× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
The name is all about the league
google_news print-icon

নামসর্বস্ব আরও যত ‘লীগ’

নামসর্বস্ব-আরও-যত-লীগ
নামসর্বস্ব অর্ধশতাধিক সংগঠনের কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ
নামের সঙ্গে ‘লীগ’ শব্দটি যুক্ত করে গজিয়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত সংগঠন। কোনো কোনোটির প্যাডে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানাও ব্যবহার করা হচ্ছে। দলের নেতারা বলছেন, এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।   

সাংগঠনিক প্যাডে ঠিকানা দেয়া ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, যেটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সংগঠনের নামের সঙ্গেও যোগ করা হয়েছে ‘লীগ’ শব্দটি– বাংলাদেশ জনতা লীগ।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না থাকার পরেও নিজেদের এই দলের অঙ্গসংগঠন বলে দাবি করেন এটির নেতারা। সম্প্রতি দেশের ৩০ জেলায় কমিটিও ঘোষণা করেছে এই সংগঠন।

অবশ্য এ ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠনের কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে, এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্প্রতি ফেসবুকে নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন পোস্ট করে বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠন। এটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নাম আসে হেলেনা জাহাঙ্গীরের। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহবুব মনিরকে।

পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনটির দাবি, দুই-তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

এ নিয়ে শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এর পরের দিনই হেলেনাকে দলের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়। তবে এ রকম আরও কয়েকটি সংগঠনের খোঁজ পেয়েছে নিউজবাংলা।

এ রকমই একটি সংগঠন বাংলাদেশ জনতা লীগ। সংগঠনটির দাবি, তারা আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন ত্রাণকাজ পরিচালনা করে থাকে। আর এ জন্যই দলের ঠিকানাও দেয়া হয়েছে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন হাওলাদার মঞ্জু নিউজবাংলার কাছে স্বীকার করেছেন, এটি আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। এমনকি এর কোনো অনুমোদনও নেই।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন না। সহযোগী সংগঠন তো অল্প কয়েকটি। এটা ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেবামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠনের মাধ্যমে করি। যেমন ত্রাণ দেয়া, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নেয়া এগুলো আমরা করি।’

২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ঠিকানা কেন, জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, ‘আসলে নতুন যে সংগঠনগুলো কাজ করে আওয়ামী লীগের হয়ে, তারা মূলত এই ঠিকানাই দেয়। আমাদের এমনিতে আঞ্চলিক অফিস হলো গাজীপুরে। আমি নিজেও সেখানে থাকি।

‘আসলে সংগঠনটি ২০২০ সালে করা। এখনও এক বছরও হয়নি। একটা সংগঠন পরিচিতি পেতেও তো দুই-চার-পাঁচ বছর যায়, দল যখন ভালো মনে করবে, মানে এটার যদি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, তখন দেবে। নিবন্ধন যেভাবে সরকারের আইন অনুযায়ী করা হয়, সেটাও আমরা সামনে করব। মহানগর-জেলা মিলিয়ে প্রায় ৩০টির কাছাকাছি কমিটি করেছি।’

নামসর্বস্ব আরও যত ‘লীগ’

আওয়ামী তরুণ জনতা লীগ

এ রকম আরেকটি সংগঠনের সন্ধান মিলেছে, যার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ জনতা লীগ। তাদেরও সাংগঠনিক প্যাডে ঠিকানা দেয়া আছে ২৬ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। যদিও সেখানে সংগঠনটির ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া গেল না। সংগঠনটির দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে যারা পদ পাচ্ছেন না, তাদের পদ দিচ্ছে এই সংগঠন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন জুয়েল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের কোনো নিবন্ধিত সংগঠন না। আমি অনেস্টলি বলছি। এটা নিবন্ধিতও না বা এটার আওয়ামী লীগে কোনো অনুমোদনও নেই।

‘যারা দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ বা যুবলীগ বা আওয়ামী লীগে কোনো পদ পাচ্ছে না… আমাদের তো একটা দলীয় কার্যক্রম চালাতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি, থাকতে চাই। আমি আগে বুঝি নাই যে, এটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হবে। আগে যদি জানতাম তাহলে এটা করতামই না।’

সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় কমিটি দিয়েছে ২০১৮ সালে তৈরি হওয়া এই সংগঠন। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, এতে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।

আল মামুন জুয়েল বলেন, ‘কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, কয়েক জায়গায় আমরা যে কমিটি করেছি, সেখানে কোনো টাকাপয়সা লেনদেন হয়েছে, আমাদের যে শাস্তি দেয়া হবে, আমরা মাথা পেতে নেব। আমরা দলীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চাই দেখেই এটা করেছিলাম।’

নামসর্বস্ব আরও যত ‘লীগ’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ

আওয়ামী লীগ নেতারা যা বলছেন

এসব নামসর্বস্ব লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হচ্ছে যুবলীগ, মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মৎস্যজীবী লীগ। জাতীয় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ হলো দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। আর মহিলা শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আওয়ামী লীগের ‘নীতিগত’ অনুমোদিত সংগঠন।

তবে নামের সঙ্গে ‘লীগ’ শব্দটি যুক্ত করে সংগঠন পরিচালনা করছে অন্তত অর্ধশত সংগঠন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ ইলেকট্রিক লীগ, নাপিত লীগ, ফকির লীগ, প্রবীণ লীগ, ডিজিটাল লীগ, রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ ও ছিন্নমূল হকার্স লীগ।

এসব সংগঠনকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি সহযোগী সংগঠন ছাড়া বাকি যেগুলো আছে, আওয়ামী লীগের নামে বিভিন্নজন করেছে, এগুলোর কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই।

‘এরা বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নামটা ব্যবহার করে তাদের সুবিধা ভোগ করার জন্য অবৈধ এ পন্থা অবলম্বন করেছে। এদের বিরুদ্ধে আগেও আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। প্রশাসনকে সে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে সময় অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার এ রকম কয়েকটি সংগঠনের নাম শোনা যাচ্ছে।’

এ ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য খুব সতর্কবার্তা, এ ধরনের অসাংগঠনিক কার্যক্রমে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

‘তারা যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব বন্ধ না করে, যেখানে-যেখানে পোস্টার ব্যানার দেয়া আছে, এগুলো না সরায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
আহ্বায়ক হয়েই অবাঞ্ছিত আওয়ামী লীগ নেতা
জাপানের কানসাইয়ে আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
তৃণমূলে ফিরছে আওয়ামী লীগ
আ. লীগ নেতাকে মারধর মামলায় যুবলীগ নেতা জেলে
করোনায় আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি স্থগিত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Customers of Janata Bank Tamai branch also have money
ক্যাশভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’ আটকের পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ব্যাংক ম্যানেজার আল আমিনসহ তিনজন। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জিমাফিক কার্যক্রম চালিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন। একে একে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। অনেক গ্রাহকের হিসাবের টাকাও তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি হিসাবে গরমিলের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই শেষ কথা নয়?

ব্যাংকিং নিয়মে নয়, নিজের বানানো নিয়মে ব্যাংকের কার্যক্রম চালাতেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন। নিজের ইচ্ছেমতো গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতেন।

এদিকে ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হদিস এখনও মেলিনি।

বুধবার সকালে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের হিসাবে থাকা টাকা তাদের অজান্তে তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্যাশ ভল্টের ওই পরিমাণ টাকাই শেষ কথা নয়? গ্রাহকদের অজান্তে তাদের হিসাবে জমা বিপুল পরিমাণ টাকাও হাতিয়ে নেয়া হয়েছে?

শাখাটিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের কথা হয় তামাই বাজারের মেসার্স মুসলিম উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব জোয়ারদারের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার একটি ৪৮ লাখ টাকার সিসি লোন করা ছিল। তবে তিনি এখনও লোনটি উত্তোলন করেননি। অথচ তার ব্যাংক হিসাব ঘেটে দেখা যায় যে তিনি পুরো টাকাই উত্তোলন করেছেন। তার এই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তার সিরিয়ালের চেক ব্যবহার করা হয়নি। অন্য একটি চেকে ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় মোতালেব জোয়ারদার হতবাক! এ অবস্থায় তার করণীয় কী হতে পারে বুঝতে পারছেন না।

শুধু আব্দুল মোতালেব নন, আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী চান টেক্সটাইলের আকন্দের হিসাব থেকে তার অজান্তেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। আল ফারুক স্টোরের শহিদুল ইসলামের ২৪ লাখ টাকার সিসি লোনের মধ্যে তার অজান্তেই চেক জালিয়াতে করে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাবেও এমন জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসছে। ঝিন্না মোল্লার ব্যক্তিগত হিসাবে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু ওই হিসাবে আছে মাত্র এক লাখ ৫ হাজার ১১২ টাকা।

তাৎপর্যের বিষয় হল, এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার কথা থাকলেও কোন এসএমএস আসেনি। গ্রাহকরা এ বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাদেরকে জানান- সার্ভারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহক এসএমএস পাচ্ছেন না।

বুধবার সকালে দেখা যায়, তামাই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাঁচজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন- ব্যাংকের এসপিও মোস্তফা কামাল, সিনিয়র অফিসার মাসুদুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জিত কুমার।

এর আগে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তামাই শাখার ক্যাজুয়াল পিয়ন শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৭ /৮ মাস ধরে শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিনের কথা অনুসারে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের চেকে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যবস্থাপকের কথায় অনেক জমা ভাউচারেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন।

কেন স্বাক্ষর করেছেন- এমন প্রশ্নে শহিদুল বলেন, ‘আমরা তাদের চাকরি করি। তিনি যা অর্ডার করতেন আমাদের তাই করতে হতো। আমি তো শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তার আইডির মাধ্যমে টাকাগুলো দেয়া হতো। অনেক সময় গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকলেও ম্যানেজার নিজে এসে তাদের টাকা দিতেন।’

এসব বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে স্যাররাই ব্যবস্থা নেবেন।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এজিএম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিক কত টাকা গরমিল হয়েছে তার তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে হেড অফিস সিদ্ধান্ত নেবে। যেসব গ্রাহকের হিসাবে ঝামেলা হয়েছে তাদেরকে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ব্যাংকের বিপুল টাকার হদিস না পাওয়ার এই ঘটনায় রোববার রাতে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম।

আল আমিন সিরাজগঞ্জের ধানবান্দি পৌর এলাকার মো. হারান শেখের ছেলে, রেজাউল করিম বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রোববার জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়ে।

পরে এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হিসাব অনুসারে ভল্টে মোট ৭ কোটি ১১ লাখ ২৪০ টাকা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো খোঁজ মেলেনি।

মন্তব্য

রাজনীতি
Matikhekora chose the darkness of the night by changing tactics

কৌশল পাল্টে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে মাটিখেকোরা

কৌশল পাল্টে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে মাটিখেকোরা দিনের আলোতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের ঝক্কি এড়াতে রানীনগরে রাতের আধাঁরে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। ছবি: নিউজবাংলা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন জানান, রাতে মাটি কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। তা না হলে রাতে খবর পেয়ে পুলিশের লোকেরা দফায় দফায় ভেকু মেশিনের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়।

নওগাঁর রাণীনগরে কোনোভাবেই থামছে না কৃষি জমির মাটি লোপাট। দিনের আলোতে প্রশাসনের হানা দেয়ার ভয় থাকার কারণে কৌশল পাল্টেছে মাটিখেকোরা। দিনের আলো ফুরাতেই শুরু হচ্ছে মাটি কাটার মহোৎসব।

একটি মেশিনের জায়গায় বর্তমানে একই স্থানে একাধিক মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে সরকারি খাস জমির মাটি। এতে কৃষিজমি হারানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক।

পরিবেশ ও মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে দ্রুত প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দিন ও রাতের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গিয়ে দেখা যায়, মিরাট ইউনিয়নের ২ নম্বর স্লুইস গেট সংলগ্ন স্থানে আতাইকুলা মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংলগ্ন স্থানে সরকারি খাস জমির সঙ্গে কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বছরে ১৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে বন্ধক নিয়ে সেখানে পুকুর খনন করা হচ্ছে।

মাসখানেক আগে ‘অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা’- এমন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ট্রাক্টরচালককে কারাদণ্ড দেন। পরে সেখানে গিয়ে সরকারি খাস জমির একটি সাইনবোর্ড এবং সরকারি জমি পরিমাপ করে লাল ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করে আসেন উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন।

কৌশল পাল্টে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে মাটিখেকোরা
সরকারি জমি-সংক্রান্ত সাইনবোর্ড থাকলেও তার পাশ থেকেই চলছে মাটি কাটার উৎসব। ছবি: নিউজবাংলা

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ঘটনার কয়েকদিন পর উপজেলার কুজাইল এলাকার সর্বরামপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জনৈক রাজনৈতিক নেতাকে ‘ম্যানেজ করে’, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে কৌশল পাল্টে রাতে মাটি কাটা শুরু করেছে। তার পর থেকে বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। ফলে রাতের আঁধারে দেদারছে সরকারি খাস জমিসহ কৃষি জমি গর্ত করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বড় বড় ড্রাম ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও প্রধান পাকা সড়কগুলো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাক থেকে সড়কে মাটি পড়ার কারণে তা যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। তাছাড়া গাড়ির নিয়ন্ত্রণে বেগ পাওয়ায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন জানান, রাতে মাটি কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। তা না হলে রাতে খবর পেয়ে পুলিশের লোকেরা দফায় দফায় ভেকু মেশিনের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়। পরে সন্ধির মাধ্যমে চাবি ফিরিয়ে দেয়।

তাদের দাবি, এতো ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতেই স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

কৌশল পাল্টে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে মাটিখেকোরা

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ওই স্থানে কিছু খাস জমি হয়ত আছে। তবে জমির মালিকরা আমার সঙ্গে চুক্তি করে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি মাটির বিনিময়ে তাদের জমি খনন করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে কি না, এই বিষয়ে জমির মালিকরা জানেন। অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না, তা তারা বলতে পারবেন।’

তবে রাতে মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় প্রশাসন হানা দেয়, তাই রাতে মাটি কাটা হচ্ছে।’

মিরাট ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ওই জমি থেকে মাটি কাটা নিয়ে একটি মামলা চলছিল। পরে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’

তবে মাটিখেকোরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই হয়ত রাতে মাটি কাটছে বলে ধারণা তার।

কৌশল পাল্টে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে মাটিখেকোরা

রানীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, ‘পুলিশ শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে। কে কোথায় মাটি কাটছে, সেই বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভূমি অফিস।

‘পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এমন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ইউএনও উম্মে তাবাসসুম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে মাটিকাটা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি তিনি মাটি কাটা বন্ধ না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

রাজনীতি
46 bridges in one kilometer canal

খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু

খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু ব্যক্তিগত উদ্যোগে একের পর এক সেতু নির্মিত হয়ে চলেছে খালটির ওপর। ছবি: নিউজবাংলা
সোনাইমুড়ি পৌরসভা মেয়র নুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার জনগণ খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করছে এটা সত্য। তবে এতে আমার কিছুই করার নেই।’

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চলছে খাল দখলের মহোৎসব। খাল দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেট ও বসতবাড়ি। এছাড়া সোনাইমুড়ী-ছাতারপাইয়া খালের ১ কিলোমিটারের মধ্যেই অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে ৪৪টি সেতু। বর্তমানে খালে বাঁধ দিয়ে নতুন করে কংক্রিটের পিলার নির্মাণ করে আরও ২টি সেতু বাড়ানোর তৎপরতা চলছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, সোনাইমুড়ী জোড় পোল থেকে ছাতার পাইয়া সড়কের পাশে ঘেঁষে বয়ে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সোনাইমুড়ী-ছাতারপাইয়া খাল। খালটির দৈর্ঘ্য ৪.৩৫০ কিলোমিটার।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে গত শীত মৌসুমে প্রথমবারের মতো খালটি খননের কথা থাকলেও অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এ খাল।

একইসঙ্গে খালের মুখে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন সেতু তৈরি করে কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পানির প্রবাহ। ফলে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি হলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে ৪৩ হাজার ৯০০টি কৃষক পরিবার রয়েছে। সেচ-নির্ভর বোরো ধান চাষের আবাদি জমি রয়েছে ১০ হাজার ১০ হেক্টর। কিন্তু চলতি বছরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে। সেগুলোতে পানি দেয়ার জন্য শক্তিশালী সেচ যন্ত্র রয়েছে ২ হাজার ২৬২টি।

দীর্ঘ সময় ধরে এ খালটি খনন না করায় শুকনো মৌসুমে শুকিয়ে যায় খালটি। ফলে পানির অভাবে খালের দুপাশের কৃষিজমিতে বোরো ধানচাষ ব্যাহত হচ্ছে। যেটুকু পানি প্রবাহিত হতো সেটাও দখলের কারণে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি সেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু
সেতুর প্রকোপে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী জোড়া পোল থেকে শুরু হওয়া খালের ওপরে প্রায় ১০০টি দোকান তুলে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। মার্কেটের পর থেকে বাকি ১ কিলোমিটার খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৪৪টি সেতু। এর মধ্যে ইট-পাথর দিয়ে নির্মিত হয়েছে ২৫টি সেতু, যেগুলোর কারণে খালের পানি চলাচল স্থবির হয়ে গেছে। অথচ এই ২৫ সেতুর মধ্যে জনসাধারণের চলাচলে ব্যবহার হয় মাত্র ৫টি, বাকি ২০টি সেতু ব্যবহার হয় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে।

এগুলো ছাড়াও খালটির ওপর কাঠ, বাঁশ ও পিলার দিয়ে ১৮টি এবং ইস্পাত দিয়ে নির্মিত হয়েছে ৩টি সেতু।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের ওপর সেতু নির্মাণ করছেন পেয়ারা বেগম নামের এক নারী। তিনি নিজেকে সোনাইমুড়ী পৌর সভার ওয়ার্ড কাউন্সিল হাফেজ দুলালের বোন হিসেবে পরিচয় দেন। খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের প্রতিবাদ করলে তিনি ‘মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন’ বলে থাকেন।

এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তারা হাফেজ দুলালের সঙ্গে এসে নাকি এ জায়গাটিও পরিদর্শন করে অনুমতি দিয়ে গেছেন। এমনকি ওইসব কর্মকর্তাকে চা-পানের খরচও দিয়েছেন ওই নারী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়রের অনুমোদনের লিখিত কোনো কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন পেয়ারা বেগম।

খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু
খালটির ওপর নতুন করে দুটি ব্রিজের কাজ চলমান। ছবি: নিউজবাংলা

পেয়ারা বেগমের নির্মাণাধীন সেতুর অদূরেই একই এলাকার ওমর ফারুক তার বাড়ির সামনের খালের ওপরে সেতু ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরকারি অনুমোদন রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পৌর মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। মেয়রের নাতি শামীম সেতু নির্মাণের কাজ তত্ত্বাবধায়ন করছেন।

তিনিও অনুমোদনের লিখিত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।

এছাড়া ওই এলাকার বাসিন্দা তারেক, তোফাজ্জল মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুর রহমানসহ ২৫ জন ব্যক্তি খালের ওপর ব্যক্তি উদ্যোগে সেতু নির্মাণ করেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই খাল স্বাধীনতার পরে কখনও খনন হয়নি। আর দখলের কারণে দিনে-দিনে সেটি আরও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে কৃষি জমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। খালটির পানি প্রবাহের পথরোধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কৃষি জমিতে পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সে সময় আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে থাকে।

খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু

সোনাইমুড়ী পৌর তহসিলদার আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, খালের ওপর অনুমতি না নিয়েই সেতু নির্মাণের বিষয়টি তিনি জানতেন না। পরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

নোয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, সোনাইমুড়ী বাজার হয়ে ৫০০ মিটার খাল খননের আওতায় আসেনি। অবৈধ স্থাপনার কারণে সেখানে খননকাজ চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে খালের ওপর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বর্তমানে দুটি সেতুর কাজ নির্মাণাধীন আর বাকিগুলো আগেই নির্মিত হয়েছিল।’

সোনাইমুড়ি পৌরসভা মেয়র নুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার জনগণ খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করছে এটা সত্য। তবে এতে আমার কিছুই করার নেই।’

আরও পড়ুন:
সরকারি খালে পারিবারিক সেতু

মন্তব্য

রাজনীতি
Petrol diesel price in India has been reduced by Rs

নির্বাচনের আগে পেট্রল ডিজেলের দাম কমাল ভারত

নির্বাচনের আগে পেট্রল ডিজেলের দাম কমাল ভারত ভারতের একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িতে ভরা হচ্ছে জ্বালানি তেল। ছবি: এনডিটিভি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হারদিপ সিং জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল ও ডিজেলের দাম দুই রুপি করে কমিয়েছে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হারদিপ সিং জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল ও ডিজেলের দাম দুই রুপি করে কমিয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জ্বালানি তেলের সমন্বয়কৃত এ মূল্য কার্যকর হয় শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে।

জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে মন্ত্রী হারদিপ সিং বলেন, ‘পেট্রল ও ডিজেলের দাম দুই রুপি কমিয়ে দেশের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী মোদি আবার প্রমাণ করলেন, কোটি কোটি ভারতীয়র পরিবারের কল্যাণ ও সুবিধা দেখাই সবসময় তার লক্ষ্য।’

মন্ত্রী বলেন, ১৪ মার্চ ভারতে পেট্রলের লিটারপ্রতি গড় দাম ছিল ৯৪ রুপি, যেখানে ইতালিতে ১৬৮ দশমিক ০১ রুপি, ফ্রান্সে ১৬৬ দশমিক ৮৭ রুপি এবং জার্মানিতে ছিল ১৬৬ দশমিক ৮৭ রুপি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারদিপ সিং বলেছিলেন, অশোধিত তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা থাকায় জ্বালানির দাম কমছে না নিকট ভবিষ্যতে।

ভারতে জ্বালানি তেলের হ্রাসকৃত মূল্যে নগরভেদে তারতম্য থাকবে। দেশটির পেট্রলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, সমন্বয়কৃত মূল্য অনুযায়ী, দিল্লিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম পড়বে ৮৭ দশমিক ৬২ রুপি, যা আগে ছিল ৮৯ দশমিক ৬২ রুপি।

অন্যদিকে ভারতের রাজধানী শহরে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম পড়বে ৯৪ দশমিক ৭২ রুপি, যা আগে ছিল ৯৬ দশমিক ৭২ রুপি।

আরও পড়ুন:
মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দুই-এক দিনের মধ্যে
সয়াবিনের লিটার ১৬৩ টাকার বেশি হলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

রাজনীতি
Police cars tested for fitness on highways are unfit

মহাসড়কে ফিটনেস পরীক্ষা করা পুলিশের গাড়িই ফিটনেসহীন

মহাসড়কে ফিটনেস পরীক্ষা করা পুলিশের গাড়িই ফিটনেসহীন ফিটনেসবিহীন এই গাড়িতে চড়েই মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষায় নামে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমাদের হাইওয়ে থানাগুলোতে পুরনো গাড়ি রয়েছে। তবে সেই গাড়িগুলো পরির্বতনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্য সব হাইওয়ে থানায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নতুন গাড়ি যুক্ত হবে।’

ফিটনেসবিহীন গাড়িতে চড়ে হাইওয়ে পুলিশ চেক করছে গাড়ির ফিটনেস। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে নিয়মিত টহলে যাচ্ছে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ফিটনেসবিহীন গাড়িতে চড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরবের শেষ প্রান্তে নরসিংদী জেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় একটি লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িতে টহল দিচ্ছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য।

গাড়িটির রং নষ্ট হয়ে গেছে। সামনের দুটি হেডলাইট থাকলেও ডান-বাঁমে মোড় নির্দেশক বাতি নেই। ইঞ্জিনের সামনের অংশ ভাঙা। কয়েক জায়গায় তার দিয়ে বাঁধা। কিছু অংশে ঝালাই দেয়া। সামনের দুই দরজা নড়বড়ে, লক ভাঙা। চলছেও খুব ধীরগতিতে।

মহাসড়কে ফিটনেস পরীক্ষা করা পুলিশের গাড়িই ফিটনেসহীন

পুলিশের ওই গাড়ির চালক তাজুল ইসলাম জানান, গাড়িটি অনেক পুরনো। মাঝেমধ্যেই পথে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন সবাই মিলে ধাক্কা দিয়ে চালু করতে হয়। এভাবেই প্রতিদিন মহাসড়কে টহল দিতে ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি নিয়ে বের হতে হয় তাদের।

টহলে থাকা ভৈরব হাইওয়ে থানার এসআই আবু জাফর শামসুদ্দিন বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়েই ফিটনেসবিহীন গাড়িতে চড়ে প্রতিদিন ডিউটিতে যেতে হয়। থানায় আরও দুটি গাড়ি আছে। তবে সে দুটিরও একই অবস্থা।’

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিঞা বলেন, ‘শুধু আমাদের থানার গাড়ির অবস্থা খারাপ তা নয়। দেশের অধিকাংশ হাইওয়ে থানার গাড়িরই বেহাল অবস্থা। ফিটনেসবিহীন গাড়িতেই চলতে হচ্ছে।

‘তবে দুটি গাড়ির বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি আমাদের থানায় খুব দ্রুতই নতুন গাড়ি যুক্ত হবে।’

এ বিষয়ে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমাদের হাইওয়ে থানাগুলোতে পুরনো গাড়ি রয়েছে। তবে সেই গাড়িগুলো পরির্বতনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্য সব হাইওয়ে থানায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নতুন গাড়ি যুক্ত হবে।’

মন্তব্য

রাজনীতি
Organized rape of schoolgirl OC took the side of the guilty?

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েছেন ওসি?

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েছেন ওসি? সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত পারভেজ হোসেন (বাঁয়ে) ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান। কোলাজ: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা না নিয়ে ওসি তাদের পাঠিয়ে দেন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশও দেন তিনি। পরে চেয়ারম্যান মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে আদালতের দারস্ত হন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ছয়জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ঘটনার ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় মাস পেরুলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অভিযুক্তরা। ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলেও তা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খানের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা না নিয়ে ওসি তাদের পাঠিয়ে দেন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশও দেন তিনি।

পরে চেয়ারম্যান মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে আদালতের দারস্ত হন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ওসি শফিউল আজম খানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে পূর্ব পরিচয় থাকা বাগাতিপাড়ার দশম শ্রেণীর স্কুলশিক্ষার্থীকে কৌশলে ডেকে নেয় পাশ্বকর্তী বড়াইগ্রামের আটঘরিয়া গ্রামের পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। পথিমধ্যে নির্জন রাস্তায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই অপেক্ষমান পারভেজ ও তার পাঁচ বন্ধু সাগর, মোহন, প্রসনজিৎ, রতন ও কৃষ্ণ মিলে ভুক্তভোগীকে মুখ চেপে ধরে পাশের পেয়ারা বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়াসহ ঘটনাটি জানাজানি হলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাও দেয়া হয়।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করতে গেলে ওসি শফিউল আজম খান মামলা না নিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেন জোয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবরের কাছে। ওসির কথামতো সেখানে কয়েক দফায় আপস-মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। এরমধ্যে বারবার মিমাংসার আশ্বাস, ওসি ও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভুক্তভোগীর পরিবার। এভাবে কেটে যায় আরও কিছুদিন।

মামলা না নিয়ে আপস-মিমাংসায় ওসির অপতৎপরতার কথা উঠে আসে ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কথায়। তবে নিজের প্রতি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি শফিউল।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘থানায় গিয়ে আমার মেয়ের ওপর নির্মম নির্যাতনের কথা বলতেই ওসি বলেন- এটা কোনো বিষয়ই না। মামলা নেয়া যাবে না। আপনারা চলে যান।

‘ওসির এমন কথায় চিন্তায় পড়ে যাই। শেষে ওসির কথামতো চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম। চেয়ারম্যানও কোনো সমাধান দিতে পারল না। শেষমেষ কোর্টে গিয়ে মামলা করি।’

ভুক্তভোগীর দুলাভাই বলেন, ‘মামলা করতে থানায় গেলে মামলা না নিয়ে বরং ধমক দিয়ে বের করে দেন ওসি।’

জোয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, ‘ফোন করে ওসি আমাকে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে ধর্ষণের বিষয়টি মিমাংসা করে দিতে বলেন। ওসির কথামতো বাদী-বিবাদী দুপক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা বসেও বিষয়টি সামাধান করতে পারিনি। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।’

বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। বারবার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মামলা করাতে পারেনি পুলিশ।’

এ সময় চেয়ারম্যানকে দিয়ে আপস-মিমাংসার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেন তাদের স্বজনরাও।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না নেয়াসহ পুলিশের কারও কোনো গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, বুধবার আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেয়েছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্বামীকে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বাকে ‘ধর্ষণ’: ৫ দিনেও গ্রেপ্তার নেই
খুবির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন 
যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাবি শিক্ষক জনি বরখাস্ত
চোখে ঠোটে সুপার গ্লু লাগিয়ে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণের মূল আসামি’ গ্রেপ্তার

মন্তব্য

রাজনীতি
The young woman who complained of rape is not the pressure of influential people or an arranged drama

ধর্ষণের অভিযোগকারী তরুণী নিরুদ্দেশ, প্রভাবশালীদের চাপ নাকি সাজানো নাটক!

ধর্ষণের অভিযোগকারী তরুণী নিরুদ্দেশ, প্রভাবশালীদের চাপ নাকি সাজানো নাটক! খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ (বাঁয়ে); অভিযোগকারী তরুণী। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি, সেখান থেকে অভিযোগকারীর লোকজনের মাধ্যমে অপহরণ এবং উদ্ধারের পর থানা থেকে বেরিয়েই নিরুদ্দেশ তরুণী। এদিকে ঘটনাক্রমের সঙ্গে অভিযোগেও মিলছে অসঙ্গতি। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে- ওই তরুণী প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে আত্মগোপন করেছেন নাকি পুরো ঘটনাটাই সাজানো?

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীর কোনো খোঁজ মিলছে না। প্রভাবশালীদের চাপে ওই তরুণী আত্মগোপনে রয়েছেন নাকি তার আনা অভিযোগগুলো সাজানো ছিলো তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দেশ জুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়া সংবেদনশীল এই অভিযোগ তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নারাজ।

ঘটনার শুরু শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। ওই সময়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে নিয়ে আসেন তিন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী গোলাম রসুল দাবি করেন, ওই তরুণী তার বোন। উপজেলা চেয়্যারম্যান এজাজ আহমেদ বিয়ের প্রলোভনে কয়েক বছর ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতেও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

গোলাম রসুলের এমন বক্তব্যের বরাতে তাৎক্ষণিক এই খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তরুণীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। তবে পরদিন রোববার সকাল থেকে আর দেখে মেলেনি ভাই পরিচয় দেয়া গোলাম রসুলের।

এই প্রতিবেদক ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন যে গোলাম রসুল নামে তাদের পরিচিত কেউ নেই। গোলাম রসুলের ছবি দেখালেও তারা কেউ চিনতে পারেননি।

মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে ডুমুরিয়াতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেখা মিলেছে গোলাম রসুলের। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে ভুল বুঝিয়ে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আমার নাম দিয়ে কৌশলে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। আমি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থী। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ওই তরুণী যদি ধর্ষণের শিকার হন তা হলে পুলিশ বা পরিবারের সহায়তা না নিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কেন হাসপাতালে এলেন- এই প্রশ্নের কোনো উত্তরও মিলছে না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাত্র ১৪ মিনিট আগেও পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে ওই তরুণী কথা বলেন। সে সময়ও তিনি ধর্ষণের ব্যাপারে কোনো তথ্য তাদেরকে জানাননি।

তরুণীর নানীর সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর এক প্রতিবেশী ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তরুণী রাজি না হওয়ায় ওই ব্যক্তি নানা সময়ে হয়রানি করেছেন। এক পর্যায়ে তরুণীর বিরুদ্ধে তিনটি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলাও করেছেন ওই ব্যক্তি। ওই মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে আইনজীবীর সহায়তা নেয়ার জন্য তরুণী বিভিন্ন সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের কাছে যেতেন।

শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমার নাতনী জানায় যে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে আইনজীবী এসেছে। মামলার বিষয়ে কথা বলতে এখনই শাহপুর বাজারে যেতে হবে। এই বলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।’

তরুণীর নানী জানান, রাত ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পরিচয়ে এক ব্যক্তি প্রতিবেশী আব্দুলাহর কাছে মোবাইলে কল দিয়ে জানান যে ওই তরুণী এত রাতে একাকী বাড়ি ফিরতে পারবে না। রাতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঘুমাবে।

তবে রাত ১২টার দিকে আরেক প্রতিবেশী এসে তাকে জানান, তার নাতনী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওই খবর পেয়ে তরুণীর মা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রতিবেশী আব্দুলাহর কাছে যে ফোন কলটি এসেছিল, তার রেকর্ড সংরক্ষিত আছে এই প্রতিবেদকের কাছে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফোনের অপর প্রান্তের কণ্ঠটি উপজেলা চেয়ারম্যানের নয়। আর কলটি এসেছিল রাত ১১টা ১ মিনিটে। আর তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১টা ১৫ মিনিটে।

যে স্থানে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেখান থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের বেশি। এই সীমিত সময়ে ধর্ষণ ও হাসপাতালে পৌঁছানোও সম্ভব নয়।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে- ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বলছেন যে শাহপুর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তাকে ওই রাতে ধর্ষণ করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন এই প্রতিবেদক। শাহপুর বাজারে তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। ওই বাজারের মাঝখানে দোতলা একটি ভবনের নিচতলায় চেয়ারম্যানের কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের পাশে আরও প্রায় ২০টি দোকান রয়েছে। জনবহুল একটি স্থানে ধর্ষণের মতো ঘটনার পর আশপাশের দোকানদাররা জানার আগে অপরিচিত গোলাম রসুল কী করে ধর্ষণের ঘটনা জানলেন, সে প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না।

এছাড়া ওই তরুণীর মোবাইল কল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শনিবার তিনি তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে একবার। এছাড়া রাত ৮টা ৩ মিনিট ও ৮টা ২৮ মিনিটের দিকে কথা বলেছেন।

তরুণীর বাড়ি থেকে এজাজের কার্যালয়ের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। তিনি প্রতিবেশী পীর আলির ভ্যানে করে বাড়ি থেকে শাহপুর বাজারে এসেছিলেন।

পীর আলি জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তরুণীকে তিনি শাহপুর বাজারে পৌছে দেন। এরপর কী হয়েছে তা তিনি জানেন না।

অন্যদিকে তরুণীর শাহপুর বাজার থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। অর্থ্যাৎ সাড়ে ৮টার পর থেকে ১০টার মধ্যে তিনি কোথায় ছিলেন ও কাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তার কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

অপহরণের পর বদলে গেল বক্তব্য

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে শনিবার রাতে ভর্তি হন ওই তরুণী। রোববার তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে- এই খবরে সেদিন দুপুর থেকেই ওসিসির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস। উপস্থিত ছিল উপজেলা চেয়্যারম্যানপন্থী ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি। বিকেল ৫টায় ওই তরুণীকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দিয়ে মা ও মামির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওই সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে অন্যরা টানাহেঁচড়া করে ওই তরুণীসহ তার মা ও মামিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত ব্যক্তিরা মো. তৌহিদুজ্জামানকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করে।

এ ঘটনার পর মো. তৌহিদুজ্জামানকে নেয়া হয় খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায়। রাত পৌনে ১১টার দিকে সেই একই মাইক্রোবাসে করে তরুণীসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসেন তুলে নেয়া ব্যক্তিরা স্বয়ং।

ওই সময়ে তরণীর বক্তব্য পাল্টে যায়। অপহরণ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি বলেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়নি। আমি আমার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে গিয়েছিলাম।’

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে সম্পর্ক কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এজাজ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার ম্যালা দিনের সম্পর্ক। বিভিন্ন সময় সুবিধা-অসুবিধার জন্য তার কাছে যা‌ই।’

ধর্ষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, আমাকে সুযোগ দেন সুস্থ হওয়ার। তখন আপনারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদি উত্তর দিতে না পারি আমার বিরুদ্ধে লেখেন, কিছু বলব না।’

এই একই প্রশ্ন আবারও জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘কোথা থেকে কী হয়েছে না হয়েছে, আমি কিছু বলতে পারি না।’

ওই রাতে থানা থেকে আবারও ওই গাড়িতে করে অতি দ্রুতগতিতে তাদেরকে ডুমুরিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই নিরুদ্দেশ ওই তরুণী।

প্রভাবশালীদের চাপে ওই তরুণী আত্মগোপনে রয়েছেন নাকি ধর্ষণের অভিযোগটাই সাজানো ছিল- তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। যদিও ওই রাতে থানায় তিনি দাবি করেছেন, হাসপাতাল থেকে তারা যশোরের কেশবপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

তদন্তে নারাজ পুলিশ

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা জানান, ধর্ষণ কিংবা অপহরণের অভিযোগে ওই তরুণী কোনো মামলা করেননি। অন্য কেউও থানায় এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ দেননি। তাই তাদের কিছু করার নেই।

তবে ওসিসির দায়িত্বে থাকা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন রায় বলেন, ‘রোববার ডুমুরিয়া থানার ওসি ওসিসিতে এসে ওই তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

‘গাইনি ওয়ার্ডে তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার যে সোয়াব (শ্লেষ্মা) সংগ্রহ করা হয়েছিল তা পরদিন ওসিসিতে মাইক্রো বায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরিহিত পায়জামাসহ কিছু জিনিস ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য সংরক্ষণ এবং বয়স নির্ধারণের জন্য এক্স-রে করা হয়। মাইক্রো বায়োলজিক্যাল রিপোর্ট পেতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।’

মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের উচিত, বিষয়টিকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখা।’

আরও পড়ুন:
আমাকে অপহরণ করা হয়নি: খুলনার সেই তরুণী
খুমেক হাসপাতাল থেকে অপহৃত ‘ধর্ষণের শিকার’ তরুণী যশোরে উদ্ধার
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীকে হাসপাতাল থেকে ‘অপহরণ’
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মন্তব্য

p
উপরে