে রয়েছে আফগান তালেবানের হাত।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গবেষক মাদিহা আফজাল লেন, ‘সংগঠন দুটির নেতাদের মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য ও লক্ষ্যের ভিন্নতা আছে ঠিকই, কিন্তু আফগানিস্তানে তালেবানশাসিত সরকার থাকলে তাতে পাকিস্তানি তালেবানও লাভবান হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।’

হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পরিচালক হোসেন হাক্কানি ফরেইন অ্যাফেয়ার্সে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সমাজে আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক বিভক্তি রয়েছে। এর উপর যোগ হয়েছে ইসলামিক উগ্রবাদ। কট্টর ইসলামপন্থিরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় গেলে তা পাকিস্তানের উগ্রবাদীরাও আরও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পাশাপাশি তালেবানকে সহযোগিতা করার যে দ্বিমুখী খেলায় মেতে উঠেছে পাকিস্তান সরকার, তা ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’

চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য তৈরির সুযোগ

২০ বছর আগের তালেবানের সঙ্গে বর্তমান তালেবান সামান্য পার্থক্যের একটি হলো- বর্তমানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় আগ্রহী দেশটি। গত কয়েক সপ্তাহে তালেবান নেতারা দেশের বাইরের মিত্রদের সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হয়েছে, যার প্রভাবও দৃশ্যমান।

নব্বইয়ের দশকের তালেবান শাসকদল শুধু পাকিস্তান, সৌদি আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বীকৃতি পেতে সক্ষম হয়েছিল। অন্য কোনো দেশের ন্যূনতম সমর্থন না থাকায় বহির্বিশ্বে কোণঠাসা ছিল তৎকালীন তালেবানশাসিত আফগানিস্তান।

গত কয়েক সপ্তাহে তালেবান নেতারা ইরান, রাশিয়া আর চীন সফর করেছেন।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানে জ্বালানি আর অবকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে চীন। এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে আফগানিস্তানে উন্নত সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলাও।

অন্যদিকে, বিরল সব খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও হাত পৌঁছায়নি কারো। সেদিকেও নজর রয়েছে বেইজিংয়ের।

সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের তালেবানশাসিত সরকারকে বেইজিং যে কোনো সময় স্বীকৃতি দিতে পারে বলে গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এশিয়াবিষয়ক প্রকল্প পরিচালক লরেল মাইলার বলেন, ‘পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর স্বীকৃতির পাশাপাশি আঞ্চলিক বৈধতা পেতেও তৎপরতা শুরু করেছে তালেবান।

শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না বলে আগেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের যে কোনো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব করতে চীন-রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলোকে পাশে পাওয়ারও চেষ্টা করছে তালেবান।

আরও পড়ুন:
জনগণের সরকার হলে তালেবানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব: বাংলাদেশ
কাবুলে উদ্ধার ফ্লাইট চালাতে বাংলাদেশ বিমানকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব
আফগানিস্তান: স্থায়ী সরকার ব্যবস্থার অপেক্ষা ঢাকার
উড়ন্ত বিমানের চাকা থেকে ছিটকে মরল দুই আফগান
আফগান-সংকট আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নিতে পারে: ঢাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আফগানিস্তান
What is the income property of Baghdan Sachin son Arjun at the age of 20?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ঘরে এবার বাজতে যাচ্ছে বিয়ের শানাই। তবে বোন সারা টেন্ডুলকার নয়, প্রথমেই আংটি বদল করলেন ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২৫ বছর বয়সেই বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। পাত্রী ভেটেরিনারি চিকিৎসক সানিয়া চান্দোক।

গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হওয়া এই বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অর্জুন-সানিয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে একাধিকবার অর্জুনের ম্যাচে দেখা গেছে সানিয়াকে। সারার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।

সানিয়া চান্দোক ভারতের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। তাদের হোটেল ও আইসক্রিম ব্যবসা রয়েছে। পশু চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি সানিয়া একজন উদ্যোক্তাও। তার নিজস্ব পোষা প্রাণীর স্কিন কেয়ার ও স্পা সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। বয়সে তিনি অর্জুনের চেয়ে এক বছরের বড়।

অর্জুন অবশ্য বাবার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত খেলছেন গোয়ার হয়ে। ২০২৩ সালে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৫৩২ রান ও নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ৪২।

আইপিএল থেকে অর্জুনের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছ থেকে তিনি বছরে ৩০ লাখ টাকা পান। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করেন তিনি।

তবে পারিবারিক সূত্রেই অর্জুনের সম্পদ এখন প্রায় ২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের সেই বাড়িতে, যেটি ২০০৭ সালে শচীন কিনেছিলেন প্রায় ৩৯ কোটি টাকায়। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা অর্জুনের জীবনযাত্রা তাই নিজের আয়ের সঙ্গে তুলনামূলক নয় বলেই মনে করছে গণমাধ্যম।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Rickshaw driver arrested from Dhanmondi 12 has not been charged in the murder case DMP

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামের এক রিকশাচালককে গত ১৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর পরদিন সন্দেহজনক একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আটক মো. আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টিকে হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।

এ বিষয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ করে হয়।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Full draft of the July Charter to the political parties

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও সংশোধিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

খসড়াটি সম্পর্কে যে কোনো মতামত আগামী ২০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

গতকাল (শনিবার) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

খসড়া সনদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে একটি পটভূমি, সংস্কার কমিশনসমূহ গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও এর কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়সমূহ এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে।

পটভূমিতে বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিকে ধারণ করে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা অর্জন করা যায়নি। কারণ, শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংস্কৃতি বিকাশের ধারা বারবার হোঁচট খেয়েছে।'

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, 'বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন একটি দলীয় সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে থাকে। তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলা, হামলার মাধ্যমে একটি নৈরাজ্যকর ও বিভীষিকাময় ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করে।'

খসড়ায় সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্তকরণ, জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে নাগরিকের জীবনের অধিকার ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব না করা, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে না থাকা, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যত বারই হোক সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকতে পারবেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না - এই বিধান সংবিধানে যুক্তকরণ- ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, 'মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৫৮ (খ) সংশোধনপূর্বক সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে ভঙ্গ হওয়ার পরবর্তী পনের (১৫) দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৯০ দিন। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও সর্বোচ্চ ৩০ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'

রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ের মোট ৮৪টি প্রস্তাবিত দফা উল্লেখ করে এতে সুনির্দিষ্টভাবে ঐকমত্য, ও নোট অভ ডিসেন্টসহ কোন রাজনৈতিক দলের কি মতামত সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।

সবশেষে রয়েছে 'জুলাই জাতীয় সনদ,২০২৫' বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা।

অঙ্গীকারনামার শুরুতেই বলা হয়েছে, 'যেহেতু বাংলাদেশের সাংবিধানিক কনভেনশনের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান না থাকা সত্ত্বেও ওই সময়ের সব কার্যাবলী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সন্নিবেশিত করে এর আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করা হয় এবং একইভাবে যেহেতু ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ, অতঃপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো আইনি কাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের রূপরেখা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ওই ধরনের কার্যাবলীকে বৈধতা দিয়ে পরবর্তী সংসদ গণ-অভ্যুত্থানে প্রদত্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সাংবিধানিক কনভেনশন এবং গণতন্ত্রকে সংহত করে; সুতরাং উল্লেখিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সাংবিধানিক কনভেনশন বজায় রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাক্ষরকারীরা এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করবেন।'

সমন্বিত খসড়ায় থাকা অঙ্গীকারগুলো হলো-

১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।

২) এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছি বিধায় এই সনদের সকল বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।

৩) এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

৪) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ ’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

৫) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।

৬) আমরা ঐকমত্যে স্থির হয়েছি যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৭) আমরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি যে, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

৮) আমরা এই মর্মে একমত যে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে সকল প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনী বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেশ-বিদেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Two people were detained with five thousand Yaba from the cricket bat at Coxs Bazar Airport

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।

রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।

ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Chakriya kills the fish enclosure and domination of the shootings 1

চকরিয়ায় মাছের ঘের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত- ১

চকরিয়ায় মাছের ঘের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত- ১

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাছের ঘেরে আধিপত্য বিস্তার ও ঘের দখল নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শেকাব উদ্দিন(৩৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেকাব উদ্দিন উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মঞ্জুর আলমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় একটি মাছের ঘের নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘেরের দখল নিয়ে গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় শেকাব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মাছের ঘেরের বিরোধ নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Police will remand the case against the three persons including weapons 

অস্ত্রসহ আটক অনিন্দ্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ 

অস্ত্রসহ আটক অনিন্দ্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ 

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গাজীউর রহমান জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তার প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন প্রস্তুত করছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদন প্রস্তুতের পর তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

শনিবার রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য, তার দুই সহযোগী মো. রবিন ও মো. ফয়সালকে আটক করে যৌথবাহিনী। বিকেলে তাদের নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

অনিন্দ্য ঢাকার হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন। এ মামলায় ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে