× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ECs success faded?
google_news print-icon

ইসির সাফল্য হাতিয়ার ভোটে ম্লান?

ইসির-সাফল্য-হাতিয়ার-ভোটে-ম্লান?
হাতিয়ার একটি কেন্দ্রে ইভিএমে গোপন বুথে বাইরে থেকে উঁকি দিতে দেখা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
গত ১৫ জুন হাতিয়ায় ভোট হয় দুটি ইউনিয়নে। একটি কেন্দ্রে এমনকি ইভিএম গোপন কক্ষে স্থাপন না করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশেই এক পোলিং এজেন্টকে ইভিএম কোলে নিয়ে বসে থাকার ছবি দেখা গেছে। অন্য একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানালার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব। একটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ছাড়াও মানুষের জটলা দেখা গেছে, যাদের সেখানে থাকার কথা ছিল না।

গত ১৫ জুন যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে কোথাও ভোটে অনিয়মের তথ্য না এলেও ব্যতিক্রম নোয়াখালীর হাতিয়া। সেখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হলেও ভোটাররা যে স্বাধীনভাবে তাদের প্রার্থী বাছাই করতে পারেননি, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে কিছু ভিডিও ও ছবিতে।

ইভিএমে কোনো ভোটারের পরিচয় আঙুলের ছাপে নিশ্চিত না হলে ভোট দেয়া সম্ভব না হলেও গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশনের যে শঙ্কা, তার নমুনা দেখা গেছে হাতিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে।

সেখানে সেদিন ভোট হয় দুটি ইউনিয়নে। একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানলার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব।

একটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ছাড়াও মানুষের জটলা দেখা গেছে, যাদের সেখানে থাকার কথা ছিল না।

নির্বাচন কমিশন বলছে, হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নে অনিয়মের বেশ কিছু ফুটেজ তারা পেয়েছে। পাঁচটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও হাতিয়ায় ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হয়নি। অনিয়মের প্রমাণ মিললে ভোটের ফলাফল বাতিলও করে দিতে পারবে কমিশন।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আয়োজন করা নানা ভোট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন কোনো ধরনের প্রভাব থেকে বের হয়ে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

গত ১৫ জুন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং শতাধিক ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায়। সেদিনের ভোট নিয়ে কোনো বিতর্ক পাওয়া যায়নি সিংহভাগ এলাকায়। কুমিল্লা সিটিতে একেবারে শেষ দিকে ফল ঘোষণা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হলেও পরে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের ফল আসার পর প্রমাণ হয় কোনো ধরনের গড়বড় হয়নি সেখানেও।

তবে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুই ইউনিয়নে ভোট নিয়ে অনিয়মের নানা তথ্য পাওয়া যেতে থাকে আগে থেকেই। এই দুই ইউনিয়নে প্রচার চলাকালে কয়েকজন প্রার্থী সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ও হাতে বিষ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

কমিশন তাদেরকে আশ্বস্ত করে ফেরত পাঠায়, তবে যে আশ্বাসে তারা এলাকায় ফিরেছেন, তার নমুনা ভোটে পড়েনি বলে অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।

একাধিক প্রার্থীর দাবি, ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোটের আয়োজন করা। তাদের অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আলী সেদিন প্রভাব খাটিয়েছেন ব্যাপকভাবে। তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন।

এসব অভিযোগকে ফালতু কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। বলেছেন, সেখানে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।

প্রার্থীদের যত অভিযোগ

চানন্দী ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ১৯ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল কমিশনারকে অনিয়ম অবহিত করে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন আশ্বস্ত করেছিল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট দেবে। সেই আশ্বাসে আমরা এলাকায় এসে প্রচার-প্রচারণা করি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মোহাম্মাদ আলীর লোকজন বাধা সৃষ্টি করছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যারা ভোটকেন্দ্রে গেছেন তাদের ফিঙ্গার নিয়ে বাইর করে দিয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে গোপন বুথ জানালার পাশে রাখা হয়েছে যাতে বাইরে থেকে টিপ দিয়ে ভোট দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই প্রার্থী। কিন্তু ভোট দিতে পারি নাই। আমাকে তো প্রশাসনের লোকজন আটকে রেখেছে ১১টা পর্যন্ত। সেই সময় দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিস্ট্রেট বের হইতে না করছে। ভোটকেন্দ্রের পাশে যখন আমি অবস্থান নিছি, তখন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি গিয়ে আমার লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে ফেলেছে। ভোটের পরের দিনই জেলা নির্বাচন অফিস এবং জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।’

এখনও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাননি বলেও জানান এই প্রার্থী।

ইসির সাফল্য হাতিয়ার ভোটে ম্লান?
সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ও হাতে বিষ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এই ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনিরুল হক মিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার থেকে ফিঙ্গার লইছে আর লইয়ে কই আপনাগো কাজ শেষ, আপনারা চলে যান। ভিতরে আওয়ামী লীগ অলারা বই রইছে। তারা ভোট দিয়া দিছে৷ ভোট এভাবে হইছে।’

তবে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আজহারউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন তো পিওর নির্বাচন হয়েছে। এ তো আগে থেকেই ছলনাগুলা গাইয়া যাইতেছে৷ নির্বাচন তো ফেয়ার নির্বাচন হইছে। ইভিএমে ভোট হইছে। সুন্দর ভোট হইছে।’

হরণী ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, “প্রশাসনের লোকজন সবাই টিপ দিয়া ভোট নিয়া নিছে। ভোটের দিন ডিসি সাহেবকে ফোন দিছি, তিনি ১০ সেকেন্ডের কম কথা বলছেন। এসপি বলেন, ‘আমাকে ফোন দেও কেন?’

“আমার সামনে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিচ্ছে, আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বললে তিনি বলেন, ‘আপনি লিখিত অভিযোগ করেন।’”

হাতিয়া বাজারের ঈশিতা হোটেলে পোলিং এজেন্টেদের ১০ হাজার টাকা এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের ২০ হাজার টাকা দেয়ার অভিযোগ তোলেন মুসফিকুর রহমান। বলেন, ‘এই হোটেলের মালিক মোহাম্মাদ আলী। পুলিশ তিন দিন ধরে এই হোটেলে থাকছে, খাইছে। টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করছে।’

তবে এই ইউনিয়নে জয়ী নৌকার প্রার্থী আক্তার হোসেন বলেন, ‘ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের অনেক উপস্থিতি ছিল।

‘অভিযোগকারী মুসফিকুর রহমান জনবিচ্ছিন্ন। প্রথম থেকেই তিনি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এগুলো করছেন।’

ফলাফল একপেশে

হাতিয়ার দুই ইউনিয়নে ভোটের ফলাফলে নির্বাচনকে একপেশে বলা যায়। চান্দনী ইউনিয়নে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজহার উদ্দিন। ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৮১৫টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢোল মার্কা নিয়ে লড়া আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ২৯০ ভোট।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনিরুল হক মিরাজ হাতপাখা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৬১টি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে লাইজু আক্তার টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ১৯১, আবুল কালাম মোটরসাইকেল নিয়ে ৬৩, অটোরিকশা নিয়ে আকবর হোসেন ৩৯, টেবিল ফ্যান নিয়ে বেলাল মাহমুদ ২৬, ঘোড়া নিয়ে নিজামউদ্দিন ২৫, আনারস নিয়ে তাজুল ইসলাম ২৩ এবং চশমা নিয়ে নুরুল ইসলাম ১৩ ভোট পেয়েছেন।

হরণী ইউনিয়নেও একই চিত্র। এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে আখতার হোসেন জিতেছেন ৭ হাজার ৭২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩৫ ভোট।

বাকি ৮ প্রার্থীর মধ্যে মো. মানিক অটোরিকশা নিয়ে ১১০, আকবর হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭, টেবিল ফ্যান নিয়ে ইসমাঈল হোসেন ৪৩, আখতারুজ্জামান দুটি পাতা প্রতীকে ২৮, আবুল কালাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ ভোট, টেলিফোন প্রতীকে মনিরউদ্দিন ১৯ ভোট, আমেনা বেগম ঢোল প্রতীকে ১০ এবং ফাতেমা ইশরাত চশমা প্রতীকে পান ৯ ভোট।

যা বলছে নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালন আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মেদকে জানিয়েছি। ছবি ও ভিডিও কমিশনের সকলকে দেখিয়েছি, জানিয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

গোপন কক্ষে ‘ডাকাতের’ কথা এই কমিশনারই বলেছিলেন।

ইসির সাফল্য হাতিয়ার ভোটে ম্লান?
একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানলার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব

গত ৩০ মে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইভিএমের মধ্যে চ্যালেঞ্জ একটাই। আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। একটা ডাকাত, সন্ত্রাসী গোপন কক্ষে একজন করে দাঁড়িয়ে থাকে। বলে, আপনার ভোট হয়ে গেছে চলে যান। দিস ইজ দ্য চ্যালেঞ্জ।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একাধিকবার বলেছেন, গোপন কক্ষে ডাকাত ঠেকাতে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নে অনিয়মের বেশ কিছু ফুটেজ আমরা পেয়েছি। পাঁচটি বেসরকারি চ্যানেলের ফুটেজ ও একটি মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সিডি আকারে ফাইলিংসহ কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

কমিশন দেখেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেখা উচিত।’

যদি অনিয়মের প্রমাণ মেলে তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাডভান্স বলতে পারব না, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত।’

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অনিয়মের কারণে ভোট বাতিল করে দিতে পারে কমিশন। ফলে অনিয়ম প্রমাণিত হলে এখনও এই ইউনিয়নে ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের হাতে রয়েছে।

অভিযোগের তির মোহাম্মদ আলীর দিকে, তিনি যা বলছেন

পরাজিত প্রার্থীদের অভিযোগ নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে, তবে সব অভিযোগকে ‘ফালতু কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এসব ফালতু কথার আমি জবাব দিতে চাই না। ওরা একজন র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। আরেকজন (দস্যু) বাহিনীর কমান্ডার। এরা নানা কিছু বলাবলি শুরু করেছে। এদের অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং এসপি হাজার হাজার মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেছে। তারা বলেছে কোনো অভিযোগ নাই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোট হয়েছে। পাঁচজন করে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট দুইটা ইউনিয়নে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছে, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড আছে। আমি এমন কী হয়ে গেলাম? আমি ঈশিতা টাওয়ারে বসে বসে এগুলো করি না। এসব ফালতু কথা শুনতে খুব খারাপ লাগে। প্লিজ মাফ করবেন।’

সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আগেই ইসিতে অবস্থান

গত ৩১ মে প্রচার শুরুর আগেই দুই ইউনিয়নের ২৭ জন প্রার্থী গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে এবং হাতে বিষের বোতল নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। প্রচারে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে ২ জন চেয়ারম্যান ও ২৫ জন সদস্য প্রার্থী এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরও পড়ুন:
ফোনে ফল পাল্টানো অসম্ভব: সিইসি
রাঙ্গামাটি ফুডসের বিষয়ে তথ্য চায় বিএসইসি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চায় না জাপা
ইভিএম নিয়ে ইসি মতামত চাপিয়ে দেবে না: সিইসি
ইভিএম যাচাইয়ে ইসির আমন্ত্রণে বিএনপির ‘না’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Pirates are bringing food to sailors from outside

জিম্মি নাবিকদের বাইরে থেকে খাবার এনে দিচ্ছে জলদস্যুরা

জিম্মি নাবিকদের বাইরে থেকে খাবার এনে দিচ্ছে জলদস্যুরা ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।’

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থাকা খাবার কমে আসছে। এ কারণে জলদস্যুরা বাইরে থেকে জাহাজে খাবার নিয়ে আসা শুরু করেছে। ফলে খাবার নিয়ে তেমন সমস্যা না হলেও বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টিও এগিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে করণীয় সবকিছুই করা হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণত জাহাজে দুই ধরনের খাবার থাকে। এগুলো হচ্ছে, হিমায়িত খাবার ও শুকনো খাবার। যাত্রাপথের সময় অনুযায়ী জাহাজে খাবার মজুত রাখা হয়। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।’

তিনি আরও জানান, জলদস্যুরা সম্প্রতি জাহাজের বাইরে থেকে খাবার আনছে- এরকম খবর তারা পেয়েছেন।

জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘খাবার এখনও শেষ হয়নি, তবে কমে আসছে। জলদস্যুরা তাদের নিজেদের জন্য বাইরে থেকে খাবার এনেছে বলে আমরা জেনেছি।’

তিনি বলেন, ‘আটক জাহাজ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে দ্রুত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

‘এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকরা জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, তবে রেশনিং করলে অনেক দিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে এখন শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন তারা।’

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটি ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

অপরদিকে, জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধার ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা। একইসঙ্গে জিম্মি জাহাজটি উদ্ধার করাও আমাদের উদ্দেশ্য। শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাবার সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে যখন জাহাজ অপহরণ হয়েছে, কখনও খাবারের সংকট হয়নি। তিন বছর ছিল, তখনও হয়নি; ১০০ দিন ছিল, তখনও হয়নি। আশা করি, এক্ষেত্রেও হবে না।’

আরও পড়ুন:
জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে স্বজনের যোগাযোগ, আলোচনা চলছে
এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি ইইউর যুদ্ধজাহাজ, অভিযানে ‘না’ মালিকপক্ষের
সোমালি দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের
জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণের শঙ্কা
জলদস্যুদের নতুন দল ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thunderstorm may occur in four divisions including Dhaka

বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে

বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টিস্নাত সড়কে রিকশাচালক ও এক পথচারী। ফাইল ছবি
বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা হয়, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের চারটি বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, অন্য অঞ্চলগুলোতে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা হয়, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আট বিভাগে
বৃষ্টি নামতে পারে
মৃদু দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে দুই জেলায়
তিন জেলায় মৃদু দাবদাহ
দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে চার বিভাগে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Take effective steps to get maximum benefits post LDC PM

এলডিসি-পরবর্তী সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী

এলডিসি-পরবর্তী সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি ভবনে বৃহস্পতিবার একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ে কোনো সমস্যা নেই। এটি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি সার্বিক সমস্যা।’

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৌশল প্রণয়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: বাসস

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ের কোনো সমস্যা নেই। এটি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সার্বিক সমস্যা।’

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য দেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে মোট ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা সরকার দেবে এবং বাকি ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনা প্রকাশ করে পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৬৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় বিশ্রাম কক্ষ রাখা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিষেবা পান সেজন্য পর্যাপ্তসংখ্যক বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোতে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রাস্তা ও সেতু নির্মাণের সময় বন্যার বিষয়টি বিবেচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স (তৃতীয় পর্যায়) নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প সম্পর্কে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বাকি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সগুলোর নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি উপকূলীয় এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি সোলার সিস্টেম রাখার জন্য একটি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প সমাপ্তির পথে সেগুলোর সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বলেন, যাতে করে এগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সেখানে নারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব করতে না চাইলেও মাঝে মাঝে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বিলম্ব হয়।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হল- অতিরিক্ত ২৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত); ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘি সীমান্ত জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মান উন্নয়ন; ৩৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়); ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন; অতিরিক্ত ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা ও তথ্যের প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য টিকে থাকার সামর্থ বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আটটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হার্ট ও কিডনি রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা (প্রথম সংশোধিত)।

আরও পড়ুন:
পরাজিত শক্তি দেশের অভিযাত্রা স্তব্ধ করতে ওত পেতে আছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৩ সমঝোতা স্মারক সই
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজত্ব করে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will not corrupt nor condone BSMMU Vice Chancellor

দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য ছবি: সংগৃহীত
নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেছেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয়ও দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’

কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।

তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয়ও দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন উপাচার্য।

দায়িত্ব নিয়েই সবার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমি কারও অন্যায় আবদার শুনব না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে নয়, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হব। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই।’

ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।’

উদ্বোধনের দীর্ঘদিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদের নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আশা করি, সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উপাচার্য হিসেবে তার একমাত্র অ্যাজেন্ডা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
What the Yunus Center said about the Tree of Peace award

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার ছবি: সংগৃহীত
ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদান করেনি বলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবির একদিন পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বাকু ফোরাম একাদশে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিশিয়াল অনুষ্ঠানসূচিতেও অধ্যাপক ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী নৈশভোজে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য মঞ্চে সশরীর উপস্থিত থাকেন।

ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২৩ সালের জুনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার দেয়নি।”

তিনি বলেন, “আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে ইসরাইলের একজন ভাস্কর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।”

ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus favors genocide with Israeli reward Foreign Minister

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি। ‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন?’

শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ থেকে এবং একজন ইসরায়েলির দেয়া পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন। আর ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার উল্লেখ করে মিথ্যাচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিষ্মিত, হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ইসরায়েলি ভাস্বর ড. ইউনুসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল না।

‘এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। আর ইউনূস সেন্টার সেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি, প্রতিবাদ করেননি।

‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন? এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

সীমান্ত হত্যায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরেও এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে গুরুত্বসহ আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হন; কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা।’

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজটিকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাদ্য সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাহাজটিতে খাদ্য সংকট নেই। এর আগে তিন মাস ধরে জলদস্যুদের কবলে থাকা অন্য জাহাজেও খাদ্য সংকট ছিল না।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The strike of intern doctors has been suspended with the assurance of the health minister

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি স্থগিত

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি স্থগিত বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
বিষয়টি কতদিনে বাস্তবায়িত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন তো লাগবেই। তবে ঈদের পর হয়তো বলতে পারব, কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।’

ঈদের পর সমাধান করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে এক মাসের জন্য আন্দোলন থামালেন বেতন-ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনকারী পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরা যে দাবিগুলো করেছেন সেগুলো যৌক্তিক। চিকিৎসকরা হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখে। তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে। তারা কাজে যোগদান করুক।’

বিষয়টি কতদিনে বাস্তবায়িত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন তো লাগবেই। তবে ঈদের পর হয়তো বলতে পারব, কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।’

এর আগে গত শনিবার (২৩ মার্চ) চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন:
জামালপুর সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা মেডিক্যালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

মন্তব্য

p
উপরে