অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে দানিল মেদভেদেভকে সরাসরি ৭-৫, ৬-২, ৬-২ গেমে হারান নোভাক জকোভিচ। জিতে নেন তার নবম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা।
উইম্বলডন তার প্রিয় টুর্নামেন্ট তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে তার দারুণ লাগে। কথাটা প্রায়ই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। মেলবোর্নে বছরের প্রথম স্ল্যামটি তার এতটাই প্রিয় যে এর আগে আটবার জিতেছেন শিরোপা।
এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড থেকে ডিসকোয়ালিফাই হওয়ার লজ্জাটা পোড়াচ্ছিল তাকে। ওই ম্যাচে বল দিয়ে লাইনসম্যানকে অনিচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে ডিসকোয়ালিফায়েড হন নোভাক জকোভিচ।
তাই অস্ট্রেলিয়ায় নয় নম্বর শিরোপা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। ৩৩ বছর বয়স হয়ে গেছে। ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে সর্বকালের সেরা তিনে রজার ফেডেরার ও রাফায়েল নাদালের পাশেই বসেন তিনি। তারপরও বয়স, ইউএস ওপেনের দুর্ঘটনা বা সব পেয়ে যাওয়ার তুষ্টি নয়, জকোভিচের সামনে এবারের ওপেনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ইনজুরি।
মিলোস রাওনিকের বিপক্ষে চতুর্থ রাউন্ডে তাকে ভোগায় পেশির চোট। রাওনিকের বিপক্ষে ম্যাচের শেষে জকোভিচ জানান তার পেশিতে চিড় ধরা পড়েছে। সেমিফাইনালেও সেরা ছন্দে ছিলেন না টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই।
প্রথম রাউন্ডের পর প্রতিটি রাউন্ডেই তাকে খেলতে হয় চার সেট। শেষমেশ নিজের ফর্মে ফেরেন সেমিফাইনালে। সরাসরি সেটে রাশিয়ার আসলান কারাতসেভকে উড়িয়ে পৌছান নিজের নবম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনালে।
ফাইনালে ওঠার পর ম্যাচের ফল নিয়ে সন্দেহ ছিল খুব কম দর্শকেরই। মেলবোর্নের ফাইনালে জকোভিচ হারেন না। আটবারের আটটিতে শিরোপা উঁচিয়েছেন এই সার্বিয়ান গ্রেট।
কথাটা আবারও প্রমাণ হলো দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে রোববারের ফাইনালে। শুরুর সেটে কিছুটা লড়াই হলেও, ৭-৫ গেমে ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ।
এরপরই রড লেভার অ্যারেনায় শুরু জোকার ঝড়। চিরচেনা আগ্রাসি জকোভিচকে সামলাতে পারেননি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে ওঠা মেদভেদেভ। পরের দুই সেট ৬-২, ৬-২ গেমে হেরে একরকম আত্মসমর্পণ করেন এই রাশান তরুণ।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নবম ও ক্যারিয়ারের ১৮তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম নোভাক জকোভিচ জিতে নেন একরকম অনায়াসেই। আটবার জিতে টুর্নামেন্টটি সবচেয়ে বেশিবার জয়ের রেকর্ড গড়েন গত বছর। এবারে সেটাকে আরেকটি বাড়ালেন।
টানা তৃতীয়বার এই শিরোপা জিতলেন জকোভিচ। এর আগেও ২০১১, ১২, ১৩ সালে টানা তিনবার জেতেন বছরের প্রথম স্ল্যাম।
শিরোপা হারার পর জকোভিচকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মজার এক স্মৃতি রোমন্থন করলেন মেদভেদেভ।
‘অস্ট্রেলিয়ায় নয়টি স্ল্যাম জেতা অসাধারণ কীর্তি। আমি নিশ্চিত এটাই আপনার শেষ না। একটা ছোট ঘটনা বলি, যখন আমার সঙ্গে নোভাকের প্রথম দেখা হয় আমার র্যাংকিং তখন ৫০০ বা ৬০০ হবে। সে তখন ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান। কিন্তু তখনও তিনি আমার সঙ্গে ঠিক একই ভাবে কথা বলেছিলেন যেমনটা এখন বলেন। বন্ধুর মতো। তিনি বদলাননি। সবসময়ই সেরা একজন খেলোয়াড় ও দারুণ এক বন্ধু।’
কোর্টের বাইরে দারুণ আমুদে জকোভিচ অবশ্য বন্ধুকে খোঁচা মারার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। ট্রফি হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে আমাকে খুব একটা ফোন করনি তুমি। তাও আমার সম্বন্ধে ভালো কথা বলছ দেখে ভালো লাগছে। কোর্টে যাদের বিপক্ষে খেলেছি তাদের মধ্যে অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ তুুুমি। খুব শিগগিরই তোমার হাতে একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি থাকবে।’
মেদভেদেভকে প্রশংসায় ভাসালেও মুহূর্তটি ছিল জকোভিচের। গত বছরের ইউএস ওপেনের লজ্জা ও এ বছরের শুরুতে চোটকে কাটিয়ে তিনি এখন ১৮ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। তার দিকে পুরো বিশ্বের সঙ্গে নিশ্চিত ভাবেই তাকিয়ে রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেডেরার।
তাদের জয় করা ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছুঁতে আর মাত্র দুটি শিরোপা চাই এখন জকোভিচের।
A moment in #AusOpen history 🏆💙@DjokerNole | #AO2021 pic.twitter.com/QnyGXKYM3Q
— #AusOpen (@AustralianOpen) February 21, 2021
আর্মি গলফ কোর্সে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে তৃতীয় রাউন্ড শেষে শিরোপা নিশ্চিত করেন দেশ সেরা গলফার।
কোভিড মহামারির পর প্রথম দেশীয় গলফ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলেন সিদ্দিকুর রহমান। আর্মি গলফ কোর্সে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে তৃতীয় রাউন্ড শেষে শিরোপা নিশ্চিত করেন দেশ সেরা গলফার।
টুর্নামেন্টের শেষ রাউন্ডে সাতটি বার্ডি ও চারট বোগি সহ স্কোরবোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করেন তিনি। তিন রাউন্ডে পারের চেয়ে মোট ৫টি শট কম খেলেন তিনি।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনও শীর্ষে ছিলেন সিদ্দিকুর। তিন বার্ডি ও দুই বোগি নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শীর্ষস্থান দখল করেন তিনি। জিতে নেন ১৩ লাখ টাকার প্রাইজমানি।
তিন রাউন্ডে পারের চেয়ে তিন শট কম খেলে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হয়েছেন জামাল মোল্লা। প্রথম রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা আকবর হোসেন তৃতীয় দিনে এসে পিছিয়ে পড়েন কিছুটা। তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ বিভাগ। উডস আশঙ্কামুক্ত হলেও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। স্থানীয় এক হাসপাতালে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
গলফ কিংবদন্তি টাইগার উডস এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ বিভাগ। উডস আশঙ্কামুক্ত হলেও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। স্থানীয় এক হাসপাতালে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের হওথর্ন অ্যাভেনিউয়ে উলটো দিকে যাওয়ার সময় তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গিরিখাতে পড়ে। সে সময় উডস নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ জানায় তাকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তিনি জ্ঞান হারাননি। তার গাড়ি বেশ জোরে যাচ্ছিল উল্লেখ করে পুলিশ শেরিফ অ্যালেক্স ভিলানুয়েভা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিটবেল্ট বাঁধা না থাকলে মারাত্মক কিছু ঘটতে পারত।’
গলফ টিভির বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে দুই দিন যাবৎ ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী উডস। বুধবার দুপুরে তার টুইটার হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়, ‘উডসের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। অস্ত্রোপচার করে সেটিকে ঠিক করতে হয়েছে। ইউসিএলের মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি আছেন উডস ও জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন।’
১৫ বারের মেজর চ্যাম্পিয়ন উডসকে ধরা হয় সর্বকালের সেরা গলফার। ৮২টি শিরোপা জেতা এই আমেরিকান তারকা সবশেষ গত ডিসেম্বরে খেলেন অরল্যান্ডোর পিএনসি চ্যাম্পিয়নশিপে।
তার দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ক্রীড়া ও অন্যান্য ক্ষেত্রের তারকারা। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক টুইটে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে লিখেছেন, ‘তার পরিবার ও পরিজনদের জন্য সমবেদনা। গলফের সর্বকালের সেরার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তার ক্যারিয়ার থেকে আমরা যেটা শিখেছি, সেটা হলো উডসকে কখনও বাতিলের খাতায় ফেলা যাবে না।’
পপ কিংবদন্তি জ্যানেট জ্যাকসন টুইট করেন উডসের জন্য। লেখেন, ‘টাইগার তোমার জন্য প্রার্থনা।’
The steep stretch of road where Tiger Woods’ SUV crashed Tuesday morning in suburban Los Angeles is a trouble spot known for speeding and collisions, a sheriff's deputy says. Woods remains hospitalized after surgery for serious injuries to his legs. https://t.co/ymXB6dsJ7m
— The Associated Press (@AP) February 24, 2021
ফাইনালে আমেরিকার জেনিফার ব্রেইডিকে সরাসরি ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারান নেওমি ওসাকা। এটি তার চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা।
এটা তার পরিচিত মঞ্চ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে পৌছান এই রড লেভার অ্যারেনাতেই। দুই বছর পর আবারও নিজেকে হার্ড কোর্টে রানী হিসেবে প্রমাণ করলেন নেওমি ওসাকা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী এককের ফাইনালে প্রতিপক্ষকে একরকম উড়িয়ে দিয়েই নিজের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিয়েছেন তৃতীয় বাছাই ওসাকা। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পর ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের দুইয়ে উঠে আসলেন এই জাপানিজ তারকা।
ফাইনাল জিততে এক ঘণ্টার কিছুটা বেশি সময় নেন তিনি। ২২ তম বাছাই জেনিফার ব্রেইডি প্রথম সেটে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েন। ৪-৩ গেমে লিডও নেন এই আমেরিকান। তবে ওসাকার পাওয়ার টেনিসের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তিনি। ৬-৪ গেমে হারান প্রথম সেট।
দ্বিতীয় সেটে ব্রেইডিকে লড়াইয়ের তেমন সুযোগ দেননি ওসাকা। টানা চার গেম জিতে এগিয়ে যান ৪-০ ব্যবধানে। ব্রেডি ৩ গেম জিতে কামব্যাক করার চেষ্টা করলেও, চ্যাম্পিয়নের ফর্মে ছিলেন ওসাকা। ৬-৩ গেমে সেট জিতে ম্যাচ ও শিরোপা নিশ্চিত করেন তিনি।
ফাইনালে হারের পরও সুখবর ছিল ব্রেইডির জন্যে। স্ল্যাম ফাইনাল খেলার কারণে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে সেরা ১৫তে চলে এসেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে ওসাকাকে সব তরুণ টেনিস খেলোয়াড়ের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে ব্রেইডি।
‘আমি নেওমিকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। সে খেলাটার জন্য যা করছে সেই কারণে আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা সে। আশা করি তরুণ মেয়েরা তাকে বাসা থেকে দেখছে এবং অনুপ্রেরিত হচ্ছে।’
গত বছর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন সমর্থন করে প্রশংসা পান ওসাকা। আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদের উপর নির্বিচারে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কয়েকটি টুর্নামেন্ট থেকেও নাম প্রত্যাহার করেন তিনি।
এবারে অবশ্য ওসাকা প্রশংসা করলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ ও সীমিত সংখ্যক দর্শকদের।
‘কোর্টে এসে খেলা দেখায় আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদেরকে হাত বাড়িয়ে হৃদয়ে জায়গা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সময়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে পারাটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। এই সুযোগ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
What a performance 🙌🇯🇵@naomiosaka becomes the 12th woman in the Open Era to win multiple #AusOpen titles 🏆
— #AusOpen (@AustralianOpen) February 20, 2021
#AO2021 pic.twitter.com/1z5gUS2kCW
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনাজপুর বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। মৌফির মতো খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এখানে ভর্তি হতে এসেছেন কয়েক হাজার ক্ষুদে খেলোয়াড়। সবার চোখেই স্বপ্ন সাকিব, মুশফিক কিংবা জাহানারার মতো বিশ্বসেরাদের কাতারে নিজেকে যাওয়ার।
রংপুর থেকে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে এসেছেন মৌহাসি ফেরদৌসী মৌফি। তার ইচ্ছা ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দারুণ ভক্ত সে। কিন্তু হতে চায় জাতীয় নারী দলের জাহানারা আলমের মতো একজন তুখোড় পেইসার।
‘ছোট বেলা থেকে আমি ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি। বাবা-মাও ক্রিকেট খেলতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাই বিকেএসপিতে ভর্তি হতে এসেছি,’ এভাবেই নিউজবাংলাকে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানায় মৌফি।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনাজপুর বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। মৌফির মতো খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এখানে ভর্তি হতে এসেছেন কয়েক হাজার ক্ষুদে খেলোয়াড়। সবার চোখেই স্বপ্ন সাকিব, মুশফিক কিংবা জাহানারার মতো বিশ্বসেরাদের কাতারে নিজেকে যাওয়ার।
মৌফির মতো তৌহিদুল ইসলাম তপনও ক্রিকেটার হতে চায়। স্বপ্ন পূরণের জন্য বেছে গাইবান্ধা থেকে দিনাজপুর আসা ও পরীক্ষায় বসা।
‘আমার স্বপ্ন ক্রিকেটার হওয়ার। তাই বিকেএসপিতে ভর্তি হতে এসেছি। পরীক্ষা দিয়েছি। চেষ্টা করেছি ভালো পরীক্ষা দেয়ার। এখন স্যারেরা বাছাই করবেন,’ নিউজবাংলাকে বলেন তপন।
এই বছর দিনাজপুর বিকেএসপিতে ফুটবল, ক্রিকেট, আর্চারি, অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং ও বাস্কেটবলসহ মোট ১৯টি ডিসিপ্লিনে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ এর থেকে প্রায় দুই শত খেলোয়াড় বাছাই করবেন।
গত বছর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্যদের উদাহরণ দিয়ে বিকেএসপির কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বিভাগের উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুর থেকে খেলা শিখে আকবররা অনুর্ধ্ব ১৯ যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা বিকেএসপির জন্য অন্য রকম সাফল্য। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা বিকেএসপিতে ভর্তি হতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
ফাহিমের কথার প্রতিফলন পাওয়া গেছে এই বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যায়। গত বছরের চেয়ে এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে জানিয়েছে দিনাজপুর বিকেএসপির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আখিনুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুর থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরি করার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। দেশের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর মতো দিনাজপুরেও সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পর্যাপ্ত খেলার জায়গা রয়েছে।’
সুবিধাবঞ্চিতদের দিকেও নজর আছে বিকেএসপির। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৃণমূল থেকে আরও খেলোয়াড় তৈরীতে বিকেএসপি কাজ করে যাচ্ছে। দিনাজপুর থেকে সারাদেশের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেশের গরীব ও সুযোগ বঞ্চিত প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েরাও তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে।’
৬-৪, ৬-২, ৭-৫ গেমে ম্যাচ জেতা মেদভেদেভ ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আনন্দিত উল্লেখ করে বলেন শিরোপা জেতার চাপটা জকোভিচের ওপরই বেশি থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা থেকে আর মাত্র এক ম্যাচ দূরে দানিল মেদভেদেভ। চতুর্থ বাছাই এই রাশান সেমি ফাইনালে সরাসরি সেটে হারান গ্রিসের পঞ্চম বাছাই স্টেফানোস সিসিপাসকে।
রড লেভার অ্যারেনায় ক্লান্ত থাকলেও ম্যাচের শুরু থেকে সমান তালে লড়ে যান সিসিপাস। প্রথম সেটে তাকে ছাড়ান মেদভেদেভ ব্রেক পয়েন্ট নিয়ে। ৬-৪ গেমে সেট জিতে এগিয়ে যান ম্যাচে।
দ্বিতীয় সেটে একেবারে লড়াই করতে পারেননি সিসিপাস। সেট হেরে বসেন ৬-২ গেমে। তৃতীয় ও নির্ধারণী সেটে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি। পঞ্চম গেমে মেদভেদেভ তাকে ব্রেক করলেও পরের গেমে প্রতিপক্ষকে ব্রেক করে ৩-৩ গেমে সমতা আনেন সেটে।
শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি। ৭-৫ গেমে সেট জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেন মেদভেদেভ। ম্যাচ শেষে রাশান তারকার কণ্ঠে ছিল গ্রিক প্রতিপক্ষের প্রতি সহানুভূতি। সিসিপাস কোয়ার্টার ফাইনালে বুধবার পাঁচ সেটের এক ম্যারাথন লড়াইয়ে পেছনে ফেলেন স্প্যানিশ গ্রেট রাফায়েল নাদালকে। সেই ম্যাচের ধকল সেমিতেও কাটাতে পারেননি গ্রিক তরুণ এমনটা ধারণা টানা ২০ ম্যাচ জেতা মেদভেদেভের।
‘নিশ্চিত ভাবেই রাফার বিপক্ষে ম্যাচের পর সে ক্লান্ত ছিল। আজকের ম্যাচে সেটা দেখার পর আমি তাকে পুরো কোর্ট জুড়ে খেলিয়েছি। আমার জন্য সে কৌশল বেছে নেয়াটাই সহজ ছিল।’
গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিসে রাশিয়ার সাফল্য এসেছিল সবশেষ ২০০৫ সালে। সেবার ইউএস ওপেন জিতেছিলেন মারাত সাফিন। রোববার মেদভেদেভের সামনে লক্ষ্য থাকবে সাফিনের পথে হাঁটার। ১৬ বছরে ট্রফি খরা ঘোচানোর। তবে, বাধাটা যে অনেক বড় সেটা জানেন তিনি।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে রোববার নোভাক জকোভিচের মুখোমুখি হবেন মেদভেদেভ। আটবার টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান জকোভিচ। আর মেদভেদেভের সেরা সাফল্য ২০১৯ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে খেলা।
৬-৪, ৬-২, ৭-৫ গেমে ম্যাচ জেতা মেদভেদেভ ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আনন্দিত উল্লেখ করে বলেন শিরোপা জেতার চাপটা জকোভিচের ওপরই বেশি থাকবে।
‘রোববার আমি সর্বকালের অন্যতম সেরা একজনের মুখোমুখি হচ্ছি। যদি পাগলাটে কোনো ম্যাচ হয় তাহলে রাফার বিপক্ষে খেলার (২০১৯ ইউএস ওপেন ফাইনাল) অভিজ্ঞতা কাজে আসবে। চাপ আমার উপর নেই। সে (জকোভিচ) এখানে আটটি ফাইনালে হারেনি। আশা করি সেরাটা খেলতে পারব। ভালো খেললে আমার খ্যাতি আরও বাড়বে। সে আমার চেয়ে অভিজ্ঞ এবং আমার চেয়ে তার হারার বেশি কিছু রয়েছে।’
🇷🇺 Daniil Domination 🇷🇺@DaniilMedwed is into his first #AusOpen final.
— #AusOpen (@AustralianOpen) February 19, 2021
The world No.4 will face Novak Djokovic.#AO2021 pic.twitter.com/p4rlCliDXV
ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের ৩৫ হাজার পয়েন্ট পূর্ণ করেছেন লেব্রন জেমস। তার এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনের হেরে গেছে তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স।
ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) লিগের ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের ৩৫ হাজার পয়েন্ট পূর্ণ করেছেন লেব্রন জেমস। তার এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনের হেরে গেছে তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স।
ব্রুকলিন নেটসের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট স্কোর করেন জেমস। ১৫ পয়েন্ট করে ছুঁইয়ে ফেলেন ৩৫ হাজার ক্যারিয়ার পয়েন্ট। এনবিএর সর্বকালের সেরা স্কোরারদের তালিকায় এখন তিনে আছেন এই পয়েন্ট গার্ড। লেব্রনের ঠিক ওপরে দুই নম্বরে আছেন ইউটাহ জ্যাজের কিংবদন্তি কার্ল মালোন। তার সংগ্রহে ৩৬, ৯২৮ পয়েন্ট।
আর তালিকার সবার ওপরের নামটি করিম আব্দুল জব্বারের। লেকার্স ও মিলওয়াকি বাকসের এই কিংবদন্তি ও সর্বকালের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় জব্বার স্কোর করেন ৩৮, ৩৮৭ পয়েন্ট। এই মাইলফলে পৌছানো খেলোয়াড়দের মধ্যে ৩৬ বছরের লেব্রন কনিষ্ঠতম।
লেব্রনের রেকর্ডের দিন ব্রুকলিন নেটসের কাছে ১০৯-৯৮ পয়েন্টে হেরে যায় তার দল লেকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ পয়েন্ট করেন জেমস। নেন আটটি রিবাউন্ড ও অ্যাসিস্ট করেন সাতটি। নেটসের দুই সেরা তারকা জেমস হারডেন ও কাইরি আরভিং স্কোর করেন যথাক্রমে ২৩ ও ১৬ পয়েন্ট।
নিয়মিত মৌসুমে নেটস এরই মধ্যে খেলেছে ৩১ ম্যাচ। ১৯জয়ের বিপরীতে ১২টি হার তাদের। ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে তারা আছে দুইয়ে। ৩০ ম্যাচে ২২টি জিতেছে লেকার্স। হেরেছে আটটিতে। ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে তারাও আছে দুই নম্বরে।
LeBron joins the 35K+ points club 😤 pic.twitter.com/S0gmnurxeU
— SportsCenter (@SportsCenter) February 19, 2021
মন্তব্য