× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
How long is the highway death?
google_news print-icon

মহাসড়ক ‌আর কতকাল ‘মৃত্যুফাঁদ’?

মহাসড়ক-‌আর-কতকাল-মৃত্যুফাঁদ?
মহাসড়কে দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত একটি বাস। ছবি: ইউএনবি
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের কঠোর প্রয়োগ, কাঠামোগত সংস্কার ও ব্যাপক জনসচেতনতা ছাড়া প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে। আর এসব দুর্ঘটনা প্রাণহানির পাশাপাশি পরিবারগুলোকে তছনছ করে দেবে।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাত বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্র ফাহিম। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এতিম হয়ে পড়ে সে।

ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হন তার বাবা-মা, বড় ভাই ও খালাসহ পরিবারের চার সদস্য।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে ফাহিমের পরিবারকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও ১৫ জন।

পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে ফাহিমের জীবন কঠিন হয়ে পড়ে। অনিশ্চয়তায় ঝুলে যায় তার ভবিষ্যৎও।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় প্রাইভেট কারে থাকা একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন।

পরের দিন বাসচালক নুরুন্নবীকে আটক করা হয়। তবে তদন্তে জানা যায়, ওই চালকের বৈধ লাইসেন্স এবং বাসটিরও ফিটনেসের ছাড়পত্র ছিল না।

এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত হারানো প্রাণের একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।

দুই বছর আগে ফরিদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী ভাইকে হারানো ঢাকার বাসিন্দা নুরুল হুদা বলেন, কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের ওপর দোষারোপ বন্ধ করতে হবে। সব অংশীজনকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাও জরুরি।’

উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৬ হাজার ৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়। এসব দুর্ঘটনায় সাত হাজার ২৯৪ জন নিহত ও ১২ হাজার ১৯ জন আহত হন।

সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৩৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ পথচারী এবং ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ যানবাহন চালক বা তাদের সহকারী ছিলেন।

শুধু ঢাকায় ৩৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন নিহত ও ৪৮২ জন আহত হন।

দুঃখজনকভাবে ১৩টি দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান একসঙ্গে মারা যান। বছরজুড়ে দুর্ঘটনায় সব সদস্যের মৃত্যুতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় অন্তত চারটি পরিবার।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আরেক সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, ২০২৪ সালে সারা দেশে দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৬০৮ জন আহত হন।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও অস্পষ্ট।

সরকারি পরিসংখ্যানগুলো প্রায়শই কেবল ঘটনাস্থলে মৃত্যুর সংখ্যাটি রেকর্ড করে। তবে পরে হাসপাতালে প্রাণহানিগুলোর হিসাব প্রায়শই বাদ পড়ে যায়।

বিশ্বে ৩০ দিনের মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুগুলোর তথ্য রেকর্ড করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ধরনের ব্যাপক তথ্য সংগ্রহের কোনো ব্যবস্থা নেই।

বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ

বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, সড়কে নতুন যানবাহনের প্রচলন দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আগে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের এতটা প্রচলন ছিল না। এটিকে গণপরিবহন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, এখন যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, অদক্ষ চালকের গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো রাস্তায় ব্যাপকভাবে চলাচল করছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ প্রায়শই ঘুষের বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়।

তালুকদার বলেন, ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের ৮০ শতাংশই মাথায় আঘাত পেলেও হেলমেট ব্যবহারের হার বাড়েনি।’

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে অতিরিক্তি গতি, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব দায়ী।

তিনি গাড়ির গতিতে প্রযুক্তিগত মনিটরিং, চালকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের প্রতিকূল কর্মপরিবেশ, অনির্ধারিত মজুরি ও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে তারা বেপরোয়া গাড়ি চালান। দুর্ঘটনা কমাতে তাদের পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।’

তিনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাঠামোগত সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার আহ্বান জানান।

পুরোপুরি কার্যকর হয়নি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮

শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রবর্তন করা হয়। আইনটির উদ্দেশ্য ছিল বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রাণহানি ঘটলে অভিযুক্তের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।

২০১৯ সালে সরকার যখন আইনটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিল, তখন পরিবহন সমিতিগুলো ধর্মঘট শুরু করে। এর ফলে বেশ কয়েকটি মূল বিধান প্রয়োগ করা যায়নি। ফলে নিরাপদ সড়কের প্রতিশ্রুতি অপূর্ণ থেকে যায়।

অধ্যাপক তালুকদার বলেন, কোনো আইন বাস্তবায়নের আগে এর সম্ভাব্যতা, কার্যকারিতা ও সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা নিরূপণের জন্য শুনানি করা উচিত। কিন্তু ২০১৮ সালের পথ নিরাপত্তা আইনের কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই না করায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আইনে একাধিক বিধান থাকলেও একসঙ্গে সবগুলো প্রয়োগ করলে পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে পর্যায়ক্রমিক ও সুপরিকল্পিত বাস্তবায়ন পদ্ধতি প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আরও ভালো আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন। কারণ, অপরাধীরা প্রায়শই প্রভাব বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়।

তিনি সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষাকে অ্যাকাডেমিক পাঠ্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালুর সুপারিশ করেন।

বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ২০২৩ সালের সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন বলা হয়, বেশির ভাগ দেশে পথচারীদের সুরক্ষার চেয়ে মোটরগাড়ি অগ্রাধিকার পায়।

বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘বাংলাদেশে শিশুদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‌‌‘সড়ক নিরাপত্তা একটি গুরুতর বিষয়। কারণ, দুর্ঘটনা কেবল জীবনই ধ্বংস করে না, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানব উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করে।’

ফাহিমসহ অসংখ্য মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশে ব্যাপক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের কঠোর প্রয়োগ, কাঠামোগত সংস্কার ও ব্যাপক জনসচেতনতা ছাড়া প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে। আর এসব দুর্ঘটনা প্রাণহানির পাশাপাশি পরিবারগুলোকে তছনছ করে দেবে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতাসহ তিনজন নিহত
রাস্তা পারাপারের সময় ইমামসহ দুজন নিহত
বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চারজন নিহত
ফরিদপুরে মাইক্রোতে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত
গত বছর সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Two injured when the micro was stopped by weapons in the micro

মাইক্রোতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, বাধা দিতে গিয়ে দুজন আহত

মাইক্রোতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, বাধা দিতে গিয়ে দুজন আহত গজারিয়া থানার সাইনবোর্ড। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি মাইক্রোবাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

ওই সময় ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসটির দুই যাত্রী।

আহত দুজন হলেন মাইক্রোবাসের যাত্রী তাহেরা বেগম (৬৫) ও আবদুস সালাম (১৮)। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রোবাসের যাত্রী হানিফ মিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই হুমায়ুন কবির সৌদি আরব প্রবাসী। ছুটিতে তিনি আজকে বাংলাদেশে আসছেন। আমরা যাচ্ছিলাম তাকে এয়ারপোর্ট থেকে এগিয়ে আনতে। ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আমরা সোনাইমুড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। এ সময় চালকসহ আমরা চারজন মাইক্রোবাসটিতে ছিলাম।

‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় পৌঁছাই। এ সময় ঢাকাগামী লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার শিকার হলে মহাসড়কের এই অংশে যানজট ছিল। যানজটে আটকে থাকার সময় হঠাৎ করে তিন-চারজন যুবক বগি দা, রামদা নিয়ে আমাদের গাড়িতে হামলা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের মারধর করে নগদ ২৮ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ডাকাতের হামলায় আমার মা তাহেরা বেগম, আমার ভাগিনা আবদুস সালাম আহত হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় গজারিয়া থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত আবদুস সালাম বলেন, ‘দিনে-দুপুরে এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছিল আমাদের কল্পনার বাহিরে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে আমাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

‘আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে রামদা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। আমি সরে গেলে তা আমার পাঞ্জাবিতে লাগে।’

আহত তাহেরা বেগম বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে আমি তাদের বাধা প্রদান করি। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। তাদের সাথে না পড়ে একসময় বাধ্য হয়ে আমি ভ্যানিটি ব্যাগ তাদের দিয়ে দিই।’

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

আরও পড়ুন:
অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে অর্ধশত গুলি
মাইক্রোর ধাক্কায় আনোয়ার সিমেন্ট শিটের কর্মী নিহত
আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার
রাস্তা পারাপারের সময় ইমামসহ দুজন নিহত
মুন্সীগঞ্জে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, একজন আহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the name of 12 people including former Whip Iqbalur Rahim

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নামে মামলা

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নামে মামলা জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। ছবি: বাসস
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বলেন, ‌‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার ওলিউর রহমান নয়ন বাদী হয়ে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে, ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেছেন।’

জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‌‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার ওলিউর রহমান নয়ন বাদী হয়ে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে, ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেছেন।’

মামলায় অপর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি আবু ইবনে রজবী, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা রশিদুল ইসলাম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাসুদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার শাহ আলম, ধীমান সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুক্তি বাবু ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী সৈয়দা সেলিনা মমতাজ।

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি শহরের মুন্সিপাড়ার লুৎফুন্নেসা টাওয়ারে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রিজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রাথমিক গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছিলেন।

এ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তিনি অভিযোগে জানান, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তার প্রতিষ্ঠানে এসে হুমকি দেয় এবং তারা বলেন, ইকবালুর রহিমকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো নেতাকে দিয়ে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করায় তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে বাদী নয়নকে আসামিদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তাকে অপহরণ করে আসামি আবু ইবনে রজবীর সদর উপজেলার বাঙ্গিবেচা ঘাটের পাশে তার রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরে আসামিদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বাদী ওই দিন বিকেলে তার স্কুলের কর্মচারী সাক্ষী মিজানুর রহমান ও মিজানুর রহমান জুয়েলের মাধ্যমে আসামি রশিদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ধীমান সরকারকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে পরিশোধ করেন।

আসামিরা চাঁদা পেয়ে অবশিষ্ট ৭০ লাখ টাকা স্বল্প সময়ের মধ্যে দেওয়ার অঙ্গীকারে ওলিউরকে ছেড়ে দেয়।

ওলিউর তার মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি ইকবালুর রহিমের প্রভাবে পরবর্তী সময়ে আসামি সৈয়দা সেলিনাল মমতাজ বাদী হয়ে তার কন্যাকে ভুক্তভোগী সাজিয়ে অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি নিয়মিত মামলা এবং অপরটি নারী নির্যাতন আইনে। এই মামলা দুটি অনেক অর্থের বিনিময়ে আপস-নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এরপর নয়ন নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান। বর্তমানে দেশে মামলা দায়ের ও বিচারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:
সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গ্রেপ্তার
হুইপ সামসুলকে জয়ী করার শপথ পটিয়া ছাত্রলীগ সভাপতির
শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচন হবে: চিফ হুইপ
গোল্ডেন ৫ পাওয়া সুমাইয়ার দায়িত্ব নি‌লেন চিফ হুইপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Grocery store arrest

গজারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

গজারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মুদি দোকানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গিয়েছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর ৬৫ বছর বয়সী আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারি। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

‘রাত ৯টার দিকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী দাবিদার শিশুটির ফুফু জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাড়ির পাশের মুদি দোকানে যায় শিশুটি। দোকানের মালিক শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যান। সে সময় তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। হঠাৎ তিনি (ফুফু) সেখানে উপস্থিত হলে হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন।

ফুফুর অভিযোগ, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উল্টো মুদি দোকানি ও তার ছেলেরা তার ওপর চড়াও হন। অভিযুক্তের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

শিশুটি বলে, ‘শুধু আমি একা না, দাদার দোকানে যারাই যায় আশেপাশে কেউ না থাকলে তিনি বাচ্চাদের তার কোলে নিয়ে বসায়। বিস্কুট দেয়, বেলুন দেয়। তারপর শরীরে হাত দেয়।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মুদি দোকানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গিয়েছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত দোকানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান
দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chamber Court clarification on the no order of the Court

চেম্বার কোর্টের ‘নো অর্ডার’ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ

চেম্বার কোর্টের ‘নো অর্ডার’ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট থেকে প্রদত্ত ‘নো অর্ডার’ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট থেকে বিভিন্ন মামলায় ‘নো অর্ডার’ মর্মে আদেশ প্রচারিত হয়ে থাকে। বিষয়টির প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময়ে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

“ফলে ‘নো অর্ডার’-এর প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হতে কোনো মামলায় ‘নো অর্ডার’ মর্মে আদেশ প্রচারিত হলে আবেদনকারীর প্রার্থিত প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়নি এবং চেম্বার কোর্ট বিতর্কিত আদেশ বা রায়ের বিষয়ে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছেন মর্মে গণ্য করতে হবে।”

আরও পড়ুন:
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রিটের ক্ষেত্রে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত
সাপ্তাহিক ‘একতা’ প্রকাশে বাধা নেই
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ব্যক্তি পর্যায়ে সুদ ও দাদন ব্যবসা বন্ধে রুল হাইকোর্টের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP Mirza Azam and wife 3 bank accounts are blocked

সাবেক এমপি মির্জা আজম ও স্ত্রীর ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক এমপি মির্জা আজম ও স্ত্রীর ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ জামালপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মির্জা আজম। ছবি: বাসস
মির্জা আজমের নামে ১৮টি ও স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এ ছাড়া তাদের ১৯ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুদকের আলাদা দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

মির্জা আজমের নামে ১৮টি ও স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এ ছাড়া তাদের ১৯ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন:
মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
গাংনীতে ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি
পদ্মা ব্যাংকের ১২১তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব বিএফআইইউর
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্ত আদেশ বাতিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The provocaters will be arrested in the anti national movement Home Advisor

দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অষ্টম সভা শেষে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: পিআইডি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অষ্টম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‌‘ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’

আরও পড়ুন:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত: অর্থ উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three in the case of a teenager

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ন্যায়দণ্ডের নিচে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল লেখা। ছবি: বাসস
পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা জেলার আদালত পরিদর্শক আকতার হোসেন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. সজিব, মো. রাকিব ও শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন। এ ছাড়া লাশ গুমের ঘটনায় তাদের তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে আলী আকবর ও মো. রিয়াজ নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ ও শাওনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পায়, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ মামলা করে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার লাশ।

স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে। শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সেখানে জানান, তিনি, মো. রাকিব, মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভিকটিম মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখেন। পরে রাকিব এবং সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

আরও পড়ুন:
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান

মন্তব্য

p
উপরে