× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আফগানিস্তান
He was killed in a stampede while boarding a plane in Kabul
google_news print-icon

কাবুলে বিমানে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে প্রাণহানি

কাবুলে-বিমানে-উঠতে-গিয়ে-হুড়োহুড়িতে-প্রাণহানি
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার যাত্রীদের ঢল নামে। ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নিয়ে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি ছাড়তে সোমবার সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হন। ওই সময় হুড়োহুড়ি করে বিমানে ঢুকতে যাওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

শত শত মানুষ হুড়োহুড়ি করে বিমানে উঠতে গিয়ে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নিয়ে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি ছাড়তে সোমবার সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হন।

ওই সময় হুড়োহুড়ি করে বিমানে ঢুকতে যাওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, পাঁচজনের মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখেন তিনি।

ফ্লাইটের জন্য ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করা এক যাত্রী জানান, বন্দুকের গুলি নাকি পদদলিত হয়ে ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, দেশের কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত সামরিক বিমানে লোকজন ওঠার চেষ্টা করলে ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় সেনারা।

ওই ঘটনায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রোববার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে তালেবান।

এরপরই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা।

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করার পর তালেবান কর্মকর্তারা চলমান যুদ্ধের ইতি টানেন।

এর পরপরই কাবুলজুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

রক্তপাত এড়ানোর দোহাই দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দেশত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

তালেবানের মুখপাত্র সুহেইল শাহীন টুইটবার্তায় জানান, কারও ক্ষতি না করার কঠোর নির্দেশ যোদ্ধাদের দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কারোর জীবন, সম্পদ ও সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। বরং মুজাহিদীনরাই এসব রক্ষা করবে।’

আরও পড়ুন:
ভিয়েতনামের সঙ্গে মিল নেই আফগানিস্তানের
আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে ভারতের
তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা
আফগানিস্তানে ‘ব্যর্থ’ বাইডেনের পদত্যাগ চাইলেন ট্রাম্প
ঘানির দেশত্যাগ ‘লজ্জাজনক’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আফগানিস্তান
Global Sumud flotillar is a Seized all ships except

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব জাহাজ আটক

আটক ৩১৭ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল * ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি 
বাদে সব জাহাজ আটক

গাজা উপত্যকার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। অন্তত ৩১৭ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজাগামী ত্রাণবাহী ৪৪টি জাহাজের মধ্যে একটি জাহাজ ছাড়া সবগুলোকে আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া কর্মীরা এসেছেন নানা দেশ থেকে—স্পেন, ইতালি, ব্রাজিল, তুরস্ক, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ৩৭টি দেশের নাগরিক রয়েছেন তাদের মধ্যে।
বাংলাদেশের শহিদুল আলম ছাড়াও সুমুদ ফ্লোটিলায় রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তারও। শহিদুল আলম ‘কনশায়েন্স’ নামে একটি বড় জাহাজে রয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেটি আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে—গাজামুখী ত্রাণবাহী বহরে থাকা কর্মীদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। ভূমধ্যসাগরে একের পর এক নৌযান আটক করার পর এই ঘোষণা আসে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিজ নিজ ইয়টে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে ইসরায়েলে পৌঁছাচ্ছেন। সেখান থেকেই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন এবং সুস্থ আছেন।’ এ সময় গ্রেটা থুনবার্গসহ আটক কর্মীদের ছবি প্রকাশ করা হয়।
সংগঠকদের দাবি, ফ্লোটিলার অন্তত ২২৩ জন কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এক্সে জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫টি নৌযান আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আরও আটটি নৌযান আক্রমণের শিকার হতে পারে বা বর্তমানে আক্রমণের মুখে রয়েছে। এছাড়া ফ্লোটিলা তাদের ইনস্টাগ্রামে আটক হওয়া ২২৩ জন কর্মীর নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, গাজার নৌ অবরোধ ভাঙতে ও সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত কর্মী ৪৪টি নৌযানে অংশ নিয়েছেন। তবে ইসরায়েল এর আগেও এ ধরনের ফ্লোটিলা অভিযাত্রা ব্যর্থ করেছে। এবারের যাত্রাও একই পরিণতির মুখে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজা অভিমুখে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বহরে ইসরায়েলি বাহিনীর লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) পাঠানো হবে। ত্রাণ বহরের সঙ্গে থাকা আইনজীবীদের বরাতে ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত একটি জাহাজে থাকা আল জাজিরার হাসান মাসুদ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নৌবহরে থাকা আইনজীবীরা ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক মানবিক ও সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করছেন। ইসরায়েলি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো আইসিজেতে পাঠানো হবে।
হাসান মাসুদ বলেন, ‘আমরা সমস্ত ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা নিশ্চিত করতে পারি, বেশ কয়েকটি নৌকা এখনো গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এমনকি যদি কেবল একটি নৌকা গাজায় পৌঁছায়, তবুও এটি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্য অর্জন করবে।’
তিনি আরও জানান, ইতালির সিসিলি থেকে রওনা হওয়ার পর আরেকটি নৌবহর এখন গাজার দিকে যাত্রা করছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে, কর্মীরা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি নৌকমান্ডোরা গ্লোবাল ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজের মধ্যে প্রায় ৪০টিতে উঠে পড়ে। তারা জিপিএস সিগন্যাল বন্ধ করে দিয়ে জাহাজে থাকা শত শত কর্মীকে আটক করে।
রয়টার্সের যাচাই করা ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভিডিওতে গ্রেটাকে সৈন্য-বেষ্টিত একটি ডেকের ওপর বসে থাকতে দেখা গেছে। আটক যাত্রীদের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলাও রয়েছেন।
গাজামুখী নৌবহরটিতে ইসরায়েলি এমন হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে এ ঘটনায় স্পেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক ও গ্রিসসহ বহু দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ইসরায়েলের বাধা পেরিয়ে গাজার জলসীমায় ঢুকে পড়েছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি জাহাজ। পথে রয়েছে আরও ২৩টি। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, মিকেনো নামে ওই জাহাজ বর্তমানে গাজার জলসীমায় অবস্থান করছে। তবে সেটি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে পড়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক কর্মী-সামাজিক আন্দোলনকারীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে যাওয়া এই বহরে ৪০টিরও বেশি জাহাজ ছিল।
এর আগে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার জাহাজগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়, জলকামান ছুড়ে আক্রমণ চালায় এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে কর্মীদের আটক করে।
তবে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলছে, এই বাধা তাদের মিশন থামাতে পারবে না। ইসরায়েলকে ফাঁকি দিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৩০ জাহাজ। গাজা উপকূল থেকে আর মাত্র ৮৫ কিমি দূরে রয়েছে তারা।
সংগঠনটির ভাষ্যমতে, অবৈধভাবে চালানো ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও তারা গাজার অবরোধ ভাঙতে এবং একটি মানবিক করিডোর খুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাদের দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এই নৌবহর খাদ্য ও মানবিক সহায়তা বহন করছে।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Elon Mask is the owner of and 1 billion

৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হলেন ইলন মাস্ক

৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হলেন ইলন মাস্ক

বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি ডলার নিট সম্পদের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী গত বুধবার তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলারে।

ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। গত বুধবার পর্যন্ত তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭০ কোটি ডলার।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মূলত টেসলার শেয়ারের পুনরুত্থান ও নিজের মালিকানাধীন অন্যান্য প্রযুক্তি উদ্যোগের (স্টার্টআপ) বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এই রেকর্ড গড়তে পেরেছে ইলন। টেসলার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় রয়েছে। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারমূল্য এরই মধ্য ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ও বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাস্কের সম্পদে একদিনেই যুক্ত হয় প্রায় ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার।

রয়টার্স বলছে, ইলন মাস্কের জন্য বছরের শুরুটা অস্থির থাকলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসায় টেসলার শেয়ার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। টেসলা বোর্ডের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোলম গত মাসে জানান, হোয়াইট হাউসে কয়েক মাস ব্যস্ত থাকার পর মাস্ক এখন আবার ‘সম্মুখসারিতে ও একেবারে কেন্দ্রে’ ফিরে এসেছেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই মাস্ক নিজেই টেসলার প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে কোম্পানির ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার বড় বার্তা দেন।

তবে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়া ও মুনাফার চাপ অব্যাহত থাকায় শেয়ার কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে টেসলা। এর ফলে তথাকথিত ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ গ্রুপের বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেসলা অন্যতম খারাপ পারফরমার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত মাসে টেসলা বোর্ড মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, যেখানে উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে মাস্কের আরও বড় শেয়ার দাবিও এতে বিবেচনায় আনা হয়।

মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই ও রকেট নির্মাতা স্পেসএক্স এ বছরেও বাজারমূল্যে বড় সাফল্য পেয়েছে। জুলাই পর্যন্ত এক্সএআইয়ের মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে সিএনবিসির খবরে বলা হয়, নতুন তহবিল সংগ্রহের পর এর মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। তবে মাস্ক তখন জানান, তারা কোনো মূলধন সংগ্রহ করছেন না।

অন্যদিকে ব্লুমবার্গের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্স নতুন অর্থ সংগ্রহ ও অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছে, যা কোম্পানির মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করবে।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Yogi turned off the Internet in Uttar Pradesh Issue I Love Muhammad Poster Issue

‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার ইস্যু উত্তর প্রদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করলেন যোগী

‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টার ইস্যু উত্তর প্রদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করলেন যোগী

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই সহিংসতার জেরে রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তেজনা যাতে না বাড়ে, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

জেলা প্রশাসনের জারি করা আদেশে বলা হয়, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতোমধ্যে দাঙ্গা ও সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের দশেরা ও দুর্গাপূজার উৎসব ঘিরে জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে বেরেলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ)। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোনও ব্যবহার করছে নিরাপত্তা বাহিনী।

বেরেলির পাশাপাশি শাহজাহানপুর, পিলিভিত ও বদায়ুঁ জেলা প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ভূপেন্দ্র চৌধুরী।

গত শুক্রবার ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ পোস্টার ইস্যুতে একটি বিক্ষোভ ডেকেছিলেন প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ তৌকির রাজা খান। ওই ডাকে জুমার নামাজের পর কোটওয়ালি এলাকার একটি মসজিদের বাইরে প্রায় ২ হাজার মানুষ জড়ো হন। সেখানে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।

ওই ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার শহরের সিবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তারা চিকিৎসাধীন থাকলেও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।

তৌকির খান তার কয়েক সহযোগী, একজন আত্মীয়সহ বর্তমানে কারাগারে আছেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০টি এফআইআর দায়ের করেছে, যাতে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ৪ সেপ্টেম্বর ঈদে-মিলাদুন্নবীর মিছিলের সময়। কানপুরে মিছিলের পথে একটি তাঁবুতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো অভিযোগ তোলে, ওই জায়গাতেই রামনবমীর মতো হিন্দু উৎসব হয়। তাই এই পোস্টার ইচ্ছাকৃতভাবে দেওয়া হয়েছে।

এরপর থেকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে মুসলিমরা অভিযোগ করেন, নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করায় তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

কয়েক সপ্তাহ পর বারানসিতে পাল্টা কর্মসূচি শুরু হয়। ধর্মীয় নেতারা ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ পোস্টারের প্রতিবাদে ‘আই লাভ মহাদেব’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন। তারা দাবি করেন, উসকানিমূলক পোস্টারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Flood warnings in the coastal region in fear of the Philippine cyclone injury

ফিলিপাইন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার সতর্কবার্তা

ফিলিপাইন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার সতর্কবার্তা

ফিলিপাইনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বৃহস্পতিবার উপকূলীয় অঞ্চলে বিপজ্জনক বন্যার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ম্যাটমো দুর্যোগ কবলিত দেশটিতে আঘাত হানার আশঙ্কায় এ সতর্কতাবার্তা দেওয়া হয়েছে।

ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার (৪৭ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে আনা এই ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকালে লুজনের প্রধান দ্বীপে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, ‘উত্তর ও পূর্ব লুজনের নিম্নভূমি বা উন্মুক্ত উপকূলীয় এলাকায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ১.০ থেকে ৩.০ মিটার (৩-১০ ফুট) উচ্চতার প্রাণঘাতী ঝড়ো হাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

ঝড়ো হাওয়া যখন সমুদ্রের বিশাল ঢেউ উপকূলের দিকে ঠেলে দেয়, তখন বন্যা, সম্পত্তির ক্ষতি ও মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়ার কোনও নির্দেশ দেয়নি। তবে আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং সমুদ্র উত্তাল এবং সকল ধরণের জাহাজের জন্য সমুদ্র ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হবে।

মধ্য ফিলিপাইনে ৬.৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭২ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০টি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার মাত্র তিন দিন পর, আফটারশকের (ভূমিকম্পন পরবর্তী কম্পনের) ভয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়েছে।

ফিলিপাইনে প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। এগুলো প্রায়ই দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় আঘাত হানে, ওই স্থানগুলোতে লাখ লাখ অসহায় মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে মানব-চালিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রহ উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে ঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

গত সপ্তাহে উত্তর ফিলিপাইনে টাইফুন বুয়ালোইয়ের আঘাতে ৩৭ জনে প্রাণহানি ঘটেছে এবং ৪ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে টাইফুন রাগাসার আঘাতে দেশটিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Netanyahu under two way pressure on Trumps proposal?

ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে দ্বিমুখী চাপে নেতানিয়াহু?

ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে দ্বিমুখী চাপে নেতানিয়াহু?

গাজা যুদ্ধের অবসান এবং বিধ্বস্ত ওই অঞ্চল পুনর্গঠনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সেটি মেনেও নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘণ্টাখানেক পরই ভোল পাল্টেছেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি কখনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেবেন না এবং গাজার অধিকাংশ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্পের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু বারবার এটার নিন্দা করে আসছিলেন।

ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানিয়ে এই পরিকল্পনায় কিছুটা গতি এনে দিয়েছে জর্ডান, মিসর, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্কের মতো শীর্ষস্থানীয় আরব ও মুসলিমপ্রধান দেশ।

আলোচনার গতি বজায় রাখতে ট্রাম্প শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, এই প্রস্তাবে হামাস রাজি কি না ‘হ্যাঁ অথবা না’ তা জানাতে ‘তিন থেকে চার দিন’ সময় আছে। যদি উত্তর না হয়, তাহলে যুদ্ধ চলবে।

প্রস্তাবিত চুক্তিটি অনেকটাই জো বাইডেনের এক বছরেরও বেশি সময় আগে করা পরিকল্পনার মতো। এরপর থেকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, গাজায় আরও ধ্বংসযজ্ঞ এবং এখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মাসের পর মাস যন্ত্রণা এবং বন্দিদশা সহ্য করতে হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে বাইডেনের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার কারণ হলো, নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার কট্টর ডানপন্থিদের চাপের মুখে নতুন দাবি যুক্ত করেছিলেন।

এত কিছুর পরেও যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রস্তাব একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো, ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যাতে চাপে পড়েছেন নেতানিয়াহু সরকারও।

মন্তব্য

আফগানিস্তান
Continued to move on to the relief in Gaza despite the Israeli barrier

ইসরাইলি বাধা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণবহরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত

ইসরাইলি বাধা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণবহরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছবি : সংগৃহীত

গাজায় ত্রাণ বহনকারী একটি নৌবহর জানিয়েছে, ইসরাইলি নৌবাহিনীর বাধা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার তাদের কয়েক ডজন জাহাজ যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে ‘জোরালোভাবে’ এগিয়ে চলেছে।

জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে সুইডিশ জলবায়ু প্রচারক গ্রেটা থানবার্গসহ রাজনীতিবিদ এবং কর্মীদের বহনকারী প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গত মাসে স্পেন ত্যাগ করে। জাতিসংঘ বলেছে, সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।

বুধবার ইসরাইলি নৌবাহিনী নৌবহরটিকে তাদের অবরোধের আওতায় আসা জলসীমায় প্রবেশের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পর বাধা দেয় এবং থানবার্গের জাহাজটিকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

কিন্তু নৌবহরটি জানিয়েছে, ইসরাইলি বাধা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের বেশিরভাগ জাহাজ তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখে গাজা উপত্যকার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।

নৌবহরটি এক্স-এ টাইম স্ট্যাম্পসহ পোস্ট করেছে, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২০ মিনিটে (০০২০ জিএমটি) ‘ইসরাইলি দখলদার নৌবাহিনীর অবিরাম আগ্রাসন সত্ত্বেও মাত্র ৪৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ৩০টি নৌকা এখনো জোরেশোরে গাজার দিকে যাত্রা করছে’।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী ২শ’ জন যাত্রী ১৩টি নৌকা আটক করেছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই স্পেন এবং ইতালির নাগরিক ছিলেন।

কিন্তু, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মিশন চলছে’।

তিনি অবশিষ্ট জাহাজ সম্পর্কে বলেছেন, ‘তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা অনুপ্রাণিত এবং আজ ভোরের মধ্যে অবরোধ ভাঙতে তারা তাদের সাধ্যমতো যা যা করার দরকার সবকিছু করছে’।

নৌবহরটি জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে এই বাধাগুলো দেয়া হয়। তারা আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করার সময় এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ বলে বর্ণনা করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘নিশ্চিত বাধার বাইরেও লাইভ স্ট্রিম এবং আরো বেশ কয়েকটি জাহাজের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’

ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স-এক পোস্টে বলেছে, ‘নৌবহরের বেশ কয়েকটি জাহাজ নিরাপদে থামানো হয়েছে এবং তাদের যাত্রীদের ইসরাইলি বন্দরে স্থানান্তর করা হচ্ছে’।

এক্সে ২২ বছর বয়সি থানবার্গের জিনিসপত্র উদ্ধারের ফুটেজ পোস্ট করেছে এবং আরো বলেছে, ‘গ্রেটা এবং তার বন্ধুরা নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন।’

হামাস ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায়’ নৌবহরের বাধাদানকে ‘জলদস্যুতা এবং সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদের অপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর অতর্কিত হামলা গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল।

স্পেন এবং ইতালি উভয়ই নৌ-প্রহরী পাঠিয়েছিল। তারা গাজা উপকূলে ইসরাইলের ঘোষিত নিষিদ্ধ অঞ্চলে প্রবেশের আগে জাহাজগুলোকে থামার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, তাদের ফ্রিগেটগুলো সেই সীমা অতিক্রম করবে না।

তিউনিসিয়ায় ১০ দিন যাত্রাবিরতির পর আয়োজকরা দুটি ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছেন। ফ্লোটিলা ১৫ সেপ্টেম্বর আবার যাত্রা শুরু করে।

গ্রুপটি জানিয়েছে, তাদের প্রধান জাহাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আলমা। জাহজটির চারদিকে ‘একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ আক্রমণাত্মকভাবে প্রদক্ষিণ করেছিল।’ আরেকটি জাহাজ ‘সিরিয়াস’ ‘অনুরূপ হয়রানিমূলক মহড়ার’ শিকার হয়েছিল।

-‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’-

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ‘ভীতি প্রদর্শন’ কৌশল সত্ত্বেও নৌবহরটি এর আগে বিধ্বস্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
গ্রুপটি এক্স-এ বলেছে, ‘পূর্ববর্তী নৌবহরগুলোকে যেখানে আটক করা হয়েছিল অথবা আক্রমণ করা হয়েছিল সেই এলাকায় প্রবেশ করার সময় আমরা সতর্ক রয়েছি’।

ইতালিতে ইতোমধ্যেই নৌবহরের সমর্থনে সাধারণ ধর্মঘট হয়েছে। বুধবার রাতে রোমে শত শত মানুষ তার সমর্থনে সমবেত হন।

নেপলসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ ইতালীয় শহরের প্রধান স্টেশনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ট্রেন অবরোধ করে এবং পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানাতে ইউনিয়নগুলো শুক্রবার আবারও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, তিনি নৌবহরকে বাধা দেয়ার কারণে তার দেশে অবস্থানরত সমস্ত ইসরাইলি কূটনীতিককে বহিষ্কার করবেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে ‘সন্ত্রাসবাদের একটি কাজ যা আন্তর্জাতিক আইনের সবচেয়ে গুরুতর লঙ্ঘন এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে তোলে’ বলে অভিহিত করেছেন।

জুন এবং জুলাই মাসে ইসরাইল একই ধরনের প্রচেষ্টা রুখে দেয়।

-‘এখন থামো’-

স্পেনের ডিজিটাল রূপান্তর মন্ত্রী অস্কার লোপেজ নৌবহরটিকে গাজা থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত ইসরাইলের ঘোষিত নিষিদ্ধ অঞ্চলে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

ইতালিও তাদের ফ্রিগেটটিকে সেই সীমায় থামার পর কর্মীদের ‘এখনই থামতে’ অনুরোধ করেছিল।

স্পেনের কর্মীরা বলেছেন, স্পেন এবং ইতালির সিদ্ধান্ত তাদের প্রচেষ্টাকে ‘নাশকতার’ একটি প্রচেষ্টা।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, কর্মীরা কোনো হুমকি নয় এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তাদেরকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

ইতালির জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, এই ভ্রমণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে বিপদে ফেলতে পারে, যা এখনো আলোচনাধীনে রয়েছে। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আফগানিস্তান
The state of independent Palestine remains unclear in Trumps peace proposal

ট্রাম্পের ‘শান্তি’ প্রস্তাবে অস্পষ্ট থাকল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র

ট্রাম্পের ‘শান্তি’ প্রস্তাবে অস্পষ্ট থাকল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা ‘শান্তি’ প্রস্তাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টি অস্পষ্টভাবে এসেছে। অথচ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য বিশ্বজনমত জোরদার হয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের মিত্র বলে পরিচিত দেশগুলোও ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে গত সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। এতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ‘অস্পষ্টতা’ এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত না থাকায় এ পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও ট্রাম্প তার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিন থেকে চার দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। না হলে হামাসের চরম পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ট্রাম্পের ‘শান্তি’ প্রস্তাবের পরও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় প্রতি মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে এবং অস্পষ্টভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘কয়েকটি মিত্রদেশ ‘বোকার মতো’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে… তারা সত্যিই এটা করেছে। কারণ, আমি মনে করি যা ঘটছে, তাতে তারা ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’

এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবে গাজার উন্নয়ন এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) ‘সংস্কারকে’ শর্তহিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি তারপরও একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আলোচনা শুরু ‘হতে পারে’ কি না নিশ্চিত নয়।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে অস্পষ্টতার বিষয়টি নেতানিয়াহুর বক্তব্যেও এসেছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন, গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তখন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘ন’, কোনোভাবেই নয়।’ তিনি বলেন, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবে এ ধরনের কিছু নেই।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অস্পষ্টভাবে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেতানিয়াহুর সাংঘর্ষিক বক্তব্য এবং তার সরকারে অতি রক্ষণশীল শরিকদের অবস্থানের কারণে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগোনো কঠিন হবে। আর শেষ পর্যন্ত হামাস অতীতের মতো ‘মেনে নিয়েছি, তবে কথা আছে’- এ ধরনের জবাব দিলে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যদি উভয় পক্ষ (ইসরায়েল ও হামাস) প্রস্তাব মেনে নেয়, তবে যুদ্ধ মুহূর্তেই থেমে যাবে। গাজায় আটক সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হবে আর ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। নতুন ব্যবস্থায় গাজা শাসনের দায়িত্ব নেবে একটি ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকার, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে আন্তর্জাতিক একটি পর্ষদ (বোর্ড অব পিস)। সেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। ইসরায়েলও গাজা দখল করবে না বা এই ভূখণ্ডকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করবে না।

ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা মিসর ও কাতার ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। যদিও একই সঙ্গে এখনই এই প্রস্তাবের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী না হওয়ার কথা বলছে কাতার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘সব পক্ষকে’ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে গুতেরেসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত এই সংঘাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া ব্যাপক ভোগান্তি লাঘব করা।’ গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, তাতে হামাস যুক্ত ছিল না। এই পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হয়েছে, যা হামাস এর আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, এই পরিকল্পনা ‘সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের প্রতিপক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এর মাধ্যমে হামাসকে নির্মূল করার ‘অসম্ভব শর্ত’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আলোচনা সম্পর্কে অবহিত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, হামাসের আলোচকরা ‘সদিচ্ছা নিয়ে এটি পর্যালোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবেন’।

প্রস্তাবের বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সাংবাদিকদের বলেন, হামাস কর্মকর্তারা গত সোমবার রাতে পুরো পরিকল্পনাটি হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি তারা ‘দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পর্যালোচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

মাজেদ আল-আনসারি আরও বলেন, সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে আগবাড়িয়ে আশাবাদী হওয়া ঠিক হবে না। তবে তিনি বলেন, পরিকল্পনাটিতে ‘সার্বিক বিষয় স্থান পাওয়ায়’ কাতার এ নিয়ে ইতিবাচক।

তবে কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত আল-জাজিরাকে বলেছেন, ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা ‘সমস্যাজনক’ এবং হামাসের জন্য এটি গ্রহণ করা হবে একেবারেই ‘অবিবেচকের কাজ’।

বারাকাত বলেন, এই পরিকল্পনার শুরুতেই হামাসকে তাদের সব চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার এমন এক পক্ষের কাছে ছেড়ে দিতে হবে, যাদের তারা বিশ্বাস করে না। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প যেভাবে নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনাটি ঘোষণা করেছেন, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে প্রস্তাবটি ইসরায়েলের স্বার্থের দিকেই বেশি ঝুকে আছে।
শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হামাসকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হামাস তিন থেকে চার দিন সময় পাবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কেবলই হামাসের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি।’ তার দাবি, সব আরব দেশ, মুসলিম দেশগুলো এতে সম্মতি দিয়েছে। ইসরায়েল সম্মতি দিয়েছে। হামাস যদি সম্মতি না দেয়, তাহলে চরম পরিণতি হবে।

হামাস যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাহলে ইসরায়েলের যেখানে যা করা দরকার, তিনি তা করতে দেবেন। আর তারা সহজেই এটি করতে পারবে। প্রস্তাব না মানলে হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এটা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের ধরন, লক্ষ্য ও সময়সীমার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে। তাই বলা যায়, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনারা কবে ফেরত যাবেন, সেটার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। কীভাবে ও কখন এটা বাস্তবায়িত হবে, তাও স্পষ্ট নয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, গাজা অঞ্চলটি যেকোনো ‘সন্ত্রাসী হুমকি’ থেকে যথাযথভাবে সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ‘নিরাপত্তা পরিধি’ বজায় রাখবে। তবে এসব শর্ত কখন পূরণ হবে, শর্তপূরণের মানদণ্ডকে নির্ধারণ করবে, সে সবের উল্লেখ নেই।

মন্তব্য

p
উপরে