× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
EB administrations press conference on the ongoing issue
google_news print-icon

চলমান ইস্যু নিয়ে ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন

চলমান-ইস্যু-নিয়ে-ইবি-প্রশাসনের-সংবাদ-সম্মেলন

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি তারা এবিষয়ে কোন প্রকার গাফিলতি করেননি/করছে না।

রবিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইবি প্রশাসন সম্মতি জানিয়ে বলেন, তদন্ত কমিটিতে দুইজন শিক্ষার্থীকে অবজারভার হিসেবে রাখা হবে এবং সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভি ও লাইটিং এর আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে এবং খুব দ্রুত শেষ হবে। সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত যেন হয় সে বিষয়ে ইবি প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে।

সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো দিন বিগত প্রশাসনের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতা-সহ নানা মাধ্যমে জিজ্ঞেসা করা হয়- ‘প্রশাসন এতো এতো টাকা কী করে?’ আমরা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। দুঃখের বিষয় হলো- হল প্রশাসন থেকে জানানো হয় না তাদের কী প্রয়োজন। প্রশাসনের কোথাও আর্থিক দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আছে ইউজারের, জিনিসগুলো প্রপারলি ইউজ করলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না।

উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সীমিত আকারে বাজেট দেয়। কিন্তু বিশেষ দিবসসমূহে আমাদের আলাদা বাজেট রাখতে হয়। যেহেতু আমাদের বাজেট কম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয়। তবুও আমরা গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছি।

ড. এয়াকুব আরো বলেন, আমাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা- ঘটনা প্রবাহের তথ্য উদঘাটন করা। তবে কাউকে বিচার করা, ফাঁসি দেওয়া ও বহিষ্কার করা এটা আমাদের ক্ষমতা নেই। এটা সম্পূর্ণ পুলিশবাদী কেস। আমরা সর্বোচ্চ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি।

তিনি সাজিদের ব্যাপারে বলেন, আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। তবে শিক্ষার্থীরা যেটা বলছেন- প্রক্টর আসতে দেরি হয়েছে এবং প্রশাসনের কেউ ছিল না। সাজিদ মারা যাবে বা তার লাশ ভেসে উঠবে এইটা তো আমরা জানতাম না। যদি কোনো ইঙ্গিত পাইতাম তাইলে যাইতাম না। কাকতালীয় ভাবে ঘটনাটা ঘটেছে। সাজিদের লাশ যে ভেসে উঠবে এমন কোনো লক্ষণও তো আগের রাতে দেখি নাই। আমি তো রাত আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ঘুরছি। রাতে কই কোনো লক্ষণ দেখিনাই তো? একটা মানুষ কে যখন মারে বা মরে ক্যাম্পাসে একটা ভাব থাকে গুমগুমে ভাব, সেরকম কিছু দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদকে হারিয়েছি, এটার সাথে কোনো কিছু আছে কি-না আমরা বিহিত করতে নামছি এবং খুব আন্তরিকভাবে কাজ করছি। যদি কোনো ভাবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়, তা যদি ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও হই, তাহলে আমি আমার শাস্তি চাইবো। ধৈর্য্য ধারণ করুন, আমরা শক্তভাবে এইটা হাতে নিয়েছি। কারণ সাজিদের বিচারটা যদি না হয় তাহলে প্রত্যেক ছাত্ররা কিন্তু হলে থাকতে ভয়ভীতি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
If the master plan of pigeon port is implemented the region will be the driving force of the economy shipping adviser

পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল হবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল হবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের উচিত বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও কার্যকর করে তোলা। পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে।’ আজ রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের মানুষ বলে, বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট রয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যখন একটি নতুন পোর্ট গড়ার বা চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে আরেকটি পোর্ট তৈরির কথা বলা হয়, তখনই বলা হয়-দেশ চলে গেলো। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে যদি কোনো অপারেটর নিয়োগের কথাও ওঠে, তখনও বলা হয়-দেশ চলে গেলো। বিষয়টি এমন যেন চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই দৌঁড়াচ্ছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এজন্য সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রস্তুতি ও সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌল বিশ্ববিদ্যায়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র টিম লিডার মেনো মুইজ মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।

বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বুয়েট ও নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র প্রতিনিধিবৃন্দ ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The tourism fair is set to begin in Dhaka on October 7

৩০ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হচ্ছে পর্যটন মেলা

৩০ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হচ্ছে পর্যটন মেলা

দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা ‘১৩তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (টোয়াব)। এবারের মেলা ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিএফসিসি)।

রবিবার (২০ জুলাই) টোয়াব কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসার নানা বাধাবিপত্তি ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে এসব সমস্যার চিত্র তুলে ধরলে এই খাত অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় টোয়াব সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা, তবে এর পূর্ণ বাস্তবায়নে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যথাযথ অবকাঠামোর ঘাটতি, দক্ষ জনবলের অভাব, পরিকল্পিত পর্যটন নীতির প্রয়োগে দুর্বলতা, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত সমস্যা—এসবই আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে অন্তরায় হয়ে আছে।

‘এসব সমস্যার টেকসই সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও গন্তব্য উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। টোয়াব ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে এসব সমস্যার ওপর আলোকপাত করে কার্যকর সমাধানের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে, যা এই খাতকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।’

পর্যটন মেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করে আসছে টোয়াব। দেশের পর্যটন খাতে তারা মূল অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। মেলাটি শুধু দেশের পর্যটন শিল্পেই নয়, বরং প্রতিবেশী ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, বিটিটিএফ পর্যটন শিল্প বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই মেলার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটন উদ্যোক্তা ও অংশীজনদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হয়, যা পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ, নীতিগত সহায়তা এবং নতুন গন্তব্য প্রসারে ভূমিকা রাখে। এবারের আয়োজনে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাড়ার যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। এটিজেএফবি সবসময় এই খাতের টেকসই উন্নয়নের পক্ষে এবং আমরা এই আয়োজনের সফলতা কামনা করছি।

এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব বলেন, পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধু মেলা আয়োজনই নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা, প্রচার ও আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সক্ষম সেবা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিটিটিএফের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করে, তবে এর সুফল পেতে হলে আমাদের সামগ্রিক খাতকে আরও পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।

এবারের আয়োজনে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং চীনসহ মোট ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) এক্সচেঞ্জ, রাউন্ড টেবিল আলোচনা, সেমিনার, গন্তব্য উপস্থাপনা, সংবাদ সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজকদের ভাষ্যে, এসব আয়োজন যেকোনো অংশগ্রহণকারীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও), বিদেশি ট্যুর অপারেটর ও অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

আলোচনা সভায় এটিজেএফবির সহসভাপতি রাজীব ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস কবীর ও আদনান রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলতাব হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রুমি, রাশিদুল হাসান ও গোলাম মর্তুজা অন্তু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের ডিরেক্টর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ডিরেক্টর (প্রপার্টি অ্যান্ড অ্যাসেটস) জিয়াউর রহমান জাকির, টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teesta water is rising in Lalmonirhat

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে, দেখা দিতে পারে বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে, দেখা দিতে পারে বন্যার আশঙ্কা

ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং সেই পানির ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীসংলগ্ন লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলায় পানির মাত্রা বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাতের মধ্যেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের কিছু প্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এছাড়া আগামী তিন দিনে রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানিয়েছেন, তিস্তা তীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডও মাঠে কাজ করছে। বন্যা দেখা দিলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Law enforcement for national elections is ready Home Advisor

জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য হাতে সময় রয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

‘নির্বাচন নিরাপদ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল উপকমিশনার (ডিসি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সংশ্লিষ্ট কমান্ডিং অফিসার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে পূর্বের ও বর্তমান সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ জানতে চেয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেফতার হচ্ছে না। তবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই যেন দুষ্কৃতকারী ছাড়া না পায় এবং নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।

উপদেষ্টা বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে এই যে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন—এটা হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে যেন কোনো আক্রমণাত্মক বা অশালীন ভাষা ব্যবহার না হয়—সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করলে প্রকৃত সত্য সবসময় প্রকাশ পায়।

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Global commitment to sustainable investment is urgent Environment Advisor

টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধু কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়—এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি।

‘আমাদের টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ—উভয়ের প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করতে থাকে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামোই টিকবে না।’

রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়ালগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ে যে নীতিমালার খসড়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। ভূগর্ভস্থ পানিকে কেউ যেন আর বিনামূল্যে না নেয়, তার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একবার যখন শিল্পকারখানাগুলো এর মূল্য পরিশোধ করবে, তখন তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।

তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে, যা রপ্তানিমুখী পণ্যে না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি—এটি জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন।

জ্বালানি বিষয়ে তিনি জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু একটি নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বাস্তবায়নের শুরু।

জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই একটি ন্যায্য বৈশ্বিক টেকসই ব্যবস্থার প্রয়োজন।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে অগ্রাধিকার পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, যেখানে আইন লঙ্ঘনের হার মাত্র ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, টেকসই বিনিয়োগকে শুধু উৎপাদকের দায় হিসেবে দেখলে চলবে না। এর ব্যয় ন্যায্যভাবে ক্রেতা ও উৎপাদক—উভয়ের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি যাঁরা তৈরি করছেন, সেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন, এবং অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি ও চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম. ওয়াকার। রিকাভার, শেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিসের প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
AI dreamer Jensen Huang on leather jacket

চামড়ার জ্যাকেটে এআই স্বপ্নচারী জেনসেন হুয়াং

চামড়ার জ্যাকেটে এআই স্বপ্নচারী জেনসেন হুয়াং

চিপ জায়ান্ট এনভিডিয়ার প্রধান জেনসেন হুয়াং মাত্র তিন বছর আগেও সাধারণ মানুষের কাছে অচেনা একজন ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর উদ্যোক্তাদের একজন।

৬২ বছর বয়সি এই মিতভাষী প্রযুক্তিবিদের কথা শুনতে এখন স্টেডিয়ামভর্তি ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কারণ তার প্রতিষ্ঠানের তৈরি চিপগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’র সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি জানায়, এনভিডিয়ার তৈরি গ্রাফিক্স কার্ড ইউনিট বা জিপিইউ হলো জেনারেটিভ এআই’এর চালিকাশক্তি, যা চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তিকে পরিচালনা করে।

বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অপরিসীম চাহিদার কারণে এনভিডিয়ার প্রতিটি জিপিইউ আজ হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পেরিয়ে গেছে, যা এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম প্রতিষ্ঠান।

এই উত্থানের হাত ধরে জেনসেন হুয়াংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ এখন ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এনভিডিয়ার প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। তিনি ত্রিশ বছর আগে সিলিকন ভ্যালিতে এক ডিনার আয়োজনের মাধ্যমে দুই বন্ধুকে নিয়ে এটি শুরু করেছিলেন।

সম্প্রতি তার প্রভাবের প্রমাণ মিলেছে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চীনের ওপর থেকে নির্দিষ্ট জিপিইউ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি করান। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন এআই আধিপত্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি সনেনফেল্ড বলেন, ট্রাম্পকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন যে, বিশ্ব যখন মার্কিন প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, তখন সেটি দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। দারুণভাবেই এটি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব মূল প্রোটোকল হিসেবে মার্কিন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে এবং এটি অবশ্যই এই দেশের স্বার্থেই। এটি চীনা সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করবে না।

প্রাথমিক জীবন :

১৯৬৩ সালে তাইপেতে জন্ম গ্রহণকারী জেনসেন হুয়াং (প্রকৃত নাম জেন-হসুন) আমেরিকান সাফল্যের গল্পের মূর্ত প্রতীক। নয় বছর বয়সে তাকে তার ভাইয়ের সঙ্গে ছোট শহর কেন্টাকির একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল।

হুয়াংয়ের চাচা তার তাইওয়ানিজ বাবা-মায়ের কাছে এই স্কুলটিকে একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে তাকে এখানে ভার্তি করার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু এটি ছিল মূলত সমস্যাগ্রস্ত যুবকদের জন্য একটি স্কুল ছিল।

সেখানে তিনি স্থানীয় তামাক চাষিদের সন্তানদের সঙ্গে পাবলিক স্কুলে পড়তেন। দুর্বল ইংরেজি জানার কারণে তিনি ব্যুলিংয়ের শিকার হন এবং দুই বছর ধরে টয়লেট পরিষ্কার করতে বাধ্য হন। তবে সেই কঠিন সময়ই তার জীবনকে বদলে দেয়।

মার্কিন সম্প্রচারক এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব কঠোর পরিশ্রম করতাম। আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতাম আর বাকি ছেলেগুলোও ছিল রুক্ষ ও নির্দয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সেই সময়টাকেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম।’

চামড়ার জ্যাকেট ও ট্যাটু:

পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে ফিরে আসেন হুয়াং। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে এএমডি এবং এলএসআই লজিকে চিপ ডিজাইনের কাজ শুরু করেন।

তবে হুয়াং এতে তৃপ্ত ছিলেন না। তিনি আরও বড় কিছু করতে চেয়েছিলেন।

তিনি ১৯৯৩ সালে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এই লক্ষ্যে যে, এটি দিয়ে এমন সব সমস্যার সমাধান করা যা, সাধারণ কম্পিউটার সমাধান করতে পারত না। তিনি ৩ডি গ্রাফিক্স সামলাতে সক্ষম শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করেন।

১৯৯৯ সালে এনভিডিয়া তৈরি করে প্রথম ডিপিইউ, যেটি ভিডিও গেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড কম্পিউটিং ও এখন জেনারেটিভ এআই-এর ভিত্তি।

সব সময় কালো টি-শার্ট ও চামড়ার জ্যাকেট পরে থাকেন হুয়াং। তার হাতে এনভিডিয়া লোগোর একটি ট্যাটুও আছে। স্পোর্টস কারের প্রতিও তার আগ্রহ আছে।

এটি তার স্থির আত্মবিশ্বাস যে, নিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থান ও আত্মপ্রচারের অভাব তাকে এলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের মতো ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করেছে।

তিনি কখনো ট্রাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।

ইয়েল অধ্যাপক সনেনফেল্ড বলেন, হুয়াং নিজের আভাকে এড়িয়ে যান এবং নিজের চেয়ে প্রযুক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দেন। বিশ্বাস করেন হুয়াং আজকের সকল প্রযুক্তি টাইটানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত।

এনভিডিয়ার একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মচারী তাকে এএফপির কাছে ‘সবচেয়ে বেশি উৎসাহী ব্যক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার সাথে তিনি কখনও দেখা করেননি।

স্ট্রিট ফুড ও জনপ্রিয়তা:

নিজ জন্মভূমি তাইওয়ানে গেলে হুয়াং যেন মেগাস্টার। ভক্তরা তার অটোগ্রাফ ও সেলফির জন্য ভিড় করেন। সাংবাদিকেরা অনুসরণ করেন তার প্রিয় বার্বারশপ থেকে শুরু করে রাতের বাজার পর্যন্ত।

উইটোলজি মার্কেট ট্রেন্ড এর ওয়েইন লিন বলেন, তার ব্যক্তিত্বের আকর্ষণই এই উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে। এত বড় মানুষ হয়েও তাইওয়ানে এলেই তিনি স্ট্রিট ফুড খেতে ভুলে যান না। তিনি অসাধারণ বন্ধুসুলভ।

এনভিডিয়া একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান, যা হুয়াংয়ের চারপাশে কোনো নাটকীয়তা না রাখার চেষ্টা করে।

তবে ওই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, হুয়াং একজন ‘দ্বৈত ব্যক্তিত্বের’ অধিকারী। তিনি যেমন কর্মীদের জন্য দায়িত্বশীল, তেমনি ভুলের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের চরমভাবে তিরস্কার করতেও পিছপা নন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh started series against Pakistan with a win

জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

সহজ জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে চতুর্থবার পাকিস্তানকে হারাল টাইগাররা।

এর আগে ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে ৭ উইকেটে এবং ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে মিরপুরের ভেন্যুতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

এছাড়াও ২০২৩ সালে হাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারের লজ্জা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

এ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম পাকিস্তানকে অলআউট করে টাইগাররা। জবাবে ২৭ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিটন দাসের দল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতে টানা নয় ম্যাচ পর টস জিতলেন লিটন।

লিটনকে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানের বিনিময়ে পাকিস্তানের ৪ উইকেট শিকার করেন টাইগারদের তিন পেসার ও এক স্পিনার।

ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্পিনার মাহেদির বলে শর্ট ফাইন লেগে পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

ক্যাচ ফেললেও দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেট তুলে নেন তাসকিন। ৬ রান করা সাইম আইয়ুবকে শিকার করেন তিনি। পরের ওভারে উইকেটের দেখা পান স্পিনার মাহেদি হাসান। ডিপ মিড উইকেটে শামীম হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। ৪ রান করেন তিনি।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান পেসার তানজিম হাসান। স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনকে ক্যাচ দেন ৯ বলে ৩ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও বাংলাদেশকে উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই ডিপ থার্ডম্যানে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হাসান নাওয়াজ।

বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে নিজেদের ভুলে চাপ আরও বাড়ে পাকিস্তানের। ফখরের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৪৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর বড় জুটির চেষ্টা করেন ফখর ও খুশদিল শাহ।

জুটিতে সর্বোচ্চ ২৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন ফখর ও খুশদিল। এবার লিটনের দক্ষতায় খুশদিলের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ফখর। দু’বার জীবন পেয়ে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখর।

৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটি হতে দেননি খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি। সপ্তম উইকেটে ২৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন দলের রান তিন অংকে নেন তারা। এরমধ্যে রিশাদ ও তানজিমের দুই ওভারে ৪টি ছক্কায় ২৭ রান যোগ করেন খুশদিল ও আফ্রিদি।

১৭তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মুস্তাফিজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন খুশদিল।

সপ্তম ব্যাটার হিসেবে খুশদিল ফেরার পর ৭ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকী থাকতে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বনিম্ন রান পাকিস্তানের।

তাসকিনের করা শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরমধ্যে একটি রান আউট ছিল।

তাসকিন ২২ রানে ৩টি, মুস্তাফিজ ৬ রানে ২টি এবং মাহেদি-তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।

১১১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জার বলে ওপেনার তানজিদ হাসান এবং তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাস আউট হন। দু’জনই ১ রান করে করেন।

এরপর পাকিস্তান বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। অষ্টম ওভারে দলের রান ৫০এ নেন তারা।

১২ ওভার শেষে ৮০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের ঐ স্কোরেই ১৩তম ওভারে পেসার আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হন হৃদয়। ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়। পারভেজের সাথে ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন হৃদয়।

হৃদয় ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে ১৮ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন পারভেজ ও জাকের আলি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন পারভেজ। ৩৯ বল খেলে ৩ চার ও ৫ ছক্কা মারেন পারভেজ। ৩টি বাউন্ডারিতে অনবদ্য ১৫ রান করেন জাকের। সালমান ২ উইকেট নেন।

আগামী ২২ জুলাই মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে দু’দল।

মন্তব্য

p
উপরে