× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
We did not split BNP Who?
google_news print-icon

বিএনপির বিভক্তি আমরা করতে যাইনি: কাদের

বিএনপির-বিভক্তি-আমরা-করতে-যাইনি-কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে পা রাখায় বিএনপির আজকে এই দুরাবস্থা। তাদের দলের বিভক্তি আমরা করতে যাইনি। আমরা কোনো দলকে ভাগ করা, এটা আমাদের নীতি নয়। তারা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থে তারা তাদের দলের ভুল নীতির জন্য…সর্বনাশা ভুল নীতি তাদের দলের মধ্যেও বিভেদ ‍সৃষ্টি করেছে।’  

বিএনপির ভুল নীতির কারণে দলটির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন দাবি করেন তিনি।

কারওয়ান বাজারে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বর্ষীয়ান এ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

এমন বাস্তবতায় মাঠের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আজকে নির্বাচনি পরিবেশ অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক এবং শত বাধানিষেধের মধ্যে আন্দোলনের হুমকি, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস—এই পরিবেশেও মানুষ কিন্তু নির্বাচনবিমুখ হয়নি এবং আজকে বিএনপির এক দফা, তাদের এক দফা আজকে গভীর গর্তে পড়ে গেছে এবং তাদের যে আন্দোলন, সে আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। যত চেষ্টাই করুক, আজকে তারা আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়ে যে নেতা-কর্মীদের তারা মাঠে নামিয়েছিল, তারাও এখন হতাশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে পা রাখায় বিএনপির আজকের এই দুরাবস্থা। তাদের দলের বিভক্তি আমরা করতে যাইনি। আমরা কোনো দলকে ভাগ করা, এটা আমাদের নীতি নয়।

‘তারা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থে তারা তাদের দলের ভুল নীতির জন্য…সর্বনাশা ভুল নীতি তাদের দলের মধ্যেও বিভেদ ‍সৃষ্টি করেছে।’

আরও পড়ুন:
‘নৌকায় উঠে’ বিএনপি থেকে বহিষ্কার শাহজাহান ওমর
তৃণমূলের মনোনয়ন তালিকায় নাম, ‘জানেন না’ বিএনপি নেতা
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর লড়বেন নৌকা নিয়ে
শেষ পর্যন্ত বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন!
পর্যবেক্ষক নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়: কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Rizveer called for quick elections to bring back democratic politics

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। তাই অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে বুধবার বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ-পূর্ব এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে আমি বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের নিনাদ শুনতে হবে। তাই সুষ্ঠু ধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনের সরকার। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো কুলাঙ্গারের যেন প্রত্যাবর্তন না হয়, এটাই জনগণ চায়।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। গত ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চাঙ্গা রেখেছে। এ কারণে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে গুম-খুনের শিকার হতে হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। অনেককে হাত-পা ভেঙে পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য করেছে। অনেককে অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ! কিন্তু কেন যেন মনে হয়, কতিপয় উপদেষ্টা সেই বিএনপিকে একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।’

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক আমরা চাই। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে নির্বাচন আয়োজন দীর্ঘায়িত করা হলে মানুষ তাদেরকে সন্দেহ করবে।’

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী
স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats 41 proposals for state reform

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। ছবি: জামায়াতে ইসলামী
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারে ৪১টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে অন্যতম বিচার বিভাগ সংস্কার, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল, পুলিশি আইন সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর করা।

গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ওই সময় দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছে আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছিল। হাজার হাজার মামলা দায়ের করে জুলুমের রাজনীতি কায়েম করেছিল।’

বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।’

পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।

জামায়াত নেতা সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনা মূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর।’

সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানায় জামায়াত। একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থার প্রস্তাব দেয় দলটি।

পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাব দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগভাগি থাকতে হবে।

ওই সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন খাত নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সব শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট ‘অশ্লীলতামুক্ত’ করতে হবে।

জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়, চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে।

হজ ও ওমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যেগ নেওয়ার কথাও বলা হয় প্রস্তাবে।

অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার, এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের আর একটা নির্বাচনের, তবে সময় যেন অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়।

‘দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণকে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ইতালি ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা নিষ্পত্তি করবে
শেখ হা‌সিনা ভারতে না অন্য কোথাও, জানে না সরকার
পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন যারা
দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Renu murder One gets death sentence four get life

রেনু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

রেনু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন গৃহবধূ তাসলিমা বেগম রেনু। ফাইল ছবি
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিনকে খালাস দেয় আদালত।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গৃহবধূ তাসলিমা বেগম রেনুকে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

অপর চার আসামি রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করে।

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিনকে খালাস দেয় আদালত।

উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন বাড্ডা থানায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবদুল হক।

ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকা ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ছাতকে নিজ ঘরে পীর খুন
সিলেটে অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে ডেকে নিয়ে হত্যা, কথিত প্রেমিক আটক 
গুলশানে মুদি দোকানে বৃদ্ধসহ দুজনের গলাকাটা মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Work in concert to decongest and de pollute canals Environment Advisor

খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করুন: পরিবেশ উপদেষ্টা

খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করুন: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজধানীতে বর্জ্যে পূর্ণ একটি খাল। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা বলেন, ‘খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় হতে হবে। ঢাকা শহরের খাল নিয়ে ভাবে এমন অনেক সংস্থা আছে। তাদেরকে এ কাজে যুক্ত করতে হবে।’

রাজধানীর খাল দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রাজধানীর পানি ভবনে বুধবার আয়োজিত ‘ব্লু নেটওয়ার্ক অ্যারাউন্ড ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় হতে হবে। ঢাকা শহরের খাল নিয়ে ভাবে এমন অনেক সংস্থা আছে। তাদেরকে এ কাজে যুক্ত করতে হবে।’

ঢাকা মহানগরের চারদিকে নদী, খালগুলোতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি করতে অংশীজনদের নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা ওয়ার্কশপ করতে হবে। সেখানে ঢাকার প্রতিটি খালের বাস্তবচিত্র নিয়ে কথা হবে। কীভাবে খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হতে হবে। কোন খালগুলো ইমিডিয়েট উচ্ছেদ করতে হবে আর কোনগুলো একটু বেশি সময় নিয়ে করতে হবে, সেই বিষয়ে ওয়ার্কশপে আলোচনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের যুব দিবসে কয়েকটা খাল পরিষ্কার করা যেতে পারে, যেখানে যুবকরা সরাসরি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই প্রজন্ম পরিষ্কার কোনো খাল দেখেনি।

‘এখনও হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। যুব দিবসে যখন দেখবে যুবকেরা উদ্যোগ নিয়ে খাল পরিষ্কার করছে, তখন তারা বাকি খালগুলো পরিষ্কারেও উদ্যোগ নেবে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে কোন বছর আমরা কী কাজ করব, তবে এখানে দুই থেকে তিন বছরের বেশি সময় লাগার কথা না।

‘দুই-তিন মাস পর পর পরিষ্কার কার্যক্রমে নামতে হবে। আমাদের একটা খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে ৩৫০ কোটি টাকা নেয়া হয়, কিন্তু এত টাকা দিয়ে নতুন একটি খাল বানানো যায়। তাই এই কার্যক্রমে ব্যয়সাশ্রয়ী হতে হবে।’

আরও পড়ুন:
সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে
দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুরনো যানবাহন প্রত্যাহারে বিআরটিএ-কে চিঠি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উজান-ভাটির দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: রিজওয়ানা
ঢাকার ১৫ খাল খননেই জলাবদ্ধতার ৮০ শতাংশ দূর হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pro democracy talent in administration Rizvi

গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী

গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার গুলশানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘প্রশাসনে স্বৈরাচার থাকলে দেশ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়বে। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ প্রশাসনের মধ্যে থাকলে তারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গ সরিয়ে গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোকজন প্রশাসনে বসাতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘মানবতা অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু যারা নিজেরা মানবতা দেখায়নি, যারা শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে, সেই স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে, আপনাদের পদে পদে বাধা দেবে।

‘স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গকে অতি দ্রুত চিহ্নিত করে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিল অথবা যারা নিরপেক্ষ ছিল তারা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন এসব মেধাবী লোকদের প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সেই পথ, সেই মত তৈরি করতে হবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার, সেটি তাদের তৈরি করতে হবে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘তিনি আবু সাঈদের মতো একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারীকে বলছেন সন্ত্রাসী। তাকে বলছেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মতো লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে।

‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তো প্রশাসনের একটি অংশ; তাহলে আজকে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইবে, সেটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আওয়ামী প্রশাসন জনগণের টাকা লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা বঞ্চিত ছিলেন। আপনাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল বিরোধী দলের লোক হিসেবে। এখন আপনারা যদি মনে করেন এতদিন বঞ্চিত ছিলাম এখন ভাগ-বাঁটোয়ারা করে সেটি পূরণ করব, তাহলে কিন্তু এই জাতি চিরদিনের জন্য অন্ধকারে চলে যাবে।’

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচার শেখেনি: রিজভী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Autumn festival starts tomorrow

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে প্রতীমা প্রস্তুতে শিল্পীর শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ছবি: নিউজবাংলা
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের। টানা চারদিনের ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরি এবং আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে। আগামী শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি হতে যাচ্ছে। পরদিন রোববার শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি।

সব মিলিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ছুটি থাকছে। টানা চারদিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশের সর্বাধিক পূজা অনুষ্ঠিত হওয়া পুরান ঢাকাতে এবারও উৎসবের আমেজে ব্যতিক্রম নেই। সর্বত্র চলছে উৎসব আয়োজনের তোড়জোড়।

সরকারি হিসাব মতে, সারা দেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। শুধু রাজধানী ঢাকায়ই এ বছর ২৫২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা উদযাপন করা হবে পুরান ঢাকায়। এখানে সূত্রাপুর থানায় ২৬টি, কোতোয়ালি থানায় ২৪টি, ওয়ারিতে ১৮টি, গেন্ডারিয়ায় ১৫টি ও বংশাল থানায় দুটি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে।

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল

পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, কালী মন্দির, নর্থব্রুক হল রোড, মহাকাল শিব বিগ্রহ, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী গত এক মাস নির্ঘুম সময় কাটিয়েছেন প্রতিমা তৈরিতে। এখন অপেক্ষা শুধু মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার। তবে কিছু জায়গায় সোমবারও তুলির শেষ আঁচড় চালাতে দেখা গেছে শিল্পীদের। শাড়িও পরানো হয়ে গেছে অনেক প্রতিমার। শিল্পীরা খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন কোনো ত্রুটি রয়ে গেল কিনা।

ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে বুধবার শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। মহাষষ্ঠীতে হবে মায়ের চক্ষুদান। সনাতন সম্প্রদায়ের এই উৎসব ঘিরে রাজধানীর পুরান ঢাকায়ও এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে এখানকার মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্যসাজে সাজানো হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বড় পরিসরে আয়োজন না হলেও এ বছর তা কাটিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজ সাজ রব।

দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে প্রায় সব মণ্ডপে ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিমা শিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে প্রতিমা তৈরি করেছি। গতকাল কাজ শেষ। অন্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গার আশীর্বাদে ভালোই অর্ডার পেয়েছি। বছরে এমনিতে ১৫-২০টি মূর্তি বানাই। এ বছর ৩৬টি বানিয়েছি। আগে একাই সব করতাম। এবার সঙ্গে দু’জন সহকারীও নিয়েছি। তাই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে।’

শেষ সময়ে প্রতিমায় রঙ-তুলির ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আরেক শিল্পী পল্টন পাল। ৩৩ বছর ধরে প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তিনি। বললেন, ‘এ সময় ভীষণ কাজের চাপ। তবে প্রতিমা তৈরি শেষ। চুন-কালির প্রলেপ দিচ্ছি এখন। এ বছর মোটামুটি ভালো কাজ পেয়েছি। গত বছর করোনায় তেমন সুবিধা করতে পারিনি।’

পুরান ঢাকার ১৩৬, শাঁখারি বাজারে ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব।

ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ও কোতোয়ালি থানা পূজা কমিটির সহ-সভাপতি উৎপল কুমার ঘোষ শেখর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০টি পূজা হবে। তার মধ্যে দুটি পারিবারিক পূজা ও বাকি ১৮টি সার্বজনীন। এবার আমাদের ভলেন্টিয়ার থাকবে, সিসি টিভি তো অবশ্যই লাগানো হবে।

‘নির্দেশনা আছে ব্যাগ-বস্তা নিয়ে কেউ মণ্ডপে যেতে পারবে না। বিকৃত মস্তিষ্ক কেউ থাকতে পারবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে, আমরাও সর্বদা সচেষ্ট থাকব।’

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পূজো আমাদের, রক্ষা করব আমরাই। এসবি, ডিবিসহ সাদা পোশাকে পুলিশ হাঁটাচলার মধ্যে থাকবে।

‘দেবীর সঙ্গে আমরা কারও তুলনা করি না। পূজার আরাধনার জন্যই পূজা করি। দেবির জন্য পূজা করছি, বড় আনুষ্ঠানিকতা করছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাজেট ৮-১০ লাখ টাকা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় মন্দা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নেই। সার্বিক অবস্থায় সবাই আমরা উদ্বিগ্ন। মায়ের নিকট এসবেরই পরিত্রাণ চাইবো।’

তাঁতীবাজার শিব মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীরেন ঘোষ বীরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর মায়ের আরাধনার সব ব্যবস্থা করে থাকি। এবারও ব্যত্যয় ঘটবে না। ষষ্ঠীর দিন রাতে আমরা মণ্ডপে প্রতিমা তুলব। আশা করছি আমাদের এবারের দুর্গাপূজা ভালোই কাটবে।’

কোতোয়ালি থানা পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও তাঁতীবাজার শিব মন্দির পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ গগন বলেন, ‘মায়ের প্রতিচ্ছবি দিয়ে প্রতিমা করা হয়। দুর্গা মায়ের আসল রূপই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দুর্গাপূজায় এবার ভক্তিমূলক গান বেশি বাজবে। কারও যেন কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে।’

সঙ্ঘমিত্র পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পিয়াল নাগ বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিসি টিভি লাগাতে বলা হয়েছে। সময়মতো লাগানোও হয়ে যাবে। এবার প্রতিটি মণ্ডপের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে।’

নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকায় এসব কর্মকাণ্ড করার সাহস কারও নেই। অন্ততপক্ষে শাঁখারীবাজারে কেউ এসব করতে আসবে না। এমন দুঃসাহস কারও হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। মায়ের প্রতিমা রক্ষায় সর্বদা নিজেদের নিয়োজিত রাখব।’

নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মু. এনামুল হাসান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল টিম এখন থেকেই কাজ করছে।

‘আমরা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইতোমধ্যে মিটিং করেছি। কিভাবে নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার মাধ্যমে আমরা পূজা সমাপ্ত করতে পারব সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

দুর্গাপূজায় মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। আমার থানায় মাত্র দুটি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। তাও আবার এক ছাদের নিচেই। তবু পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পূজার সমন্বয়ক কমিটি করা আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করবে। ভলেন্টিয়াররা তো আছেই। সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে।’

সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আমাদের একজন অফিসার থাকবেন। পূজা উদযাপন কমিটি ভলেন্টিয়ার টিমসহ হিন্দু-মুসলিম মিলে সম্প্রীতি টিম গঠন করা হয়েছে। মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের
দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No threat in Dhaka due to Durga Puja DMP Commissioner

দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
মো. মাইনুল হাসান বলেন, ‘দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার অনুরোধ জা করছি। বিসর্জনের সময় উচ্চৈস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরনের ‘থ্রেট’ (হুমকি) নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

‘বিসর্জনের সময় উচ্চৈস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। যারা সাঁতার জানেন না তাদের বিসর্জনের সময় পানিতে না নামার অনুরোধ করছি।’

মাইনুল হাসান বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩১টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১টি মণ্ডপ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে শান্তি-শৃঙ্খল ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠানে আগে সমন্বয় সভা করেছি।’

পর্যায় নিরাপত্তার উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি থানা পুলিশের অধিক টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে।

‘সাদা পেশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনসার বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র‍্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূজা চলাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করেছি মণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়।’

বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য সব পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগস্টের ৫-৬ তারিখে পুলিশের কার্যক্রম দেখেন। আর আজ ৮ অক্টোবরের পুলিশের কার্যক্রম দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন পুলিশ কতটুকু মনোবল ফিরে পেয়েছে। যারা কর্মবিরতি দিয়েছিল তারাও পুরোদমে কাজে ফিরে আসছে। পূজার অনুষ্ঠানে দৃঢ় মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মন্তব্য

p
উপরে