× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
আওয়ামী লীগ কি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাচ্ছে?
google_news print-icon

আওয়ামী লীগ কি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাচ্ছে?

আওয়ামী-লীগ-কি-অসাম্প্রদায়িক-চরিত্র-হারাচ্ছে?
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মীয় গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠার পর সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করে। ফাইল ছবি
২০০৬ সালে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে হেফাজতের ব্যাপারে নমনীয় আচরণ –গত দেড় দশক ধরে প্রশ্ন উঠছে, ধর্মনিরেপক্ষ অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সরে গেছে কিনা বা গেলে কতটুকু সরেছে। দলের নেতারা বলছেন, দল অটুট আছে। অনেকে বলছেন, ভোটের রাজনীতি প্রভাব ফেলছে। 

রাজনৈতিক দল হিসেবে বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এসেছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বা কৌশলগত যোগাযোগ ও সবশেষ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় গার্ড অব অনার দেয়া থেকে নারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরত রাখার প্রস্তাব সংক্রান্ত ইস্যুতে নতুন করে সমালোচনায় পড়েছে দলটি।

আওয়ামী লীগ তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে যাচ্ছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ ও সমালোচনা দেখা দিচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগ কখনই তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে যায়নি।

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দেওয়ায় নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিকল্প চেয়ে সম্প্রতি সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ কমিটির প্রধান আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ এবং সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। বাকি সদস্যরাও অধিকাংশই আওয়ামী লীগের।

সংসদীয় কমিটি কী করে নারী-পুরুষ বৈষম্যমূলক ও জেন্ডার স্পর্শকাতর একটি সুপারিশ করল, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। পরদিনই জাসদ নেতারা এটির তীব্র সমালোচনা করে সংসদে বক্তব্য রাখেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার এই পরামর্শ আমলে নেয়নি।

এর আগেও, ইসলামপন্থি উগ্র সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের পরও নমনীয় আচরণ করায় সমালোচনা পড়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অবশ্য হেফাজত, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করলে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় মুখ খোলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর ওই সড়কদ্বীপে ভাস্কর্য স্থাপন থেকে সরকার সরে এসেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থিদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে নমনীয় অবস্থান নিতে দেখা যায় সরকারকে।

আওয়ামী লীগ কি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাচ্ছে?
গত কয়েক বছরে দেশে ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রভাব বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট। আর সরকারও তাদের নানা দাবিতে নানা সময় নমনীয়তা দেখিয়েছে

ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনার উপলক্ষ তৈরি হয় ২০০৬ সালের নির্ধারিত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থি দল খেলাফত মজলিসের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করে। তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সে চুক্তি থেকে দলটি সরে আসে। তখন থেকেই ভোটের রাজনীতিতে এটি স্পষ্ট হয় যে, দেশে ইসলামপন্থি দলগুলোর যে ভোট ব্যাংক রয়েছে, সেটির একটি অংশ পেতে আওয়ামী লীগ আগ্রহী।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে শরিক হিসেবে একটি ইসলামি দল রয়েছে, যেটির নাম বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (নজিবুল বশর)। এছাড়া মহাজোটে আছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (বাহাদুর শাহ)।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে ইসলামী ঐক্যজোট (নেজামী), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (হাবিবুর রহমান) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মান্নান) ও জাকের পার্টির (মোস্তফা আমীর) সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমঝোতা হয়।

এইসব প্রবণতার কারণে মনে করা হয়, ভোটের রাজনীতির সমীকরণের কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ তার ধর্মনিরপক্ষতার নীতিতে কিছু পরিমাণে হলেও আপস করছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্রে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি অধ্যায়ের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি (পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত) বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, সকল ধর্ম, বর্ণ ও নৃ-গোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য।’

তবে আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণও ঐতিহাসিকভাবে একটি ভোটের রাজনীতির সমীকরণ ছিল বলে মনে করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ হিসেবে এ দলের জন্ম হয়, তখন শুধু মুসলমানরাই এর সদস্য হতে পারতেন। ১৯৫৪ সালে যখন যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন হয়, তখন সেটা ছিল পৃথক নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘এর মানে হলো মুসলমানরা মুসলমানদের ভোট দেবে আর অমুসলমানদের আলাদা প্রার্থী থাকবে। আওয়ামী লীগ একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করবে এবং সব ধর্মের দল নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করবে। এটা যুক্তফ্রন্টের ম্যানিফেস্টোতে ছিল।

‘এ কারণে অমুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি বড় সমর্থন আওয়ামী লীগ ৯৫৪ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল। এর ফলাফল হচ্ছে ১৯৫৫ সালে যে কাউন্সিল হয়, সেখানে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে ম্যানিফেস্টো এবং তখন সব দলের সভাপতিরা রেডিও-টিভিতে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের যে ভাষণ, দুই জায়গাতেই বলা আছে, কুরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন আওয়ামী লীগ করবে না। এটা একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই প্রতিশ্রুতিটা আওয়ামী লীগ এই ২০২১ সাল পর্যন্ত ধরে রেখেছে।

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনা ছিল, এরা বোধ হয় ইসলামবিরোধী। সুতরাং এই সমালোচনা কাটাতে শেখ মুজিব এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

আওয়ামী লীগ কি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাচ্ছে?
ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখে সরকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণও ঝুলিয়ে রেখেছে

অবশ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলটি বরাবর অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে আসেনি। দল সব সময় বিশ্বাস করে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। প্রত্যেকের ধর্মের প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে শ্রদ্ধা করি। কোনো ধর্মের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এটা আমাদের দলের নীতি বিরুদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘ধর্ম দিয়ে কখনও রাষ্ট্র পরিচালিত হয় না। কোনো ধর্মের উপর অন্য কোনো মতাদর্শও চাপিয়ে দেয়া যায় না। এ নীতি থেকে আওয়ামী লীগ কখনোই বিচ্যুত হয়নি।’

তবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে আওয়ামী লীগ সরে এসেছে বলে মনে করেন

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে গঠনতন্ত্রে আছে। কিন্তু বিভিন্ন উগ্রবাদী দলগুলো অথবা সাম্প্রদায়িক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে যে মেলবন্ধন আমরা লক্ষ্য করি, তা এই গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। একই সাথে মনে হয়, যে আদর্শ নিয়ে আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল, সেই আদর্শকে ধারণ করতে যে কোনো কারণেই হোক তারা তা পারছে না।

‘এটার কারণে আমি মনে করি, তাদের কাছে এখন আদর্শের রাজনীতির চেয়ে ভোটের রাজনীতি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এই ভোটের রাজনীতি সত্তরেও ছিল, বঙ্গবন্ধুর সময়, কিন্তু সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িক বা ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলের কাছে আপোস করেননি, আত্মসমর্পণও করেননি। এখানেই সত্তরের আওয়ামী লীগ ও এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যতিক্রম।’

অবশ্য আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি নমনীয় এ কথার সাথে দ্বিমত রয়েছে ধর্মভিত্তিক দল ও আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটসঙ্গী তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক দল। স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।

‘আমার যেটা মনে হয়, বিভিন্ন ইসলামী দল বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী দল, জঙ্গিবাদের বিষয়ে যাদের অবস্থান আছে, অনেকে যারা জাতীয় পতাকাও তোলে না বা জাতীয় সংগীতকে অস্বীকার করে – এ ধরনের দলগুলো যেন দেশবিরোধী অবস্থানে বা জঙ্গিবাদের দিকে চলে না যায় এ জন্য আওয়ামী লীগ বলবে না সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটের জন্য ইসলামপন্থি উগ্রবাদী দলগুলোর প্রতি নমনীয় এটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে যারা (ইসলামী দল) আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের যারা এখনও নেই তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো রাজনৈতিক দলেরই নিবন্ধন থাকা উচিত না।’

আরও পড়ুন:
মূল দল একটাই, আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের সব অর্জন
প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিলীন, অটুট আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের শ্রদ্ধা
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
It is alleged that Teknaf entered the house and beat up the mother and daughter

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে অভিযুক্ত আয়ুব খান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’

থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা
দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

মন্তব্য

রাজনীতি
Death of traffic inspector while on duty at Sonamsjid land port

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু
সোনা মসজিদ স্থল বন্দর। ছবি: সংগৃহীত
মাহমুদুর রশিদ বলেন, এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতেও পারে। সেই সাথে তার আগের অন্য কোনো রোগের ইতিহাসও আমাদের জানা নাই। তাই হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া যাবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দ্বায়িত্ব পালনকালে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যাওয়া ওই ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের নাম রুহুল আমিন। যশোরের বেলাপোল পৌরসভার শর্শার কোরবান আলীর ছেলে তিনি।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিজ অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। এ সময় তাকে তার সহকর্মীরা দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যখন নিয়ে আসা হয়, তার আগেই তার মৃত্য হয়েছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়ে ছিলেন। তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা নিশ্চিত করে এখনই বলা যাবে না।

মাহমুদুর রশিদ বলেন, এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতেও পারে। সেই সাথে তার আগের অন্য কোনো রোগের ইতিহাসও আমাদের জানা নাই। তাই হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া যাবে না।

মন্তব্য

রাজনীতি
Accused of raping the young woman for a month after keeping her at home

তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতীকী ছবি
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহীর বাগমারায় ভাড়া বাসায় আটকে রেখে এক মাস ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাতে উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার হরিফলার মোড়ের একটি বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক রাজু হোসেন (২৫) পেশায় চা দোকানি। তিনি তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার আবদুর রাজ্জাক শাহের ছেলে।

পুলিশ জানায়, অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। ফোনে রাজুর সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ মার্চ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোনে ভুক্তভোগী তরুণীকে তাহেরপুরে নিয়ে আসেন রাজু। পরে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন রাজু। সেখানে আটকে রেখে এক মাস ধরে রাজু ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধর্ষণ করেন।

এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি থানায় খবর দিলে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকা থেকে রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তরুণী বাদী হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

রাজনীতি
3 new judges of the Appellate Division took oath

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান। খবর বাসসের

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক ১) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ২) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ৩) বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Two dredgers seized in Padma illegally extracting sand in the dark of night

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বুধবার গভীর রাতে দুটি ড্রেজার জব্দ করে নৌ-পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল তুলেছে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় পৌনে দুই কোটি টাকা টোল আদায়
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের আরও এক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

রাজনীতি
Farmer dies due to electrocution while switching irrigation pump

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

মেহেরপুরের গাংনীতে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল হান্নান (৭৫) নামের কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিণপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুল হান্নান দেবীপুর দক্ষিণপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে।

এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস‍্য হিরোক আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে আবদুল হান্নান নিজ গ্রামের মাঠে অবস্থিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি দেবীপুরে নিয়ে আসে।’

বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

রাজনীতি
Democracy established on January 7 will fail if upazila elections fail CEC

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নৌকা ২২২ লাঙ্গল ১১ স্বতন্ত্র পেল ৬২ আসন
ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি
বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা ছাড়া অন্য এজেন্ট পেলাম না: সিইসি
ভোট দিলেন সিইসি
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি

মন্তব্য

p
উপরে