ব্যাডমিন্টন খেলাকে কি জীবিকা হিসেবে নেয়ার পরিবেশ আছে দেশে? এই প্রসঙ্গটাই যেন ঘুরে ফিরে আসে দেশের ব্যাডমিন্টনে। কোচ-শাটলার আর ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে আছে সমালোচনা। মেধাবী শাটলারদের পরিচর্যায় অবহেলা নিয়েও প্রশ্ন কম ওঠেনি।
এগুলোর মূলে কারা? কেনই বা এমন হচ্ছে? কীভাবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব এসব নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ও কোচ এনায়েত উল্লাহ খান।
সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
সহধর্মিনীকে নিয়ে ‘এনালিনা ব্যাডমিন্টন একাডেমি’ গড়েছেন। কীভাবে নিজস্ব অ্যাকাডেমি করার চিন্তা আসল?
আমাদের দেশের প্লেয়াররা সুবিধাবঞ্চিত আসলে। মজার বিষয় হলো, ১৬ কোটি মানুষের দেশে কোথায় ব্যাডমিন্টন খেলা হয় সেটা ১০ শতাংশ লোকও জানে না। এটা খুবই দুঃখজনক। কোচের অভাবে খেলোয়াড়দের ট্যালেন্ট যাতে অচিরেই শেষ না হয় সেই তাগিদ থেকে অ্যাকাডেমি করা।
কোচ নিয়োগ নিয়ে খেলোয়াড়-ফেডারেশনের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্বের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এটা আসলে কেন হচ্ছে?
ফেডারেশনে যারা নীতি নির্ধারক আছেন ওনাদের ওপরে আসলে দায়িত্ব। ওনারা কাকে নিয়োগ করবেন এটা বোঝার একটা বিষয়। নিয়োগ যারা দিবেন পরিস্থিতি বুঝে উপযুক্ত লোককে নিয়োগ দিলে এতো বিতর্ক হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা জায়গা করে নিচ্ছেন। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
খেলাধুলার ভেতরে স্পোর্টিং মন-মানসিকতার মানুষ আসা উচিৎ। কর্মকর্তা বলেন সাবেক খেলোয়াড় বলেন এরা আসলে দেশের জন্য বেটার। রাজনৈতিক লোকজন আসলে তারা স্পোর্টস নিয়ে সেভাবে ভাবে না। স্পন্সর ম্যানেজ করতে পারলে ঠিক আছে তবে দিনশেষে ভালো সংগঠকের বিকল্প কিছু নেই।
আপনি নিজেও সাবেক দেশ সেরা খেলোয়াড়। কোচ হিসেবে কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনটা যে জায়গায় যাওয়ার কথা, সেভাবে কি এগোতে পেরেছে?
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় বলেছেন। ব্যাডমিন্টনে আমাদের অ্যাকশন প্ল্যান যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে কার্যকর করা হয় আর ফেডারেশনের কর্মকর্তারা যদি দেশে পৃষ্ঠপোষকের ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে এসব সমস্যা থাকার কথা না। কর্মকর্তারা যদি সক্রীয়ভাবে কাজ করেন তাহলে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব।
ব্যাডমিন্টনের কোন জায়গায় হাত দেয়া দরকার দ্রুত?
প্রান্তিক পর্যায় থেকে শাটলার বাছাই করা হবে প্রথম কাজ। ধরেন বিভাগগুলো থেকে যদি চারজন করেও শাটলার বাছাই করেন তাহলে ৩২ জনকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা করলেও অনেক দূর আগানো সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
ব্যাডমিন্টন দেশের একটা মৌসুমভিত্তিক খেলায় পরিণত হয়েছে। এ জায়গা থেকে বের হওয়ার উপায় কী?
ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন। ব্যাডমিন্টন কিন্তু মৌসুম ভিত্তিক গেম না। সারাবছরে খেলা যায় এমন একটি খেলা। এই জায়গা থেকে বের হওয়ার জন্য পেশাদারিত্বকে তৈরি করতে হবে। অভিভাবকরা যাতে মনে করেন ব্যাডমিন্টন খেললে ভালো কিছু করবে ছেলে-মেয়ারা এই বোধটা তৈরি করা। এখন ক্রিকেটের বিষয়ে তারা যেমনটা মনে করেন।
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বমানের শাটলার রয়েছেন। সাবেক চ্যাম্পিয়ন শাটলার হিসেবে ঘুরেছেন দেশগুলোতে। মোটা দাগে কী পার্থক্য দেখেছেন?
আসলে আমাদের দেশে অনেক ট্যালেন্টেন্ড প্লেয়ার আছে। ভারতের দিকে তাকান। তাদের অনেক শাটলার এখন শীর্ষ ১০০ র্যাঙ্কিংয়ে আছে। ভারতের এই পরিকল্পনা কিন্তু ২০ বছর আগের। ওরা এখন অলিম্পিক ডমিনেট করছে। বিশ্ব ডমিনেন্ট করছে। ভারত যদি পারে তাহলে আমরা কেন নয়? এটা আমারও প্রশ্ন। আমাদের সমন্বয়হীনতার অভাব। গাইডেন্সের অভাব। নীতি-নির্ধারকরা সমন্বয় করে যদি যথার্থ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেন তাহলে আমরা শর্ট টাইমের মধ্যে ভালো করব।
কী ধরনের কর্মপরিকল্পনার কথা বলছেন?
কর্মপরিকল্পনা তো বিভিন্ন ধরনের আছে। স্বল্প সময়ের, মোটামুটি সময়ের আর দীর্ঘমেয়াদী। আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা হয় নি। আমাদের দেশে ছয় মাসকে লং টার্ম বলে। এটাকে শর্টটার্মও বলা যায় না। আজকে লি চং বললে মালয়েশিয়া চেনে। লিন ড্যান বললে চীনকে চিনে। কারণ তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে। এমন উদ্যোগ সবার আগে নিতে হবে। লোক দেখানো প্ল্যান না করে দেশপ্রেম দেখান। আমাদের ট্যালেন্টদের নিয়ে যদি কাজ করা যায় তাহলে অবশ্যই এখান থেকে বিশ্ব মানের শাটলার বের হবে।
জীবিকা হিসেবে ব্যাডমিন্টন নেয়া যায় কী না?
জীবিকা হিসেবে ব্যাডমিন্টন এখনও ওই পর্যায়ে যায়নি। আপনি যদি সেরা হন তাহলে আপনি নিতে পারেন। বিভিন্ন ক্লাব থেকে মাসিক একটা বেতন পাবেন। আপনার জন্য স্পন্সরশিপ থাকবে। যদি ডায়নামিক হন তাহলে কোচ হিসেবেও ভালো করবেন। তবে সংখ্যাটা খুব কম এই দেশে।
ব্যাডমিন্টনে আশা দেখেন কী না?
কম সময়ের মধ্যে দেখতে পারব আশা করি। এখন যেভাবে ব্যাডমিন্টনের জাগরণ হয়েছে তাতে কম সময়ের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও কোচ জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়ার মতো অবস্থায় দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
ব্যাডমিন্টনের উন্নয়নে কোচদের কাজে লাগিয়ে শাটলার তৈরিতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি?
লেভেল ওয়ান সার্টিফিকেট পাওয়া কোচ আছে আমাদের দেশে ৩৪ থেকে ৩৭ জন কোচ। আর লেভেল টু তিনজনের আছে। কোচের কমতি নেই আমাদের। চাই ফেডারেশনের সঠিক কর্মপরিকল্পনা। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের শাটলার তৈরিতে এই কোচেরা কাজ করবেন।
আরও পড়ুন:ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।
লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।
সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।
লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনানীতে শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমা) ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেট রোববার শেষ হয়।
এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি ।
এ খেলায় ফাইনালে দীপ্ত টিভিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন গান বাংলার শাওন।
ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ইমার সভাপতি আনিসুর রহমান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম চৌধুরী, গান বাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি, প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নীরব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গায়ে রঙ-বেরঙের টি-শার্ট, মুখে ভুভুজেলা বাঁশির সুর। শত শত ফুটবল সমর্থক গলা ফাটাচ্ছেন এক নাগাড়ে, সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে হাততালি আর ড্রাম বাজানো তো আছেই। আর যাদের ঘিরে এত এত আবেগের বিস্ফোরণ টার্ফের সবুজ গালিচায়, তারা লড়ছেন বুক চিতিয়ে। এর মাঝে এক ঘণ্টার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় তুলে নেয় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।
এশিয়ান গ্রুপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটসাল টার্ফের বৃহস্পতিবার রাতের চিত্র এটি। এশিয়ান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া ‘করপোরেট ফুটসাল কাপ’ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল এদিন।
ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।
২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই করপোরেট টুর্নামেন্ট। আট গ্রুপে ২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ফুটবল দল অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামল এই টুর্নামেন্টের।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউর করিম চৌধুরী।
মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুন্দর এই আয়োজনের জন্য এশিয়ান গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই খেলার মধ্যে দিয়ে এশিয়ান গ্রুপ প্রমাণ করেছে মাদক-মোবাইলের নেশা থেকে খেলার নেশায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রতিযোগিতা বারবার হোক, তরুণ সমাজও উদ্বুদ্ধ হোক। খেলায় যে উদ্দীপনা দেখছি যেন গণজোয়ার ফিরে আসছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এতদিন টেলিভিশনে ফুটবল দেখেছি। আজকে প্রথম সামনে সামনে দেখলাম। সত্যি আমি আনন্দিত। ছেলেমেয়েরা মোবাইল-মাদক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি ভালো সুযোগ পায় তাহলে তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে।
‘যে দেশ খেলাধুলায় উন্নত, সেই দেশ এগিয়েও। সেজন্য আমাদের খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। এশিয়ান গ্রুপকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘এশিয়ান গ্রুপ তরুণদের ভালো উদ্যোগের সঙ্গে, খেলাধুলার সঙ্গে সবসময় আছে। সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ সালাম, পরিচালক ওয়াসিফ সালাম, তরুণ উদ্যোক্তা বোরহানুল হাসান চৌধুরী, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম প্রমুখ।
সবুজ শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলায় ঘেরা সিলেট। আর এই পাহাড়-টিলা জুড়ে রয়েছে অজস্র চা-বাগান। সেই চা বাগানের মাঝ পাশে ও মাঝখান দিয়ে থাকা পাহাড়ি পথে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো রোমাঞ্চকর এমটিবি সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা।
মাউন্টেন সাইক্লিং বিশ্বের বহু দেশে বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের রাস্তায় বা উঁচু টিলায় আয়োজন করা হয় এই মাউন্টেন সাইক্লিং। সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৭টায় মালনিছড়া চা বাগানে এসসিসি এমটিবি চ্যালেঞ্জ-২০২৪ পাওয়ারড বাই গ্লোবাল হেলথকেয়ার সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। নারী বিভাগে ৭ জন রেসার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।
পুরুষ বিভাগে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাওসার পয়দা, দ্বিতীয় এম ডি শহীদ হোসেইন ও তৃতীয় হয়েছেন এম ডি জালাল। আর নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাবাসসুম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সানজিদা রহমান।
বিজয়ীদের ছাড়াও শীর্ষ ১০ জন রেসারকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ সুহাগ, মামুনুর রহমান, নুসরাত জাহান ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ডা. ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, ‘আমরা সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা চাই খেলাধুলায় তরুণদের আগ্রহ বাড়ুক।
‘সাইক্লিং করলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের খেলা। আমরা মনে করি সাইক্লিস্টরা এমন রেসের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে পারবে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সাইক্লিংয়ে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর।’
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাবাসসুম বলেন, ‘চা বাগানের ভেতরে এমন একটি সুন্দর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই রেসের মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আর ভালো কিছু করতে পারবো।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হেলথকেয়ার সেন্টারের হেড অফ মার্কেটিং এহতেশাম চৌধুরী।
রেস পরিচালনায় ছিলেন ডা. ওরাকাতুল জান্নাত। রেসের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন সৈয়দ সুহাগ ও হাসান আহমেদ।
মন্তব্য