তরমুজ আছাড় মেরে ভেঙে ফেলার ভিডিও এখন ফেসবুকে দেদার। সেটা অবশ্য ফল হিসেবে তরমুজের প্রতি মানুষের অনীহা থেকে নয়, বরং ফলটির বিক্রয় পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভের কারণে। তরমুজ কেজিদরে বিক্রির বিরোধিতা থেকে এই ক্ষোভের জন্ম।
তরমুজ নষ্ট করার ভিডিও তৈরির হিড়িক পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
নগরজুড়ে অসহনীয় যানজট। চোখ রাঙাচ্ছে বৈশাখের সূর্য। রোজার ইফতারে অনেকের পছন্দ তালিকায় থাকে রসালো ফল তরমুজ। সারা দিনের ক্লান্তি তাড়ানো আর তৃষ্ণা মেটাতে রসালো এই ফলটির জুড়ি নেই।
কিন্তু তরমুজ কিনতে গেলে বিক্রেতারা হিসাব কষছেন কেজিদরে। যদিও আড়ত থেকে তারা কিনে আনছেন সংখ্যা গুণে। কিন্তু বিক্রির বেলায় কেজি। আর ক্রেতা তখন এক কেজি কিনতে চাইলে সেটা নিয়ে আপত্তি তুলছেন বিক্রেতারা।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তরমুজের দোকানে এক ক্রেতা দাম জানতে চাইলেন। বিক্রেতা বলছেন, কেজি ৫০ টাকা। এ কথা শুনে বিস্মিত ক্রেতা বলছেন, কেজি এলো কবে থেকে?
বিক্রেতার সহজ উত্তর, ‘অনেক আগে থেইক্যা।’
এ কথা শুনেই ক্রেতা বললেন, ‘আমাকে এক কেজি দেন।’
তখন বিক্রেতা বলেন, ‘এক কেজি! গেরামের থেইক্যা কবে আইছেন মামা।’
ক্রেতা যখন বললেন, ‘কী বলেন?’
বিক্রেতা বলেন, ‘তরমুজ খাওয়া লাগব না। রাখেন।’
উত্তরে ক্রেতা বলেন, ‘আপনি আড়ত থেইক্যা শ হিসাবে কিনে আনছেন, আপনি অতি লাভের আশায় কেজি হিসাবে বিক্রি করবেন। আপনি হালাল ব্যবসাকে হারাম কেন করতেছেন, মামা?’
বিক্রেতা উপদেশ শুনে আরও ক্ষেপে যান, ক্রেতাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্রেতা তরমুজ বিক্রি করতে বসছেন। সুরে সুরে ডাকছেন ক্রেতাদের।
একজন নারী ক্রেতা এসে দাম জানতে চান, বিক্রেতা বলেন, কেজি ৪৫ টাকা। তখন তিনি একটি তরমুজ দেখিয়ে দিয়ে বলেন, এটা থেকে দুই কেজি দেন।
বিক্রেতা বলেন, ‘ক্যামনে দিমু দুই কেজি?’
সাবলীল ঢঙে ক্রেতা বললেন, ‘ওমা, আপনি কেজি মাপে বিক্রি করেন না?’
বিক্রেতার যুক্তি দুই কেজি দিলে, বাকিটা কী করব?
চলতে থাকে বাগবিতণ্ডা। উত্তেজিত হয়ে পড়েন ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনই।
একপর্যায়ে রাগান্বিত ক্রেতা তরমুজ মাথার ওপর তুলে আছাড় মারেন।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন উত্তেজিত যুবক একের পর এক তরমুজ ছুড়ে নষ্ট করছেন। সেখানে হাজির এক মধ্যস্থতাকারী। শেষ পর্যন্ত ওই এক ইস্যু। সংখ্যা গুণে তরমুজ এনে কেজি হিসাবে বিক্রি করার প্রতিবাদে করা হয়েছে এই ভিডিওটি।
বাস্তবতা ভিডিওর মতো নাটকীয় না হলেও কেজিদরেই দেদার তরমুজ বিক্রি চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি ঠেকাতে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
কয়েক বছর ধরে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বছর সেটি বেড়েছে।
কেজি হিসাবে কিনলে ক্রেতার চোখে দেখে অনুমান করে কিনে ঠকার সুযোগ নেই। তবে কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ফলটি পাইকারি বাজারে গোটা হিসাবে বিক্রি হয় বলে খুচরায় কেজিদরে বিক্রির সুযোগ নেই।
বড় আকারের একমাত্র ফল হিসেবে কেজিদরে বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তরমুজের ক্ষেত্রে। আবার অন্য যেসব ফল কেজি হিসাবে বিক্রি হয়, সেগুলো ক্রেতা চাইলে এক কেজি, দুই কেজি বা যেকোনো একক নিতে পারেন। কিন্তু এখানে তা নয়। কেজি হিসাবে বিক্রি করছেন বিক্রেতা, কিন্তু ক্রেতাকে নিতে হবে আস্ত ফলটাই।
পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে খুচরা বিক্রেতার মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা ঠেকানোর কোনো কার্যকর উপায় এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার খুচরা বিক্রেতাদের বেশভুষা ক্রেতাদের অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রতি সমব্যথী করে তোলে।
ফলের ক্ষেত্রে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য হতে পারবে, সেটিও আইনে বলা আছে। অন্য ফলের তুলনায় তরমুজে মুনাফা করা যাবে কম- এটাও আইনের বিধান। এ ক্ষেত্রেও আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে।
রাজধানীর বাদামতলী আড়ত, কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা বাজার এবং বাড্ডার মহল্লার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় সব জায়গায় কেজিদরেই বিক্রি হয়। তবে আড়তে বিক্রি হয় গোটা হিসাবে।
আকারভেদে তরমুজ ৩ কেজি থেকে ১২ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের দেখা গেছে। খুচরায় বিক্রেতারা দাম চাইছেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
ছোট ফলের দাম কম, আর আকারে বড় হলে কারওয়ান বাজারে দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর মহল্লার বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
বাদামতলী ফলের আড়ত থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে জনসন রোডে ইউসুফ কনফেকশনারির সামনে ফলের দোকানে বড় আকারের তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন মোহাম্মাদ হোসেন। দাম কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫০ টাকা কেজি।’
পিস হিসাবে কিনে কেজি হিসাবে বিক্রি করা বেআইনি– এটি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘ঠিকাও বেচি আবার কেজিও বেচি। যে যেমনে লয়।’
কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের সঙ্গে ফুটপাতে তরমুজ নিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা। এক ক্রেতা কিনতে চাইলে দাম চাইলেন ৪০ টাকা কেজি।
কেজিদরে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘পিস হিসাবেও বেচি, আবার কেজি হিসাবেও বেচি। যে যেমনে নেয়।’
আইনে কী বলে
কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী: ফলের ক্ষেত্রে বিক্রেতা কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না বিক্রেতা। আর কেজি বা পিস যেভাবে পাইকারি কেনা হবে, বিক্রেতাকে সেভাবেই বেচতে হবে।
দুই বছর ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়ে তরমুজ বিক্রেতাদের জরিমানা করছে। এবারও কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় কেজিতে বিক্রি, এটাই স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, কেজি হিসাবে বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কোথায় এ রকম ঘটনা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর।’
কতজনকে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা প্রতিদিন কমবেশি জরিমানা করে থাকি।’
সর্বোচ্চ সাজা কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূল্যতালিকা না থাকলে ৫০ হাজার টাকা। কেজিদরে বিক্রি করলেও সর্বোচ্চ সাজা ৫০ হাজার টাকা।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গার জেরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দুই বছর ধরে স্থগিত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা প্ল্যাটফরমস ইনকরপোরেশন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার মেটার এ ঘোষণা ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার সুযোগ বাড়াতে পারে, যিনি গত বছরের নভেম্বরে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার কথা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রচার ও অর্থ সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ফেসবুকে ৩ কোটি ৪০ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে ২ কোটি ৩০ লাখ ফলোয়ার আছে ট্রাম্পের।
ইলন মাস্ক দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত বছরের নভেম্বরে টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত পান ট্রাম্প। যদিও সেই থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে কোনো পোস্ট করেননি তিনি।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণের বার্তা আদান-আদানের সুযোগ থাকার বিষয়টি যথাযথ, তবে মেটার সমালোচকদের ভাষ্য, কোম্পানিটি তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নীতি শিথিল করেছে।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল নিয়ে বুধবার এক ব্লগ পোস্টে মেটার বৈশ্বিক পরিস্থিতিবিষয়ক প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘ট্রাম্প ফের নীতিমালা লঙ্ঘন করে পোস্ট করলে কনটেন্ট মুছে ফেলা হবে এবং লঙ্ঘনের ব্যাপকতার ভিত্তিতে সর্বনিম্ন এক মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত থাকবে।’
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের ২০ কোটি ব্যবহারকারীর ই-মেইল হ্যাক হয়েছে।
একজন নিরাপত্তা গবেষকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ই-মেইলগুলো হ্যাক করার পর সেগুলো একটি অনলাইন হ্যাকিং ফোরামে পোস্ট করেছেন হ্যাকাররা।
ইসরায়েলের সাইবার সিকিউরিটি-মনিটরিং ফার্ম হাডসন রকের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালন গাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে বলেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হ্যাকের ঘটনা এটি।’
এ নিয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
গত ২৪ ডিসেম্বর এই হ্যাকের বিষয়ে জানান গাল। এ ঘটনায় টুইটার কোনো তদন্ত শুরু করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
হ্যাকিং ফোরামের তথ্যগুলো সঠিক কি না তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। হ্যাকিংসংশ্লিষ্ট কয়েকটি স্ক্রিনশটস এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ইলন মাস্ক টুইটার কেনার আগেই গত বছরের শুরুতে ই-মেইলগুলো হ্যাক হয়, তবে কোন স্থান থেকে ও কখন হ্যাকাররা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত ইউরোপের তথ্য সুরক্ষা কমিশন ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম মেনে চলছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছে।
এ হ্যাকের ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন:ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনকে দিন বদলে যাচ্ছে যোগাযোগের ভাষা। দ্রুত বার্তা দিতে অনেকেই ব্যবহার করছেন প্রচলিত শব্দ বা বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপ।
এসব শব্দ অনেকের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতে পারে, তবে দুরন্ত জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকতে হলে এসব সংক্ষিপ্ত বার্তায় আপনাকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতেই হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বেশ কিছু সংক্ষিপ্ত শব্দ ও বাক্য এবং এগুলোর পূর্ণাঙ্গ অর্থ তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
FB: ফেসবুক (ব্লগিং, ছবি, ভিডিও, চ্যাটিংনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)
IG: ইনস্টাগ্রাম (ছবি ও ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)
IGP: ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
LI: লিংকডইন (পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)
SC: স্ন্যাপচ্যাট (ছবিনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)
TW: টুইটার (মাইক্রো ব্লগিং মাধ্যম)
YT: ইউটিউব (ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)
DM: ডিরেক্ট মেসেজ (কারও সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে ডিএম দেয়া হয়)
HT: হ্যাট টিপ বা হার্ড থ্রু (টুইটারে একে অপরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ব্যবহার করা হয়)
Latergram: এখন ছবি তুলে পরে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার নাম লেটারগ্রাম
MT: মডিফায়েড টুইট (টুইট করার পর যদি সেটি আবার কাঁটাছেড়া করা হয়)
NB: নট ব্যাড (সামাজিক যোগাযোগ মন্দ নয় বোঝাতে এনবি ব্যবহার করা হয়)
PM: প্রাইভেট মেসেজ (কারও সঙ্গে গোপন যোগাযোগ স্থাপনে পিএম ব্যবহৃত হয়)
RT বা PRT: পার্শিয়াল রিটুইট (আরটি বা রিটুইট আর পিআরটি প্রায় একই রকম। টুইটে কারও বক্তব্য উদ্ধৃত করতে এটি ব্যবহার করা হয়)
SS: স্ক্রিনশট (ডিভাইসের ডিসপ্লে ছবি)
ETA: এস্টিমেটেড টাইম অফ অ্যারাইভাল (গন্তব্যে পৌঁছাতে সম্ভাব্য সময়)
EOD: এন্ড অফ দ্য ডে (নির্ধারিত সময়সীমা শেষ)
IAM: ইন অ্যা মিটিং (কোনো ব্যক্তি যখন জরুরি কোনো সভায় ব্যস্ত থাকেন)
ISO: ইন সার্চ অফ (কোনো কিছু খোঁজা)
OOO: আউট অফ অফিস (অফিসে অনুপস্থিত, অফিসের বাইরে অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়)
SRP: সোশ্যাল রিলেশনশিপ প্ল্যাটফর্ম
MSP: মাল্টি-সাইডেড প্ল্যাটফর্ম
VPN: ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক
BRB: বি রাইট ব্যাক (এক্ষুনি ফিরছি)
BTS: বিহাইন্ড দ্য সিন (দৃশ্যপটের পেছনে)
CMW: চেঞ্জ মাই ভিউ (মত পরিবর্তন)
WDYM: হোয়াট ডু ইউ মিন
HMM: হুমম
NGL: নট গনা লাই (মিথ্যা বলব না)
Wah: ওয়াও
DP: ডিসপ্লে পিকচার
CNG: চেঞ্জ (বদল)
YNB: ইউ নটি বয় (দুষ্টু ছেলে)
IMO: ইন মাই ওপিনিয়ন (আমার মতে)
CYA: সি ইউ (দেখা হবে)
ELI5: এক্সপ্লেইন ইট টু মি লাইক আ অ্যাম ফাইভ (পরিষ্কার করে বোঝানো)
FBF: ফ্ল্যাশব্ল্যাক ফ্রাইডে (ইন্সটাগ্রামে পুরোনো ছবি পোস্ট করার পর ক্যাপশন হিসেবে দেয়া হয়)
FTW: ফর দ্য উইন (জয়ের জন্য)
FUD: ফিয়ার, আনসার্টেইনিটি অ্যান্ড ডাউট (ভয়, অনিশ্চয়তা ও সংশয়)
DIY: ডু ইট ইওরসেলফ (নিজে করো)
OT: অফ টপিক (প্রসঙ্গবহির্ভূত)
BC: বিকজ (কারণ)
ATM: অ্যাট দ্য মোমেন্ট (এ মুহূর্তে)
BTW: বাই দ্য ওয়ে (যা হোক)
TTYL: টক টু ইউ লেটার (তোমার সঙ্গে পরে কথা হবে)
XOXO: হাগস অ্যান্ড কিসেস
IMHO: ইন মাই হাম্বল অপিনিয়ন (বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই)
LOL: লাফ আউট লাউড (উচ্চৈঃস্বরে হাসা)
ROFL: রোলিং অন ফ্লোর লাফিং (হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়া)
TBH: টু বি অনেস্ট (সত্যি বলতে কী)
TGIF: থ্যাঙ্ক গড ইটস শুক্রবার (পশ্চিমা দেশগুলোতে শুক্রবার বিকেলে সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হওয়ার আগে স্বস্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়)
TFTF: থ্যাঙ্কস ফর ফলোয়িং (সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার বা অনুসরণকারীর সংখ্যা বাড়লে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা হয়)
WFH: ওয়ার্কিং ফ্রম হোম
WBW: ওয়েব্যাক ওয়েডনেস ডে (স্মৃতিকাতরতা বোঝাতে ব্যবহৃত)
IDC: আই ডোন্ট কেয়ার (পরোয়া করি না)
IDK: আই ডোন্ট নো (আমি জানি না)
IRL: ইন রিয়েল লাইফ (বাস্তব জীবনে)
JK: জাস্ট কিডিং (মজা করছি)
LMK: লেট মি নো (আমাকে জানাও)
NBD: নো বিগ ডিল (বড় কিছু নয়)
NM: নট মাচ (বেশি কিছু না)
NSFW: নট সেফ ফর ওয়ার্ক
JIC: জাস্ট ইন কেস (যদি কোনো কারণে)
WDYMBT: হোয়াট ডু ইউ মিন বাই দ্যাট? (এটি দিয়ে কী বোঝাচ্ছ?)
ABITHAD: অ্যানাদার ব্লিথারিং ইডিয়ট থিঙ্কস হি ইজ অ্যা ডক্টর (সবজান্তা দাবিদার ব্যক্তিদের বলা হয়)
DIET: ডু আই ইট টুডে? (আজ কি খেয়েছি?)
FF: ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার (যিনি বিদেশে প্রচুর ঘোরাঘুরি করেন)
GOAT: গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম (সর্বকালের সেরা)
GOOGLE: গ্র্যান্ড অনলাইন ওরাকল জেনারেশন লেজিটিমেইট এক্সপ্লেনেশনস
MAID: মাদার অ্যাকচুয়েলি ইন ডিজগাইজ (মায়ের মতো)
TEAM: টুগেদার এভরিওয়ান অ্যাচিভস মোর (একতাই বল)
YOLO: ইউ অনলি লিভ ওয়ানস (জীবন একটাই)
SALT: সেইম অ্যাজ লাস্ট টাইম (আগেরবারের মতোই)
AFK: অ্যাওয়ে ফ্রম দ্য কিবোর্ড (কিবোর্ড থেকে দূরে)
BAE: বিফোর এনিওয়ান এলস (সর্বাগ্রে তুমি)
CU: সি ইউ (দেখা হবে)
FOMO: ফিয়ার অফ মিসিং আউট (বাদ পড়ার ভয়)
JOMO: জয় অফ মিসিং আউট (বাদ পড়ার আনন্দ)
KK: কুল, ওকে
NVM: নেভার মাইন্ড (কিছু মনে করবেন না)
SMH: শেকিং মাই হেড (মাথা ঝাঁকাচ্ছি)
ADIH: অ্যানাদার ডে ইন হেল (আরও একটি ভয়ংকর দিন)
AFAIK: অ্যাজ ফার অ্যাজ আই নো (যতদূর জানি)
AFAIR: অ্যাজ ফার অ্যাজ আই রিমেম্বার (যত দূর মনে পড়ে)
AFAIC: অ্যাজ ফার অ্যাজ আই অ্যাম কনসার্নড (যত দূর আমার জানা আছে)
AFAICT: অ্যাজ ফার অ্যাজ আই ক্যান টেল (আমি যতটা বলতে পারি)
ASL: এজ, সেক্স, লোকেশন (বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান)
AAMOF: অ্যাজ অ্যা ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট (আদতে)
FTL: ফর দ্য লস (হারানোর কারণে)
GMTA: গ্রেট মাইন্ড থিঙ্ক অ্যালাইক (মহান ব্যক্তিদের একই চিন্তা)
IIRC: ইফ আই রিমেম্বার কারেক্টলি (যদি আমি সঠিক মনে করতে পারি)
IFYP: আই ফিল ইউর পেইন (তোমার কষ্টটা বুঝি)
IYKWIM: ইফ ইউ নো হোয়াট আই মিন (বুঝতে পারছ তো কী বলতে চাইছি)
MFW: মাই ফেস হোয়েন (আমার চেহারা তখন যেমন)
MRW: মাই রিঅ্যাকশন হোয়েন (আমার প্রতিক্রিয়া তখন যেমন)
SRSLY: সিরিয়াসলি (সত্যি বলছ!)
TIME: টিয়ারস ইন মাই আইজ (আমার চোখ ভিজে আসছে)
TNTL: ট্রায়িং নট টু লাফ (হাসি থামাতে চেষ্টা করছি)
TL: টু লং (অনেক দীর্ঘ)
DR: ডিডন্ট রিড (পড়তে পারিনি)
WYWH: উইশ ইউ ওয়্যার হিয়ার (যদি তুমি এখানে থাকতে)
YGTR: ইউ গট দ্যাট রাইট (ঠিক ধরেছ)
YMMV: ইওর মাইলেজ মে ভেরি (তোমার ভূমিকা কমবেশি হতে পারে)
YNK: ইউ নেভার নো (তুমি জানো না এটা হতেও পারে)
ZZZ: স্লিপিং, বোরড, টায়ার্ড
আরও পড়ুন:অনলাইন ডেটিং এর জগতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাম্বল। ৮ বছরে টিন্ডার, ওকে কিউপিড ও ই-হারমনির মতো প্রতিষ্ঠিত অ্যাপগুলোকে টক্কর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে পরিচালিত অ্যাপটি।
বাম্বল বাজারে আসে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। অ্যাপটিতে বাড়তি কয়েকটি ফিচার যোগ করেন এর নির্মাতা সাবেক টিন্ডারকর্মী হুইটনি উলফ। অ্যাপের ‘সোয়াইপ’ বাটনের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায় বাম্বল।
বাম্বল হলো মর্যাদা, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বিনামূল্যের ডেটিং অ্যাপ। ২০২১ সালের হিসাবে বিশ্বজুড়ে বাম্বল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৫০ লাখ।
অ্যাপটিতে নারী ব্যবহারকারীদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। একজন নারী ব্যবহারকারী কাকে তার সঙ্গে যুক্ত করবেন, সে সিদ্ধান্ত কেবল তিনিই নিয়ে থাকেন।
কোনো নারী ব্যবহারকারী যদি কাউকে পছন্দ না করেন তবে বাঁয়ে সোয়াইপ করে ওই ব্যক্তিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন। আর ডানে সোয়াইপ করে তাকে গ্রহণ করতে পারবেন।
এ সিদ্ধান্ত নিতে একজন নারী ২৪ ঘণ্টা সময় পান। এ সময়ের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায় রিকোয়েস্টটি।
বিষমকামী ম্যাচগুলোতে নারী ব্যবহারকারীরা প্রথমে পুরুষ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আর যখন সমলিঙ্গের ম্যাচে যে কোনো ব্যক্তি প্রথমে একটি বার্তা (মেসেজ) পাঠাতে পারেন।
বাম্বলের নির্মাতা হুইটনি উলফ ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘২০১৪ সাল ছিল নারীবাদের বছর। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে এর ছাপ পাইনি। অথচ আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসগুলোর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম।
‘আমাদের মূলমন্ত্র ‘নারীর হাতে নিয়ন্ত্রণ উঠুক’। এর মানে এই নয় যে পুরুষের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হবে। আসলে আমরা ভূমিকাগুলো ওলট-পালট করেছি।
‘সবকিছু নিজেকেই শুরু করতে হবে, এমন একটা চাপ সবসময় অনুভব করেন পুরুষরা। এ করে সম্ভবত তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
‘বাম্বলের লক্ষ্য হলো, সম্পর্ক বা সংযোগ শুরু করতে নারীদের উৎসাহিত করা। আমি বিশ্বাস করি সংযোগটি যদি বাস্তব জীবনকে সম্পর্কের দিকে নিয়ে যায়, তবে তা দারুণ হয়ে উঠবে।’
বাম্বলের দুই বছর আগে ২০১৪ সালে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার বাজারে আসে। তবে অ্যাপটিতে ব্যাপক যৌন হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন নারী ব্যবহারকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ভাবতেন হুইটনি উলফ। সে সময় টিন্ডারের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে ছিলেন উলফ। এর দুই বছর পর নারীদের ব্যাপক সুবিধা দিয়ে তার প্রতিষ্ঠান বাজারে আনে ডেটিং অ্যাপ বাম্বল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম বগুড়ায় শূন্য হওয়া দুই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র তুলেছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
মনোনয়নপত্রে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে মো. আশরাফুল হোসেন আলম। এই উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি জানান, হিরো আলম দুটি আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি, তার এজেন্টকে বের করে দেয়া এবং তার ওপর হামলার অভিযোগ এনে সেই ভোট বর্জন করেন তিনি।
এবার বিএনপি নেতাদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করার কারণে বগুড়ার এই দুটি আসন শূন্য হয়। ফলে তৃতীয়বারের মতো আসনটিতে নির্বাচন দিতে হচ্ছে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর হিরো আলম বলেন, ‘প্রথমে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা দলীয়ভাবে না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কাজ করতে চাই। তাদের পাশে থাকতে চাই। আমার সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে ভালো লাগে। এ ভালো লাগা থেকে সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শূন্য পাঁচটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৫ জানুয়ারি। যাচাইবাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সব কটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:বিষণ্নতা ভুলতে ফেসবুকের নিউজ ফিডে ক্রমাগত স্ক্রল করার দিকে ঝুঁকলে অথবা রকমারি সব স্ট্যাটাস দিতে থাকলে আপনি ভুল করছেন। গবেষণা বলছে, বিষণ্ন মানুষের ফেসবুক আসক্তি মনকে আরও বিবর্ণ করে তোলে।
গবেষণাটি সম্প্রতি কম্পিউটার্স ইন হিউম্যান বিহেভিয়ার সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে। এতে তুলে ধরা হয়েছে মানসিক সুস্থতার ওপর ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব।
গবেষকেরা বলছেন, যারা যত বেশি সময় ফেসবুক ব্যবহার করেন তত বেশি হতাশায় আক্রান্ত হন। আত্মমর্যাদার ঘাটতিতে ভুগতে থাকে মানুষ। বিষয়টিকে ‘ফেসবুক ডিপ্রেশন’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন গবেষকেরা।
অবশ্য ফেসবুকের পেছনে ব্যয় করা সময়ের চেয়ে এই মাধ্যমের প্রতি আসক্তিকে বেশি বিপজ্জনক হিসেবে পাওয়া গেছে গবেষণায়। দেখা গেছে, ফেসবুকে অতিরিক্ত আসক্তি মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
গবেষণাটির মূল লেখক মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সুন লি লি বলেন, ‘প্রযুক্তির ওপর আমাদের নির্ভরতা বাড়ছে। এই নির্ভরতা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা জানা প্রয়োজন।’
মালয়েশিয়ায় আড়াই শ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর চালানো হয়েছে গবেষণাটি, যাদের প্রত্যেকেই বিষণ্নতায় ভুগছেন। অংশগ্রহণকারীরা দুটি অনলাইন জরিপে অংশ নেন। প্রথম জরিপটি করা হয় গবেষণার শুরুতে। এর ছয় মাস পর চালানো হয় দ্বিতীয় জরিপ। অংশগ্রহণকারীদের ফেসবুকনির্ভরতা ও নিজের প্রতি হতাশার প্রবণতা পর্যালোচনা করেন গবেষকেরা।
গবেষক সুনের মতে, যারা অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা অন্যদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চান। এ জন্য তারা নিয়মিত তাদের পরিচিতদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপডেট জানান। এটি করার মাধ্যমে হয় তাদের ফেসবুকনির্ভরতা আরও বাড়ে, নয়তো নিজের দুর্বলতা নিয়ে হতাশাবোধ বাড়ে। এতে মানুষের আত্মমর্যাদার ঘাটতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বিষণ্নতার মাত্রা বাড়তে থাকে।
গবেষণার সামগ্রিক ফল বলছে, ফেসবুকের অতি ব্যবহার হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আরও দুর্বিষহ করে তোলে। এমনকি ফেসবুকের অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসাকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সুন লি লির মতে, বিষণ্নতায় আক্রান্তদের ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা তীব্র হতাশায় ভুগছেন তাদের জন্য আমাদের গবেষণাটি সহায়ক হবে। কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির অতি ব্যবহার বিষণ্নতার তীব্রতাকে বাড়িয়ে তোলে।’
আরও পড়ুন:অফিসের ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো আদালতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মামলাটি করা হয়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো অফিসের ভাড়াবাবদ ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ ডলার পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার। এ নিয়ে অফিস ভবনের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কলম্বিয়া রেইট জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে।
এর আগে ভাড়া পরিশোধের জন্য গত ১৬ ডিসেম্বর টুইটারকে পাঁচদিনের সময় বেঁধে দিয়ে একটি নোটিশ দিয়েছিল কলম্বিয়া রেইট।
গত ১৩ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান কার্যালয়সহ বিশ্বের অন্যান্য অফিসের ভাড়া পরিশোধ করছে না টুইটার।
এ নিয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
৪৪ বিলিয়ন ডলারে ২৭ অক্টোবর টুইটার কেনেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। খরচ কমাতে এরইমধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিইওসহ ৬০ শতাংশ কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য