বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের জুডো ডিসিপ্লিনের খেলা শেষ হয়েছে। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার শেষ দিনে শুক্রবার ৩টি ওজন শ্রেণির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার (পুরুষ ও মহিলা) পদক তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ আনসার। সর্বোচ্চ ৫টি স্বর্ণপদকসহ ৯টি পদক জিতেছে তারা।
প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পদক ও সনদপত্র তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল করিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুডো ফেডারেশনের সভাপতি ফয়জুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সরদার।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'গত বছর বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল আমাদের। আরও বড় পরিসরে প্রায় ১০ হাজার ক্রীড়াবিদ নিয়ে আসরটি আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে আমরা তা পারিনি। এবার আমরা ৩১ ডিসিপ্লিনে ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ নিয়ে আসরটি আয়োজন করেছি।'
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা ২০টি জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছি। সেটা হলে সেখানে গেমসের জুডো, উশু, তায়কোয়ানডো, টেবিল টেনিসের মতো খেলাগুলো সহজেই আয়োজন করা যাবে। সেই চিন্তা থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। এবার জুডো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সবাইকে আমি শুভচ্ছো জানাই। আমি আশা করি, তোমরা দেশের রত্নে পরিণত হবে। যারা স্বর্ণসহ অন্যান্য পদক পেয়েছো, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন।’
শেষ দিন পুরুষ অনূর্ধ্ব-৭৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জিতেছেন বাংলাদেশ আনসারের নাদিম মোস্তফা। বিকেএসপির আনিসুর রহমান আকাশ জেতেন রৌপ্যপদক। যৌথভাবে ব্রোঞ্জপদক জেতেন জয়পুরহাট জেলার নওশের আলী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লিটন রায়।
পুরুষ ঊর্ধ্ব-৭৩ কেজিতে স্বর্ণপদক জিতেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মো. আবুল কালাম আজাদ। বিকেএসপির মাধব মোহন্ত জেতেন রৌপ্যপদক। যৌথভাবে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বাংলাদেশ আনসারের মিজানুর রহমান ও ভিডিপির মো. আবু নাঈম।
মহিলা ঊর্ধ্ব-৫৭ কেজিতে স্বর্ণপদক জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তাহমিনা আক্তার লোপা। বাংলাদেশ আনসারের কাদের ফাহি জেতেন রৌপ্যপদক। যৌথভাবে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বিকেএসপির অবনিকা হাসান ও ভিডিপির নুসাংপ্রু মারমা।
৭-৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়রা ৫টি করে ১০টি ওজন শ্রেণিতে পদকের জন্য লড়েন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিকেএসপি, ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ, ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শেরপুর, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, ফেনী, বরগুনা, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডসহ মোট ২১টি দলের ৭৪ জন পুরুষ ও ৫৪ মহিলা খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস কাবাডি ডিসিপ্লিনে পুরুষ বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অন্যদিকে নারী বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ আনসার ১৫-১৪ পয়েন্টে বাংলাদেশ পুলিশকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছে।
কাবাডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বিজিবি ২৪-২২ পয়েন্টে হারিয়েছে বিমান বাহিনীকে। এই বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।
অন্যদিকে নারী বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ আনসার ১৫-১৪ পয়েন্টে বাংলাদেশ পুলিশকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেয়। এই বিভাগে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে নড়াইল জেলা ও ফরিদপুর জেলা। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এ সময় উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:অন্যান্য খেলার সঙ্গে দেশীয় খেলাধুলাকে সমান গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, সমানভাবে সুযোগ পায়। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে।’
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।
খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে দেশক পরিচিত করতে পারি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড় যারা আজকে এখান থেকে শুরু করেছে, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনবে।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সারা বছর ধরে যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।’
প্রধানমন্ত্রী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
পৃথক ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।
আরও পড়ুন:পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’
নিজ ভেরিফায়েড পেজে ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করে ওপেনার তামিম ইকবাল এক বাক্যে লিখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’
এ দুই তারকা ছাড়াও অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ সকলকে।’
নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেন, ‘আনন্দ, উন্নতি ও শুভকামনার বার্তা নিয়ে নতুন বছরের সূচনায় ভরে উঠুক সকলের জীবন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।’
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।’
আরও পড়ুন:দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’
শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’
ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’
দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’
স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’
নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।
বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।
লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।
সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।
লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য