× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Violation of Myanmars border Which way will Bangladesh go?
google_news print-icon

মিয়ানমারের সীমানা লঙ্ঘন: কোন পথে যাবে বাংলাদেশ?

মিয়ানমারের-সীমানা-লঙ্ঘন-কোন-পথে-যাবে-বাংলাদেশ?
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাদের টহল দিতে দেখা গেছে। ফাইল ছবি: নিউজবাংলা
কূটনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, কূটনীতিককে বার বার তলবই এ ক্ষেত্রে সঠিক পথ। আবার কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন, সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর মাধ্যমে বার্তা পাঠানো উচিৎ বাংলাদেশের। এটি বহুপাক্ষিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদও দিচ্ছেন অনেকে।

দিনকে দিন ঘোলাটে হয়ে উঠছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি। সীমান্তের ওপারে অবিরাম চক্কর দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার। কখনও কখনও তারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশ সীমার মধ্যে। ওপাশের মুহূর্মুহূ গোলা ও মর্টার শেলের কোনো কোনোটি সীমান্ত পেরিয়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ভেতরে। এতে তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। ঘটছে হতাহতের ঘটনা। সীমান্ত এলাকা থেকে মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ইতিমধ্যে চার দফায় এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে কোন পথে যাবে বাংলাদেশ? দিনের পর দিন মিয়ানমারের সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনায় বিকল্প কী পথ খোলা রয়েছে বাংলাদেশের? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, বিষয়টি বাংলাদেশ জাতিসংঘে উত্থাপন করবে।

কূটনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, কূটনীতিককে বার বার তলবই এ ক্ষেত্রে সঠিক পথ। কারণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার থমকে দিতে কৌশলী পথ বেছে নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তারা বারবার যুদ্ধের উসকানি দিয়ে বাংলাদেশকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। সেটা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ হাঁটছে চিরায়াত শান্তির পথে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও মিয়ানমারের সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। মিয়ানমার এই বিষয়ে যে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। প্রতিবেশি হিসেবে আমরা চাই না এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক। আমরা এভাবে এসব ঘটনা থেকে কীভাবে মিয়ানমারকে বিরত রাখা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

গত এক মাসে চারবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ। তবে সবশেষ তলবের কূটনৈতিক ভাষা একটু ভিন্ন ছিল। কারণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের দূতকে ১৫ মিনিট অপেক্ষায় রাখেন মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল হুদা। এরপর কোনো সৌজন্যতাই দেখানো হয়নি তাকে। দেয়া হয়নি এক কাপ চাও।

গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা সব সময় এক রকম হয় না। অনেক সময় শারীরিক ভাষায়ও বিরক্তি প্রকাশ করা যায়।’

তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই বাংলাদেশের এই অবস্থানকে ‘নতজানু কূটনীতি’ বলে মনে করেন।

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা যে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়েছি, তাতে কোনো উইকনেস বা দুর্বলতা নেই। যা অনেকেই “নতজানু” বলে থাকেন, তার কোনো কিছুই আমাদের বক্তব্যে নেই। সে ধরনের কথাই আমরা বলছি, যা আমাদের শক্ত অবস্থানকেই তুলে ধরে।’

সাবেক মেজর জেনারেল এবং অধ্যাপক ড. আমিনুল করিম বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহি গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এ কারণে ওদের দিক থেকে গোলা ছোড়ার ঘটনা ঘটছে। আমার মনে হয় মিয়ানমার ইচ্ছা করে এমন গোলা ফেলছে না। তবে তাদের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় বাংলাদেশ কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।

‘কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এই বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু যেহেতু গোলা পড়া থামছে না, তাই বাংলাদেশ কিছু করছে না কেন তা আমি বুঝতে পারছি না। ওরা যখন ওদের এয়ারক্রাফট আমাদের সীমানায় উড়িয়েছিল, তখন আমাদের দিক থেকেও হেলিকপ্টার ওড়ানো প্রয়োজন ছিল। এখন আমাদের সীমান্তে অ্যাক্টিভিটি শো করা প্রয়োজন। সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করা, সেনাবাহিনী নিয়োগ, নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন প্রয়োজন।’

এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিয়ানমার যা করছে, বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃসংবাদ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত হবে “ফরোয়ার্ড ডিপ্লয়মেন্টের”। এ ক্ষেত্রে আমরা সেনাবাহিনীকে সীমান্তের আরো কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারি। সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ মহড়াও করা যেতে পারে। এতে তারা বুঝতে পারবে, আমরাও প্রস্তুত আছি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায়।’

তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের চলমান কর্মকাণ্ড থামাতে না পারার পেছনে আমি সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের অভাব দেখছি। কয়েক দশক আগেও সীমান্তে মিয়ানমার এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল। মিয়ানমারের কর্মকাণ্ড থামাতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তখন মিয়ানমারের ৩০ মাইল ভেতরে ঢুকেছিল, চীনের অনুরোধে বাংলাদেশের সেনারা আবার ফিরে আসে।’

সাবেক মেজর জেনারেল এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মো. শাহিদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সীমান্তের বাসিন্দারা ভয়ে সীমান্ত অঞ্চল ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আরাকান আর্মির প্রতি বাংলাদেশের শক্ত বার্তা দেয়া প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত তাদের আওতায় সব বাহিনী ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়া।

‘মিয়ানমার এর আগে যখন চীন, থাইল্যান্ড এসব প্রতিবেশির আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল, তারপরে কিন্তু মিয়ানমার এমন ঘটনার জন্য তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। কারণ থাইল্যান্ডে যখন মিয়ানমার একটা গোলা ছুড়েছিল, তখন থাইল্যান্ডের বাহিনী এর জবাবে ১০টি গোলা ছোড়ে।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও প্রেষণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ড. দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তারা (মিয়ানমার) আমাদের উসকানি দিতে চায়, যাতে আমরাও সামরিক দিক থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ যদি মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাতে মিয়ানমারেরই লাভ। তারা এ ইস্যুটি ব্যবহার করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথ আটকে দিতে চায়। সে জন্য মিয়ানমারের সব আচরণে বাংলাদেশ সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে আসছে।’

অন্যদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ মনে করেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমারের চলমান কর্মকাণ্ডে আমি কোনো কূটনৈতিক ব্যর্থতা দেখি না। মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে দমন করছে। আমাদের সঙ্গে তাদের যে প্রশ্ন, সেটা হচ্ছে, তারা তাদের লড়াই অভ্যন্তরীণভাবে করুক, কিন্তু লড়াইয়ের ফলে মিয়ানমারের দিক থেকে যে মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর দায়ভার মিয়ানমারকে বহন করতে হবে। ডিফেন্সের ভাষায় মিয়ানমার “মিলিটারি এসকেলেশন” করছে। বর্তমান অবস্থায় মিয়ানমার সংকটের দ্বিপক্ষীয় সমাধান দেখছি না। বাংলাদেশের উচিত বিষয়টি বহুপক্ষীয় ফোরামে উপস্থাপন করা। পাশাপাশি যুদ্ধে জড়িত না হয়ে বাংলাদেশের উচিত সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা, যাতে কূটনীতির ভাষা এবং শক্তির ভাষা একসঙ্গে কাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে যারা উসকানি বা ইন্ধন দিয়েছে, তাদের কাছেই আমরা সমাধান খুঁজে যাচ্ছি। তবে যতদিন না তাদের কৌশলগত উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না।

‘কিছু দেশ আমাদের দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের পথে হাঁটতে বলেছে। যদিও সে পথে হেঁটে কোনো ফল আসেনি। তাই তাদের পরামর্শ উদ্দেশ্যমূলক ছিল কিনা, এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে। আবার পশ্চিমা দেশগুলো বলেছিল, বহুপক্ষীয়ভাবে বিষয়টিকে সমাধান করতে। যদিও এমনটি করতে হলে বিভিন্ন পরাশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় আছে। আমরা দ্বিপক্ষীয় না বহুপক্ষীয়– কীভাবে যাব, এখন সেটিও একটি প্রশ্ন। তবে আমি মনে করি দ্বিপক্ষীয় চেষ্টা দিয়ে যেহেতু হয়নি, বহুপক্ষীয় উদ্যোগ দিয়ে আগামী দিনের সমাধানের পথ তৈরি করা সম্ভব হবে।’

এ নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তে বারবার গোলা নিক্ষেপের ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার যে শ্রদ্ধাশীল নয়, তার বহিঃপ্রকাশ। তারা কূটনৈতিক ভাষা বোঝে না, বা হয়তো বোঝার চেষ্টাও করে না। এমন পরিস্থিতিতে চলমান যে সংকট তারা তৈরি করেছে, সে বিষয়ে বাধা বা প্রতিবাদ করতে গেলে কোন ভাষায় কথা বললে মিয়ানমার শুনবে, তা বুঝে সে ভাষাতেই কথা বলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনার পেছনে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মতো দুটি বিষয় এখন অনুমেয়। প্রথমত মিয়ানমারের ভেতর যে গৃহযুদ্ধ চলছে, তা চলার কারণে সে দেশের অখণ্ডতা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অর্থাৎ দেশটি ভেঙে যাওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে যদি বৈরি কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাত শুরু করা যায়, তাহলে জনগণের দৃষ্টি সেদিকে দিয়ে অখণ্ডতা রক্ষার লড়াইয়ের দিকে তারা জনমত তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয়ত এ অঞ্চলে বা বিশ্বে কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আর তা হয়েছে এ সরকারের ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের মধ্য দিয়ে।

‘এখন এরকম ঘটনা মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া গেলে আমাদের যে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আরও পড়ুন:
এবার কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্তে গোলার শব্দ
মিয়ানমারের সামরিক সক্ষমতা কতটুকু
মিয়ানমার ইস্যুতে আসিয়ানবহির্ভূত দূতদের বৈঠকে অনুপস্থিত চীন
আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দোষ চাপাল মিয়ানমার
মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকার ডাকে আসিয়ানবহির্ভূত দেশের প্রতিনিধিরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It may rain in the city today

বৃষ্টি নামতে পারে

বৃষ্টি নামতে পারে ফাইল ছবি
খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি ও নীলফামারী জেলাসহ সীতাকুণ্ড অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও একইভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে অধিদপ্তর বলছে, তাপমাত্রা শুরুর দিকে কমতে পারে, তবে এরপর আবার বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি, সৈয়দপুর ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন:
মৃদু দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে দুই জেলায়
তিন জেলায় মৃদু দাবদাহ
দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে চার বিভাগে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It will be ensured that journalists are not harassed

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়েন। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে- আমরা এরকম একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।’

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন- এগুলো চিন্তা করেননি এবং এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।’

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও, বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is a threat of explosion at any moment in the hostage MV Abdullah

জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণের শঙ্কা

জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণের শঙ্কা জলদস্যুদের জিম্মি করা জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ-তে রয়েছে ৫৫ হাজার টন কয়লা। ফাইল ছবি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। জলদস্যুরা সেসব বিষয়ে গুরুত্ব না দিলে বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এক সপ্তাহ ধরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ-তে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা থাকায় বিশেষজ্ঞরা এমন আশঙ্কা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা দাহ্য জাতীয় খনিজ পদার্থ। এগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে।

এদিকে ২৩ জন নাবিক-ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করার এক সপ্তাহ হতে চললেও জলদস্যুদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। এ অবস্থায় জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের আলোচনায়ও কোনো অগ্রগতি নেই। এর মধ্যে সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করে রাখা এমভি আব্দুল্লাহ’র অবস্থান বার বার পরিবর্তন করছে জলদস্যুরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জাহাজের খোলের ভেতরে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড ও অক্সিজেনের পরিমাপ নিতে হয়। নির্ধারিত মাত্রার বেশি গ্যাস জমে থাকলে তা বের করে দিতে হয়।

তারা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে।

এ বিষয়ে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিথেন খুবই দাহ্য একটি গ্যাস। যেকোনো সময় এতে আগুন ধরতে পারে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে ডেকে সিগারেটও খেতে দেই না। কারণ সামান্য সিগারেটের আগুন থেকে সেখানে বড় বিস্ফোরণ হতে পারে।

‘প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। এটি বিস্ফোরণের মাত্রার উপরে উঠে গেলে ফোর্স মেইনটেইন করতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে হয়। এটা ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া।’

মেরিটাইম খাতে কয়লাবাহী জাহাজ ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের জাহাজ তদারকির জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘জাহাজে যেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পারসন আছে, সুতরাং জলদস্যুরা সবসময় এই করণীয়টুকু করবে। আমরা মনে করছি স্বার্থরক্ষা, জাহাজ ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার স্বার্থে নাবিকদের সহযোগিতা করবে জলদস্যুরা।’

এর আগে সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিল একই মালিকের এমভি জাহানমণি নামের একটি জাহাজ। মো. ইদ্রিস নামে ওই জাহাজের এক নাবিক জানিয়েছেন, তাদের যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন কোনো কাজ করতে দেয়া হয়নি। এর ফলে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে, সার্বক্ষণিক তদারকির অভাবে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কয়লায় বিম্ফোরণ ঘটতে পারে।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

আরও পড়ুন:
এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে ‘অপারেশন আটলান্টা’
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার ক্ষেত্রে সময় একটা ব্যাপার
জলদস্যুরা কোনো যোগাযোগ করেনি, মুক্তিপণও চাওয়া হয়নি
সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ সোমালিয়া উপকূলে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They eat iftar party at Awami League iftar bill Prime Minister

আওয়ামী লীগ ইফতার বিলায়, তারা ইফতার পার্টি খায়: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ইফতার বিলায়, তারা ইফতার পার্টি খায়: প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়/ফোকাস বাংলা
বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’

রমজানে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ না করে পার্টি করে নিজেরাই খাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা রমজানে ইফতার পার্টি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকে আমরা যেমন ইফতার পার্টি বন্ধ করেছি, না ইফতার পার্টি করব না, আমরা এই খাবার সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলাব। আজকে অনেক জায়গায় বিলাচ্ছেন সবাই।

‘সারা বাংলাদেশের যে চিত্র, অনেক জায়গায় আমি দেখতে পাচ্ছি যে, একমাত্র আওয়ামী লীগ অথবা আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই এবং আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আজকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছেন।’

ওই সময় বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আর আমরা যখন ইফতার বিলি করি, তখন দেখি কী? আওয়ামী লীগ দেয়; দিতে জানে। আর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আর যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না, মানুষ খুন করবে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে, গাড়িতে, রেলে আগুন দেয়; মানুষকে পুড়িয়ে মারে। সেই মা, সন্তানসহ পুড়িয়ে মারে।

‘আর এখন আবার কী দেখবেন? তারা কিন্তু কোনো মানুষকে ইফতার দেয় না। নিজেরা ইফতার পার্টি খায়। তারা ইফতার পার্টি খায় আর ওই ইফতার পার্টিতে যেয়েও আল্লাহ-রসুলের নাম নেয়, আওয়ামী লীগের গিবত গায়।’

মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের অপরাধ কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা খেয়েদেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎপাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ?

‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে, সেটাই কী অপরাধ? তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “একসময় দেশের মানুষ ‘ভাতের ভ্যান’ ভাতের মাড় খেত। লবণ দিয়ে ভাতের মাড় খেতেও মানুষকে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে ভাতের কষ্ট মানুষের নাই।”

আরও পড়ুন:
পাট রপ্তানির নতুন নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
রমজানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান 
গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে, চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
আমাদের দৃষ্টি দেশের সমুদ্র অঞ্চলে: প্রধানমন্ত্রী
৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cylinder blast in Gazipur Four more killed

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আরও চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আরও চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, সোলায়মান, ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১০ জন মারা গেলেন।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ মার্চ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো ওই চারজনের মধ্যে ৩২ বছর বয়সী জহিরুল ইসলামের দেহের ৫৮ শতাংশ, ৪৮ বছরের মোতালেবের ৯৫ শতাংশ, ছয় বছরের শিশু মোহাম্মদ সোলায়মানের ৮০ শতাংশ এবং ১৩ বছরের রাব্বির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

চারজনের মধ্যে জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামের আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার ঈদুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

মোহাম্মদ সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভালকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তারতারিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘গত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, সোলায়মান, ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ১০ জন মারা গেলেন।

‘চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২২ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।

তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।

ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন:
কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
টঙ্গীতে বর্জিত মালামাল নি‌য়ে সংঘর্ষ, ৩ যুবলীগ নেতা কারাগারে
হাতের স্পর্শ ছাড়া মিষ্টি তৈরি হবে কাপাসিয়ায়
গাজীপুরে সরকার নির্ধারিত মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে চারটি আসনে নৌকা, একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mild heat may continue in two districts

মৃদু দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে দুই জেলায়

মৃদু দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে দুই জেলায় গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অঞ্চল ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের দুটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাজশাহী, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু্ই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অঞ্চল ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

ঢাকায় সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ৯ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকায় মঙ্গলবার সূর্যোদয় হবে ভোর ছয়টা চার মিনিটে।

আরও পড়ুন:
বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আট বিভাগে
বজ্রবৃষ্টি হতে পারে তিন বিভাগে
রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি
সামান্য বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা
রাত দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Case of inciting job student to commit suicide classmate assistant proctor remanded

জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে

জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে মামলার আসামি জবি শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। কোলাজ: নিউজবাংলা
আদালত সহকারী প্রক্টরকে এক দিনের এবং আম্মানকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় তার এক সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আদালতে পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের কক্ষে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়। সেখানে সংবাদকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।

আদালতে দুজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক ছিল।

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ হোসেন রিমান্ডের আদেশের তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, দুজনকে গ্রেপ্তারের পর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ডিএমপির কাছ থেকে দুজনকে রোববার রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। সোমবার তাদের আদালতে নেয় হয়।

আদালত সহকারী প্রক্টরকে এক দিনের এবং আম্মানকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।

গত শুক্রবার রাতে জবি ছাত্রী অবন্তিকাকে মৃত বলে জানান কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জোবায়ের।

মৃত্যুর আগে জবির এ ছাত্রী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যাতে তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন বলে জানান। আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান ও জাবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন এ শিক্ষার্থী।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে পুলিশ আটক করার কথা শনিবার রাতে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

জবির এ ছাত্রী কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকার প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।

কুমিল্লায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বেলা তিনটার দিকে অবন্তিকার প্রথম জানাজা ও বেলা পৌনে চারটার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন:
অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলাম আটক
অবন্তিকার আত্মহত্যা: মুখ খুললেন অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর
অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অবন্তিকা
অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও যাদের নাম

মন্তব্য

p
উপরে