পৃথিবী সৌরজগতে সূর্য থেকে দূরবর্তী তৃতীয় গ্রহ। অন্যসব গ্রহের মতোই এটি নিজ অক্ষের ওপর ঘুরছে। প্রাণের বিকাশ ঘটা গ্রহটির আকার কমলালেবুর মতো, অর্থাৎ বৃত্তাকার দেহের মেরু দেশ কিছুটা চাপা। এটা একেবারে ছেলেবেলার বিজ্ঞান বইয়ের জ্ঞান।
মজার বিষয় হলো, বিশ্বে এমন অসংখ্য লোক আছেন যারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী গোল নয়, ফ্ল্যাট বা সমতল। তাদের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ হলো, বিজ্ঞান ও আধুনিক মিডিয়া চক্রান্ত করে কখনও দেখাবে না যে, পৃথিবীর আকৃতি আসলে সমতল। এই মত সমর্থন করা তাত্ত্বিকদের নিয়ে দুনিয়া জুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ‘ফ্ল্যাট আর্থারস সোসাইটি’।
এই ফ্ল্যাট আর্থারদের উদ্ভট দাবি যদি সত্যি হতো, অর্থাৎ পৃথিবী যদি সত্যিই সমতল হলে কেমন হতো? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় সাইট সায়েন্স অ্যালার্ট। পাঠকদের তারা একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে, সমতল পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য কেমন হতো তা নিয়ে।
১. বিদায় নিত অভিকর্ষ
বৃত্তাকার পৃথিবীতে সব জায়গায় সব বস্তুর ওপর অভিকর্ষ বলের প্রভাব সমান। সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষের কোনো প্রভাব থাকতো না। কারণ অভিকর্ষ থাকলে সেটার টানেই পৃথিবী বৃত্তাকার হয়ে যেত।
১৮৫০ এর দশকে গণিতবিদ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল হিসাব করে দেখান, সত্যিকার অভিকর্ষ বলের ক্ষেত্রে সমতল পৃথিবীর ধারণাটা টেকে না। যে কারণে সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষ বল কাজ না করার সম্ভাবনাই বেশি।
অথবা চাকতি আকৃতির সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষ সবকিছুকে কেন্দ্র বা উত্তর মেরুর দিকে টানবে। তেমনটা হলে, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লামোন্ট-ডর্টি আর্থ অবজারভেটরির ভূতত্ত্ববিদ জেমস ডেভিসের মতে, উত্তর মেরু থেকে আপনি যতটা দূরে থাকবেন আপনার প্রতি চাকতির কেন্দ্রের দিকে সমান্তরাল অভিকর্ষের প্রভাব ততটা বেশি থাকবে। বিশ্বজুড়ে এটা একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
তবে লং জাম্পের বিশ্বরেকর্ড খুব সহজেই ভাঙা যাবে (যদি আপনি উত্তরের দিকে মুখ করে লাফ দেন)।
২. বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব থাকত না
অভিকর্ষ বল না থাকলে চাকতি পৃথিবী এর চারদিক ঘিরে রাখা গ্যাসের স্তর যা বায়ুমণ্ডল নামে পরিচিত, তাকে ধরে রাখতে পারত না। অভিকর্ষের কারণেই এই আবরণটি আমাদের গ্রহকে ঘিরে থাকে। এই সুরক্ষা বলয় ছাড়া পৃথিবীর আকাশের রঙ হবে কালো। কারণ সূর্যের আলো পড়ার পর প্রতিসরিত হওয়ার আর কোনো মাধ্যম থাকবে না, যার কারণে আমাদের বহু পরিচিত নীল আকাশ আর দেখা যাবে না।
বিবিসির সায়েন্স ফোকাসে প্রাণিবিদ লুইস ভিলাজোন লিখেছেন, বায়ুমণ্ডলের চাপ না থাকায় মহাকাশের শূন্যতায় উন্মোচিত হবে গাছ ও সব জীব। নিঃশ্বাস নিতে না পারার কারণে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করবে সব প্রাণি ও উদ্ভিদ।
গ্রহের চারদিকে বায়ুমণ্ডল না থাকলে, পৃথিবীপৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভূত হয়ে মহাশূন্যে উড়ে যাবে। কারণ এর বাষ্পের চাপ পৃথিবীর বায়ুচাপের সমান হলে পানি ফুটতে শুরু করে। নিম্ন বায়ুমণ্ডলের চাপ মানে, পানির স্ফূটনাঙ্কও কমে আসবে।
গ্রহকে উষ্ণ রাখার মতো বায়ুমণ্ডল চারদিকে না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে ও অবশিষ্ট পানি জমে যাবে।
তবে সবই যে খারাপ হবে তা কিন্তু নয়। গভীর সমুদ্রের কিমোসিন্থেটিক ব্যাকটিরিয়ার মতো অনুজীব, যাদের বেঁচে থাকতে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না, তারা টিকে থাকবে। সে ধরনের ব্যাকটিরিয়াগুলো মহাকাশে যাত্রা করেও ফিরে এসেছে।
৩. বৃষ্টি হতো আনুভূমিক
পৃথিবীর চাকতির কেন্দ্র বা উত্তর মেরুর দিকে যদি অভিকর্ষ বল কাজ করে, তাহলে বৃষ্টিও সেদিকে হবে। এর কারণ হচ্ছে, অভিকর্ষের জন্যে বৃষ্টি পৃথিবীতে পড়ে। একই কারণে অভিকর্ষের টান সবচেয়ে শক্তিশালী যেদিকে হবে, সেদিকেই বৃষ্টিপাত হবে।
একমাত্র চাকতির কেন্দ্রেই বায়ুমণ্ডল আমরা সাধারণ পৃথিবীতে যেমনটা দেখি তেমন আচরণ করবে, অর্থাৎ বৃষ্টি ওপর থেকে নিচে পড়বে। কেন্দ্র থেকে যতটা দূরে যাওয়া যাবে, বৃষ্টি ততটা সমান্তরাল হতে থাকবে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লামোন্ট-ডর্টি আর্থ অবজারভেটরির মতে, নদী এবং সমুদ্রের পানিও উত্তর মেরুতে প্রবাহিত হবে। যার অর্থ বিশাল সমুদ্রগুলো গ্রহের কেন্দ্রস্থলে জমা হবে ও প্রান্তের দিকে কার্যত কোনো পানি থাকবে না।
৪. আমরা সবাই পথ হারিয়ে ফেলতাম
পৃথিবী চাকতির মতো হলে এর কোনো স্যাটেলাইট থাকবে না, কারণ কোনো কক্ষপথ থাকবে না তাদের। জেমস ডেভিস বলেন, ‘আমাদের সামাজিক জীবন নির্ভর করে এমন অনেক স্যাটেলাইট কাজই করবে না। সমতল পৃথিবীতে জিপিএস কীভাবে কাজ করবে সেটা আমার জানা নেই।’
সুপারমার্কেটের একেবারে তরতাজা প্রোডাক্ট পাওয়ার জাস্ট-ইন-টাইম থেকে শুরু করে ভ্রমণের তথ্য ও জিপিএস সার্ভিসের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমস (জিএনএসএস) এর ওপর। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে ইমার্জেন্সি সেবাগুলো জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে কলারের অবস্থান যাচাই করে। এর অর্থ, জীবন বাঁচাতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ-ব্যবস্থা ভূমিকা রাখছে।
জিপিএসহীন একটি পৃথিবী কল্পনা করা সহজ নয়। বলাই বাহুল্য আমরা হারিয়ে যাব।
৫. কিছু যাত্রা শেষ হতে সারাজীবন লেগে যেত
ভ্রমণের সময় বেড়ে যাবে, এটা কেবল জিপিএস না থাকার কারণেই নয়, যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে সে জন্যেও। সমতল-পৃথিবীর বিশ্বাস অনুসারে, আর্কটিক গ্রহের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, আর অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর চারপাশে একটি বিশাল বরফের প্রাচীর গঠন করেছে। এই প্রাচীরটি আক্ষরিক অর্থে মানুষকে পৃথিবী থেকে পড়ে যেতে বাধা দেয়। তবে কেউ যদি উড়তে অক্ষম হন ও বিশ্বজুড়ে উড়ে ভ্রমণ করতে বাধ্য হন তবে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে (যা ফ্ল্যাট-আর্থ মানচিত্রের একপাশে) অ্যান্টার্কটিকার ম্যাকমারডো স্টেশনে (ফ্ল্যাট-আর্থ মানচিত্রের অন্যদিকে) যেতে, আপনাকে পুরো আর্কটিক, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে হবে।
অ্যান্টার্কটিকার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়াটাও মুশকিল হয়ে পড়বে কারণ, চতুর্দিকের বরফের প্রাচীর ভ্রমণকে বাধা দেবে।
৬. অরোরা থাকত না, আমরা পুড়ে যেতাম
নাসার মতে, বৃত্তাকার পৃথিবীর ভেতর লোহার তৈরি কেন্দ্রকে ঘিরে ঘুরতে থাকা গলিত ধাতব পদার্থের ঘূর্ণনের জন্য বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি হয়। এটি পৃথিবীর এক মেরু থেকে আরেক মেরু পর্যন্ত উপস্থিত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সৃষ্টির মূল কারণ।
সমতল পৃথিবীতে, কোনো নিরেট কেন্দ্র থাকবে না ওইরকম একটা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে সুরক্ষা দেয়াল বা ম্যাগনিটোস্ফিয়ার সৃষ্টি করার জন্য। যার কারণে থাকবে না অরোরাও।
নর্দার্ন লাইটস নামে পরিচিত এই আলোক ছটাগুলো আসলে সূর্য থেকে আসা চার্জযুক্ত কণা ম্যাগনিটোস্ফিয়ারে উপস্থিত অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের কণায় ধাক্কা খাওয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া এনার্জি।
তবুও, অরোরার অভাবের চেয়ে বড় মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়াবে সৌর বায়ু থেকে অরক্ষিত হয়ে পড়া পৃথিবী। নাসার মতে, পৃথিবী ও এর পৃষ্ঠের সবকিছুর উপর ক্ষতিকারক সৌর বিকিরণের বর্ষণ হবে। যার কারণে প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহের মতো একটি বন্ধ্যা গ্রহে পরিণত হবে পৃথিবী।
৭. আমাদের সবার আকাশ একরকম হতো
সমতল পৃথিবীতে বর্তমান বৃত্তাকার পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল বিভক্ত থাকবে না। ফলে উত্তর গোলার্ধ বা দক্ষিণ গোলার্ধে আছি কিনা সেটার ওপর নির্ভর করে দিন বা রাতের তারতম্য হতো না। আর চাকতি আকৃতির গ্রহের যেকোনো জায়গা থেকেই শুধু রাতের আকাশ দেখা যেত।
আমরা যদি রাতের আকাশের একটা অংশই সবসময় দেখতাম তাহলে ভূ-পৃষ্ঠের অনেক আবিষ্কার, যেগুলো পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান মহাবিশ্বে আমাদের ৩৬০ ডিগ্রি দেখার সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে, হতো না। আমাদের শুধু মহাকাশ-নির্ভর টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাবিশ্বের দিকে তাকাতে হতো।
৮. ঘূর্ণিঝড় বা হারিকেন হতো না
প্রতিবছরই সাইক্লোন, বা হারিকেনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০১৭ সালে হারিকেন হার্ভি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১২৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছিল। এই সাইক্লোনের ঘূর্ণন তৈরি হয় পৃথিবির কোরিওলিস এফেক্ট থেকে। উত্তর গোলার্ধে সাইক্লোনের ঘূর্ণন ঘড়ির কাঁটার দিকে আর দক্ষিণ গোলার্ধে কাঁটার বিপরীতে।
সমতল পৃথিবীতে কোনো কোরিওলিস এফেক্ট থাকবে না। যার অর্থ কোনো, হারিকেন, টাইফুন বা সাইক্লোনও থাকবে না। নাসার মতে, এই একই কারণে আমরা বিষুবরেখার ৫ ডিগ্রি উত্তর বা দক্ষিণে কখনই এই ধরনের ঝড় দেখি না, কারণ বিষুবরেখা বরাবর কোরিওলিস এফেক্ট শূন্য।
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনার শিরোনামগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।
মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইট লিঙ্ক পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমন অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পর মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান কমানোর চেষ্টার পর এই পরিবর্তন আসছে।
মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের ফলো করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করবে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে, আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।
কর্নেল ব্রুকস স্কুল অফ পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি বিষয়ক নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না, এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ তারা এ বিষয়ে মূল্যায়ন শুরু করে এবং নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পান। ফলে তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে। অসাবধানতাবশত নিজেরাই যাতে রাজনৈতিক শিরোনাম হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।’
পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।’
অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন যে, এটি আসছে। তবে এটি সংবাদ ব্যবসার জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ।’
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন, তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে সেখানে ছাড়িয়ে গেছে।
পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এ দুই মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না, এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।
আরও পড়ুন:ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।
স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।
আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।
তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের নতুন স্মার্টফোন লাইনআপে যুক্ত করেছে যুগান্তকারী নতুন ফিচার ‘ম্যাগচার্জ’।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার এফ-ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক আয়োজনে নতুন নোট ৪০ সিরিজ উদ্বোধন করে করে ব্র্যান্ডটি। সেই আয়োজনেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং ফিচারের যাত্রা শুরুর কথা জানায় ইনফিনিক্স।
ম্যাগচার্জের মতো চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এই প্রথম। এ প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।
ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে নোট ৪০ সিরিজের সঙ্গে আছে ইনফিনিক্সের ম্যাগকিট। এ কিটে ফোনের ব্যাককাভার হিসেবে দেয়া হয়েছে ম্যাগকেস। এর সঙ্গে আরও আছে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড ম্যাগপ্যাড এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক ম্যাগপাওয়ার।
ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০, নোট ৪০ প্রো, নোট ৪০ প্রো ফাইভজি এবং অত্যাধুনিক নোট ৪০ প্রো+ ফাইভজি স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ম্যাগচার্জ ফিচারটি।
এবারের সিরিজটিতে দেয়া হয়েছে ইনফিনিক্সের অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ প্রযুক্তি, ১০০ ওয়াট পর্যন্ত মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জ এবং ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চার্জিং মোড ব্যবহার করতে একটি কাস্টম চিপ দেয়া হয়েছে এ সিরিজের ফোনগুলোতে।
উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার জন্য নোট ৪০ সিরিজে আছে ১২০ হার্টজের প্রাণবন্ত থ্রিডি-কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে। প্রধান ক্যামেরা হিসেবে সিরিজটিতে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা সিস্টেম। এ ছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হ্যালো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি।
ইনফিনিক্সের নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ডিরেক্টর উইকি নিইয়ে বলেন, ‘ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ বাজারে আনার মাধ্যমে চার্জিং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতাকেই বদলে দেবে এই সিরিজ। ‘এ ছাড়াও আমাদের নিজস্ব চিপ চিতা এক্স১-এর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ। এখন এতে আছে মাল্টি-স্পিড চার্জিং এবং এক্সট্রিম টেম্পারেচার চার্জিংয়ের মতো ফিচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী ম্যাগচার্জ অ্যাক্সেসরি কিট ফোন ব্যবহারকারীদের দেবে নিরবচ্ছিন্ন চার্জিং ইকোসিস্টেম। এসব অগ্রগতির ফলে ব্যবহারকারীরা সারা দিন যেকোনো পরিস্থিতি ও আবহাওয়ায় পাওয়ারড-আপ থাকতে পারবেন।’
গত বছর অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ প্রযুক্তিসহ নোট ৩০ সিরিজ বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসে ইনফিনিক্স। সিরিজটিতে আছে ৬৮ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং এবং ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাদার বোর্ডে সরাসরি চার্জ নেয়ার জন্য এতে আছে বাইপাস চার্জিং এবং আইফোন সেভার হিসেবে পরিচিত ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তি।
চার্জিং, লুক ও পারফরম্যান্সে অভূতপূর্ব আপডেট নিয়ে এখন বাংলাদেশের বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে নোট ৪০ সিরিজ। নতুন এ নোট সিরিজের জন্য শুরু হয়ে গেছে প্রি-বুকিংও।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী পাল্টাচ্ছে প্রতিদিন। বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজ, শিক্ষা কিংবা বিনোদনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ল্যাপটপের ব্যবহার। আধুনিক জীবনের সব রকমের প্রয়োজন মেটাতে ক্রমাগত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এসব ডিভাইস।
ফলে যত বেশি কাজ, তাপও উৎপন্ন হচ্ছে সেই হারে। এই তাপ কমাতে সাধারণত পোর্টেবল কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। এভাবে বাহ্যিক তাপ কমানো গেলেও ল্যাপটপের ভেতরে আটকে পড়া তাপ নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়।
তবে ল্যাপটপেই যদি একটি শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম থাকে, তাহলে বাহ্যিক কুলিং ফ্যানের আর প্রয়োজন হয় না। বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছর ইনবুক সিরিজের এক্স২ ল্যাপটপ বাজারে আনে ইনফিনিক্স। এই ল্যাপটপের ভেতরে আছে আইস স্টর্ম ১.০ নামক কুলিং প্রযুক্তি। এটি ল্যাপটপে একটি আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্যে করে। আইস স্টর্ম কুলিং সিস্টেম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে মিলিটারি-গ্রেডের বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। গেমিংসহ অন্যান্য কাজ কিংবা বিনোদনের সময় যা নিঃশব্দে পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
ইনফিনিক্সের এই প্রযুক্তিটি ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরে। ল্যাপটপ কিংবা এর ব্যবহারকারী, উভয়ক্ষেত্রেই এর প্রভাব রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে কার্যকর কুলিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের কাজে আসে এবং এর মাধ্যমে কী কী সমস্যার সমাধান হয়?
পারফরম্যান্স
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে প্রথম সমস্যা হয় এর পারফরম্যান্সে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ল্যাপটপের কাজের মান ও গতি কমে যায় এবং ল্যাগ সৃষ্টি হয়। একে থার্মাল থ্রটলিং বলে। কার্যকর কুলিং সিস্টেম দ্রুত এই তাপমাত্রা কমিয়ে এনে নিরবচ্ছিন্নভাবে উন্নত পারফরম্যান্সের লেভেল বজায় রাখতে পারে। ফলে মাল্টিটাস্কিং করা সহজ হয়, সফটওয়্যারগুলো দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাও ভালো হয়।
স্থায়িত্ব ও জীবনকাল
ল্যাপটপের সিপিউ ও জিপিউ’র মতো অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো বেশ তাপ সংবেদনশীল। সময়ের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এসব উপাদানের ক্ষতি হয়। এতে ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা কমে যায় এবং জীবনকালও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। এক্ষেত্রে একটি ভালো কুলিং সিস্টেম দক্ষতার সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অকালে হার্ডওয়্যার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এমন সক্রিয় ব্যবস্থা ল্যাপটপের জীবনকাল বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আর্থিক লোকসানও কমিয়ে আনে।
পরিবেশবান্ধব
তাপমাত্রা বেশি হলে ফ্যানকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, ফলে আরও বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপে সার্বক্ষণিক ফ্যানের ব্যবহার কমিয়ে কার্যকরভাবে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে উন্নত কুলিং সিস্টেম। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, বিদ্যুৎ বিল কমে আসে এবং পরিবেশের সুরক্ষা হয়।
স্বস্তি এবং স্বাস্থ্য
ডিভাইসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ল্যাপটপ ব্যবহার করা খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষভাবে, যখন কোলের উপর রেখে ব্যবহার করতে হয় তা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ সময় এভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ত্বক পুড়ে যাওয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, ফ্যান অতিরিক্ত শব্দ করলে তা ব্যবহারকারীর মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটায়। ল্যাপটপ ঠান্ডা রেখে নিঃশব্দে কার্যক্রম বজায় রাখার মাধ্যমে এসব ঝুঁকি কমিয়ে আনে আইস স্টর্ম ১.০-এর মতো অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমগুলো।
তাই ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম শুধু ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও জীবনকালের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ব্যবহারকারীর স্বস্তি, সুস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্যও এটি জরুরি।
ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের এক্স২ এবং ওয়াই২ প্লাস ল্যাপটপ দেশজুড়ে রায়ানস, স্টারটেক ও দারাজের মতো অনুমোদিত রিটেইলারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ থেকে ২০ মার্চ রায়ানস-এর ব্র্যান্ড উইক চলাকালীন ইনফিনিক্স ল্যাপটপ কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি পাওয়ার ব্যাংক, একটি মাউস প্যাড এবং ১০০০ টাকার শপিং ভাউচার।
আরও পড়ুন:হঠাৎ করেই যেন রাতের অন্ধকার নেমে এসেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারীদের জীবনে। আচমকা বিভ্রাটে পড়ে ভীত হয়ে পড়েন অনেকে।
তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নন, বরং ক্ষতির মুখে পড়েছিল কর্তৃপক্ষ। আর এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সময়ও নিতে হয়েছে বেশ।
এমন অবস্থায় ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম বন্ধ থাকায় কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মূল প্রতিষ্ঠান মেটা, তা নিয়ে সূত্রের বরাতে তথ্য দিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন।
প্রতিবেদন বলছে, প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বিভ্রাটে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মেটা। সবমিলিয়ে ৩ বিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অকেজো হয়ে পড়ে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইউজারদের অ্যাকাউন্ট নিজে থেকেই লগ আউট হয়ে যায়।
পরে অবশ্য এক্সে এসে মার্ক জাকারবার্গ জানান, সার্ভার ডাউন। সেই কারণেই কাজ করছে না মেটার দুই প্ল্যাটফর্ম। তবে দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
এর পরই মাস্ককে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ইলন মাস্কও অবাক হয়ে যাবেন এই ভেবে যে এক্স হ্যান্ডেলে আচমকা এত ভিড় কেন?
পাল্টা জবাব দিয়েছেন এক্সের মালিক মাস্কও। তিনি লেখেন, এই প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের মেসেজ লেখা যাচ্ছে, সবাই তা দেখতে পাচ্ছে। কারণ আমাদের সার্ভার খুব ভালো চলছে।
আরও পড়ুন:এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঠিক হয়েছে ফেসবুক। রাত দশটা ৩৫ মিনিটে লগইনের চেষ্টা করলে দেখা যায়, সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম বৃহৎ এ প্লাটফরমটি।
বিস্তারিত আসছে…
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। এমনকি ফেসবুকে সক্রিয় থাকা আইডিগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফেসবুকের পাশাপাশি মেটার আওতাধীন ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ব্যবহারকারীরা জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
মেটা কিংবা ফেসবুক তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
মন্তব্য