‘এখনই উইকেট ফেটে উঠছে। পানি দিতে হবে; রোলিং করতে হবে, কিন্তু রোলারসহ সব কিছু নিয়ে যাচ্ছে। বিসিবি যে হঠাৎ কী করল, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে লিগের খেলার ফাঁকে শুক্রবার সকালে এসব কথা বলছিলেন স্থানীয় ক্রিকেটার ফজলে রাব্বী।
সে সময় স্টেডিয়াম থেকে কাভার্ড ভ্যানে ঘাসকাটার মেশিনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম তুলতে দেখা যায়। মাঠের মাঝখানে স্থানীয় লিগের খেলা চলছে। এসব ছাপিয়ে স্টেডিয়ামজুড়ে যেন বিষাদময়তা।
ফজলে রাব্বী বলছিলেন, ‘এই উইকেট বাংলাদেশে একটাই। উইকেট নষ্ট হলে আবার বানানো অনেক কষ্টকর। হয়তো আর সম্ভব হবে না, কিন্তু এটা সত্যি আমাদের মতো নতুন খেলোয়াড়দের জন্য অনেক বড় সমস্যা।’
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে গিয়ে উঠে এসেছে বিসিবি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এসব পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিপরীতে জেলার ক্রীড়ামোদিদের আক্ষেপ বাড়ছে।
তাদের ভাষ্য, এতদিন রাজনৈতিক কারণে আন্তর্জাতিক খেলা থেকে বঞ্চিত ছিল বগুড়াবাসী। এখন দুই সংস্থার অন্তর্দ্বন্দ্বে দেশের অন্যতম সেরা শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামটি হারাতে বসেছেন তারা।
কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করার জন্যই দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে এমন কাজ করেছে।
গত বুধবার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে নিজেদের ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রত্যাহার করার বিষয়ে নির্দেশ দেয় বিসিবি। তাদের বিসিবির দেয়া মালামাল ঢাকায় মিরপুর স্টেডিয়ামে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
পরের দিন বৃহস্পতিবার বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম হস্তান্তর প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে বিসিবি একটি চিঠি দেয়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ চিঠিতে বলা হয়, ‘গত কয়েক বছর ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার কারণে বিসিবি কর্তৃক কোনো টুর্নামেন্ট, লিগ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে উক্ত স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়দায়িত্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে এই ভেন্যুর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্য স্থানে বদলি করা হয়েছে।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলনের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা জানি ২০০৭ সালে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ভেন্যু থেকে বাতিল করে আইসিসি। এর পর থেকে বিসিবি নিজেদের লোকবল রেখে তাদের খেলা পরিচালনা করত, কিন্তু ১৬ বছরেও বিসিবি এখানকার কোনো উন্নয়ন, সংস্কার বা আন্তর্জাতিক মানের খেলা দিতে পারেনি। এ জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা বিসিবির অসহযোগিতাকেই মূল কারণ বলে উল্লেখ করে।’
আন্তর্জাতিক খেলা না হলেও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে দেশের সেরা উইকেট হিসেবে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) রেফারি ক্লাইভ লয়েড, পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে, দলটির তারকা ব্যাটার তিলকারত্নে দিলশান, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার তাতেন্ডা তাইবুর মতো খেলোয়াড় স্টেডিয়ামটির উইকেটের প্রশংসা করেছেন।
ক্রিকেট বোদ্ধাদের দাবি, এই উইকেটে বাউন্স ভালো পাওয়া যায়, কিন্তু দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ায় স্টেডিয়ামের জৌলুস ফিকে হয়ে গেছে। সবগুলো গ্যালারিতে জমেছে শ্যাওলা। প্লাস্টিক চেয়ারগুলোয় ফাটল ধরেছে।
২০০৩-০৪ অর্থবছরে ২১ কোটি টাকায় বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে (ফ্লাড-লাইটসহ) উন্নীত করা হয়। স্টেডিয়ামে চার টাওয়ারে ১০০টি করে ৪০০ ফ্লাড-লাইট রয়েছে।
এ লাইটগুলো ৮ লাখ ওয়াট বিদ্যুতের আলো সরবরাহ করতে পারে। আন্তর্জাতিক খেলা বন্ধের পরে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একবার ফ্লাড লাইটগুলো জ্বালানো হয়েছিল।এরপর সেগুলো আর জ্বলেনি। এর মধ্যে কোনো লাইট নষ্ট রয়েছে কি না, তাও বলতে পারেনি স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। দূর থেকে দেখা যায় লাইটের সুইচ বক্সগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
সদ্য বদলি হওয়া ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল জানান, এ স্টেডিয়ামের উইকেট দেশের মধ্যে সেরা ও অন্যন্য। জাতীয় টিমের ও বিদেশি অনেক খেলোয়াড় এ উইকেটের প্রশংসা করে। মাঠটিতে অন্য কোনো খেলা হলে আইসিসির আইন অনুযায়ী আর হয়তো কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে না।
এই মাঠ যত্নের জন্য বিসিবি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিত। আর প্রতি মাসে গড়ে সোয়া লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করত।
শুক্রবার সকালে মাঠে ডিএসএর আয়োজনে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ খেলা চলছিল। এই খেলার দায়িত্বে ছিলেন ডিএসএর কোষাধ্যক্ষ শামিম কামাল।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘বিসিবি যে অভিযোগ করছে, তা কাল্পনিক। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে বিসিবির খেলা হয়েছে। এরপর আমরা ১ মার্চে প্রিমিয়ার খেলায় তাদের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এরপর কী হলো? তারা এই সিদ্ধান্ত দেয়।’
শামিম কামাল বলেন, ‘তারা চলে যাবে যাক। স্টেডিয়ামে আগে ক্রিকেট খেলা হতো। এখনও হবে। ওরা ১৭ জন স্টাফ নিয়ে স্টেডিয়াম দেখাশোনা করত।
‘আমাদের চার থেকে পাঁচজন আছে, কিন্তু আমি আশা করি, মাঠ এমনিই রাখতে পারব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে বিসিবির দ্বন্দ্ব বেশ কয়েক বছর ধরে। বিসিবি আয়োজিত বিভাগীয় টিমের খেলাসহ বিভিন্ন প্র্যাকটিস ম্যাচে বাধা দিয়ে আসছিল ডিএসএ। এমনকি খেলোয়াড়রা এলেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তবে এসব বিষয় নিয়ে সরাসরি কেউ মুখ খোলেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার চার খেলোয়াড় জানান, তাদের কাছে এমন অভিযোগ রয়েছে যে, গত বছর ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন লিগের প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু মাঠে নামার আগেই তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। এবারও ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন লিগের কেউ বগুড়ায় আসেননি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সদস্য শাজাহান আলী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এমন অভিযোগ শুনে আসছি। ছেলেরা আসলে খেলতে দেয়া হতো না। ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন, বিভাগীয় খেলায় এসব করেছে, কিন্তু এখন তো আমরা সাবেক।
‘কিছু বলার নেই। শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু আমরা ধরে রাখতে পারলাম না। এটাই আমাদের ব্যর্থতা।’
বগুড়া ডিএসএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যেটা হয়েছে, সেটা হলো দুই সংস্থার মান-অভিমান, কিন্তু মান-অভিমান থেকে কোনোদিন ভালো কিছু হয় না।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আশ্বাস দিয়েছেন এটা নিয়ে ঢাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।’
বিসিবি চলে যাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে বগুড়া ডিএসএর সাবেক সম্পাদক বলেন, ‘অনেকে মনে করতে পারে, বিসিবি চলে গেছে তো কী হয়েছে? আমরা চালাব।
‘চান্দু স্টেডিয়ামের পিচ ধরে রাখতে মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এত সহজেই অন্যরা করতে পারবে? এটা নেশাখোরদের আড্ডা হবে। পুরোপুরি ভূতুড়ে মাঠ হয়ে যাবে।’
কর্মী প্রত্যাহারের বিষয়ে বগুড়ার সংবাদকর্মীদের কাছে বিস্তারিত কিছুই বলেনি বিসিবি কর্তৃপক্ষ।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম নিয়ে বিসিবির ম্যানেজমেন্ট থেকে একটা সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে, আমরা সেটা বাস্তবায়ন করছি। কিন্তু এটা কী ব্যাপার, যারা পলিসি মেকিংয়ে আছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন। এর বাইরে এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারব না।’
ডিএসএর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন।
তিনি বলেন, ‘গত মাসেও তো তারা খেলেছে। তাহলে অসহযোগিতা হলো কোথায়?’
মাসুদুর রহমান বলেন, “একটা কথা আছে, ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা।’ সবকিছুতেই যদি আমাদের বাঁকা চোখে দেখতে চায়, তাহলে কিছু করার নেই। আসলে আমরা বগুড়ার মানুষ বলে তারা আমাদের অবহেলা করে।”
হঠাৎ করে ভেন্যু বাতিল করার ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন বগুড়ার পরিবেশ ও নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক কোনো খেলা দেখতে পারিনি। এখানে পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক অবহেলা ছিল, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর এবার কোনো কিছু না জানিয়ে হুট করে সব গুটিয়ে নেয়ার বিষয়টি বগুড়ার জন্য অপমানজনক।
‘আমরা হয়তো খেলার বিনোদন থেকে বঞ্চিত হব, কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলোয়াড় হিসেবে সুদূরপ্রসারী সংকটে পড়বে।’
আব্দুল খালেক আরও বলেন, ‘তারা যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে, এ থেকে বোঝা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত একদিনে হয়নি। এখানে অবশ্যই কোনো ব্যক্তি-স্বার্থ আছে, যেটি খতিয়ে দেখা উচিত।
‘আর বিগত সময়ে স্টেডিয়াম এলাকায় যে জুয়া, লটারি, হাউজির রমরমা অবস্থা দেখা গেছে, মনে হচ্ছে সেটি আবার শুরু হবে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি, তবে বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও বিসিবির ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে এআরসি স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন। ওই সময় তারা স্টেডিয়ামটি আবার বিসিবির কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেন।
২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে। একই বছরে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতিও পায়। অবশ্য এই মাঠে আগে থেকেই ভালো মানের পাঁচটি উইকেট (পিচ) রয়েছে।
২০০৬ সালের পর থেকে এ মাঠে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে কোনো খেলা উপভোগ করতে পারেননি দর্শক, তবে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় লিগ, স্থানীয় প্রিমিয়ার ডিভিশন, প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ ও করপোরেট লিগ হয়েছে।
আরও পড়ুন:আগামী ৭ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে দ্বিতীয় আসরের।
ফাইনালের আগে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২১-২৩ চক্রের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। খবর বাসসের।
৯ দলের দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব মিলিয়ে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি নির্ধারণ করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ১ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেও প্রাইজমানির পরিমাণ একই ছিল।
এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। রানার্স-আপ দল পাবে ৮ লাখ ডলার। টেবিলের শীর্ষ দুই দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
টেবিলের তৃতীয় স্থানে থকা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। চতুর্থ স্থানের দল ইংল্যান্ড পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
সিরিজের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে ছিল শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয় তারা। টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকায় ২ লাখ ডলার পাচ্ছে লঙ্কানরা।
টেবিলের ষষ্ঠ থেকে নবমস্থানে থাকা দলগুলো সমান এক লাখ ডলার করে পাবে। ষষ্ঠ থেকে নবমস্থানে থাকা দলগুলো হলো গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ।
প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো নিউজিল্যান্ড।
এবার টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে কিউইরা। সপ্তম ও অষ্টমস্থান আছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টেবিলের নবম ও শেষস্থানে থেকে আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখায় দলের পারফরমেন্সে খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ করে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের কারণে বেশি খুশি হয়েছেন তিনি। তার মতে, এমন পরিস্থিতি বিশ্বকাপের আগে দলের আত্মবিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করবে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। খবর বাসসের
পাপন বলেন, ‘দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিল। খেলোয়াড়রা সত্যিই ভালো খেলেছে। কিন্তু তাদের মনোভাবের জন্য আমি বিশেষভাবে খুশি। তাদের মধ্যে কখনও হেরে যাবার মনোভাব ছিল না। কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতেছে তারা। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর দ্বিতীয়টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।
পাপন বলেন, ‘আমার মনে হয় বৃষ্টি না হলে আমরা প্রথম ম্যাচও জিততে পারতাম। আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে মানসিক শক্তি প্রদর্শন করেছি এবং হারের মুখ থেকে ম্যাচটি জিতেছি। মুশফিক, হৃদয়, শান্তরা পুরো সিরিজেই ভালো ব্যাটিং করেছে।’
দল নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একজন স্পিনার খেলাতেন বলে জানান তৃতীয় ম্যাচের আগে দেশে ফেরা পাপন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান না থাকায় তৃতীয় ম্যাচে আমাদের একজন স্পিনার দরকার ছিলো। আমরা প্রথম দুই ম্যাচে তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলেছি এবং এরপর হঠাৎ করেই তৃতীয় ম্যাচে একজন স্পিনার খেলালাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনজন স্পিনার খেলালে আয়ারল্যান্ড এতদূর যেতে পারতো না। এটা ভালো যে শান্ত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এনে দিয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছিলো, সে কিছু বোলিং করে তবে নিয়মিত স্পিনার নন। তারপরও কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিততে পেরেছি, এটা সত্যিই সন্তোষজনক।’
বিশ্বকাপ দল নিয়ে কিছুটা ধারণাও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। শেষ দুই সিরিজে সুযোগ না পেলেও এখনও বিবেচনায় আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
পাপন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ব্যাটিং পজিশনে ১ থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত ঠিক হয়ে গেছে। পেস এবং স্পিন বিভাগও থিতু হয়ে গেছে। ধারাবাহিক পারফর্ম করলে ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন নাইম শেখ, এনামুল হক বিজয়রা। একমাত্র ৭ নম্বর জায়গাটা আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। মাহমুদুল্লাহসহ অনেকেই এই পজিশনের জন্য রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এই পজিশনে ইয়াসির রাব্বিকে খেলিয়েছি। তবে আফিফ, মাহমুদুল্লাহ এমনকি মোসাদ্দেককেও এই পজিশনের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। আমি নিশ্চিত না. এসব আমার অনুমান। ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্ধারণ করবেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং ম্যাচের জন্য চূড়ান্ত একাদশ ঠিক করবেন অধিনায়ক।’
সামনের সময়গুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকায় এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তাপ রয়েছে। হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করে কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে এবং কিছু ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা যেতে পারে। বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো কিন্তু আমরা না বলেছি। কারণ এখানে এ মাসগুলোতে বৃষ্টি হবে। যদি এটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয় তাহলে আমরা ঝুঁকি নিতে পারতাম কিন্তু এটি ওয়ানডে ফরম্যাটে হবে।’
আরও পড়ুন:আফগানিস্তান ক্রিকেট দল ১০ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছে।
সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের মোকাবিলা করতে হবে আফগানদের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বুধবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করে। খবর বাসসের।
সূচি অনুযায়ী ১৪ জুন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট দিয়ে খেলা শুরু হবে।
১৯ জুন ভারত সফরে যাবে আফগানিস্তান। ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা।
পরে বাংলাদেশে ফিরে ৫, ৮ ও ১১ জুলাই ওয়ানডে খেলবে দুই দল। সব খেলাই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে সিলেটের মাটিতে ১৪ ও ১৬ জুলাই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টাইগাররা আফগানদের মোকাবিলা করবে।
এখন পর্যন্ত একবার টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামের মাটিতে হওয়া ঐ টেস্টে আফগানদের কাছে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল, কিন্তু ভারত সফরে যেতে একটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি বাতিল করার অনুরোধ করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিবি সেই অনুরোধ আমলে নিয়ে আফগানিস্তানের সফর সূচি সমন্বয় করে।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।
তাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের কোচ নিয়োগ করা হয়। আর আন্দ্রে কোলি টেস্ট ও ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ড্যারেন স্যামি ফিল সিমন্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ফিল সিমন্স গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ের পর কোচের দায়িত্ব ছাড়েন।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কোলি।
স্যামির নেতৃত্বে ২০১২ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে চান এ সাবেক ক্রিকেটার।
এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এবং আমি উচ্ছ্বসিত। আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিভা কাজে লাগাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড় থাকতে যেভাবে খেলেছি, সেভাবে দলকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি সাফল্যের জন্য মরিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ভালোবাসি।’
জুন মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন স্যামি।
আর কোলির অ্যাসাইনমেন্ট ভারতকে ধরাশায়ী করা।
আরও পড়ুন:ওয়ানডের পর শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৬ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। এরপর সপ্তম ওভারে শ্রীলংকার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুকে ৩২ রানে বিদায় করেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আকতার।
দশম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। ৫৬ রানে ৩ ব্যাটারকে শিকার করে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের বোলাররা।
তবে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন শ্রীলঙ্কার হর্ষিতা সামারাবিক্রমা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। ৬৫ বলে ১০২ রান যোগ করেন তারা। সামারাবিক্রমা ও ডি সিলভার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান শ্রীলঙ্কার।
৬টি চারে ৪২ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন সামারাবিক্রমা। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৩৯ বলে অনবদ্য ৬৩ রান করেন ডি সিলভা। বাংলাদেশের রাবেয়া-নাহিদা ও ফাহিমা ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রুবিয়া হায়দারকে হারায় বাংলাদেশ। খালি হাতে ফিরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফারজানা হক ও সোবহানা মোস্তারি। ৫০ রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। ফারজানা ১০ ও মোস্তারি ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩০ রান করেন।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও মুরশিদা খাতুন ৩৩ রান যোগ করলেও বাংলাদেশের আস্কিং রেট ততক্ষণে ১২ ছাড়িয়ে যায়। ২টি চারে ৩৩ বলে ৩১ রানে থামেন নিগার। শেষ ৫ ওভারে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন পড়লেও সেটি করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। শেষদিকে রিতু মনি ১১ ও মুরশিদা ৮ রান করেন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:
প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাটিং নৈপুন্যে দুর্দান্ত জয়ের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো শ্রীলঙ্কা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে ২৬ বলে ২৮ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও রুবিয়া হায়দার। ৩টি চারে ১৬ রান করে আউট হন রুবিয়া।
দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের রান ৫০ পার করেন শামিমা। ৬১ রানের মধ্যে বিদায় নেন শামিমা ও মোস্তারি। শামিমা ৩টি চারে ও মোস্তারি ২টি বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে করেন।
এরপর নিগার ও রিতু মনির সাথে জুটি বেঁধে দলের রান ৮৫তে নেন মুরশিদা খাতুন। আগের ম্যাচে ৫১ বলে ৭৫ রান করা নিগার আজ ৭ রানে আউট হন। রিতু করেন ৫ রান। এতে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাদের বিদায়ের পর ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের। ১১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮ দশমিক ৩ ওভারে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে দু অংকের কোটা স্পর্শ করে ১০ বলে ১৪ রান করেন মুরশিদা।
১০১ রানের সহজ টার্গেট স্পর্শ করতে বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। ৯ বল বাকিরেখেই জয়ের স্বাদ পায় লঙ্কানকরা। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ৩৩ ও হর্ষিতা সামারাবিক্রমা অপরাজিত ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন ২টি ও রাবেয়া খান ১টি উইকেট নেন।
শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল। সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার এক বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানের লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সংস্করণে এটাই প্রথম জয় বাংলাদেশের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরের মাঠে জিতেছিল ৩ রানে।
পাঁচ ওভারের মধ্যে ফেরেন দুই ওপেনার। শামিমা সুলতানা ৫ আর রুবাইয়া হায়দার করেন ৯ রান। দারুণ নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক নিগার। অপরাজিত থেকে করেছেন ৭৫ রান।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা। এক বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে একই মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মন্তব্য