× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
What is the message of equal price of square beacon?
google_news print-icon

স্কয়ার-বিকনের শেয়ারের সমান দাম কী বার্তা দেয়?

স্কয়ার-বিকনের-শেয়ারের-সমান-দাম-কী-বার্তা-দেয়?
স্কয়ার ফার্মা ও বিকন ফার্মার কারখানা
গত দুই বছরে বিকন ফার্মার শেয়ারদর ১০ গুণ বেড়ে স্কয়ার ফার্মার সমান হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে বিকনের আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তার পরেও স্কয়ারের সঙ্গে কোনো দিক থেকেই তার তুলনা চলে না। কিন্তু একপর্যায়ে এই কোম্পানির শেয়ারদর স্কয়ারকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

তেল আর ঘি সমান দাম যেখানে, সেখানে ন্যায়বিচার নেই বলে অনেকটা পৌরাণিক কাহিনির মতো ঘটনা।

ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কয়ার ও বিকন ফার্মার তুলনা চলে না কোনো মানদণ্ডেই। কিন্তু দুই কোম্পানির শেয়ার দর এখন অবস্থান করছে এক সমানতালে।

বিপুল পরিমাণ আয়, সম্পদমূল্য, ব্যবসায় উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি আর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কিনে এমনকি ২০১০ সালের মহাধসেও ক্ষতির শিকার হননি বিনিয়োগকারীরা।

তবে এক বছর ধরে পুঁজিবাজারে উত্থানে আড়াই হাজার পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ার মধ্যেও অনেকটাই ঘুমিয়ে এই কোম্পানিটি। শেয়ারদর একটি জায়গাতেই স্থির হয়ে আছে বলতে গেলে।

অন্যদিকে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০১১ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস আছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে। আর নগদ লভ্যাংশ হিসাব করা আছে ২০১৫ সাল থেকে। আর এই সময়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ লভ্যাংশ মিলেছে ৬ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এর আগে শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ২০২০ সালে; ১ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে কখনও শেয়ারপ্রতি ১ টাকাও আয় করতে পারেনি তারা।

তবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের দ্বিগুণের মতো আয় এটাও বলছে যে, কোম্পানিটি বড় হচ্ছে, বাড়ল সম্ভাবনাও। আর এই পর্যায়ে শেয়ারদরও ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় তিন গুণ হয়েছে। একপর্যায়ে তা স্কয়ারকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয় বিস্ময়। তবে ৫ আগস্ট বিকনের শেয়ার ৯ টাকা ২০ পয়সা দর হারানোর পর তা স্কয়ারের নিচে নেমে আসে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শুরুর দিন অবশ্য বিকনের শেয়ারের দাম স্কয়ারের বেশিই ছিল। দিনের শুরুতে বিকনের শেয়ারমূল্য ছিল ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা, আর স্কয়ারের ২২২ টাকা ৯০ পয়সা।

বিকন দর হারিয়ে ২২১ টাকা ৭০ পয়সা আর স্কয়ারের শেয়ারে ৩ টাকা ৯০ পয়সা যোগ হওয়ার পর দাম দাঁড়ায় ২২৬ টাকা ৮০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে বিকন ফার্মার চেয়ে স্কয়ার ফার্মা ভালো। ব্যবসায়িক অবস্থা, মুনাফা বিবেচনা করলে পুঁজিবাজারের অনেক কোম্পানির চেয়ে স্কয়ার ফার্মার ফান্ডামেন্টাল ভালো।

‘তবে করোনার এ সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীসহ ওষুধ কোম্পানিগুলোর ভালো ব্যবসা হয়েছে, যার ফলে অনেক কোম্পানির আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ার দামের বিষয়টি বিবেচনা করলে স্কয়ার ফার্মার আয়ে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়নি যতটা বিকন ফার্মার ক্ষেত্রে হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করেছে। এটিই মূলত দাম বৃদ্ধির কারণ। তবে এমন দাম বৃদ্ধির পর যদি পরবর্তী প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় যদি অব্যাহত না থাকে, তাহলে সেটি অবশ্যই ঝুঁকির।’

মৌলভিত্তি ও দামের তুলনা

বিকনের আয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হলেও এখনও তা স্কয়ারের তুলনায় অনেক কম। তিন প্রান্তিক শেষে বিকনের শেয়ারপ্রতি আয় ৩ টাকা ২৭ পয়সা, আর স্কয়ারের ১৩ টাকা ১২ পয়সা।

গত এক বছরে বিকনের শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ২৩৫ টাকা।

আর দুই বছরের হিসাব বিবেচনায় নিলে দেখা যায় সর্বনিম্ন দাম ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।

অন্যদিকে গত এক বছরে স্কয়ারের শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮৩ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ২৪৭ টাকা। আর দুই বছরে সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।

দুই বছর ধরেই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির মধ্যেও বিকনের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত ৪ এপ্রিল থেকে। চার মাসেরও বেশি সময়ে শেয়ারপ্রতি দাম বাড়ে ১০০ টাকার বেশি। সেদিন বিকনের শেয়ার দর ছিল ৯৮ টাকা ১০ পয়সা। একই সময়ে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ছিল ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা।

ফলে চার মাসে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৩০ টাকা বা ১৫.৫৫ শতাংশ। আর বিকনের বেড়েছে ১২৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১২৫.৯৯ শতাংশ।

বিকন ফার্মার রিজার্ভে জমা আছে ২৩২ কোটি টাকা আর স্কয়ার ফার্মার রিজার্ভে আছে ৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।

তবে এক বছরে বিকনের দাম ১০ গুণ হয়ে যাওয়ার পরেও বাজার মূলধনের দিক থেকে স্কয়ার থেকে যোজন যোজন দূরত্বে কোম্পানিটি।

সবশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী বিকনের বাজার মূলধন ৫ হাজার ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

অন্যদিকে স্কয়ারের বাজার মূলধন ১৯ হাজার ৭৫৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

দুই কোম্পানির শেয়ারদর সমান সমান হলেও বাজার মূলধনে এই বিশাল পার্থক্যের কারণ পরিশোধিত মূলধন।

৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন স্কয়ারের শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১১টি।

অন্যদিকে ২৩১ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিকন বিভক্ত ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ারে।

লভ্যাংশের তুলনা

আর লভ্যাংশের ইতিহাস বিবেচনায় নিলে তো কথাই নেই। বিকনের তালিকাভুক্তির বছর থেকে ধরলে স্কয়ারের ১০০টি শেয়ার বোনাস যুক্ত হয়ে এখন হয়েছে ৫৮৭টি শেয়ার।

আর সঙ্গে দেয়া নগদ লভ্যাংশ ২০১৫ সাল থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায়, ১০০টি শেয়ার, সে সময় ৩১১টি শেয়ারে পরিণত হয়েছে। ওই বছর শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা করে স্কয়ারের সেই আগের ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নগদ পাওয়া গেছে ৯৩৫ টাকা।

পরের বছর শেয়ারসংখ্যা আরও বাড়ায় নগদ লভ্যাংশ দিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১ টাকা। ২০১৭ সালে তা আরও বেড়ে হয় ১ হাজার ৪১২ টাকা। ২০১৮ সালে শেয়ার আরও বাড়ার পর নগদ লভ্যাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৯ টাকা। ২০১৯ সালে নগদ লভ্যাংশ দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৪৫ টাক আর ২০২০ সালে পাওয়া গেছে ২ হাজার ৩২৮ টাকা।

অর্থাৎ ২০১০ সালের ১০০ (সে সময় ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যে ছিল ১০টি শেয়ার) শেয়ার কেউ ধরে রাখলে ২০১৫ সাল থেকে তিনি নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন ৯ হাজার ২২৮ টাকা।

অন্যদিকে বিকনের কেউ ১০০ শেয়ার ধরে রাখলে এই ১০ বছরে তার শেয়ারসংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ১০৫টি। আর ২০১৬ সাল থেকে এই শেয়ারে এখন পর্যন্ত নগদে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া গেছে ২৮৩ টাকা ৫০ পয়সা।

অবশ্য বিকন সম্প্রতি তার ডানা মেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে, এ অবস্থায় তার শেয়ারদর বাড়বে, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কতটা বাড়বে, এটি হচ্ছে কথা।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একটি প্রবণতা আছে, সেটি হলো শেয়ারসংখ্যা কম হলেই কোম্পানির অবস্থা যা-ই হোক না কেন, তার দাম বেড়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে। আর শেয়ার সংখ্যা বেশি হলে কোম্পানির মৌলভিত্তি, আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ বা সম্ভাবনা যা-ই হোক না কেন, এর শেয়ার দর থাকে কম।

কেন বিকন ফার্মার শেয়ারের দর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে, জানতে চাইলে কোম্পানি সচিব খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি এ সময়টিতে করোনা-সম্পর্কিত ওষুধ বিক্রির মাধ্যমে আমাদের আয়ের সিংহভাগ এসেছে। আগে যেখানে আমাদের শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা কিংবা তার কাছাকাছি থাকত, এখন তা ৩ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া অপ্রকাশিত আর কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। শেয়ারদর কেন এভাবে বেড়েছে, সে কারণ আমাদের জানা নেই।’

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: সোমবার থেকে লেনদেন চলবে আড়াইটা পর্যন্ত
ব্যাংক ছাড়া চাঙা সব খাত, ১০ বছর আগের অবস্থান ছাড়িয়ে সূচক
ব্যাংকে উত্থানের দিনও দুর্বল কোম্পানির কদর
১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত  
চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এবি ব্যাংকের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
13 more members of BGP entered Bangladesh for asylum

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সে দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিব) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার নতুন করে আরও ১১ জন (জীম্বংখালী -৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি-৮ জন) বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

বিজিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঢোকা বিজিপি সদস্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Jails are the permanent residence of many BNP leaders Rizvi

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী

কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থল: রিজভী রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রিজভী বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের অনেক নেতাকর্মীকে সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করে আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত করছে।

শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির

তিনি আরও বলেন, বিনা কারণে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি থাকতে থাকতে কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

রিজভী বলেন, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবের মতো শীর্ষ নেতারা তিন-চার মাস ধরে কারাভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।

শেখ হাসিনার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর নীতি এখনো শেষ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে ভয় পান এবং জানেন যে তার পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই।

জনগণের সমর্থনহীন সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনগণ যখন অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলে তখন তারা দমন করে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, তারা দমন-পীড়নের সব উপায় অবলম্বন করে, যেমন- আটকে রাখা, নির্যাতনের জন্য আয়না ঘর তৈরি করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা এবং বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করা।

তিনি দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।

বিএনপির এত সদস্য কেন কারাগারে, তার কোনো সদুত্তর সরকারের কাছে আছে কি না জানতে চান রিজভী।

অবৈধভাবে অর্জিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এসব করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Allegation that neighbor Vasur was killed by a womans stick

নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি ভাসুর নিহতের অভিযোগ

নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি ভাসুর নিহতের অভিযোগ ছবি: নিউজবাংলা
নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

শেরপুরের নকলায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি মোরাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই নারী ও তার মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ৫৫ বছর বয়সী মোরাদ হোসেন নকলার পূর্বটালকী গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে। চাকরির সুবাদে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নকলার মোরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি করতেন। অনেকদিন থেকে তার প্রতিবেশি চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নির্ধার্ণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার সকালে ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন মোরাদ। বাড়িতে প্রবেশ করার পর তার প্রতিবেশি চাচাত ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই নারী লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মোরাদকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

ঘটনার পর জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশ।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Accused in Natore murder case hacked to death

নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা ছবি: নিউজবাংলা
২০২১ সালে ১১ জুলাই বাগাতিপাড়ার সীমান্তবর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিপুরে অনার্সপড়ুয়া ছাত্র জাকির হোসেন ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। মোহন আলী ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হত্যা মামলার আসামি মোহন আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চকমহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহন ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নান্নু খান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহন তার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি মেরামতের জন্য পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার খাগড়বাড়িয়া বাজারে যান। ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার চকমহাপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে ঢাকা নেয়ার পথে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, ২০২১ সালে ১১ জুলাই বাগাতিপাড়ার সীমান্তবর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিপুরে অনার্সপড়ুয়া ছাত্র জাকির হোসেন ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। মোহন আলী ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

নিহতের মা হনুফা বেগম জানান, হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তার ছেলে মোহন কারাগারে ছিল। প্রায় চার মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে সে বাড়ি ফেরে। বাড়িতে আসার পর থেকেই মোহনকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন জাকিরের স্বজনরা।

পূর্বপরিকল্পিতভাবে জাকিরের স্বজনরা মোহনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন হনুফা বেগম। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত মোহনের মামা আয়নাল আলী বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় শুক্রবার সকালে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
No political case against BNP PM

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই রাজনৈতিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামি হয়েছেন।

তিনি বলেন,“আজকে তারা (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কীসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।”

এসব মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে দেয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের

২০১৩ ও ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে।

তিনি বলেন, ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাইতো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না?

“যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদেরকে কি মানুষ পূজা করবে,” সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি করে তারা সব জায়গায় বলছে এত লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার। সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেগুলোর একটা ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছে বলছে জেলখানাগুলোর তত ধারণ ক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।

বিরোধী দলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসেতো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষি নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু করে জমির আইল দূর করে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। কৃষিতে গবেষণার পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থানার পদক্ষেপ সমূহের চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, “একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল-ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Middlemen should not take advantage Agriculture Minister

মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী

মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায় সরকার। সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সুনামগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্যা দুর্যোগ বেশি হয়। খড়াও হয়। জেলা প্রশাসনকে বলেছি, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে।

মধ্যসত্ত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের যেন বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের যেন বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সজাগ থাকলে কৃষকরা বঞ্চিত হবেন না।

মন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায় সরকার। সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সুনামগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্যা দুর্যোগ বেশি হয়। খড়াও হয়। জেলা প্রশাসনকে বলেছি, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে।

তিনি বলেন, কৃষিকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ। কৃষকের ধানের মূল্য নির্ধারণ করতে আগামী পরশু মিটিং করব। দাম নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, ১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The temperature in Chuadanga is 41 3 degrees in severe heat

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে তীব্র দাবদাহের মধ্যে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

তীব্র তাপদাহ চলমান থাকা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাটিতে।

অতি তাপে অতিষ্ঠ চুয়াডাঙ্গার লোকজন। জেলার হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকি যে তাপ পড়চি মনে হচ্চি যেনে সূর্য মাতার ওপর চলি এসিচে। আজ যেনে সব থেকি বেশি তাপ পড়চি। গা দিয়ি তরতর করি ঘাম ঝরচি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

হিট অ্যালার্ট

তীব্র দাবদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।

সতর্কতার অংশ হিসেবে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে
তাপপ্রবাহে আমের গুটি টেকাতে যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ
তীব্র দাবদাহ: ‍চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট
এপ্রিলের এ গরম কি অস্বাভাবিক
তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

মন্তব্য

p
উপরে