যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নয়, বরং বিএনপি বেকায়দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক একইসঙ্গে দাবি করেছেন, এই ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি নেই।
শনিবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। এতোদিন তারা (বিএনপি) নালিশ করেছে আমেরিকার দরবারে- নিষেধাজ্ঞা আসবে; নিষেধাজ্ঞা কই? নিষেধাজ্ঞা এখন তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নীতিতে। নির্বাচনে গোলমাল করলে, ভাঙচুর ও মানুষ পোড়ালে, বাস পোড়ালে…। যারা জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করবে, আগুন-সন্ত্রাস করবে, তারাই আজ ভয় পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির গলা বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে। আমেরিকা যে ভিসা নীতি প্রকাশ করেছে তাতে নির্বাচনে বাধা দিলে খবর আছে। সেজন্য বিএনপি নতুন কৌশল নিয়েছে। নাটক-নাটক খেলা শুরু হয়ে গেছে।
‘ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জে বিএনপির নাটক ধরা খেয়েছে। কেরানীগঞ্জে নাটক, খাগড়াছড়িতেও নাটক। আওয়ামী লীগকে আক্রমণকারী হিসেবে সাজাতে তারা নাটক বানাচ্ছে। বস্তুত, বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, ভয় পায় এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে।’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘সরকার অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কাজেই দেশি-বিদেশি কাউকে আমরা ভয় পাই না। আমরা আমাদের নীতিতে অটল থেকে নির্বাচন চাইছি। খেলা হবে, ফাইনাল খেলা; আমরা প্রস্তুত। আগামী নির্বাচনে নৌকা বনাম ধানের শীষ খেলা হবে। বাংলার মানুষ ধানের শীষ চায় না। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান।’
কাদের আরও বলেন, ‘সবশেষ গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব। কাজেই বাইরে কে নিষেধাজ্ঞা দিল, ভিসা বন্ধ করে দিল তা নিয়ে শেখ হাসিনার মাথাব্যথা নেই। আসন্ন চার সিটি করপোরেশনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনও আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করব।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনো নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। একমাত্র শেখ হাসিনা সেই নেতা, যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। এ দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছেন যিনি তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস…। সি হ্যাজ শো দ্য ওয়ে আউট অফ পোভার্টি।
‘ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবেন তা আমরা হতে দেব না। ষড়যন্ত্র করে ওই নেতাকে বাদ দেবেন? শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। আমরা সেটা হতে দেব না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক। কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনও বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভুত কাণ্ড!’
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা শেষ। আল্টিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়। ক্যাপ্টেন এলে জোরদার খেলা হবে। আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন লাশ। ওই লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।’
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সংঘর্ষে আহত আব্দুল মালেক, মো. জামাল, সোহাগ, রাসেল, সাদ্দাম ও আফসার হোসেনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গুরুতর আহত ৪৮ বছর বয়সী মনির হোসেনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সংঘর্ষের সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো এলাকা।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ট্রলারে নেতা-কর্মীরা আসছিলেন।
তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা দিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, ‘ট্রলারে করে গজারিয়ার সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহর লোকজন শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটের অদুরে বেড়িবাঁধে আসেন। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের পায়ে ধাক্কা লাগে জিন্নাহর লোকজনের। এরপর তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা আমার বড় ভাই মনির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে।’
গজারিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনসুর খান জিন্নাহ বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে আমার সঙ্গে ঘটনাটা ঘটেনি, এতে আমার কয়েকজন লোক আহত হয়েছে।’
সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সরে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ওসমানপুর এলাকায় শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোহাম্মদ নোমান ওসমানপুর এলাকার প্রয়াত নুরুজ্জামানের ছেলে।
ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিকেলে ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রোগ্রাম ছিল। এ সময় ছাত্রলীগও পাশাপাশি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির লোকজন মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে।
‘হামলায় নোমান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে দাবি করছেন। ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, আজমপুর বাজারে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিনের প্রোগ্রাম ছিল। এ সময় খবর পেয়ে আমরা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিই। তাদের প্রোগ্রাম শেষে লাঠিসোটা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে মুহুরি প্রজেক্ট থেকে আজমপুর বাজার পর্যন্ত ভাঙচুর চালায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিসেও হামলা করা হয়। আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না, তারা আমাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতা হাসান রাফি আরফিন, যুবলীগ নেতা সাত্তার সুজন দুখু, ছাত্রলীগ কর্মী নোমানসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। তাদের মধ্যে নোমানের মৃত্যু হয়েছে।’
সঞ্জয় মল্লিক বলেন, পুরো হামলাটা বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের নির্দেশেই হয়েছে বলে ধারণা আমাদের।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। খবর বাসসের
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা দেশে-দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আজকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হাতে, বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। দেশটাকে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভন্ডুল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অপচেষ্টা যারা করছে সেই বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। তাদেরকে কেউ বাতাস দিচ্ছে এবং সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফাচ্ছেন। তারা লাফাতেই থাকবেন আর এদিকে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা আবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হবেন ইনশাআল্লাহ।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। পরে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন ও প্রধানমন্ত্রী এবং দেশ-দশের মঙ্গল কামনায় দোয়ায় অংশ নেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর বারিধারার এভারকেয়ার হাসপাতালে শুক্রবার বিকেল ৫টা ১০মিনিটে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হলো।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সপ্তম তলার কেবিন থেকে চতুর্থ তলার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি লিভার জটিলতাসহ অন্যান্য কয়েকটি রোগে ভুগছেন।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন- মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন ম্যাডাম।’
এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল। পরে আবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় এলে দেশের নারী, শিশুসহ কারও নিরাপত্তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এরা পুনরায় ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে, ভোটের অধিকার চলে যাবে।’
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহিলা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে মানুষটি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে তাকে সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমরা আশা করি খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে পাঠানোর যে আবেদন করছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
গত সোমবার খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদাকে আটক রাখা হয়েছে, কারণ উনি মুক্ত থাকলে উনাদের ক্ষমতা থাকা কঠিন হয়ে যাবে। উনি মুক্ত থাকলে দেশের গণতন্ত্র মুক্ত থাকবে। উনি মুক্ত থাকলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া যাবে না।’
ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেই নির্বাচন কখনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সমগ্র দেশের মানুষ যখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে তখন এই মহিলা সমাবেশ আমাদের আরো সাহস যুগিয়েছে। আজকে এই সরকারের অত্যাচার থেকে মা বোনদের রক্ষা পায় নাই। সাইবার সিকিউরিটি আইনের নামে আটক করা হচ্ছে মা-বোনদের। আজকে সত্য লেখার অপরাধে মা-বোনদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বী। সরকারের বেধে দেয়া দর কেউ মানছে। সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। সংসার চালাতে মহিলারা হিমশিম খাচ্ছে। এ সরকারের আমলে আজ কেউ নিরাপদ নয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরা জনগণের নির্বাচিত নন। খালেদা মেয়েদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন, চাকরি ক্ষেত্রে মেয়েদের কোটা প্রথা চালু করেছেন। আজকে এ সরকার গায়ের জোরে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও দেশ ধ্বংস করে ফেলছে। তারা মানুষের কথা চিন্তা করছে না।
‘মানুষের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরা চায় না। এ সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আসুন সব নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই একদলীয় বাকশালী সরকারকে বিদায় করে জনগণের রাষ্ট্র কায়েম করি।’
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দল নেত্রী হেলেন জেরেন খান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘সরকার স্যাংশন নাকি মানে না। মানবে কেন? দেশের মানুষ না খেয়ে থাকলে, মারা গেলে আপনাদের কী? আপনারাতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেভাবে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন আপনাদের ঘরে কি মা-বোন নেই? আপনারা শুধু রাষ্ট্র, সমাজ নয়, পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন:তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না, যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার আয়োজিত আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে তিনি একথা বলেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ দেশে নির্বাচন ভণ্ডুল করে ‘হামিদ কারজাই’ মার্কা সরকার গঠনের অপচেষ্টা কখনও সফল হবে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে সরকার টিকবে না। আমাদের সরকার পূর্ণ পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। ২০১৮ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবারও আমরা দু'মাসের মাথায় পাঁচ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যতই দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন যথাসময়েই হবে। বিএনপি আসুক বা না আসুক, আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজক সুপ্রিম পার্টিসহ বহু রাজনৈতিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
দেশরক্ষা, অলি-আউলিয়াদের সম্মান রক্ষা ও ফেতনা সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ানো মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের কল্যাণে যখন অভাবনীয় কাজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে তখন দেশে ইসলামের নামে হানাহানির অপচেষ্টা চলছে।
‘আজ জামায়াতে ইসলামী ও আরও কিছু গোষ্ঠী অলী-আউলিয়াদের অসম্মান করে। তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, বক্তৃতা করে। এরা ইসলামের কল্যাণ করছে না, বরং ফেতনা সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দেশে ইসলামের কথা বলে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির সময় একযোগে পাঁচশ' জায়গায় বোমা ফাটানো হয়েছে। বিএনপি জঙ্গি ভাড়া করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। যারা এভাবে ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
‘দেশে দেশে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে স্যাংশন বা ভিসা নীতি নেই’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার জবাবে যখন ইসরাইলি বাহিনী গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা করে, তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেয়া হয় না। মিয়ানমারে যখন মুসলমানদের হত্যা করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি হয় না। নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে আমাদের আশ্রয়ে ভালো রাখার উপায় দেয়া হয়; কিন্তু তাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ায় জোর দেয়া হয় না।’
‘ইসলামের খেদমতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগ যুগান্তকারী’
মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা:) জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুননবী উপলক্ষে এ দিনের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ইসলামের খেদমতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ যুগান্তকারী ও অদ্বিতীয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তৎকালীন এই রেসকোর্স উদ্যানে ঘোড়দৌড় বন্ধ করেছিলেন। কারণ ইসলাম বাজি সমর্থন করে না। উদ্যানের পাশে তাবলীগ জামাতের মসজিদ এবং টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জমিও বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। তিনি মদ, জুয়া, হাউজি নিষিদ্ধ করেছিলেন, যেগুলো পরে বিএনপি জিয়াউর রহমান আবার চালু করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের খেদমতে বহু কাজ বঙ্গবন্ধু করেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ, ১ লাখ ২০ হাজার মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা ও প্রতি মক্তবের শিক্ষকদের ৫২০০ টাকা মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। খালেদা জিয়া, এরশাদ সরকার মূলা ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনাই দেশে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
হাছান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রায় প্রতিটি আলিয়া মাদ্রাসার নতুন ভবন এবং ৬১০০ মসজিদে পাঠাগার হয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হয়েছে। ২০২৪ সালে জাহাজে করে হজ্জ্বযাত্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ জাহাজে খরচ বিমানের প্রায় অর্ধেক। মক্কা-মদীনার ইমামবৃন্দ শেখ হাসিনার আমলেই এ দেশে আমন্ত্রণে এসেছেন। সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক উচ্চতায় আসীন হয়েছে।’
আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য