× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

তারুণ্য
Mouchak is the new online education platform in the country
google_news print-icon

দেশে নতুন অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘মৌচাক’

দেশে-নতুন-অনলাইন-শিক্ষা-প্ল্যাটফর্ম-মৌচাক
মৌচাক অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। মৌচাক শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করবে। যেখানে আপনিই হবেন আপনার ক্লাসের একমাত্র নিয়ন্ত্রক। দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শিক্ষকের ক্লাস করতে পারবে ঘরে বসেই।

অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় সুবিধা নিশ্চিতের অঙ্গীকারে যাত্রা শুরু করেছে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘মৌচাক’।

মৌচাক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা দেশের সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই মিনিটেই সংযোগ স্থাপন করতে দেবে। শিক্ষকরা দুই মিনিট সময় পেলেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারবেন।

‘আপনার সাফল্যে আমরা আর হাজারও শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণায় আপনি’- এই স্লোগানের মাধ্যমে মঙ্গলবার শুরু হয় ‘মৌচাক’-এর আনুষ্ঠানিক পথচলা।

প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। মৌচাক শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করবে। যেখানে আপনিই হবেন আপনার ক্লাসের একমাত্র নিয়ন্ত্রক। দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শিক্ষকের ক্লাস করতে পারবে ঘরে বসেই।

মৌচাকে রয়েছে আনলিমিটেড লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষা, ক্লাস রেকর্ডের সুবিধা, ৩০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ব্যাংক, আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, নোটিশ বোর্ডসহ আরও অনেক কিছু।

এখানে শিক্ষকরা পরীক্ষার উত্তরপত্র পাবেন পিডিএফ ফরম্যাটে এবং নম্বর ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিতে পারবেন।

মৌচাকে নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কোর্স সাজানোর সুযোগ রয়েছে। মৌচাক নিয়ে এসেছে অনেক মডেল টেস্ট এবং কুইজের মতো সব ধরনের প্রশ্নের সমাহার। অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য থাকছে ই-মেইল এবং মেসেজের ব্যবহার।

মৌচাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সরাসরি ক্লাসের মতো করেই পর্যাপ্ত জ্ঞান আদান-প্রদানের সুযোগ পাবেন এমন একটি ওয়ান স্টপ সল্যুশনের ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়েই মৌচাকের যাত্রা শুরু হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক কারণে স্কুল কিংবা কোচিংয়ে পছন্দের শিক্ষকের ক্লাস করতে পারে না। এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে মৌচাক।’

আরও পড়ুন:
মসজিদে মৌচাক, মধু বেচে চলে খরচ
মৌচাকে ঢিল, হুলে আহত অন্তত ২০
মৌচাক কাটা হয় কীভাবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

তারুণ্য
9 food items in five taka market

পাঁচ টাকার বাজারে ৯ খাদ্য উপকরণ

পাঁচ টাকার বাজারে ৯ খাদ্য উপকরণ শনিবার খুলনা মহানগরীতে দুস্থদের মাঝে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াব-এর উদ্যোগে শনিবার খুলনা নগরীতে পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৩ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে চিড়া, ছোলা, চিনি, মুড়ি, পেঁয়াজ এবং আধ কেজি করে খেজুর ও তেল কিনতে পেরেছেন দুস্থ-হতদরিদ্ররা।

বাজার খরচ পাঁচ টাকা। আর ওই সামান্য টাকায় মিলেছে ৯ ধরনের খাদ্য উপকরণ। আর এই বাজারের ক্রেতারা সবাই সমাজের পিছিয়ে পড়া দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ।

শনিবার দুপুরে খুলনা মহানগরীর আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় বসেছিল এই বাজার। ‘উই আর বাংলাদেশ’ (ওয়াব) নামের একটি সংগঠন পবিত্র রমজানের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন করেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পুলিশের কনস্টেবল এস এম আকবর। সংগঠনটি পরিচালনাকারী অন্যরাও পুলিশের সদস্য। চাকরির পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তারা মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষও যুক্ত হয়ে হতদরিদ্রদের সহায়তায় হাত বাড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় রমজানে হাজারও পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে তারা উদ্যোগ নিয়েছেন।

মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ক্রেতারা পেয়েছেন ৩ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে চিড়া, ছোলা, চিনি, মুড়ি, পেঁয়াজ এবং আধ কেজি করে খেজুর ও তেল। কার্যক্রম শুরুর দিনে প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে এসব উপকরণ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

কেএমপি কমিশনার এ সময়ে বলেন, ‘ওয়াব নামের সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পুলিশের চাকরি করার পাশাপাশি মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। এটা মানবিক পুলিশিং কর্মকাণ্ডের একটি অংশ। এই সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ইতোপূর্বেও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

‘সংকটাপন্ন রোগীকে বিনামূল্যে রক্তদান, গৃহহীনদের গৃহনির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা উপকরণ কিনে দেয়াসহ শিক্ষার খরচ বহন, দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ‌ওষুধ প্রদান, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রাকৃতিক প্রতিটি দুর্যোগে তারা মানুষের পাশে থাকেন।’

ওয়াব-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একটি মানুষ তার কর্ম দিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হয়; সে কী চাকরি করে তা দিয়ে প্রমাণিত হয় না। মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই পরমাত্মা তথা স্রষ্টাকে পাওয়া যায়। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোও একটি ইবাদত।’

সামাজিক সংগঠন ওয়াবের অ্যাডমিন সরদার মসনুর আলী বলেন, ‘রমজানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে। খুলনা থেকে এর উদ্বোধন হলো। ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যারা ঠিকমতো বাজার করতে পারছেন না তারা পাঁচ টাকার বিনিময়ে এসব উপকরণ পাবেন। এছাড়া যাদের পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই তাদেরকে সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল রয়েছে। রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পণ্য পৌঁছে দিয়ে আসেন, যাতে গ্রঈতা সামাজিকভাবে নিজেকে হেয় মনে না করেন।’

মন্তব্য

তারুণ্য
The embankment was built on the banks by the volunteers of the locals

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়াই তীরে হলো বেড়িবাঁধ

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়াই তীরে হলো বেড়িবাঁধ নদীভাঙন রোধে শুক্রবার প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন দোরাননগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
এলাকাবসী জানান, গত বর্ষা মৌসুমে তিন কিলোমিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত পাঁচ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনেকবার এ বিষয়ে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি তারা। যে কারণে উপায়ান্তর না পেয়ে নিজেরাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

গড়াই নদীর ভাঙন থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি, ফসলি খেতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রক্ষায় নিজ উদ্যোগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দোরাননগর গ্রামের বাসিন্দারা।

নদীভাঙনের আশঙ্কা মাথা নিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যেতে হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। গত কয়েক বছরে ভাঙনে এ গ্রামের গড়াই তীরবর্তী বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ফসলি খেত বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে শুক্রবার প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন দোরাননগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী।

এলাকাবসী জানান, গত বর্ষা মৌসুমে তিন কিলোমিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত পাঁচ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনেকবার এ বিষয়ে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি তারা। যে কারণে উপায়ান্তর না পেয়ে নিজেরাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

দোরাননগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘প্রতি বছর গড়াই নদীর ভাঙনে আমাদের দোরাননগর গ্রামের রাস্তা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সমাজের বিত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ, কাঠ দিয়ে ৮টি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটির রুপান্তর ঘটিয়ে এবার নতুন করে ইট, বালু, রড দিয়ে তৈরি কংক্রিটের পিলার দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হচ্ছে।’

এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে গোটা গ্রাম নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।

ওই এলাকার বাসিন্দা ডা. পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা ভাঙনের মুখে পড়ছি। এতে বাড়িঘর রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যে কারণে এবার ইট বালু, সিমেন্ট, লোহার রড দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নেই এটি করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ‘আমি বিষয়টি মাত্র জানলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

তারুণ্য
Bechi dai kini book and then Ekushey Padak

বেচি দই কিনি বই, অতঃপর একুশে পদক

বেচি দই কিনি বই, অতঃপর একুশে পদক একুশে পদকের জন্য মনোনীত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের জিয়াউল হকের রুটি-রুজির মাধ্যম দই বিক্রি। ছবি: নিউজবাংলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামের সাদাসিধে মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে তুলেছেন একটি পাঠাগার। শুধু পাঠাগার নয়, নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছেন। সামাজিক কাজে তিন কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন এই সাদা মনের মানুষ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামের জিয়াউল হক এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। অতিসাধারণ মানুষটি সমাজ সেবায় অনন্য অবদানের জন্য পর্যাদাপূর্ণ এই পদক হাতে নিতে যাচ্ছেন।

গ্রামের এই সাদাসিধে মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে তুলেছেন একটি পাঠাগার। ১৯৬৯ সালে নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলেন জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার। শুধু পাঠাগারই নয়, নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকছেন। সামাজিক কাজে তিন কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছেন এই সাদা মনের মানুষ।

জিয়াউল হক বলেন, ‘ভালো কিছু করলে যে ভালো কিছু পাওয়া যায় তার প্রমাণ পেলাম। আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সম্মান জানানো হবে এটা জানার পর থেকে মন থেকে আনন্দিত হয়েছি। এ বয়সে একুশে পদকের মতো এতো বড় সন্মান পেয়ে আমি সত্যিই খুশি হয়েছি।’

বেচি দই কিনি বই, অতঃপর একুশে পদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে পাঠাগারে সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক। ছবি: নিউজবাংলা

বেচি দই কিনি বই

সাদাসিধে মানুষটি পেশায় দই বিক্রেতা। এক সময় সাইকেলে ঝুড়ি মাথায় নিয়ে পথে-ঘাটে ঘুরে ঘুরে দই বিক্রি করতেন। ৯১ বছর বয়সে এসেও তার রুটি-রুজির অবলম্বন দই বিক্রি।

জিয়াউল হকের দইয়ের খ্যাতি জেলা জুড়েই। খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো। সেই সততার কারণেই ভোক্তাদের মনে জায়গা করে নেয় জিয়াউল হকের দই। অনেকেই তার দই কেনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত ছুটে যান।

দই বিক্রি করে সামান্য আয় থেকেই এলাকার হতদরিদ্র তরুণদের মূলত পাঠ্যবই কিনে দিতেন জিয়াউল হক। নিজে অভারের কারণে পড়ালেখা করতে না পারার আক্ষেপ তার বরাবরের। গ্রামের কারও পড়ালেখা যাতে অর্থের অভাবে বন্ধ না হয়ে যা, সেই ভাবনা থেকেই পাঠ্যবই কিনে দেয়া শুরু করেন জিয়াউল হক।

বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পাঠাগার গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা এলাকার বটতলা গ্রামে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে গড়ে ওঠে তার পাঠাগার। ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’ নামে সেই পাঠাগার দিন যত গড়িয়েছি ততই আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এ পাঠাগারে ২০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে।

জিয়াউল হকের দেয়া বই পড়ে আজ তারা শিক্ষক

জিয়াউল হকের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়ে শিক্ষক হয়েছেন ভোলাহাট উপজেলার পীরগাছি দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার মজিবুর রহমান (৫৯) ও মুসরীভূজা ইউসুফ আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজের আজিজুল হক (৪৫)।

তারা জানান, জিয়াউল হকের কাছ থেকে পাঠ্যবইসহ সার্বিক সহযোগিতা না পেলে তারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন না। এ জন্য তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। জিয়াউল হক একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ার খবরে তারা খুবই আনন্দিত।

শুধু এ দুজনই নন, আরও অনেকেই পড়ালেখা করেছেন জিয়াউল হকের পাঠাগারের বই নিয়ে।

জিয়াউল হক বলেন, ‘১৯৬০ সালে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের কাজ শুরু করি। এখনও তা চলমান।’

মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন সাড়ে তিন কোটি টাকা

পেশায় দই বিক্রেতা, সাদাসিধে জিয়াউল হক সামাজিক নানা কল্যাণ কাজে এ পর্যন্ত খরচ করেছেন সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণ, টিউবওয়েল স্থাপন, মসজিদ, কবরস্থানের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণসহ নানা খাতে তিনি ব্যায় করেছেন এই টাকা। জিয়াউল হকের সততার কারণে অনেকেই তার কাছে অনুদান পাঠিয়েছেন। সেসব সহযোগিতা গ্রহণ করে তিনি জনকল্যাণকর কাজে ব্যয় করেছেন।

জিয়াউল হক বলেন, ‘স্কুল-কলেজে বই বিতরণ, অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে যে সহযইগতা করেছি তার মধ্যে দেড় কোটি টাকাই দিয়েছেন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বাকিটা দই বিক্রি করেই করা।’

পদকের অর্থে বানাবেন পাঠাগারের ঘর

জিয়াউল হকের নিজ বাড়ির একটি ঘরেই কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার পাঠাগারের। বিকেল বেলা অনেক শিক্ষার্থী বই পড়ার জন্য আসেন। কিন্তু তাদের বসার স্থান সংকুলান হয় না। পাঠাগারের পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা অনেক দিন থেকেই করছেন তিনি। কিন্তু পেরে উঠছিলেন না। তাই পদক থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই পাঠাগারের পরিসর বাড়ানোর চিন্তা গুণী এই মানুষটির।

পদকের অর্থ দিয়ে কী করবেন- এমন প্রশ্নে তাই জানালেন, ‘পাঠাগারে জায়গার সংকুলান হয় না। আরও একটি ঘর করতে পারলে ভালো হয়। এ অর্থ দিয়ে পাঠাগারের আরও একটি ঘর বানাব।’

ব্যক্তি-জীবন

মরহুম তৈয়ব আলী ও শরীফুন নেসা দম্পতির ছেলে জিয়াউল হকের জন্ম ১৯৩৮ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী সারাবান তহুরার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা হককে নিয়ে বটতলা গ্রামে বসবাস করছেন।

আনন্দের বন্যা চাঁপাইনবাবগঞ্জে

একুশের পদকের জন্য সাদামনের মানুষ মনোনীত হওয়ায় আনন্দের বন্য বয়ে যাচ্ছে উপজেলা ভোলাহাটসহ গোটা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই তার ছবি পোস্ট দিয়ে জানাচ্ছেন অভিনন্দন। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই ফুল দিয়ে যাচ্ছেন জিয়াউল হকের বাড়িতে।

বুধবার তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্কাউটস। জেলা স্কাউট সম্পাদক গোলাম রশিদের অভিব্যক্তি, সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়ায় জেলাবাসী গর্বিত ও আনন্দিত। তার এ সম্মানপ্রাপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামটাও উজ্জ্বল হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘যোগ্য একজন মানুষকেই একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তিনি দই বেচে বই কিনে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে এবং গরিব ছাত্রদের মাঝে বই বিলি করে সাদা মনের মানুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। সমাজসেবায়ও অনন্য অবদান রেখেছেন এই গুণী। তার এই প্রাপ্তিতে জেলাবাসী গর্বিত।’

আরও পড়ুন:
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন

মন্তব্য

তারুণ্য
Coach Kanchan Academy reunion

কোচ কাঞ্চন একাডেমির মিলনমেলা

কোচ কাঞ্চন একাডেমির মিলনমেলা রাজধানীর ফরটিস ডাউনটাউন রিসোর্টে এলামনাই আপলিফট প্রোগ্রামে সমবেতরা। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে সকালে ব্রেইন সায়েন্সের ওপর স্পেশাল সেশন নেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন। দ্বিতীয় অংশে তার পঞ্চম বই ‘ক্যাশ মেশিন’-এর উদ্বোধন হয়।

দেশের ই-লার্নিং ইতিহাসে অ্যালামনাইদের নিয়ে বড় মিলনমেলা হয়ে গেলো রাজধানী ঢাকায়। ‘একসাথে সমৃদ্ধি’ (Thrive Together) থিমের ওপর ভিত্তি করে শনিবার রাজধানীর ফরটিস ডাউনটাউন রিসোর্টে এলামনাই আপলিফট প্রোগ্রাম আয়োজন করে কোচ কাঞ্চন।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোচ কাঞ্চন একাডেমির পাঁচ শতাধিক অ্যালামনাই অংশ নেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা, করপোরেট লিডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও আইনজীবী।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে সকালে ব্রেইন সায়েন্সের ওপর স্পেশাল সেশন নেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাপিনেস কোচ ও ব্রেইন ট্রেইনার কোচ কাঞ্চন।

দ্বিতীয় অংশে দুইবারের রকমারি বেস্টসেলার লেখক কোচ কাঞ্চনের পঞ্চম বই ‘ক্যাশ মেশিন’-এর উদ্বোধন হয়।

কোচ কাঞ্চন একাডেমির মিলনমেলা
অনুষ্ঠানে লেখক কোচ কাঞ্চনের পঞ্চম বই ‘ক্যাশ মেশিন’-এর উদ্বোধন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে একাডেমির বিভিন্ন পর্যায়ের ১০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ ও পাঁচজনকে ‘এমপ্লয়ী অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়।

মিলনমেলায় বক্তব্যে কোচ কাঞ্চন বলেন, ‘আমি অনেক লস করে ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে আজকের সফল অবস্থানে এসেছি। আমি চাই না আমার মতো আপনারাও এতো কষ্ট করেন। তাই তো আমার সব লার্নিং আপনাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত শেয়ার করছি। এই মিলনমেলা বাংলাদেশের ই-লার্নিং ইতিহাসে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা করলো। ইতিহাসের এই পথ বেয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর। এই আয়োজন ই-লার্নিং সম্পর্কে মানুষের আস্থা বাড়াবে।’

২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণার্থী কোচ কাঞ্চন একাডেমির বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেস। কোচ কাঞ্চনের বই পড়েছেন ৫০ হাজারের বেশি পাঠক।

কোচ কাঞ্চন একাডেমির এই মেগা মিলনমেলা ছিল পারস্পরিক সু-সম্পর্ক তৈরি ও হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ।

মন্তব্য

তারুণ্য
Hashem Lok Utsav begins Monday in Noakhali

নোয়াখালীতে হাশেম লোক উৎসব শুরু সোমবার

নোয়াখালীতে হাশেম লোক উৎসব শুরু সোমবার
শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য এ বছর মোহাম্মদ হাশেম পদক পাচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম। এছাড়া শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জনকল্যাণে বিশেষ ভূমিকার জন্য দুজনকে দেয়া হবে হাশেম লোক উৎসব-২০২৪ সম্মাননা।

লোকগীতির বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেমের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি সোমবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে শুরু হচ্ছে ‘হাশেম লোক উৎসব-২০২৪’।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে হাশেম লোক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বিকেল ৪টায়। নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দু’দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশন।

মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুস্তফা মনওয়ার সুজন জানান, এবারের উৎসবে শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য মোহাম্মদ হাশেম পদক-২০২৪ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জনকল্যাণে বিশেষ ভূমিকার জন্য হাশেম লোক উৎসব-২০২৪ সম্মাননা দেয়া হবে দু’জনকে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে মোহাম্মদ হাশেম পদক ও সম্মাননা দেয়া হবে।

এর আগে বিকেল ৪টায় একই মঞ্চে ‘লোকগীতির জাদুকর মোহাম্মদ হাশেম’ শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু।

এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে শুরু হবে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। রাত ১০টায় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হবে।

হাশেম লোক উৎসব-২০২৪ উপলক্ষে ‘লোকগীতির জাদুকর মোহাম্মদ হাশেম’ শিরোনামে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।

নোয়াখালীর প্রধান সংগীত খ্যাত ‘আঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী রয়াল ডিস্ট্রিক ভাই/ হেনী মাইজদী চৌমুহনীর নাম কে হুনে নাই’সহ হাজারও গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মোহাম্মদ হাশেমের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১০ জানুয়ারি। তার জন্মস্থান নোয়াখালী সদরের চরমটুয়া ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে।

মোহাম্মদ হাশেম ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান সংগঠক হিসেবে তার পেশাজীবন শুরু। পর্যায়ক্রমে ঢাকা সংগীত কলেজ, কবিরহাট সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতার পর তিনি ২০০৫ সালে নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অবসর নেন।

২০০৫ সালে অমর একুশে বইমেলায় উৎস প্রকাশন বের করে মোহাম্মদ হাশেমের গানের প্রথম সংকলন ‘নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান’। এরপর ২০১৫ সালে মোহাম্মদ হাশেমের রচিত বাছাই করা আড়াই শ’ গান নিয়ে উৎস প্রকাশন বের করে ‘নির্বাচিত নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান’।

মোহাম্মদ হাশেম ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মাইজদী শহরের বড় দিঘির উত্তর পাড়ে কোর্ট মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেমের লেখা গান চর্চা ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশন। জেলা শহরে চার বছর ধরে মোহাম্মদ হাশেমের জন্মদিন উদযাপনে হাশেম উৎসব আয়োজন করে আসছে এই ফাউন্ডেশন। ২০২২ সাল থেকে প্রবর্তন হয় মোহাম্মদ হাশেম পদক।

গেল বছর মোহাম্মদ হাশেম পদক-২০২৩ পেয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের যন্ত্রশিল্পী গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার। ২০২২ সালে একই পদক পান বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল।

এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জনকল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের জুরিবোর্ড মনোনীত ১৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
নেচে-গেয়ে উদযাপিত হলো গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব
ঐতিহ্যবাহী ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ উৎসবে মাতলেন খাসিয়ারা
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’ সেরা
জাহাজ ভাসা উৎসব, সম্প্রীতির মিলনমেলা
আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে উৎসবের আমেজ

মন্তব্য

তারুণ্য
PM gave job to rickshaw pullers MA pass wife

রিকশাচালকের এমএ পাস স্ত্রীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

রিকশাচালকের এমএ পাস স্ত্রীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী সিমানুরের হাতে নিয়োগপত্র, ল্যাপটপ ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আসার পর ভাগ্য বদলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারটির। রিকশাচালক ফেরদৌস মন্ডলের স্ত্রী এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক।

বগুড়ার সেই রিকশাচালকের এমএ পাস করা স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম তার হাতে কালেক্টর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।

জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের ফেরদৌস যখন বিয়ে করেন তখন তার স্ত্রী সিমানুর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে দেয়া কথা ফেরদৌস রেখেছিলেন। রিকশায় স্ত্রীকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে তিনি নিজে রিকশা চালিয়ে সংসারের বোঝা টেনেছেন। রিকশা চালিয়ে সিমানুরের লেখাপাড়ার খরচ জুগিয়েছেন।

স্ত্রী এমএ পাস করার পর এবার তার জন্য চাকরি খুঁজতে শুরু করেন ফেরদৌস। এই দম্পতির সংগ্রামী জীবনকথা নিয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে তা তা নজরে আসে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার। বগুড়ার জেলা প্রশাসককে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার্তা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বগুড়ার জেলা প্রশাসক প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সোমবার ব্যবস্থা নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আসার পর ভাগ্য বদলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারটির। রিকশাচালক ফেরদৌস মন্ডলের স্ত্রী এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক।

চাকরির সঙ্গে মিলেছে সিমানুরের স্বামী রিকশাচালক ফরদৌস মন্ডলের রিকশাা কেনার ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বাড়ি সংস্কারের টিন ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে রিকশাচালকের উচ্চশিক্ষিত স্ত্রী যেন শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তিতে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য একটি ল্যাপটপ।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। সোমবার সিমানুরের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেয়া হয়েছে।’

নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে সিমানুর স্কুলে গিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। চাকরি পেয়ে তার উৎসাহ আরও বেড়েছে। চাকরির পাশাপাশি তিনি এখন বিসিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কৃতজ্ঞতার কথা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান।

মন্তব্য

তারুণ্য
Mukti Jodha Parivar organizations debut in the media

‘গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার’ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

‘গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার’ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ বুধবার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে ‘গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার-জিএমপি’। ছবি: নিউজবাংলা
লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘দেরিতে হলেও এমন একটি উদ্যোগের বড় বেশি প্রয়োজন ছিলো। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মীরা তা শুরু করেছেন।’

‘বিশ্ব গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক আলোচনার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার-জিএমপি)’ নামের একটি সংগঠন।

বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বেশকিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের পক্ষে কথা বললেও অপর একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধকে সহজভাবে নেয়নি। বিশেষ করে আমাদের সে সময়ে ঘটে যাওয়া গণহত্যাটিও আড়াল হয়েছে নানাভাবে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান নুজহাত চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। আমরাই আমাদের ইতিহাসের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। মানুষকে জানাতে পারি সেসব ঘটনার বীভৎসতা। একাত্তরে গণহত্যার সঠিক ইতিহাস গণমাধ্যমে প্রকাশ করে বিশ্ব দরবারে এর স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাফল্য কামনা করে এই সংগঠনে যুক্ত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘দেরিতে হলেও এমন একটি উদ্যোগের বড় বেশি প্রয়োজন ছিলো। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মীরা তা শুরু করেছেন।’

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি একাত্তর টিভির সাংবাদিক মহিম মিজান বলেন, ‘বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের অচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সাংবাদিক সমাজের অবদান। গণমাধ্যমকর্মীদের এই অবদান তুলে ধরতেই এ আয়োজন।’

মন্তব্য

p
উপরে