× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
Sino Taliban friendship What is the position of the left in Bangladesh?
google_news print-icon

চীন-তালেবান বন্ধুত্ব: বাংলাদেশের বামপন্থিদের কী অবস্থান?

চীন-তালেবান-বন্ধুত্ব-বাংলাদেশের-বামপন্থিদের-কী-অবস্থান?
চীনের তিনজিয়ান শহরে বৈঠকের আগে তালেবান নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদারকে স্বাগত জানাচ্ছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি। ছবি: এএফপি
চীন ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের বামপন্থিরা নতুন এই মেরুকরণকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে বেশ কিছু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে। তারা এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, কেউ কেউ চীন প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সখ্য নিয়ে।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ঘোষণার পর আঞ্চলিক রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান এখনও দেশটির ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও প্রতিদিনই আফগান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে তারা। দখল করছে নতুন নতুন এলাকা।

ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ইতোমধ্যে কট্টরপন্থি তালেবানের সঙ্গে দেনদরবার ও দর-কষাকষিতে জড়িয়ে পড়েছে আঞ্চলিক শক্তিগুলো। এর বাইরে নেই বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনও।

আফগানিস্তানে তালেবানের অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রার মধ্যেই গোষ্ঠীটির প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে চীন সফর করেছেন এই গোষ্ঠীর সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। চীনের উত্তরাঞ্চলের শহর তিয়ানজিনে বুধবার তার নেতৃত্বে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় তালেবানের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই ঘনিষ্ঠতাকে চীন-তালেবান ‘মধুচন্দ্রিমা’ হিসেবে বর্ণনা করছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

আরও পড়ুন: চীন-তালেবান মধুচন্দ্রিমা কেন

চীন ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের বামপন্থিরা নতুন এই মেরুকরণকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে বেশ কিছু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে। তারা এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, কেউ কেউ চীন প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সখ্য নিয়ে।

রুশপন্থি হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির নেতারা সম্প্রতি চীন সফর করে এসেছেন।

দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কাছে প্রশ্ন ছিল, চীন ও তালেবানের বন্ধুত্বকে কীভাবে দেখছেন তিনি।

‘এই বিষয়ে ডিটেইল খবর আমি জানি না’ এমন মন্তব্য করে সেলিম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আর কয়টা বৈঠক করেছে (তালেবানরা)? আমেরিকার সঙ্গে তারা এক লক্ষ বৈঠক করেছে। এটা হাইলাইট করেন।’

চীন-তালেবান বন্ধুত্ব: বাংলাদেশের বামপন্থিদের কী অবস্থান?

চীনের তিনজিয়ান শহরে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি। ছবি: টুইটার

এমন প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সিপিবি সভাপতি। বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে তালেবানের আঁতাত গড়ে উঠছে। আর এটা ডাইভার্ট করার জন্য হয়ত আপনাদের দিয়ে এটা লেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে তো খুবই উত্তপ্ত অবস্থা। আমেরিকানরা প্রক্সি হিসেবে তালেবানদের দিয়ে হয়ত অনেক কিছু করিয়েছে, পাকিস্তানও তালেবানদের সঙ্গে লিংকডআপ হয়ে আছে।’

চীন-তালেবান বন্ধুত্ব নতুন বিপদ ডেকে আনে কি না, এমন প্রশ্নে এই বাম নেতা বলেন, ‘সেটা তো চীনের জন্যও একটা বিরাট বিপদের জায়গা হয়ে যাবে, আমাদের জন্যেও বিপদের জায়গা হয়ে যাবে। গোটা এশিয়া রিজিওনের জন্যও এটাই হবে।

‘আমাদেরও খুব বিচলিত থাকা উচিত, চীনেরও বিচলিত থাকা উচিত। সমস্ত বিশ্ব মানবতার এটা নিয়ে খুবই চিন্তিত ও বিচলিত থাকা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমেরিকা, তালেবান ও পাকিস্তান যে এক্সেস গড়ে উঠছে সেইটার ভয়ংকর পরিণতি সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রত্যকটা দেশ প্রত্যেকটা মানুষের এই অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষও খুবই শংকিত। যে সীমিত যেটুকু সুযোগ তাদের হয়েছে লেখা-পড়ার সেটা তো আবার…।

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘আমার যেটা মনে হয় সেটা হলো স্টেট টু স্টেট রিলেশনের একটা জায়গায় চীন আসছে।’

চীন-তালেবান বন্ধুত্ব: বাংলাদেশের বামপন্থিদের কী অবস্থান?

আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখলের দাবি করেছে তালেবান। ছবি:এএফপি

এই সম্পর্ক কী রকম, তার ব্যাখ্যা করে এই বামপন্থি নেতা বলেন, ‘উইঘুর নিয়ে তো চীন একটু … ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা আমেরিকানদের পক্ষ থেকে চাপে আছে। আবার চীনের সঙ্গে আছে আফগানিস্তানের একটা সীমানা, আবার এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানি পশতুদের একটা এথনিক সম্পর্ক আছে, আবার তাদের ভূমির সম্পর্কও আছে। …চীনের ইউঘুর এবং ভারতের কাশ্মীর এই দুটোই তালেবানদের যে উগ্রচিন্তা তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যায় কিনা সে ব্যাপারে দুটো দেশই ভাবছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাবনা হচ্ছে, চীন এই জায়গায়টায় মোস্টলি এটা ভাবছে যে, ভবিষ্যতের আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে জিওপলিটিক্যাল, জিওমিলিটারি এবং জিও ইকোনোমি স্ট্রাকচারের গুরুত্বটা অনেক বেশি। তার সঙ্গে তালেবানদের এই উগ্রতা তাদের দেশেও কোনো প্রভাব ফেলে কি না তার জন্য সর্কতামূলক বন্ধুত্ব, সেটা তারা মেইনটেইন করার চেষ্টা করছে।

‘চীন মুখে সমাজতন্ত্রের কথা যতই বলুক, ভেতরে অন্তবস্তুতে এই জায়গায় বিরাট এক ডিপারচার হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন করিনি। তবে, আমার মন্তব্য বলতে পারি। তালেবানদের সঙ্গে চীনের যে সাম্প্রতিক যোগাযোগ বা বৈঠক এটা প্রধানত ভূ-রাজনৈতিক। এই অঞ্চলে যে জিও পলিটিক্যাল পরিস্থিতি, সেটা বিবেচনা করেই তালেবানদের সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিক যোগাযোগ বা আলাপ আলোচনা সেটা হয়েছে।

‘অর্থাৎ আঞ্চলিক রাজনীতিতে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তানে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেই পরিস্থিতে চীনের আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে যাতে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া না পারে।

‘দ্বিতীয়, তালেবানদের সঙ্গে পরবর্তীতে এই অঞ্চলগুলোকে কেন্দ্র করে তারা একটা কৌশলগত বোঝাপড়া গড়ে তোলা যায় কি না সেই লক্ষ্যে সম্ভবত এই যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনা।’

চীন-তালেবান বন্ধুত্ব: বাংলাদেশের বামপন্থিদের কী অবস্থান?
আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরের রাস্তায় কয়েকজন তালেবান যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

তিনি বলেন, ‘চীনের যে ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড নীতি, সেখানে আফগানিস্তানকে এক্টিভলি যুক্ত করা যায় কি না, তাদেরকে (তালেবান) কৌশলগত পার্টনার হিসেবে ভবিষ্যতে নেয়া যায় কিনা সেটাও সম্ভবত চীনা সরকারের বিবেচনার মধ্যে আছে। এখানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা তাদের যে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ সেটা বোধহয় তাদের বড় বিবেচনায় নেই।

‘আরেকটি হচ্ছে, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানের পরে চীনের উইঘুর মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে যাতে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া না পড়ে, এটাও চীনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার একটা বড় বিষয় আছে।’

সাকি বললেন, ‘আমি বামপন্থি না’

চীন-তালেবান সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করতেই হেসে উড়িয়ে দেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ কোথায় না খেয়ে আছে, এখন শ্রমিকদের এই অবস্থা, আর কোথায় তালেবান!’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী বলবো বলেন। আমি বামপন্থি না। এটা নিয়ে সিপিবিকে জিজ্ঞেস করেন অথবা বাম জোটের সমন্বয়কে জিজ্ঞেস করেন। আমরা তো গণ মানুষের রাজনীতি করি। আমরা মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক ধারায় গণ মানুষের রাজনীতি করি।’

আরও পড়ুন:
কৌতুক অভিনেতাকে হত্যা করেছে তালেবান
কাবুল দখল করলে স্বীকৃতি পাবে না তালেবান: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তালেবানের পাশে চীন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Domestic and foreign powers plotting to topple elected government Quader

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি।

মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

তিনি বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The Awami League rally was also suspended on Friday

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।

অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।

মন্তব্য

বিশেষ
Life imprisonment of 14 people in Comilla for Chhatra Dal leaders murder

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন ফাইল ছবি
২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।

সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় ১১ জন আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম।

নিহত মো. পারভেজ হোসেন সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কালিবাজার এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেকান্দর আলী, যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মফিজ ভান্ডারী, মো. কামাল হোসেন, আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহীম খলিল, আনোয়ার, মো. মেহেদী হাসান রুবেল ও জয়নাল আবেদীন। এবং পলাতক তিন আসামী হলেন- মো. কাওছার, মো. রিয়াজ রিয়াদ ও বিল্লাল।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পারভেজের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।

আরও পড়ুন:
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

বিশেষ
BNP postponed the rally due to heat wave

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

গ্রীষ্মের চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশে। আবহাওয়ার এই প্রতিকূলতার কারণে রাজধানীতে পূর্বঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার এই তথ্য জানান।

আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে অবহিত করে চিঠিও দেয় দলটি।

গ্রীষ্মের উত্তাপে পুড়ছে দেশ। এর মধ্যে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশের ঘোষণায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও।

তবে তীব্র গরমের কারণে ১৯ এপ্রিল সারা দেশে তিনদিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। হিট অ্যালার্ট সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, গরমে সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্টের সময় বাড়ানোর কারণে সমাবেশ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

মন্তব্য

বিশেষ
The candidate is the cousin of former minister Zahid Malek ignoring the party decision
উপজেলা নির্বাচন

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ফাইল ছবি
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ইসরফিল হোসেনের মা মৃত রাহেলা বেগম সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরশনের সাবেক মেয়র কর্নেল (অব.) আব্দুল মালেকের আপন বোন। আর কর্নেল মালেকের ছেলে হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্তমান মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সদস সদস্য জাহিদ মালেক।

এ হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে- সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদের সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসরাফিল হোসেন টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইসরফিল হোসেন ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো.আতাউর রহমান আতাকে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২য় বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাফিল হোসেন বলেন, আমি নির্বাচন করব। কারণ উপজেলা নির্বাচনে দল বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিদ্বান্ত নিয়েছে,আমি সেই ক্যাটাগরিতে পড়ি না। সুতরাং আমার ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্বান্তের প্রভাব পরবে না এবং নির্বাচনে কোনো বাধার হবে না।

তিনি বলেন, বরং আমি নির্বাচন না করলে আমাদের তৃণমূলে বিভেদ ও বিশৃঙাখলা বাড়বে। তাছাড়া আমি নির্বাচন না করলে, কলাগাছ দাঁড়ালেও জিতবে। দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি এবং প্রায় ৪০-৪২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর আমার আত্মীয়স্বজন আমার অনেক (জাহিদ মালেক) মহদয় রাজনীতি আসছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দীপক কুমার ঘোষ বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে নেয়া উচিত। আর যদি কেউ দলীয় সিদ্বান্ত অমান্য করে, তাহলে দলীয় সিদ্বান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

নাম প্রকাশে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, ইসরাফিল হোসেন যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই এটা মানিকগঞ্জের প্রত্যেক নেতা-কর্মীরজানা আছে। দলীয় সিদ্বান্তের আগে দিনও সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেছিলেন জাহিদ মালেক। ইসরাফিল হোসেনের জন্য অনেক প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতেও বলেছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তারা জানান, নির্বাচনে যতই দলীয় সিদ্বান্ত বা নির্দেশনা থাকুক না কেন, গোপনে তো এমপি (জাহিদ মালেক) ইসরাফিলের জন্য কাজ করবেই। কারণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাহিদ মালেকের প্রার্থী হচ্ছে ইসরাফিল হোসেন।

তবে এ বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভোটাররা, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই এবং এই নির্বাচনে দলীয় কোনো পরিচয়ের প্রয়োজনও নেই। তবে নির্বাচনীয় আইনে বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি আছে, ক্রিমিনাল মামলা ২-৩বছর সাজা খেটেছেন। অথবা যারা নাগরিত্ব হারান, তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।

মন্তব্য

বিশেষ
The condition of BNP is in turmoil Kader

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলটি ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

‘এই ঝাঁকুনি হলো বার বার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে প্রযোজিত ও পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ দ্বারা বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।’

মন্তব্য

বিশেষ
Will not allow anyone to undermine freedom sovereignty PM

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাসবাংলা
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায়, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা যা করা দরকার তাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক তা আমরা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’

রোববার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন শেষে দরবারে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর ইউএনবির

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও প্রশিক্ষিত হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।

তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা, অনুশীলন, প্রশিক্ষণ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন চৌকস হতে হবে।’

সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য বজায় রেখে কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের গৌরব বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, এপিসি, ট্যাংক ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।

দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশনগুলোতে অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক হালকা সাঁজোয়া যান এবং মাইন প্রতিরোধী অ্যামবুশ সুরক্ষিত যানবাহন কেনা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে