× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Will you leave Twitter and go to Mastodon?
google_news print-icon

টুইটার ছেড়ে এবার কি ম্যাস্টোডনে যাবেন?

টুইটার
মাস্ক টুইটার কেনার ঘোষণার পরদিনই ম্যাস্টোডনে যুক্ত হয়েছেন ৭০ হাজার নতুন ব্যবহারকারী। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
ম্যাস্টোডন একক কারও অধীনে না থেকে একটি একত্রিত বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। এর প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম প্রোগ্রামার জার্মানির ইউজেন রচকো বলেন, ‘সার্ভারগুলো আদতে সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে। তবে স্কুল ফোরামের মতো সার্ভারগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। একটি অ্যাকাউন্ট দিয়েই আপনি এ বৈশ্বিক বহুকেন্দ্রিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’

ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেয়ার পর জনপ্রিয় এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। বিকল্প নতুন প্ল্যাটফর্মের সন্ধান করছেন অনেকে।

টুইটার ব্যবহারকারীদের একটি অংশ ঝুঁকছে ম্যাস্টোডন-এর দিকে। ছয় বছরের পুরোনো ম্যাস্টোডন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বাম ঘেঁষা একটি ব্যবহারকারী গোষ্ঠী রয়েছে। হাতি ও ম্যামথের আদি প্রাণী ম্যাস্টোডনের নামে তৈরি হয় সাইটটি। এর বিশেষত্ব হচ্ছে একে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে না। এর নিয়ন্ত্রণ বহুকেন্দ্রিক।

টেকজায়ান্টদের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিপরীতে এ বিষয়টি ম্যাস্টোডনকে অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মাস্ক টুইটার কেনার ঘোষণার পরদিনই ম্যাস্টোডনে ৭০ হাজার নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হন।

অবশ্য টুইটারের ৪৫ কোটি অ্যাকটিভ ব্যবহারকারীর তুলনায় এ সংখ্যা নগণ্য। ম্যাস্টোডনের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের বহুকেন্দ্রিক সফটওয়্যার যেটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কঠিন।

ম্যাস্টোডনে অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশ কিছু বিষয় আলাদা। যেমন, এখানে টুইটের বদলে ‘টুট’ করতে হয়।

প্রযুক্তিগত দিক থেকেও জটিলতা রয়েছে। ম্যাস্টোডন কোনো একটা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট নয়। হাজারো সংযুক্ত ওয়েবসাইটের নেটওয়ার্ক। এ ধরনের সাইটকে বলা হয় ইনস্ট্যানস।

এগুলো মূলত আলাদা আলাদা সার্ভার থেকে পরিচালিত। সার্ভারগুলো ফেডারেটেড অর্থাৎ এগুলো আলাদাভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালিত তবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে সক্ষম। এ জন্য তাদের নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। তাদের যোগাযোগের জায়গাটি ফেডিভার্স বা ফেডি নামে পরিচিত।

ম্যাস্টোডনে সাইন আপ করার পর আপনাকে একটি সার্ভার বেছে নিতে হবে। যেগুলোর মধ্যে ম্যাস্টোডন ডটকমের মতো সাধারণ সার্ভার থেকে শুরু করে কেপপ ডটসোশ্যাল বা লিনাক্সরকস ডটঅনলাইন এর মতো নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের জন্য সার্ভারও রয়েছে।

একবারে নিছক মজার জন্য ডলফিন ডটটাউন নামের সার্ভারও আছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা শুধু ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরটি লিখতে পারেন। যে সার্ভারটি নির্বাচন করা হয় সেটি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নামের শেষে যুক্ত হয়ে যায়, যেমন rubaid@kpop.social

টুইটার ছেড়ে এবার কি ম্যাস্টোডনে যাবেন?

আপনি যে টুট বা পোস্টগুলো দেখতে পান সেগুলো একই সার্ভার ব্যবহারকারীদের পোস্ট, পুরো ফেডিভার্সের নয়। তবে, চাইলে অন্য সার্ভার ব্যবহারকারীদেরও টুট করা যায় এবং তাদের টুটকে বুস্ট করা যায়।

এভাবেই ম্যাস্টোডন একক কারও অধীনে না থেকে একটি একত্রিত বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। ম্যাস্টোডনের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম প্রোগ্রামার জার্মানির ইউজেন রচকো ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘সার্ভারগুলো আদতে সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে। যেমন হটমেইল ও জিমেইল আমরা ই-মেইলের জন্য ব্যবহার করি। তবে স্কুল ফোরামের মতো সার্ভারগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। একটি অ্যাকাউন্ট দিয়েই আপনি এ বৈশ্বিক বহুকেন্দ্রিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’

ম্যাস্টোডনের মডেলের ঝামেলা হলো, যে সার্ভারে আপনি যুক্ত হয়েছেন সেটি অকেজো হয়ে পড়লে আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা সবকিছু হারাতে হবে। ম্যাস্টোডনের সার্ভার অ্যাডমিনের হাতে আপনি যা করেন তার নিয়ন্ত্রণ থাকছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেপপ ডটসোশ্যালের মালিক যদি দেখেন তার সার্ভার ব্যবহারকারী ডলফিন ডটটাউন থেকে করা কোনো পোস্ট বা টুট বুস্ট করেছেন তাহলে তিনি চাইলে সেটি মুছে দিতে পারেন। এমনকি সার্ভারকে আলাদা করে রাখতে পারেন, যাতে ডলফিন থেকে কোনো ব্যবহারকারীর কেপপের সার্ভারে ঢুকতে না পারেন। সার্ভার অ্যাডমিন চাইলে একজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত টুট দেখতে পারেন এবং চাইলে তার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন।

রচকোর মতে, একজন নতুন ব্যবহারকারীর উচিত কোনো সার্ভারে যোগ দেয়ার আগে সেটি সম্বন্ধে খোঁজ নেয়া এবং সেটি কে চালাচ্ছে জানার চেষ্টা করা।

তিনি বলেন, ‘সার্ভার পরিচালনাকারী কোনো প্রতিষ্ঠান নাকি ব্যক্তি, তার অতীত রেকর্ড কেমন, নির্ভরযোগ্য কিনা, দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা, মডারেশনের নীতিমালা আছে কিনা সেগুলো দেখে নেয়া উচিত।

‘ঘৃণামূলক বার্তার বিরুদ্ধে নিয়ম রয়েছে ও সার্ভারের মালিকের কিছু হলে যেন সার্ভারের কিছু না হয় সে কারণে ব্যাকআপের মতো প্রয়োজনীয় সার্ভিস যাদের রয়েছে সেগুলোই মূলত নির্ভরযোগ্য।’

রচকো আরও বলেন যে, ম্যাস্টোডনের হোমপেজে পরীক্ষিত সার্ভারের একটা তালিকা আছে। তবে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য সেটা ব্যবহার করা ঝক্কির ব্যপার।

ম্যাস্টোডনের সঙ্গে টুইটারের মতো কোনো সাইটের পার্থক্য নাটকীয় মনে হতে পারে। জার্মান প্রবাসী ব্রাজিলিয়ান ট্রান্সনারী এলাইলা দ্য গার্ডিয়ানকে জানান তার কাছে ম্যাস্টোডনক অনেক বেশি নিরাপদ মনে হয়।

কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, ইনস্ট্যানসগুলোকে এখানে খুব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ব্যবহারকারীরা নিজেদের মতামত অজান্তে বা দুর্ঘটনাবশত প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকেন না।

তিনি বলেন, ‘ভাইরাল হিসেবে যে পোস্টগুলো বিবেচিত হয় সেগুলোতে সাধারণত ৫০ থেকে ১০০টি বুস্ট থাকে। আমার অধিকাংশ টুটে দুই থেকে ২০টি লাইক রয়েছে। সেখানে যখন ২০টি লাইক আসে তখনও আমি যারা লাইক দিয়েছে তাদের সবার নাম, রুচি ও আগ্রহের বিষয় জানতে পারি। পারস্পরিকতার যে অনুভূতি সেটা আমি টুইটারে কখনও পাই না। এখানে কেউ সেলেব্রিটি না। সবার মতামতই পড়া হয়।’

এ কারণে এলাইলা এখানে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পেরেছেন, যার মাধ্যমে তিনি বন্ধুত্ব, রোমান্টিক সম্পর্ক এমনকি চাকরিও খুঁজে পেয়েছেন। যৌনতাপূর্ণ পোস্ট করার সময়েও তিনি ঘৃণা বা বিদ্বেষের শিকার হননি। টুইটারের মতো সাইটের ক্ষেত্রে এলাইলা মনে করেন এমনটা ঘটা অভাবনীয়।

তিনি বলেন, ‘ফেডিভার্স আমাকে শিখিয়েছে কমিউনিটিতে থাকতে কেমন লাগে আর কমিউনিটি আমাকে শিখিয়েছে একজন ট্র্যান্স হওয়ার আনন্দ।’

দুর্ভাগ্যবশত মাস্টোডনের বিকেন্দ্রীকরণের খারাপ একটি দিক হলো নিজেদের স্বার্থে কেউ এটিকে ব্যবহার করতে পারে।

২০১৯ সালে শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের সামাজিক নেটওয়ার্ক ‘গ্যাব’ ম্যাস্টোডনের ফ্রি সফটওয়্যারের একটি সংস্করণ ব্যবহার করা শুরু করে। ম্যাস্টোডন গ্যাবকে এটি থেকে বিরত রাখতে পারেনি, তবে ম্যাস্টোডনের প্রধান সার্ভারগুলো গ্যাব সার্ভারগুলোকে ‘ডি-ফেডারেট’ করেছে, যাতে তারা যোগাযোগ করতে না পারে। ট্রাম্পের সামাজিক নেটওয়ার্ক ট্রুথ সোশ্যালকে শক্তিশালী করতে ম্যাস্টোডনের কোড ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষক নেইথান স্নাইডারের মতে, ম্যাস্টোডনের প্রভাব ক্রমবর্ধমান হলেও ডিজাইনের কারণে এর তহবিল পাওয়া কঠিন এবং এ কারণে টুইটারের মতো একটি ওয়েবসাইটের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কার্যত অসম্ভব।

তিনি বলেন, “ম্যাস্টোডন মূলত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্প যা আদতে একজন ব্যক্তির দ্বারা তৈরি। টুইটার দৃশ্যত ৪৪ বিলিয়ন ডলারের একটি কোম্পানি। যদি একদল ব্যবহারকারী একত্রিত হন ও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে ও একটি বিকল্প তৈরি করতে চাই’ তাহলেও তাদের তহবিল পাওয়ার ক্ষমতা ইলন মাস্কের তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম হবে।”

প্রযুক্তি সমালোচক ও টেক ওন্ট সেইভ আস পডকাস্টের হোস্ট প্যারিস মার্কস জানান, তিনি ম্যাস্টোডন ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন কিন্তু তেমন কোনো দর্শক পাননি। যেখানে টুইটারে তার ৩৫ হাজার ফলোয়ার রয়েছে এবং তার পোস্ট প্রায়ই ভাইরাল হয়।

তিনি বলেন, ‘এটি (টুইটার) এখনও একটি প্রভাবশালী সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। আদতে যার সমতুল্য কেউ নেই। তাই টুইটারে আর কী কী আসছে সেটা জানতে অনেকেই এখানে আটকে আছেন।’

মার্কস টুইটার ব্যবহার বন্ধ করতে না পেরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে বিজ্ঞাপন পাঠানো হয় আমি সেগুলো ব্লক করে দেই। আমি টুইটারের ব্লু টিকের জন্য অর্থ দিইনি। আমাকে তারা আর্থিকভাবে যেন খুব বেশি মূল্যবান মনে না করে সে বিষয়টি আমি নিশ্চিত করতে চাই।’

আরও পড়ুন:
টুইটারের অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করতে চান ইলন মাস্ক
কবে টুইটারে ফিরছেন ট্রাম্প
টুইটারে ব্লু টিকের ফি মাসে ৮ ডলার
ইলন মাস্ক এবার টুইটারের সিইও
টুইটার ব্লু ব্যাজে টাকা নেয়ার পরিকল্পনায় মাস্ক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Inauguration of commercial operation of TRP service of BSCL

বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন

বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন বিএসসিএলের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সঙ্গে নিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে চমৎকার একটি কাজের সূচনা হয়েছে। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বিএসসিএলের প্রধান কার্যালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সঙ্গে নিয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী আরাফাত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং বিএসসিসিএলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে চমৎকার একটি কাজের সূচনা হয়েছে। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের। প্রযুক্তিটি আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সরকার বেসরকারি খাত বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করতে পারে, যেটি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করা সম্ভব।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের উদ্যোগ ও সহযোগিতা ছাড়া বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হতো না।’

আরও পড়ুন:
৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শুধু নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল চালানোর অনুমতি দেয়া হবে: আরাফাত
চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গণমাধ্যমকে মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ফিলিস্তিন নিয়ে অপতথ্য রোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Two years 36 months security on Infinix Note 40 series

২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ

২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ
ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের মোবাইল ফোন। ছবি: সংগৃহীত
ইনফিনিক্সের ভাষ্য, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বাজারে যুগান্তকারী ফিচার নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি ‘ম্যাগচার্জ’। একই সঙ্গে আরও আছে অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। উদ্ভাবনটি সব পরিস্থিতিতে চার্জিংকে সুবিধাজনক করে তুলবে।

দেশের বাজারে সম্প্রতি নতুন স্মার্টফোন সিরিজ নোট ৪০ নিয়ে এসেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।

এ সিরিজের দুটি স্মার্টফোন নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো এখন দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে।

আধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, আশাব্যাঞ্জক পারফরম্যান্স ও শক্তিশালী গড়নের স্মার্টফোনগুলোতে আছে সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি। নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম থাকছে. তবে আপগ্রেড পাওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ পর্যন্ত।

নোট ৪০ সিরিজের এ প্রতিশ্রুতি মিড-রেঞ্জের বাজারে চমক নিয়ে এসেছে। দুই বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ পাবেন গ্রাহকরা। ফলে ব্যবহারকারীরা সমস্যা ছাড়াই আপডেটগুলো পাবেন যথাসময়ে।

ইনফিনিক্সের ভাষ্য, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বাজারে যুগান্তকারী ফিচার নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি ‘ম্যাগচার্জ’। একই সঙ্গে আরও আছে অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। উদ্ভাবনটি সব পরিস্থিতিতে চার্জিংকে সুবিধাজনক করে তুলবে।

সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ ও রিভার্স চার্জিংয়ের সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারীরা ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় ফোনে চার্জ দিতে পারবেন।

ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নোট ৪০ সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে ম্যাগনেটিক ফোন কেস (ম্যাগকেস), ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড (ম্যাগপ্যাড) এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের (ম্যাগপাওয়ার) মতো অ্যাক্সেসরিজ।

দুর্দান্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্সের জন্য সিরিজটিতে পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ-চিতা এক্স১ যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইনফিনিক্স বলেছে, সঙ্গে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে ফোনের কার্যকারিতা আরও বাড়বে। দিনজুড়ে ব্যাকআপ দিতে রয়েছে শক্তিশালী ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি।

দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জার এবং নোট ৪০-তে আছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। ডিভাইসগুলোতে আরও রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ১২০ হার্টজের অ্যামোলেড ডিসপ্লে।

প্রধান ক্যামেরা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। জেবিএলের টিউন করা ডুয়েল স্পিকার আছে নোট ৪০ সিরিজে।

নোট ৪০ প্রো-এর ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণ দুটির বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০ হাজার ৯৯৯ এবং ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিনটেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।

অন্যাদিকে ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙে।

সিরিজটির সঙ্গে ক্রেতারা পাবেন একটি ম্যাগকেস। নোট ৪০-এর সঙ্গে ম্যাগপ্যাড এবং নোট ৪০ প্রো-এর সাথে ২ হাজার ৯৯৯ টাকা সমমূল্যের একটি ম্যাগপাওয়ার মিলবে।

আরও পড়ুন:
দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের দুই ল্যাপটপ
সিইএস ২০২৪: স্মার্ট ডিভাইস চার্জ হবে ৮ ইঞ্চি দূর থেকেই
নতুন গেমিং ফোন নিয়ে এলো ইনফিনিক্স
বাংলাদেশের বাজারে ল্যাপটপ আনল ইনফিনিক্স
বাংলাদেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ‘স্মার্ট ৮’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Illegal cable and DTH operators are burning their foreheads

অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত এক সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এতে করে কপাল পুড়তে চলেছে অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এ-সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

‘যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অবৈধ সেট টপ বক্স যেগুলো বাজারজাত ও আমদানি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন অভিযান আরও জোরদার করবে। আমরা একটা কঠোর বার্তা দিতে চাই- কেউ যেন কোনোভাবে সেট টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি না করে এবং সেটা বাজারজাত না করে।

‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আমরা এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে মিলে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Sundarban crocodiles roam in Pirojpur with satellite tags

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর পর সুন্দরবনের খালে অবমুক্ত করা হয় কুমির। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু
গবেষণার জন্য চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের নদী ও খালে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনেই বিচরণ করছে। বাকি কুমিরটি মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। বুধবার সেটির অবস্থান ছিল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে।

সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পর দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরের নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।

মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের আশা, নির্দিষ্ট সময় পর আবারও সুন্দরবনে ফিরে আসবে। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।

স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ১৬ মার্চ কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে।

বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে।’

কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআইজেড)।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায় কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে গবেষণাটি করা হচ্ছে।’

বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজির রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম।

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমিরগুলোর অবস্থান। ছবি: আইইউসিএন

গবেষণাটি যেভাবে শুরু

লোনা পানির মোট চারটি কুমিরের গায়ে ১৩ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী কুমির।

এদের মধ্যে পুরুষ কুমির ‘জুলিয়েট’ সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির ‘মধু’কে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের খালে।

আইইউসিএন এই কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানোর। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।’

যেভাবে বসানো হল স্যাটেলাইট ট্যাগ

১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েট নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে কুমিরটিকে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনে করমজলের খালে।

যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের কুমিরটি আনা হয়েছিলো আগেই। একই দিনে সেটির গায়েও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছাড়া হয় একই খালে।

গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিট। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা, যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সঙ্গে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে।

গবেষক দলের সদস্য দীপু বলেন, ‘কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও চাইলে তা আরও বাড়ানো যাবে।’

এর পরের দুদিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরও দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ।

কুমিরের মাথার উপরের অংশে আঁশের মতো স্কেল থাকে। স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটি ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এই ট্রান্সমিটার চিপ খুব হালকা। ওজন দুই গ্রামেরও কম। এ ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি হয় না।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর প্রস্তুতি। ছবি: আইইউসিএন

ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়?

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে অবমুক্ত করার দিন থেকেই।

গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে।

১৬ মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে।

গত দশ দিনে গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে।

স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। অন্য কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, ‘লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে।’

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোনো কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী-খালগুলোতে যায়।

বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো কুমিরটি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে। আর সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু

কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন?

বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না।

আইইউসিএন-এর গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোনো কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণা করা হচ্ছে।

গবেষক দীপু বলেন, ‘কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পাড়ে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। এবার প্রথমবারের মতো তা শুরু হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবণাক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন-জীবিকায় এক ধরণের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এ ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

জিআইজেড-এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্য মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অফ নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি চলছে।

বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘লোনা পানির কুমির নিয়ে এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
রাতের অন্ধকারে কুমিরের গায়ে বসানো হচ্ছে স্যাটেলাইট ট্যাগ। ছবি: আইইউসিএন

কেন হুমকির মুখে কুমির?

বাংলাদেশে লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের বাইরে দেখা যায় না। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করে। ‘আইউসিএন রেড লিস্ট’ নামে পরিচিত ওই তালিকায় লোনা পানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশেই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। এর বাইরে অন্য যেসব কুমির রয়েছে তার অধিকাংশই চিড়িয়াখানাগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

তাই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আজাদ কবীর বলেন, ‘এ পর্যন্ত কয়েক দফায় এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লোনা পানির দুই শতাধিক কুমির ছাড়া হয়েছে সুন্দরবনের খালগুলোতে। এর মধ্যে লোনা পানির কুমির ১০৭টি আর মিষ্টি পানির কুমির আছে মাত্র তিনটি।’

গবেষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানিতে লবণাক্ততা হ্রাস-বৃদ্ধি, নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোর মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হয় না। মিঠা পানির কুমিরগুলো জালে ধরা পড়ে। অনেক কুমির এ কারণে হারিয়ে গেছে। একই কারণে হুমকিতে আছে লোনা পানির কুমিরও।’

বর্তমানে সুন্দরবনে কতগুলো কুমির আছে তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেলেও এ নিয়ে সঠিক কোনো জরিপ বা তথ্য নেই বন বিভাগ কিংবা গবেষকদের কাছে। কেননা বিভিন্ন সময় যে গবেষণা হয়েছে সেসব তথ্যে বেশ গরমিল রয়েছে।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘একটি গবেষণা তথ্য বলছে সুন্দরবনে কুমির আছে দেড়শ’ থেকে দুশ’টি। আরেক গবেষণার তথ্য বলছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ” লোনা পানির কুমির আছে সুন্দরবনে। সঠিক কোনো তথ্য কারও কাছে নেই।’

এই গবেষক একটি ধারণা দিয়ে বলেন, ‘সুন্দরবনে কুমির বসবাসের পরিবেশ ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কুমির অনেক কম রয়েছে।’

তবে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলছেন, ‘সুন্দরবনের নদী ও খালে বর্তমানে দুশ’র বেশি কুমির নেই।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পর্যটক বৃদ্ধি, মাছ ধরাসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কুমির যে বন থেকে সরে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই গবেষণা। যেমনটি দেখা গেছে স্যাটেলাইটের তথ্যেও।’

আরও পড়ুন:
৩৮ কোটিতে কুমিরের খামার বেচে পি কে হালদারের ঋণ শোধের চেষ্টা
পালিয়ে যাওয়া ৭০ কুমির ধরতে অভিযান, ভয়ে বাসিন্দারা
নগরবাসীর সৌভাগ্য ফেরাতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র
৭২ বছরের খামারির দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলল ৪০ কুমির
কুমিরের পেটে মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Infinix Note 40 series in domestic market with MagCharge technology

ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো। ছবি: ইনফিনিক্স
অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে ফোনগুলো।

তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।

এ সিরিজে থাকছে দুটি মডেল ইনফিনিক্স নোট ৪০ ও ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।

অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে শক্তিশালী এ ফোনগুলো।

ইনফিনিক্সের নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং। ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তিটি বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০-এর আওতায় এই প্রযুক্তি এনেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেয়া সম্ভব হবে।

নতুন প্রযুক্তিটির মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিংয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও এক ধাপ উন্নতি হলো বলে মনে করছে ইনফিনিক্স।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ ও রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করা যাবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজের সঙ্গে ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামের ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এ ছাড়াও নোট ৪০-এর সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রোর সঙ্গে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১।

ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪ শতাংশ বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে অন্যরকম পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা।

সারা দিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হবে এ ফোন।

অন্যদিকে নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অলরাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এ সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল দিতে নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। আর ফোনের ডিজাইনে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে নোট ৪০ প্রোতে আছে বেজেলবিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।

আলোকচিত্রপ্রেমীদের জন্য এ সিরিজের ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আধুনিক ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।

এবারের নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এ ছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রোর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড রঙে মিলছে ফোনটি।

অন্যদিকে ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। এ ফোন পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙে।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।

আরও পড়ুন:
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো
ফ্ল্যাশ লাইট বনাম রিং লাইট: কোনটি বেশি উপযোগী
দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের দুই ল্যাপটপ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Landmark lawsuit against Apple in the US

স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য: যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের নামে মামলা

স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য: যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের নামে মামলা অ্যাপলের একটি কার্যালয়ে কোম্পানির লোগো। ফাইল ছবি
প্রতিযোগিতার পথ বন্ধ করা ও ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত মূল্যের ভার চাপানোর অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।

আইফোনের মাধ্যমে স্মার্টফোন বাজারে অবৈধ একাধিপত্যের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপলের নামে মামলা করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

প্রতিযোগিতার পথ বন্ধ করা ও ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত মূল্যের ভার চাপানোর অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মামলায় ক্রেতাদের অপেক্ষাকৃত কম দামের স্মার্টফোন ও ডিভাইসে যাওয়া কঠিন করে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যাপলের বিরুদ্ধে।

এ মামলার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হলো প্রায় অর্ধশতক ধরে মোটা দাগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কড়া নজরদারির বাইরে থাকা অ্যাপলের। স্টিভ জবসের হাত ধরে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোম্পানিটি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য তিন টেক জায়ান্ট অ্যামাজন, গুগল ও মেটার নামে একই ধরনের মামলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

এদিকে মামলার খবরে বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটে অ্যাপলের শেয়ারের দরপতন হয় তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটনের নতুন ‘নেক্সজি এন২৫’ সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে
বাংলাদেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ‘স্মার্ট ৮’
প্রাইভেটকারের ভেতর ২৯৭টি স্মার্টফোন
ভিভো ওয়াই২৭: চলছে প্রি-বুকিং, রয়েছে আকর্ষণীয় উপহার
ভারতে অ্যাপলের চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা বাতিল

মন্তব্য

p
উপরে