খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাঈমুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার না করায় কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন জেলার সব চিকিৎসকরা। এতে রোগীদের ভোগান্তিও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
এএসআই নাঈমুজ্জামানকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের খবরে খুলনার হাসপাতালগুলোতে বৃহস্পতিবার সকালে জরুরি বিভাগে রোগীর চিকিৎসা সেবা শুরু হলেও, কিছুক্ষণ পরেই আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা রিনা বেগম বলেন, সাড়ে নয়টার দিকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল টিকিট দেয়ার জন্য। আমরা চল্লিশটির মতো টিকিট দিয়েছি রোগীদের। এরপর আমাদের জানানো হয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভা অনুষ্ঠিত হবে, সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আর যারা টিকিট সংগ্রহ করেছে, তাদেরকে জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ৩টায় বিএমএ খুলনা শাখার নেতারা জরুরি সভা শেষে জানান, হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে।
বিএমএ'র খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকে। আর শনিবার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় খুলনার বিএমএ ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
চিকিৎসকরা টানা দুদিন কর্মবিরতিতে থাকায় রোগীরদের ভোগান্তিও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, খুলনাতে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
এছাড়াও খুলনা মহানগরীতে তিনটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ১০৩টি ক্লিনিক ও ১৪৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আর উপজেলা পর্যায়ে ক্লিনিক রয়েছে ৪৯টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৬৮টি।
বিএমএ’র তথ্যমতে, এসব হাসপাতালে প্রায় ৩ হাজার রেজিস্টার্ড চিকিৎসক রোগীদের সেবা দেন।
হাসপাতালগুলোর পরিচালকের কার্যালয় ও সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা যায়, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার, খুমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার, জেনারেল হাসপাতালে ৫ শতাধিক ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোরও বহির্বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সাতক্ষীরা থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে নাছিমা নামের এক রোগী এসেছিলেন হাসপাতালে বহির্বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমার গায়ে চুলকানি হয়েছে। এত কষ্ট করে আসলাম। এখান থেকে আমাদের বাড়ি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। এখন চিকিৎসা না পেয়ে চলে যেতে হবে।
আসাদ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ছেলের এক সপ্তাহ যাবত জ্বর। আগে অন্য চিকিৎসককে দেখিয়েছি, ভালে হয়নি। খুলনা মেডিক্যালে আনলাম, চিকিৎসক পেলাম না। এরপর বেসরকারিতে গেলাম, সেখান থেকেও জানালো, আজ কর্মবিরতি। তাহলে আমরা যাবো কোথায়?
শিশু সুস্থ না হওয়ায় পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান শেখ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল হক নার্সিং হোমে ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই চিকিৎসক। পরে শিশুটির মা নুসরত আরা ময়নাও বাদী হয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেয়ের চিকিৎসা করার ছলে ওই চিকিৎসক মেয়ের মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন এবং আপত্তিকর আচরণ করেন। মেয়ের মা তাকে সেই সুযোগ না দিলে মেয়ের চিকিৎসা করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ অভিযোগ করা হলে পুলিশ এসে চিকিৎসকদের মাধ্যমে মেয়ের হাতের আঙুল ব্যান্ডেজ করে দেয়।
এজাহারে চিকিৎসক শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ, হক নার্সিং হোমের এমডি মো. নুরুল হক ফকিরসহ চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আট ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আসার অপেক্ষায় আছে আরও ১০ ট্রাক পেঁয়াজ।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই পেঁয়াজের ট্রাকগুলো প্রবেশ করে। আর বাকি ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে মঙ্গলবার।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বাসসের
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খাঁন জানান, প্রতি টন পেঁয়াজ ২২০ মার্কিন ডলার থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সুযোগে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় ওঠে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়াই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমানো সম্ভব হবে এবং সাধারণ মানুষ নায্য মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আট ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরও আট থেকে ১০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে।
এর আগে ২ মাস ২২ দিন বন্ধ থাকার পর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় সোমবার। রাত ৮টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন:চলমান লোডশেডিং কেন হচ্ছে তার কারণ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
পোস্টে তিনি বলেছেন, তীব্র গরম এবং সেইসাথে লোডশেডিংয়ের কারণে সবার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কারোরই কাম্য নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশকিছু কারণ আছে, যা সবার জানা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অজানা নয়, করোনা মহামারির ধাক্কা, পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, সেইসাথে প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যে সংকট এখনও চলমান।
‘অন্যদিকে, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি যথা গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল আমদানিতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানের এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং।’
‘তবে আমরা খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি’ বলে পোস্টে জানান তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ২০০৮ সালেও দেশের মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেতেন, সেখানে আজ শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে যা, বিশেষ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনা।
‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতি ও সকল ধরনের উৎপাদনে অভাবনীয় গতি এসেছে। এতে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগত এক যুগে আমরা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি ৫ গুণেরও বেশি।
‘বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭,৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)। ফলে উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের নজিরবিহীন উর্ধ্বগতির কারণেই আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছি।’
পোস্টে তিনি সর্বোপরি জনগণের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। সে সঙ্গে তিনি এ পরিস্থিতি সাময়িক, খুব দ্রুতই আমরা ভালো অবস্থায় ফিরে আসবো বলে আশ্বস্ত করেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের আগে সারা দেশে দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।’
‘আশা করি আপনাদের সেই আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সবাই মিলে আমরা দ্রুততম সময়ে এই ভোগান্তি পাড়ি দিতে সমর্থ হবো’, জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:একের পর এক জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলায় ঘটনায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে তাকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহারের পর বেলকুচি থানার নতুন ওসি হিসেবে খায়রুল বাশারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেলকুচির পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় রোববার মানববন্ধন করেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ সময় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ বলেন, ‘প্রায় ৬ মাস আগে বেলকুচি থানার ওসির দায়িত্বে আসেন আসলাম হোসেন। এর পর থেকে বেলকুচি উপজেলায় ৬ জন জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। উপরন্তু আমাদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের এই সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওসি আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার না করা হলে জনপ্রতিনিধিরা কলম বিরতিতে যাবেন।’
বাতাসা খাইয়ে অচেতন করে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে কাইয়ুম শেখ নামে এক কবিরাজ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার ভোরে ফকিরহাট থানা পুলিশের একটি দল জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
৪৫ বছর বয়সী কাইয়ুম শেখ ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মতলেব শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কাইয়ুম শেখের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। কবিরাজ আঁচিল তোলার চিকিৎসার সময় রোগীর সঙ্গে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাতাসা খেতে দেন। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে অভিযুক্ত কাইয়ুম শেখের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীমুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামী কাইয়ুম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’
আরও পড়ুন:আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জের হবে মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ, কারণ নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়।
সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখন একটু উন্নত হয়, তখনই এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।
‘যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে- তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে; তারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’
নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট চুরি করা তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্র হরণ করা তাদের রেকর্ড। ওদের মুখেই এখন আবার আমরা গণতন্ত্র শুনি!
যারা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। চুরি করা যাদের অভ্যস, সেই চোরদের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনে ১ কোটি ২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করতে গেছে। তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন কারাবরণ, অত্যাচার-নির্যাতন, তারপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধাহত হয়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ- এখানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা, জয় বাংলা মুছে ফেলা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা- অনেক অপকর্মই করা হয়েছে। আসলে সত্য এক সময় না এক সময় উদ্ভাসিত হবেই। সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আজকে সেটাই হয়ে গেছে।
‘৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে।’
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি এই ১৪ বছরে। ২০০৮ এ সরকারে আসার পর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই বাংলাদেশের এই উন্নতিটা সম্ভব হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের তৈরি হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এটাকে আমাদের স্থায়ী করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার শক্তিশালী সংগঠন আছে। সংগঠনের শক্তিশালী নীতিমালা আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, একটা পরিকল্পনা আছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে, জনগণকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করি বলেই আমরা সাফল্য আনতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন:সারা দেশের ন্যায় তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত বাগেরহাট জেলাবাসীর প্রাণ। মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। একদিকে গরমে ফ্যান বন্ধ, অন্যদিকে রাতে অন্ধকার। সব মিলিয়ে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে জেলার মানুষ।
সোমবার বিকেল ৩টায় বাগেরহাটে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে মোংলা আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী সাতদিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি হলে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ।
এদিকে, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের।
রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত ও সঙ্গে লোডশেডিং থাকায় ভোগান্তির মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র গরম ও রোদের তাপে কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না।
এদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে বেচাকেনা বেড়েছে হাতপাখা ও হারিকেনের দোকানগুলোতে। জেলার হারিকেন, কুপি ও হাতপাখার দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করার মতো।
মাত্রই যাত্রী নামিয়ে গরমে দরদর করে ঘামছিলেন রিকশাচলক করিম শেখ। তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। রিকশার হ্যান্ডেলের সাথে ছাতা বেঁধে কোনোমতে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি। কিন্তু গরম কি আটকানো যায়!
‘পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছি। কারণ একদিন ইনকাম না হলে পরেরদিন আমাকে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার বাসিন্দা আলম শেখ বলেন, ‘এত গরম আমার জীবনে দেখিনি। সে সঙ্গে কষ্ট আরও বাড়িয়েছে লোডশেডিং। ঘরে ও রাস্তায় কোথায়ও দাঁড়াতে পারছি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারবার গোসল করেছি। তাতেও শান্তি পাচ্ছি না।’
বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিপক সাহা বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিংয়ে আমরাও কষ্টে আছি। তবে হাতপাখা ও হারিকেনের চাহিদা অভাবনীয় হারে বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে এক থেকে দুটি হাতপাখা, হারিকেন ও চেরাগ (কুপি) বিক্রি হয়েছে, সেখানে দিনে ১০ থেকে ১৫টি হারিকেন ও চেরাগ বিক্রি হচ্ছে।’
নাগেরবাজার এলাকার হাতপাখা দোকানী লক্ষ্মী রানী সাহা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে হাতপাখার এমন চাহিদা দেখিনি। আমার দোকানে যত হাতপাখা ছিল সব বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন করে হাতপাখার অর্ডার দিয়েছি। বেচাকেনা অনেক ভালো।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে কথা বলবে সরকার। আর কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন। আবারও একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এমন কিছু এখনও আমাদের চোখে পড়েনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি দেয়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এখানে তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্যতা আছে। আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলব। শুধু তাই নয়, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের সবাইকে নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাব।’
যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ আরও কিছু দেশ ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে- এমন গুজবের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সবই প্রপাগান্ডা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরও বাড়বে। সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে সচেতন থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ২৫ মে জো বাইডেনকে চিঠি দেন ৬ জন কংগ্রেস সদস্য। চিঠিতে কিছু বাড়তি কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও। কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে যে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।
‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’
বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন- বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিদেশে কারও কাছে ধরনা দিয়ে বা কারও চাপে পড়ে বা কারও সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে– এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’
সম্প্রতি ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশকে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রীষ্টের জন্মের তিন শ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ণ করা হয়েছে মানুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য