ছবি: নাসা
প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতে পারসেভারেন্সকে গ্রহটির ‘জেসেরো’ ক্র্যাটার অববাহিকায় অবতরণের জন্য বেছে নেয় নাসা। বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস, এক সময় সেখানে একটি হ্রদ ছিল, পরে সেটি প্রাচীন এক নদী দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
শেষ হলো অপেক্ষার পালা। কোটি কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রক্তিম গ্রহ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো পারসেভারেন্স তথা ‘অধ্যবসায়’ রোভার।
নাসার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, জিএমটি সময় বৃহস্পতিবার ২০টা ৫৫ মিনিটে ‘জেসেরো’ নামে পরিচিত মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করে পারসেভারেন্স। তখন বাংলাদেশ সময় ছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিট।
এই মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার ম্যাট ওয়ালেস বলেছেন, ‘সুসংবাদ হলো আমার ধারণা, মহাকাশযানটি একটি দারুণ অবস্থানে আছে।’
পারসেভারেন্স রোভারটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে ফেটে পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা।
ছয় চাকার এই রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে অন্তত দুই বছর অবস্থান করবে। এই সময়ে গ্রহটির পাথুরে মাটি ড্রিল করে সেখানে অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা খুঁজবে এটি।
প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতে পারসেভারেন্সকে গ্রহটির ‘জেসেরো’ ক্র্যাটার অববাহিকায় অবতরণের জন্য বেছে নেয় নাসা। বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস, এক সময় সেখানে একটি হ্রদ ছিল, পরে সেটি প্রাচীন এক নদী দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
শুকিয়ে যাওয়া বদ্বীপ আকৃতির সেই নদী ও লেকের তলানি মসৃণ নয়। এখানে পাথর ও বালির টিলা রয়েছে, আর ব দ্বীপটি দেখতে প্রায় ৭৬ মিটার উঁচু।
নাসার এই মিশনকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে পৃথিবী থেকে উড়াল দেয়ার সাত মাস পর প্রায় ৩০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে রোভারটি এখন মঙ্গলে।
পারসেভারেন্স তথা ‘অধ্যবসায়’ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করা নাসার পাঠানো পঞ্চম রোভার। তবে এবারের রোভারটি অনেক দিক থেকেই প্রথম হওয়ার নজির গড়তে যাচ্ছে।
মঙ্গল থেকে মাইক্রোফোনিক সাউন্ড সরবরাহ করা প্রথম রোভার হবে পারসেভারেন্স। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো রোভারের চেয়ে বেশি ক্যামেরা আছে এটিতে। থাকছে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানী ‘শার্লক’ ও ‘ওয়াটসন’ নামে দুটি যন্ত্র।
মঙ্গলের পাথুরে শিলার নমুনা হাতে পেতে বিজ্ঞানীদের ১০ বছরের যে চেষ্টা তার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হলো পারসেভারেন্সের অবতরণের মাধ্যমে।
এই রোভারটিতে একটি ড্রিলিং মেশিন রয়েছে, যেটি প্রায় ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে। এর মধ্যে ৩০টির মতো নমুনা নিয়ে ২০৩১ নাল নাগাদ পৃথিবীতে ফেরার কথা রোভারটির।
পারসেভারেন্সের সফল অবতরণের পর নাসা ও সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। লিখেছেন, ‘পারসেভারেন্সের ঐতিহাসিক অবতরণ সম্ভব করে তোলায় নাসা ও প্রত্যেককে অভিনন্দন। আজ আবারও প্রমাণ হলো, বিজ্ঞানের শক্তি ও আমেরিকান উদ্ভাবনী কিছুই সম্ভাবনা রাজ্যের বাইরে নয়।’
I’ve come nearly 300 million miles, and I’m just getting started. Hear from the team about my picture-perfect landing and what comes next.
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) February 18, 2021
LIVE at 2:30 p.m. PST (5:30 p.m. EST/20:30 UTC) https://t.co/fciqGe8GpC pic.twitter.com/5XgclFaGtB
এই প্যারাস্যুটের সাহায্যে মঙ্গলে অবতরণ করে অধ্যবসায়। ছবি: নাসা।
যে বিশাল প্যারাস্যুটের সাহায্যে রোভারটি অবতরণ করে মঙ্গলের রুক্ষ মাটিতে, সেই প্যারাস্যুটে একটি গোপন বার্তা লুকিয়ে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। আর রোভার অবতরণের মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই সেই বার্তা উদ্ঘাটন করেছেন পৃথিবীর কিছু কম্পিউটার জিনিয়াস।
পৃথিবী থেকে কোটি কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার রক্তিম গ্রহ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে নাসার পারসেভারেন্স বা ‘অধ্যবসায়’ রোভার।
ছয় চাকার এই রোভার মঙ্গলের মাটিতে অন্তত দুই বছর অবস্থান করবে। গ্রহটির পাথুরে মাটি খুঁড়ে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজবে এটি।
যে বিশাল প্যারাস্যুটের সাহায্যে রোভারটি অবতরণ করে মঙ্গলের রুক্ষ মাটিতে, সেই প্যারাস্যুটে একটি গোপন বার্তা লুকিয়ে রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
আর রোভার অবতরণের মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই সেই বার্তা উদ্ঘাটন করেছেন পৃথিবীর কিছু কম্পিউটার জিনিয়াস।
মঙ্গলের বুকে অধ্যবসায়কে নিরাপদে নামতে ব্যবহার করা প্যারাস্যুটে ছিল লাল-সাদার অজস্র রেখা। সাধারণ চোখে এর মধ্যে বিশেষত্ব খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তবে বিভিন্ন দেশের কম্পিউটার জিনিয়াসেরা ওই রেখাগুলোর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন একটি বাক্য, ‘ডেয়ার মাইটি থিংস’; বাংলায় অর্থটি অনেকটা এ রকম- ‘সাহসী কাজে নির্ভীক’।
রোভার অবতরণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারের আগে নাসার বিজ্ঞানীদের একটি অংশ ছাড়া আর কেউই প্যারাসুটে এই লুকানো বার্তা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। অধ্যবসায় মিশনের নেতৃত্ব দেয়া নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক দিন ধরেই ‘ডেয়ার মাইটি থিংস’ স্লোগানটি নিজেদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে।
আর অধ্যবসায়ের প্যারাস্যুটে বাইনারি কোডে (১০১০১০) লেখা ছিল ওই স্লোগানটি। বার্তাটি উদ্ঘাটনের পর নাসার প্রধান প্রকৌশলী অ্যাডাম স্টেল্টজনার বেশ বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে ইন্টারনেট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোডটি ধরে ফেলেছে! ইন্টারনেটে এমন কিছু কি আছে, যা আপনি করতে পারবেন না?’
নাসার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আয়ান ক্লার্ক বৃহস্পতিবার অবতরণের আগে এই গোপন বার্তা সম্পর্কে নাসার ভেতরেই মাত্র ছয়জন জানতেন। ছবি প্রকাশের মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে এই রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যাবে, তা নাসাও ভাবতে পারেনি।
‘ডেয়ার মাইটি থিংস’ শব্দ তিনটি নেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের একটি জনপ্রিয় উদ্ধৃতি থেকে। আর সেটি হলো, ‘Far better it is to dare mighty things, to win glorious triumphs, even though checkered by failure.’
৪৭ কোটি পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলের কাছে পৌঁছেছে পারসেভারেন্স রোভার। ছবি: নাসা
নাসার এই মিশনকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে পৃথিবী থেকে উড়াল দেয়ার সাত মাস পর ৪৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোভারটি এখন মঙ্গলের খুব কাছে।
শেষ হতে যাচ্ছে অপেক্ষার পালা। অসীম পথ পাড়ি দিয়ে রক্তিম গ্রহ মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার অপেক্ষায় নাসার ‘পারসেভারেন্স’ তথা ‘অধ্যবসায়’ রোভার। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে এই যান।
নাসার এই মিশনকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে পৃথিবী থেকে উড়াল দেয়ার সাত মাস পর ৪৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোভারটি এখন মঙ্গলের খুব কাছে।
বিবিসি লিখেছে, পারসেভারেন্স রোভারটি বৃহস্পতিবার জিএমটি সময় ২০টা ৪৮ মিনিটে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। প্যারাশুট ছাড়বে ২০টা ৫২ মিনিটে। অবতরণ যন্ত্রটি চালু হবে ২০টা ৫৪ মিনিটে। এর তিন মিনিট পর মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে রোবটের চাকা, তখন বাংলাদেশ সময় থাকবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ২টা ৫৫ মিনিট।
অবতরণের শেষ সাত মিনিটকে ‘সেভেন মিনিটস অব টেরর’ নাম দিয়েছে নাসা। এই সময়টা নাসার টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
অবতরণ সফল হলে পারসেভারেন্স তথা অধ্যাবসায় হবে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করা নাসার পাঠানো পঞ্চম রোভার। তবে এবারের রোভারটি অনেক দিক থেকেই প্রথম হওয়ার নজির গড়তে যাচ্ছে।
মঙ্গল থেকে মাইক্রোফোনিক সাউন্ড সরবরাহ করা প্রথম রোভার হবে পারসেভারেন্স। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো রোভারের চেয়ে বেশি ক্যামেরা আছে এটিতে। থাকছে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানী ‘শার্লক’ ও ‘ওয়াটসন’ নামে দুটি যন্ত্র।
মঙ্গলের পাথুরে শিলার নমুনা হাতে পেতে বিজ্ঞানীদের ১০ বছরের যে চেষ্টা তার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হবে পারসেভারেন্সের অবতরণের মাধ্যমে।
এই রোভারটিতে একটি ড্রিলিং মেশিন রয়েছে, যেটি প্রায় ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে। এর মধ্যে ৩০টির মতো নমুনা নিয়ে ২০৩১ নাল নাগাদ পৃথিবীতে ফেরার কথা রোভারটির।
অবশ্য, এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাগ্য সহায় হলে, মঙ্গলে আগে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা জানতে এক দশক অপেক্ষা নাও করা লাগতে পারে বিজ্ঞানীদের।
পারসেভারেন্স রোভারে সংযুক্ত আছে একটি লেজার স্পেকটোমিটার বোর্ড, যা দিয়ে বিভিন্ন শক্তির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে মঙ্গলের পাথুরে মাটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে সক্ষম।
পারসেভারেন্সের রোবটিক বাহুতে যুক্ত শার্লক যন্ত্রটি শক্তিশালী আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের জৈব পদার্থ, খনিজ ও রাসায়নিক উপাদানগুলো বিভক্ত করতে পারবে। আর ওয়াটসন সক্ষম মঙ্গলের শিলার অণুবীক্ষণিক চিত্র ধারণে।
এসব থেকে ও অন্যান্য সেন্সর থেকে পাওয়া উপাত্ত মঙ্গলের মাটিতে আণুবিক কোনো প্রাণীর জীবাশ্ম আছে কি না তা জানতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতে পারসেভারেন্সকে গ্রহটির জেজিরো ক্র্যাটার অববাহিকায় অবতরণের জন্য বেছে নিয়েছে নাসা। বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস, এক সময় সেখানে একটি হ্রদ ছিল, পরে সেটি প্রাচীন এক নদী দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
শুকিয়ে যাওয়া বদ্বীপ আকৃতির সেই নদী ও লেকের তলানি মসৃণ নয়। এখানে পাথর ও বালির টিলা রয়েছে, আর ব দ্বীপটি দেখতে প্রায় ৭৬ মিটার উঁচু।
রুশ গবেষণাগারে প্রাগৈতিহাসিক ঘোড়ার দেহাবশেষ ঘোড়ার দেহাবশেষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা। ছবি: এএফপি
ভেক্টরের গবেষকেরা জানিয়েছেন, তারা এই গবেষণায় ম্যামথ, হরিণ, কুকুর, তিতির পাখি, ইঁদুর, খরগোশ এবং অন্যান্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর দেহাবশেষও পরীক্ষা করবেন।
রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় গবেষগার ঘোষণা করেছে, তারা হিমায়িত অঞ্চল থেকে উদ্ধারকৃত প্রাণীর দেহাবশেষ বিশ্লেষণ করে প্রাগৈতিহাসিক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করছে।
ভেক্টর নামে সাইবেরিয়াভিত্তিক ওই গবেষণাগার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্যালিওভাইরাস শনাক্তকরণ এবং ভাইরাসের বিবর্তনের বিষয়ে উন্নত গবেষণা পরিচালনা করা।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইয়াকুটস্কের নর্থ-ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় গবেষণাটি প্রাগৈতিহাসিক ঘোড়ার দেহাবশেষ থেকে পাওয়া টিস্যু বিশ্লেষণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। ঘোড়াটির বয়স কমপক্ষে সাড়ে ৪ হাজার বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভেক্টর জানায়, ২০০৯ সালে সাইবেরিয়ার ইয়াকুটিয়া অঞ্চল থেকে প্রাগৈতিহাসিক ওই ঘোড়ার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ওই অঞ্চল থেকে ম্যামথসহ প্রস্তর যুগের প্রাণীর দেহাবশেষ নিয়মিতভাবে আবিষ্কার করা হয়।
ভেক্টরের গবেষকেরা জানিয়েছেন, তারা এই গবেষণায় ম্যামথ, হরিণ, কুকুর, তিতির পাখি, ইঁদুর, খরগোশ এবং অন্যান্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর দেহাবশেষও পরীক্ষা করবেন।
নর্থ-ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির ম্যামথ মিউজিয়াম ল্যাবরেটরির প্রধান ম্যাক্সিম চ্যাপ্রাসভ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো প্যালিওভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি।’
সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে অবস্থিত ভেক্টর গবেষণাগার বিশ্বে গুটিবসন্তের ভাইরাস সংরক্ষণের দুটি গবেষণাগারের মধ্যে একটি ।
ভেক্টর করোনভাইরাস প্রতিরোধে এপিভ্যাককোরোনা নামে একটি টিকা তৈরি করেছে, যা রাশিয়ায় গত অক্টোবরে লাইসেন্স পেয়েছে এবং এই মাসের শেষের দিকে ব্যাপক হারে উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক মনে করা হয় ফুসফুসের ক্যানসারকে। এর প্রধান কারণ, সঠিক সময়ে রোগটি ধরা না পড়া। তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সিটি স্ক্যান করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে ক্যানসারের শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব।
সিটি স্ক্যান করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে ক্যানসারের শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় এসেছে এ তথ্য।
বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক মনে করা হয় ফুসফুসের ক্যানসারকে। এর প্রধান কারণ, সঠিক সময়ে রোগটি ধরা না পড়া।
ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রতি চারজন ব্যক্তির তিনজনেরই রোগ শনাক্ত হয় তৃতীয় বা চতুর্থ, অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে গিয়ে। তখন চিকিৎসা করে রোগীর জীবন বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হস্পিটাল এনএইচএস ট্রাস্ট (ইউসিএলএইচ) বলছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে ফুসফুসে ক্যানসার শনাক্ত হয় আক্রান্ত হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর। এর ফলে ৭০ শতাংশ রোগীই অনিরাময়যোগ্য অবস্থায় চলে যান।
ধূমপায়ী অথবা আগে ধূমপান করতেন ১২ হাজার একশ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে ১৭০ জনের ফুসফুসে ক্যানসার শনাক্ত করেছে ইউসিএলএইচ। এই রোগীদের ৭০ ভাগের ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল ক্যানসারের সংক্রমণ।
তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী অস্ত্রোপচারের পর তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ শুরু করেছেন।
ইউসিএলএইচ-এর ডা. স্যাম জেনস বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়েই ফুসফুসের ক্যানসার শনাক্ত করার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।এতে দুরারোগ্য পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই ক্যানসার ধরা পড়বে, ফলে রোগমুক্তির সম্ভাবনাও বাড়বে।’
ইউসিএলএইচ বলছে, কেবল এ পদ্ধতিতেই যুক্তরাজ্যে লাখো প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। এজন্য ধূমপায়ী এবং জীবনের কোনো এক সময়ে ধূমপানের অভ্যাস ছিল, এমন ব্যক্তিদের নিয়মিত সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ফুসফুসের ক্যানসারে গড়ে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর এ সংখ্যা ৩৫ হাজার একশ। আর বছরে নতুন করে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ।
মঙ্গলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশন ‘হোপ’
মঙ্গলপৃষ্ঠের ২৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার ওপর থেকে বুধবার হোপের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলা হয়েছে। ছবিটির ওপরের বাম দিকে লাল গ্রহটির উত্তর মেরু। ভোরের সূর্যের আলোর মতো উজ্জ্বল মধ্যভাগ হচ্ছে ‘অলিম্পাস মুন’। এটি সৌর জগতের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। আর ডান পাশে দিন ও রাতের যে রেখা দেখা যাচ্ছে সেটিকে বলা হয় টার্মিনেটর।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মঙ্গল অভিযানে পাঠানো মহাকাশযান হোপ রোববার প্রথমবারের মতো লাল গ্রহের ছবি পাঠিয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে অভিযান শুরুর সাত মাস পর গত মঙ্গলবার মহাকাশযানটি মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়।
এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত পঞ্চম শক্তিতে পরিণত হলো, যারা মহাকাশে গবেষণার জন্য মঙ্গলে যান পাঠিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইউরোপ এবং ভারত 'লাল গ্রহ' নামের গ্রহটিতে অভিযান চালিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মহাকাশযানটি মঙ্গলের কক্ষপথের একটি বড় এলাকায় অবস্থান করছে। এতে গ্রহটির আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে গবেষণা সহজ হবে। সেই সঙ্গে মহাকাশযানের চোখ দিয়ে পুরো গ্রহটিকে এক নজরে দেখা যাবে।
মঙ্গলের সুস্পষ্ট ছবি তুলতে গ্রহের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে মহাকাশযান হোপ। সেখান থেকে একটি রোবট মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণের কথা রয়েছে।
মঙ্গলপৃষ্ঠের ২৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার ওপর থেকে বুধবার হোপের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলা হয়েছে। ছবিটির ওপরের বাম দিকে লাল গ্রহটির উত্তর মেরু। ভোরের সূর্যের আলোর মতো উজ্জ্বল মধ্যভাগ হচ্ছে ‘অলিম্পাস মুন’। এটি সৌর জগতের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। আর ডান পাশে দিন ও রাতের যে রেখা দেখা যাচ্ছে, সেটিকে বলা হয় টার্মিনেটর।
আমিরাতের বিজ্ঞানীরা হোপের পাঠানো তথ্য নিয়ে মঙ্গলের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করবেন। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে লাল গ্রহ মানুষের বসতিস্থাপনের যোগ্য কি না তার উত্তর খুঁজবেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে হোপ মহাকাশযান পরীক্ষা করে দেখবে, মঙ্গলে একসময় থাকা প্রচুর পানি কোথায় হারিয়ে গেছে। মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের ক্ষুদ্রতম একক বা নিউট্রাল অ্যাটম সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা চালানো হবে।
গত বছরের ২০ জুলাই জাপানের তানিগাশিমা স্পেসপোর্ট থেকে উৎক্ষেপণের পর ঘণ্টায় ১ লাখ ২০ কিলোমিটার গতিতে মঙ্গলগ্রহের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন কিলোমিটার পাড়ি দিতে এটির সময় লেগেছে প্রায় সাত মাস।
এর আগে চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি চীনের মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়। ছবির পর লালগ্রহের একটি ভিডিও পাঠিয়েছে তিয়ানওয়েন-১। ভিডিওতে গ্রহটির পৃষ্ঠের সাদা গর্ত চোখে পড়ে। মঙ্গলের চারপাশে মহাকাশযানটি ঘোরার কারণে ভিডিওর দৃশ্য আলো থেকে অন্ধকারে পরিবর্তিত হতে দেখা যায়।
এই ভিডিও বিশ্লেষণ করে গ্রহটির মাটি ও বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি মঙ্গলের ছবি সংগ্রহ, মানচিত্র তৈরি ও অতীত প্রাণের চিহ্নের খোঁজ করে ২০২২ সালে একটি মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য চীনের।
ফেসবুকের অ্যানরয়েডভিত্তিক স্মার্টওয়াচ।
অ্যাপল, হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেক্কা দেয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ ফেসবুকের। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারের ৫৫ শতাংশই রয়েছে অ্যাপলের দখলে। এরপরই রয়েছে স্যামসাং ও গুগল।
অ্যান্ডয়েডভিত্তিক স্মার্টওয়াচ তৈরি করছে ফেসবুক, যার মাধ্যমে খুদেবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও ফিটনেস-বিষয়ক সেবাও পাবেন ব্যবহারকারীরা।
আগামী বছর এই ডিভাইসটি বাজারে আসতে পারে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ফেসবুক। পুরো বিষয়টিই হচ্ছে ভীষণ গোপনীয়তায়।
অ্যাপল, হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেক্কা দেয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ ফেসবুকের। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারের ৫৫ শতাংশই রয়েছে অ্যাপলের দখলে। এরপরই রয়েছে স্যামসাং ও গুগল।
বলা হচ্ছে, সেলুলার সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেটে কাজ করবে ফেসবুকের স্মার্টওয়াচ। ফলে বার্তা পাঠানোর সুযোগ তো থাকছেই; পাশাপাশি আরও অনেক কাজ করা যাবে কোনো স্মার্টফোন ছাড়াই।
স্বাস্থ্য ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গেও এর সংযোগ স্থাপন করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে গুগল অ্যান্ডয়েডের ওপেন-সোর্স সংস্করণের মাধ্যমে পরিচালিত হবে নতুন এ স্মার্টফোন। যদিও ধীরে ধীরে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি ফেসবুকের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
নতুন স্মার্টফোনের মাধ্যমে অ্যাপল ও গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে ফেসবুকের। যদিও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে অকুলাস ভিআর হেডসেট এবং পোর্টাল ভিডিও-স্ট্রিমিং ডিভাইসসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে ফেসবুক। হার্ডওয়্যার উৎপাদনের বাজারে আত্মনির্ভরশীল হতে এসব প্রকল্প হাতে নিলেও খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য