অনলাইনে ভিডিও দেখার জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ইউটিউব। বিনোদনের জন্য অনেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। তবে ভিডিওগুলো ধীরগতিতে চললে তা উল্টো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু কৌশল নিলে বাফারিং থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সেসব কৌশলই দেয়া হলো নিচে।
রেজ্যুলেশন কমানো
এইচডি (৭২০ পিক্সেল) ও ফুল এইচডি (১০৮০ পিক্সেল) মানের ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেট থাকতে হবে। কিন্তু অনেকের ইন্টারনেটের গতি কম থাকে। এ ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওর রেজ্যুলেশন কমিয়ে বাফারিং এড়ানো সম্ভব। গতি অনুযায়ী এই রেজ্যুলেশন নির্বাচন করতে হবে।
এ জন্য ব্রাউজার কিংবা অ্যাপ হতে ভিডিও দেখার সময় ভিডিওর সেটিংস আইকনে ক্লিক করে রেজ্যুলেশন কমিয়ে নিতে হবে।
ব্রাউজার যাচাই
পিসিতে ব্রাউজার ব্যবহার করে ইউটিউব দেখার সময় ইন্টারনেটের গতি ঠিক থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় বাফারিং হয়। এমন হলে ব্রাউজারের ডেটা ও ক্যাশ ফাইল ক্লিয়ার করতে হবে। অপশনটি ব্রাউজারের সেটিংসেই পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজারটিকে সবসময় হালনাগাদ সংস্করণে ব্যবহার করলে বাফারিং সমস্যা এড়ানো যায়।
মোবাইল অ্যাপের ডেটা মুছে ফেলা
অ্যান্ড্রয়েডে ইউটিউব অ্যাপ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে সেটি অনেক ডেটা জমা করে ফেলে। এতে ইউটিউব ভিডিও চলতে ধীরগতি হতে পারে। সমস্যা সমাধানে ইউটিউব অ্যাপের ডেটা মুছে ফেলতে হবে কিংবা অ্যাপটিকে একবার আন-ইনস্টল করে পুনরায় করে ইনস্টল করে নিলে সমস্যা সমাধান হবে।
ইন্টারনেটের গতি যাচাই
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে ইউটিউব ভিডিও ঠিকঠাক চলে না কিংবা চলতে চলতে থেমে যায়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে। এ জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সার্ভিস নিতে হবে। গতি ঠিক থাকা সত্ত্বেও ওয়াইফাইতে স্পিড কমে গেলে তা সমাধান করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:জামালপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ও তিন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচ যাত্রী।
শুক্রবার দুপুরে জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কের রানাগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, দুপুরে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে সদর উপজেলার ইটাইল থেকে শ্রীপুরগামী একটি ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাকচাপায় ইজিবাইক চালকসহ ৯ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- জামালপুর সদরের ইটাইল কান্দাপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সোলায়মান,
সদর আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ, ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে শাহেদ আলী ও সোবহানের ছেলে ইজিবাইক চালক জয়নাল আবেদীন।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার পৃথকভাবে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশীনগর রেলক্রসিংয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতরা হলেন রায়পুরার চরমধুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ৬৫ বছর বয়সী নেছার আহমেদ এবং অজ্ঞাত এক কিশোর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠার সময় পা পিছলে পড়ে যায় অজ্ঞাত এক কিশোর। পরে সকাল সাড়ে ৫টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপর দিকে সকাল ৭টার দিকে আরশীনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকামুখী উপবন ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান নেছার আহমেদ।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত কিশোরের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪২টি স্বর্ণের বার এবং অলঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এ সময় আটক করা হয়েছে ৫ চোরাকারবারিকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রাম, হাসাদহ বাসস্ট্যান্ড ও জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় ওই পৃথক অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন প্রায় ৫ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
পুলিশ ও বিজিবি জানায়, স্বর্ণ চোরাচালান চেষ্টার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে দুই ব্যক্তি। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসা ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পড়ে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। আটক সেলিম হোসেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে।
অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় এক চোরাকারবারি। পরে ওই মোটরসাইকেল তল্লাশি করে দেড় কেজি ওজনের ১২টি স্বর্ণের বার, একটি চেইন ও দুটি ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১৪টি স্বর্ণের বার। যার ওজন প্রায় আড়াই কেজি। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫১ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জিহাদ মোল্লার ছেলে ওবাদুল মোল্লা, তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুব হাসান, ইনসান কাজীর ছেলে রিয়াজ কাজী এবং একই জেলার নড়াগাতী উপজেলার থাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা।
ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:১৮ কোটি মানুষের জন্য দেশে বিচারকের সংখ্যা কম। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার এ কথা বলেছেন।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শহীদ সোহেল আহম্মেদ জগন্নাথ পাড়ে স্মৃতি সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি ওই কথা বলেন।
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘নানা ধরনের জটিলতার কারণে বিচার দ্রুত সময়ে হয়ে থাকে না। এ ক্ষেত্রে বিচারকরা মূল ভূমিকায় নয়। অনেক মামলায় সাক্ষীর কারণে সময় পার হয়। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।’
বক্তব্যে তিনি সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের সভাপতিত্বে ‘আদালতে বিচারাধীন মামলা বিশেষত পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহ অগ্রাধিকারভিত্তিক দ্রুত নিষ্পত্তি আইনি সহায়তা’ মতবিনিময় সভা হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক নাসিরুল হক, ২-এর বিচারক সালমা খাতুন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আহসান হাবীব, সহকারী প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কায়সার আহমেদ লিটন।
এর আগে সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। পরে আদালত চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত ও ৬৩১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৭ নারী ও ৭৮ শিশু রয়েছে। ওই মাসে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৪১ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৫৫ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনায় ১০৪ পথচারী নিহত হয়, যা মোট নিহতের ২৫.৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হন ৭২ জন, যা মোট নিহতের ১৭.৬৪ শতাংশ।
সংস্থাটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযাযী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩.৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০.৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪.৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯.৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং চারটি (০.৮১ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ভোরে ৫.২৯ শতাংশ, সকালে ২৫.২৫ শতাংশ, দুপুরে ২৮.৭১ শতাংশ, বিকেলে ১২.২১ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৮.৯৬ শতাংশ এবং রাতে ১৯.৫৫ শতাংশ ঘটে।
দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট দুর্ঘটনার ২৭.২৯ শতাংশ ঘটে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে প্রাণহানি মোট নিহতের ২৫ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি হয়।
একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হন। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হন।
বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ বঙ্গবন্ধু কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪টি বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। সে সঙ্গে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৪টি বসতঘর। এতে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শেষে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈদ্যুতিক গোলযোগেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। তবে তদন্ত না করে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু কলোনির মো. কালাম হাওলাদারের বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বরিশাল সদর ও নৌ ফায়ারা স্টেশনের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা। তার আগেই কালাম হাওলাদারের বাড়ির পাশের মলি বেগম, নয়ন ফকিরসহ ৪ জনের বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আরও ৪টি ঘর আংশিক পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. বেল্লাল উদ্দিন বলেন, ‘বরিশাল সদর নৌ ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে আশপাশের বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের মোট ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এর মধ্যে চারটি বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’
তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহতদের দ্রুত শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের গায়ে আগুনের তাপ লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সেলিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বৈদ্যুতিক মিটারে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে বলে জানালেও আগুন লাগার কারণ তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেল্লাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শুক্রবার এ রাজনৈতিক তাত্ত্বিকের মৃত্যু হয়।
ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ রাসেল জানান, দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিরাজুল আলম খানের। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, সিরাজুল আলম খানকে ২০ মে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে।
এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি ও সিরাজুল আলম খানের ঘনিষ্ঠ শরীফ নুরুল আম্বিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিরাজুল আলম দাদা ভাইয়ের পরিবার নিশ্চিত করেছে যে, তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।’
সিরাজুল আলম খানের ঘনিষ্ঠ ইয়াসমিন ইতি রাজনৈতিক তাত্ত্বিকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন, ‘আমার বাপি দাদা সিরাজুল আলম খান আর নেই। আমি খুব খারাপ একটা মেয়ে যে বাবার এই সময়ে পাশে থাকতে পারল না।’
রাজনৈতিক তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতি হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১৯৬২ সালে ‘স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীতে জন্ম সিরাজুল আলম খানের। তিনি ছিলেন খোরশেদ আলম খান ও সৈয়দা জাকিয়া খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার বদলির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে সিরাজুল আলম খানের। ১৯৫৬ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তিনি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে ঢাকা কলেজ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
সিরাজুল আলম খানের বাবা খোরশেদ আলম খান স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় পড়ালেখা করেন। শৈশব থেকেই বাবাকে পথপ্রদর্শক হিসেবে পেয়েছিলেন এ রাজনৈতিক তাত্ত্বিক।
মন্তব্য