× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Six cases of corruption of 100 people including Sheikh Hasina are ready to prosecute
google_news print-icon

শেখ হাসিনাসহ ১শ’ জনের দুর্নীতির ছয় মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

শেখ-হাসিনাসহ-১শ-জনের-দুর্নীতির-ছয়-মামলা-বিচারের-জন্য-প্রস্তুত

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে পুতুলসহ সহ ১শ’ জনের বিরুদ্ধে দুদক-এর দায়ের করা ছয়টি মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব মামলাগুলো বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

এদিন পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১শ জনের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা অনুপস্থিত থাকায় আদালত মামলাগুলো বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখন এসব মামলার বিচারিক কার্যক্রম সেখানে চলবে।

এর আগে ১ জুলাই বিচারক আসামিদের শুনানির জন্য আজ (২০ জুলাই) আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৩ জুলাই বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গেজেট প্রকাশ করে।

গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেফতারের সম্ভাবনা নাই। সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক-এর প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বাসস’কে বলেন, ‘প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশ হয়েছে এবং মামলাগুলো বিচারের জন্য প্রস্তুত। আদালত সেগুলো বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। বিশেষ জজ আদালতে মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।’

চলতি বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে এসব মামলা দায়ের করেন দুদক-এর উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

১২ জানুয়ারি প্রথম মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। এতে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে। মামলাটিতে সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জন।

১৩ জানুয়ারি তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।

আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া মামলা করেন। পরে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত আসামি হয় ১৮ জন।

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।

সবশেষে ১৪ জানুয়ারি দুইটি মামলা হয়। শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। পরে তদন্তে আরও ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জনে। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান মামলা করেন। পরে তদন্তে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হয় ১৭ জন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Gaibandhas seek the name of the Teesta Bridge in the name of Shaitulah Master

শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে তিস্তা সেতুর নামকরণ চায় গাইবান্ধাবাসী

শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে তিস্তা সেতুর নামকরণ চায় গাইবান্ধাবাসী

বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর নামকরণ করার দাবি তুললেছে গাইবান্ধাবাসী।

রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি তোলা হয়।

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হরিপুর-চিলমারী সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি শরিতুল্যাহ মাস্টারের ৩০ বছরের স্বপ্ন আত্মত্যাগের প্রতীক। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি এককভাবে এই সেতুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন, জনগণকে সংগঠিত করে 'তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি' গঠন করেন এবং সরকারের কাছে বারবার তুলে ধরেন সেতুর প্রয়োজনীয়তা।

বক্তারা দাবি করেন, এই সেতু বাস্তবায়নে শরিতুল্যাহ মাস্টার ছিলেন মূল চালিকাশক্তি। তার নিরলস প্রচেষ্টা নেতৃত্বে এই বৃহৎ প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। তাই তার স্মৃতি অম্লান রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে তার দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করতে সেতুটির নাম 'শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু' রাখা হোক।

সময় বক্তৃতা দেন কমিটির আহ্বায়ক শামীম মন্ডল, সদস্য সচিব শাহীন মিয়া, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জিল্লু হাকিম, ডা. ফুয়াদ ইসলাম শিক্ষার্থী রত্ম প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি নির্মিত হয়েছে সৌদি সরকারের অর্থায়নে, চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে। ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ,৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য . মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি বাস্তবায়নে সরাসরি তদারক করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) দেশের ইতিহাসে এটিই এলজিইডির সর্ববৃহৎ প্রকল্প।

সেতুটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক, যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ৯টি আরসিসি সেতু। বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে পুরো সুন্দরগঞ্জ চিলমারী অঞ্চল।

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সেতুটি চালু হলে শুধু দুই উপজেলার মানুষ নয়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় অর্থনীতি জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নানা জটিলতায় কয়েকবার সময় পরিবর্তনের পর অবশেষে বাস্তবে রূপ নিয়েছে তিস্তা নদীর বুকে দৃঢ় এই সংযোগ। এরআগে গেল বছরের ৩০ নভেম্বর একই সেতু পরিদর্শনে আসেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ। সে সময়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে সেতুটি উদ্ধোধনের কথা জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাই সেতু পরিদর্শন আসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। পরিদর্শন শেষে তিনি চলতি মাসেই সেতু উদ্বোধনের কথা জানান।

সব ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। দেশে এর আগে আর কখনো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়নি এলজিইডি। সে হিসেবে এটি চালু হলে যেমন দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে দুই জেলার লাখো মানুষের। সেই সঙ্গে ব্যতক্রমী এক মাইলফলকে পা রাখবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)

মন্তব্য

বাংলাদেশ
"Inauguration of basic training in TDP in the lower income area of Dhaka metropolis"

“ঢাকা মহানগরের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন”

“ঢাকা মহানগরের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন”

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে এবং মহাপরিচালক মহোদয়ের সদয় দিকনির্দেশনায় ঢাকা মহানগরের আওতাধীন চারটি জোনের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি (নগর প্রতিরক্ষা দল) মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ আজ ২০ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

“ঢাকা মহানগরের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন”

১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৬৪ জন করে সর্বমোট ৩২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন।

“ঢাকা মহানগরের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন”

উল্লেখযোগ্য যে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো সিটি পল্লী বস্তি (ধলপুর, যাত্রাবাড়ী), আদাবর ও চন্দ্রিমা বস্তি (মোহাম্মদপুর), কড়াইল বস্তি (গুলশান) এবং পোড়া বস্তি (মিরপুর-১১) এলাকায় অবস্থিত।

“ঢাকা মহানগরের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন”

টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো নগরের প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর যুবক ও যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। পাশাপাশি, এই প্রশিক্ষণ সমাজে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমন কিশোর অপরাধ ও মাদকাসক্তি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRTA in a raid against a 20 year old bus and a 20 year truck

২০ বছরের মেয়াদউত্তির্ন বাস ও ২৫ বছরের ট্রাকের বিরুদ্ধে অভিযানে বিআরটিএ

২০ বছরের মেয়াদউত্তির্ন বাস ও ২৫ বছরের ট্রাকের বিরুদ্ধে অভিযানে বিআরটিএ

সারা দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ বছরের পুরনো বাস ও ২৫ বছরের মেয়াদ উত্তির্ন ট্রাক কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এই সাঁড়াশি অভিযানে অংশ নিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ,মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন।

রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে অভিযানে অংশ নিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন,’ ৮ টি স্পটে আজ সকাল থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। শুধু মাত্র দিনে নয় রাতেও চলবে এই অভিযান। মুলত ২০ বছরের মেয়াদউত্তির্ন বাস ,২৫ বছরের ট্রাকের সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসব যানবাহনের কারনে সড়ক দুর্ঘটনাও বেশি হচ্ছে। তাই এসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, রাতারাতি সড়ক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। বিগত সরকারের আমলে কি হয়েছে সেটি প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিয়মিত অভিযানের ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, শুধু সড়কে নয় বাস ডিপোগুলোতেও চালানো হবে অভিযান।

ইকোনমিক লাইফ মেয়াদোত্তীর্ন বাস/মিনিবাস/ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান প্রভৃতি মালবাহী মোটরযান সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল বন্ধে অদ্য রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সম্মুখে বাস ডিপো পয়েন্টে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইকোনমিক লাইফ মেয়াদোত্তীর্ন কোন বাস/মিনিবাস পাওয়া যায়নি। তবে মেয়াদোত্তীর্ন ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রুট পারমিট ব্যতীত যানবাহন চালনার অপরাধে বিভিন্ন ধারায় ১৫টি মামলায় ৬০,৫০০/-টাকা অর্থদণ্ড করা হয় ও যানবাহন চালনাকারী কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা হয়।

বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক প্রশাসন মো.কামরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক এনফোর্সমেন্ট নাজনীন হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক শফিকুজ্জামান ভুঁইয়া, উপ পরিচালক এনফোর্সমেন্ট হেমায়েত উদ্দিন, বিআরটিএ পরিচালক মীর আহমেদ তারিকুল ওমর, পরিচালক রোড সেফটির শহীদুল্লাহ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের যুন্ম পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক) মো.আনিছুর রহমানসহ পুলিশের উধ্বত্বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Israels drone attacks killed in Lebanon 2

ইসরাইলের ড্রোন হামলায় লেবাননে নিহত ২

ইসরাইলের ড্রোন হামলায় লেবাননে নিহত ২

ইসরাইল শনিবার দক্ষিণ লেবাননে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের এই হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি বাহিনী খিয়াম শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়োহমোর আল-শাকিফে ইসরাইলের অপর হামলায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, খিয়াম শহরে ইসরাইলের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলার সময় ওই ব্যক্তি বাড়ির ছাদে কাজ করছিলেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর এক যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

ওই ব্যক্তি খিয়াম এলাকায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরাইল।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে, ইয়োহমোরে আরেকজন হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।

তিনি একই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইসরাইলের।

গত নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইল বারবার লেবাননে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে তাদের যোদ্ধাদের ইসরাইলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে লিটানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নিয়েছে। যার ফলে লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা এই অঞ্চলে একমাত্র সশস্ত্র দল হিসেবে রয়ে গেছে।

পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলকেও লেবানন থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

কিন্তু তারা এখনো পাঁচটি স্থানে সেনা রেখে দিয়েছে, যেগুলোকে তারা কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is nowhere else in the world of robbers Planning Advisor

এত ধরনের ডাকাত পৃথিবীর আর কোথাও নেই: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

এত ধরনের ডাকাত পৃথিবীর আর কোথাও নেই: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে দখলদারদের নানা ধরন দেখে বিশ্ব অবাক হতে পারে। এতো ধরনের ‘ডাকাত’ (দখলদার) পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

রবিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিআইআরডিএপ মিলনায়তনে ‘বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে বন ধ্বংস, বনায়ন অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূমি দখল থেকে সুরক্ষা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ধরনের ডাকাতদের দেখা যায়, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিরল। নদী দখলদার, ভূমি দখলদার, বন দখলদার, পাহাড় দখলদার—সব রকমেরই আছে এখানে।’

সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (এসইএইচডি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দেশের সামান্য পরিবেশগত সম্পদ সংরক্ষণ করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বন থেকে সম্পদ আহরণে পরিকল্পিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘বন থেকে সম্পদ আহরণ অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে হতে হবে।’

বিদেশিদের পরামর্শে অতীতে কিছু ভুল প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক অর্থায়নে দেশে অনেক অপরিকল্পিত বন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, কেবল বন সম্পদের ওপর নির্ভর করে কোনো জনগোষ্ঠীর টিকে থাকা যৌক্তিক নয়। ‘এইভাবে তারা দারিদ্র্যসীমার নিচেই রয়ে যাবে,’ বলেন উপদেষ্টা।

তবে তিনি শিক্ষা গ্রহণ ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, ‘ধীরে ধীরে তারা সমাজের মূল স্রোতে আসবে।’

এ সময় তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখার ব্যাপারে তার দৃঢ় অবস্থান জানান। বলেন, ‘এদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ধাপে ধাপে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মূলধারায় যুক্ত করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসইএইচডি পরিচালক ফিলিপ গেইন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gopalganj is not a mass arrest but criminals are being caught Home Advisor

গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার নয়, ধরা হচ্ছে অপরাধীদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার নয়, ধরা হচ্ছে অপরাধীদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না। যারা অপরাধের সাথে জড়িত কেবল তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার চলছে না। দোষী ছাড়া কাউকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়কারীদের গ্রেফতার করছে ।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ঘটনা ঘটেছে। সেটা স্বীকার করছি। রাজনীতিতে অনেক কিছুই ঘটে। তবে এ ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, সেটাই বড় বিষয়। এ ব্যাপারে গঠিত কমিটি তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের এখনো সময় আছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও জানান, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে, যদিও এখনো সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। তবে পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে এটিও তুলে নেয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ, সেনাবাহিনী গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল পালিত হয়েছে কী-না, তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, আগের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ আগের চেয়ে আরো অনেক সক্রিয়। যেখানে অপরাধ বা অন্যায় হচ্ছে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দুষ্কৃতিকারীদের কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser inaugurated the armys election board formally

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

তিনি আজ রোববার সেনা সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।

প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত ও শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকল ছাত্র জনতাকে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সকল অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে আসছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ।

নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনা প্রধান অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে