× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Is it really possible to return the supervision?
google_news print-icon

তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?

তত্ত্বাবধায়কে-ফেরা-কি-আসলে-সম্ভব?
জরুরি ব্যবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ফখরুদ্দীন আহমেদকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এরপর ওই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস করা হয়।

সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ফের রাজনীতিতে উত্তাপ। বিএনপির দাবি, ফিরিয়ে আনতে হবে এই সরকার ব্যবস্থা, নইলে যাবে না ভোটে। জনমনে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির শঙ্কা।

অতীতের মতোই বিপরীতমুখী অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সরকার বলছে, ভোট হবে সংবিধানের বিধান মতেই। যা গেছে, তা আসবে না কোনোভাবে।

সরকারের বক্তব্য হলো, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাতিল হয়েছে এই ব্যবস্থা। জাতীয় সংসদও সেই রায়ের আলোকে নিয়েছে ব্যবস্থা। এখন কোনো সুযোগই নেই তত্ত্বাবধায়কে ফেরার।

এই আইনি জটিলতার মধ্যে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে এসে বিকল্প একটি সরকারের কথা বলেন। তার সেটির নাম ‘সহায়ক সরকার।’

তবে সেই সরকার কেমন হবে, তার রূপরেখা ছয় বছরেও জানায়নি বিএনপি, যদিও তাদের নেত্রী বলেছিলেন, অচিরেই তারা সব কিছু নিয়ে আসবেন জাতির সামনে।

এবার আর সহায়ক সরকারের কথা না বলে গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বলেছে, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

দাবি আদায়ে জোরালো আন্দোলন করার কথাও বলছে দলটি। তবে প্রশ্ন হলো, তাদের দাবি মেনে ঠিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফেরা সম্ভব কি না।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এরপর ওই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস হয়।

সেই বিল সংসদে এনেছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক কথায় বললে বলব তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে হয় না দরকার আছে। কারণ দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যথাযোগ্য মর্যাদা নিয়ে একটা সরকার চলতে হবে। খুশিমতো আজকে এটা, কালকে ওইটা, তা তো হবে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি এইটা জাজ করেছি।’

চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনা মানে কী। যদি বেশিসংখ্যক জনগণ চায়, তাহলে যেকোনো কিছুই সম্ভব। এটা আনাটা সঠিক হবে কি না সেটাই হলো প্রশ্ন।’

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল আইনের মারপ্যাঁচে যেতে চান না। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল ডকট্রিন অব নেসেসিটির ভিত্তিতে। অর্থাৎ দেশের রাজনৈতিক প্রয়োজনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পাস হয়। কালের পরিক্রমায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটা অপরিহার্য।

‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দেশে চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য জনমতের বিপরীতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।’

সুপ্রিম কোর্ট যাকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করেছে, সেই সরকার কীভাবে ফেরানো সম্ভব- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার অনেক দরজাই খোলা আছে।’

তবে সেই দরজা কী, তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপিল বিভাগ তার রায়ে বলেছে, জাতীয় সংসদ চাইলে আরও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে। তাহলে কী হলো, কোর্ট ছেড়ে দিল সংসদের উপরে। সংসদ মানে বর্তমান সরকারের ওপর। আর সরকার হলো আওয়ামী লীগ। তারা পরবর্তী পর্যায়ে দুইবার আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেনি। তারা চাইলে দুইবার করতে পারত। সেই দুইবার তো এখনও হয়নি। সংবিধান সংশোধন করে আরও দুইবার করতে পারে। তার কারণ কোর্টের তো পর্যবেক্ষণে আছে এ বিষয়ে।’

তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?
২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবে, এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ওই বছরের ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্র প্রধানের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়কের প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে কয়েক দফা পিছিয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচন করা যায়নি। ১১ জানুয়ারি জারি হয় জরুরি অবস্থা। তত্ত্বাবধায়কের প্রধানের পদ ছাড়ের ইয়াজউদ্দিন।

তবে খোকনের এই বক্তব্যে দুটি ফাঁক রয়েছে। প্রথমত, সংসদ চাইলে দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে, সেটি আপিল বিভাগের রায়ের দিন মৌখিকভাবে বলা হলেও চূড়ান্ত রায়ে সেটি নেই।

দ্বিতীয়ত, এরপর দুটি সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে। প্রথমটি ২০১৪ সালে, দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। আবার মৌখিক রায়ে থাকার বিষয়টি ধরে নিলেও তা ছেড়ে দেয়া হয়েছিল জাতীয় সংসদের ওপর। সংসদ সেটি বিবেচনা করেনি।

২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সেই রায়ে সই করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। প্রকাশ করা হয় লিখিত রায়।

তাহলে আর কি কোনো পথ আছে?

খোকন বলেন, ‘যে দুইবার গেছে সেটা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নয়, গেছে দলীয় সরকারের অধীনে। সরকার চাইলে আদালতের রায়ের আলোকে দুইবারের জন্য সেটা রেস্টোর (পুনস্থাপন) করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি।’

আপনারা শুধু দুইবারের জন্য চাচ্ছেন নাকি একেবারেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকুক চাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সম্পাদক বলেন, ‘আপাতত দুইবারের জন্য হোক। তারপর ১০ বছরের যদি গণতন্ত্র উন্নতি হয়, তখন হয়তো আর লাগবে না।’

আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়া সম্ভব কি না জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিএনপি নেতা খোকনের এই ব্যাখ্যা একেবারেই অবান্তর বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, যিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন উপকমিটির সদস্যও।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত যেহেতু এটি বাতিল করেছে, সংবিধানও সংশোধন করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’

দুলাল বলেন, ‘বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি করছে, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নষ্ট করেছেন তারাই। এ ছাড়া ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকে পুরো ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা হারিয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, আমরা সেই রায় মানি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।’

রিট আবেদন আছে, শুনানি হয়নি

জাতীয় নির্বাচনের ৪২ দিন আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তার সেই রিটের আর শুনানি হয়নি।

তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফেরা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন ঝুলে আছে। তবে শুনানির কোনো উদ্যোগ নেই রিটকারী আইনজীবীর

রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায় অনুসারে দুই বার তত্ত্বাবধায়কের সুযোগ ছিল। সেই গ্রাউন্ডে রিট করেছিলাম। সেই রিটের আর শুনানি হয়নি। তার আগেই হাইকোর্টের সেই বেঞ্চ ভেঙে যায়।

‘নতুন করে শুনানির জন্য উদ্যোগ গ্রহণের চিন্তা আপাতত নাই। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি দাবি করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে নিয়ে আবেদন জানাব।’

তত্ত্বাবধায়কের আদ্যোপান্ত

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরের বছরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। ১৯৯৪ সালে ঢাকার মিরপুর ও মাগুরায় দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামে আওয়ামী লীগসহ সে সময়ের বিরোধী দলগুলো।

তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?
বিএনপির মেয়াদে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর একযোগে পদত্যাগ করার পর দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে বিএনপি। নতুন সংসদে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করার পর ওই বছরের ১২ জুন আবার হয় ভোট। ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন হয়। তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে এসেও বিএনপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। একপর্যায়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে আবার জাতীয় নির্বাচন দেয়।

তখন সিদ্ধান্ত হয়, সবশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তিনি রাজি না হলে সব দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে একজন হবেন এই সরকারের প্রধান। আর আলোচনায় কাউকে পাওয়া না গেলে হবেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সেই ভোটে জিতে ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ২০০১ সালে।

ওই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট আসে ক্ষমতায়। তবে সেই সরকারের আমলে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক বিরোধ।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। তিনি এককালে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ফলে তাকে মেনে নিতে রাজি ছিল না আওয়ামী লীগ।

আন্দোলনের একপর্যায়ে কে এম হাসান জানান তিনি এই পদের জন্য আগ্রহী নন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের পদে কে আসবেন, এ নিয়ে বিরোধের মীমাংসা না হওয়ার পর বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের ওপর বর্তায় সেই দায়িত্ব।

ইয়াজউদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যায় আন্দোলনে। কিন্তু একবার পিছিয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়।

একতরফা নির্বাচনের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ভোটের ১১ দিন আগে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ ছেড়ে দেন। দায়িত্ব নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ।

তত্ত্বাবধায়কে ফেরা কি আসলে সম্ভব?

২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি বিচারপতিদের অবসরের বয়স সীমা দুই বছর বাড়ায়। ফলে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয়। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে তাকে মেনে না নিয়ে আন্দোলনে যায় আওয়ামী লীগ। ছবি: সংগৃহীত।

সেই সরকার প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভোট দেয়। সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সংবিধানের যে সংশোধনীর মাধ্যমে এই সরকারব্যবস্থা চালু হয়েছিল, সেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রিট আবেদনকারী পক্ষ। ২০১০ সালের ১১ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় পাল্টে এই সরকারব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করে।

এরপর দুটি নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনে হয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করলেও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে এবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া ভোটে না আসার ঘোষণা আছে তাদের।

সহায়ক সরকারের কথা তুলে ভুলেছে বিএনপি

এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে এসে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার করার প্রস্তাব দেন।

সেদিন তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই হবে না। এর পাশাপাশি একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দরকার। যারা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’

এরপর পেরিয়ে গেছে ছয় বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু সুবিধামতো সেই সময় আসেনি, নির্বাচনকালীন কী ধরনের সরকার চায় বিএনপি, সেটি আর জানা হয়নি।

যদিও সে সময় বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন, তাদের সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরির কাজ চলছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে বা আগস্টে ঘোষণা হতে পারে তা।

আরও পড়ুন:
ছেলে জঙ্গিবাদে জেনেই জামায়াত আমিরের সহযোগিতা: রিমান্ডে স্বীকারের দাবি
সরকার না চাইলে নির্বাচনে আসুন, বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ছাড়া আসনে আওয়ামী লীগের ছাড়ের আশায় জাপা
নেত্রকোণার রাজনীতিতে সাবেক সচিব সাজ্জাদুল
২৪ ডিসেম্বরের মিছিল পিছিয়ে দিল বিএনপি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

যুবসমাজের জন্য সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের

যুবসমাজের জন্য সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের ডিসি সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: ইউএনবি
অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর একটা প্রশ্ন ছিল, আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সেল মিলিটারি (সর্বজনীন সামরিক) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন।’

যুবসমাজের জন্য সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি), যাতে দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ অংশগ্রহণ করতে পারেন।

ওসমানী মিলনায়তনে মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশনে তারা এ প্রস্তাব দেন।

অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ‘সিভিল মিলিটারি কোঅপারেশন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা প্রশ্ন করেছিলেন। সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে অরিয়েন্টেশন করেন, ডিভিশন পর্যায়ে এই অরিয়েন্টেশনগুলা করা সম্ভব কি না, যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি কীভাবে করা যায়।’

‘আর একটা প্রশ্ন ছিল, আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সেল মিলিটারি (সর্বজনীন সামরিক) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘তারা নিজ নিজ কয়েকটি জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে হয়তো বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে এই ধরনের এলাকায় তারা অভিযান পরিচালনা করতে চান। সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নেভির কাছে প্রশ্ন ছিল কীভাবে জাটকাবিরোধী অভিযানের বা আমাদের নদীতে যে সম্পদ আছে, সেই সম্পদ রক্ষায় তারা আরও কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারেন।

‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’

আবদুল হাফিজ বলেন, ‘দুই-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। এ ধরনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তারা উত্থাপন করেছিলেন।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন:
উত্তরায় চাপাতি দিয়ে দম্পতির ওপর হামলা: দুজন গ্রেপ্তার
‘হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’: ক্যাম্পাস রোডশো শুরু
কটিয়াদীতে দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত: সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ
চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Before the advisor to the local government election

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মত তুলে ধরেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’

অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণের দাবি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারাও এ মতের পক্ষে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় জনপ্রতিনিধিরা নেই। তাদের দায়িত্বগুলো বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা পালন করছেন।

‘সেই জায়গা থেকে তাদের যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, আজকের ডিসি সম্মেলনে আমরা সেগুলো শুনেছি এবং এগুলো অ্যাড্রেস করেছি।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারদের প্রত্যেকেই মূল দায়িত্বের বাইরে কিছু না কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের অতিরিক্ত সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সমস্যাটা হলো একজন অফিসার যখন নিজ দায়িত্বের বাইরে আরও দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করেন, তার পক্ষে কোনোটাই যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, যে কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিত।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়েও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনও চলমান আছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও সরকার নেয়নি।

‘আশা করছি খুব দ্রুতই কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে। হয় আমরা দ্রুতই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করব, অন্যথায় প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, সংস্কার আগে: জামায়াত
ক্ষমতায় যে দলই আসুক, মিলেমিশে কাজ করব: মির্জা আব্বাস
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর সরকার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Books will go to school this month Mass Education Advisor

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানীর একটি স্কুলে নতুন বই পেয়ে ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি/পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৮৫ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই বাকি স্কুলগুলোতেও বই পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা যুক্ত রয়েছেন। ডিসিরা প্রাথমিক শিক্ষার নানান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ যেন সঠিকভাবে হয়, সে বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেও বলে জানান উপদেষ্টা।

ওই সময় প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের আন্দোলনে বিষয় জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা জানান, সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতি তার সহমর্মিতা আছে, তবে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Improving law and order situation Home Advisor

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে, ততদিন অপারেশন চলবে।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এমন দাবি করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে, ততদিন অপারেশন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। সব লেভেলে যেন দুর্নীতি কমে, সে জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

ওই সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গাজীপুর জিএমপি, শিল্প পুলিশে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবও সংশ্লিষ্ট ডিসি দিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন।

‘নৌ পুলিশ বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন। গাজীপুরে জনবল বৃদ্ধির কথা বলেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জনবল বৃদ্ধির জন্য বলেছেন।’

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না দেওয়া এবং এসপি ও ওসিদের এসিআর লেখার প্রস্তাব করেছিলেন ডিসিরা। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।

জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ আলোচনার সময় ছিল খুব কম।’

আরও পড়ুন:
বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the International Crimes Tribunal

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও বিচারকসহ ১৬ জন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও বিচারকসহ ১৬ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাইনবোর্ড। ছবি: বাসস
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে মঙ্গলবার তাদের হাজির করা হয়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকসহ ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে মঙ্গলবার তাদের হাজির করা হয়।

সকাল ১০ টার পর ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। তারা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

যাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই ও সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তার দুই ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রয়েছেন।

এ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই এখন রয়েছেন আত্মগোপনে।

এদিকে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
পরোয়ানা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল
ট্রাইব্যুনালে সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ আসামি
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Public Administration Reform Commission recommends simplifying bureaucratic process

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। ছবি: ফেসবুক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়।

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি।

কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা প্রদানে জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে।

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, ‌‌‘নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ প্রদান টার্গেট জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

‘একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।’

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, ‘কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবণ্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে পাঁচটি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে।

‘সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্ন্যান্স কৌশল বাস্তবায়ন করা। ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা।’

সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, ‘নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake freedom fighters will be covered under the law adviser

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: বাসস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।

‘জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) অধ্যাদেশ পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘টিআর-কাবিখাতে বরাদ্দ নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে যেন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলে। এখন থেকে ইউএনওরা টিনসহ কিছু সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কিনবেন।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে মনে করি। তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

‘এ মাসের মধ্যেই জুলাই অধিদপ্তর গঠন হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে মৃত্যুবরণ করা সবাই জুলাই শহীদ। আর আহতরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত হবেন।’

আরও পড়ুন:
‘ডিসি পদায়নে তিন কোটির’ সেই চেক ভুয়া: জনপ্রশাসন সচিব
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের উগ্র ডানপন্থীরা
শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা ফারুক
রেস্টুরেন্টের ‘দখলে’ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

মন্তব্য

p
উপরে