× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why are there so many security restrictions in the procession?
google_news print-icon

শোভাযাত্রায় এত ‘নিরাপত্তার কড়াকড়ি’ কেন

শোভাযাত্রায়-এত-নিরাপত্তার-কড়াকড়ি-কেন
মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে ও দুই পাশে ছিল পুলিশের উপস্থিতি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হুমকি ছিল। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। এ ছাড়া পুলিশের নিজস্ব নজরদারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ধর্মীয় চরমপন্থি সংগঠনের তৎপরতার তথ্য পাওয়া যায়।

সবার সামনে র‌্যাবের মোটরসাইকেলের বহর। তাদের পেছনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর পুলিশের সোয়াট টিম, তাদের পরের সারিতে ডিবি পুলিশের একটি দল। তাদের পেছনে পুলিশের আরেকটি দল। এরপর স্কাউট-বিএনসিসির একটি দল। তার পেছনে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রার শেষাংশেও পুলিশ ও গোয়েন্দাদের উপস্থিতি।

সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে যখন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়, তখন শোভাযাত্রার মিছিলটি ছিল নিরাপত্তার বেষ্টনীময়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই বেষ্টনীর মধ্যে মূল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ প্রায় ঢাকা পড়ার জোগাড়।

কয়েক বছর ধরেই পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় এ রকম কড়া নিরাপত্তার আয়োজন চোখে পড়ছে। বিষয়টিকে অনেকে ‘দৃষ্টিকটূ’ ও ‘বাড়াবাড়ি’ বলে সমালোচনা করছেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পয়লা বৈশাখ রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রসরোবর ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি জনবল নিযুক্ত ছিল।

সকালের আয়োজনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে ও দুই পাশে পুলিশের এই উপস্থিতি বেশি চোখে পড়ে।

নিরাপত্তাকাজে পুলিশের উপস্থিতিকে ‘বাড়াবাড়ি’ বলে উল্লেখ করেছেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এই বাড়াবাড়িটা চলছে। আপনি অনেক দূর থেকে চেক করে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। জায়গায় জায়গায় সন্দেহভাজনদের তল্লাশি চালাচ্ছেন, তার পরও শোভাযাত্রায় এত পুলিশ কেন? সামনে সারি সারি পুলিশ রেখেছে, কিন্তু পাশে ও পেছনে ফাঁকা। আর এভাবে নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ির মধ্যে শোভাযাত্রা হয় না।’

তবে এতকিছুর মধ্যে শোভাযাত্রায় সাধারণ মানুষের বিপুল অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন নিসার হোসেন। তিনি বলেন, ‘একে তো রমজান, তার মধ্যে এই নিরাপত্তার ইস্যু। এর মধ্যে যে এত মানুষ অংশ নেবে, এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। এভাবে নয়।’

সরেজমিন দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় যারা অংশ নিতে চেয়েছেন, সবাই তা পেরেছেন। শুধু যাত্রা শুরুর পর মাঝখান থেকে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি, যা কয়েক বছর ধরেই করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি প্রসঙ্গে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হুমকি ছিল। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। এ ছাড়া পুলিশের নিজস্ব নজরদারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ধর্মীয় চরমপন্থি সংগঠনের তৎপরতার তথ্য পাওয়া যায়। এ কারণে শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা নয়, বর্ষবরণের পুরো আয়োজন ঘিরেই ছিল বাড়তি নিরাপত্তা।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধিকসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অনুষ্ঠানস্থলগুলো ঘিরে মোতায়েন ছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অন্যান্যবার শোভাযাত্রায় যেসংখ্যক জনসমাগম হয়, এবার রমজানের কারণে কম হয়েছে। এ কারণে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশি চোখে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কোনো ছাড় দিতে চাইনি। যে কারণে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ছিল।’

এবারের বর্ষবরণে স্থলপথের পাশাপাশি আকাশ ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহল রাখা হয়েছিল।

বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তবে কেউ যেন নাশকতা চালাতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়।

বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের কারণ জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ১২ এপ্রিল এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘২০০১ সালকে মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হচ্ছে। রিসেন্টলি কিছু বন্ধুরাষ্ট্র জঙ্গিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিচ্ছে।

‘উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু রেডিক্যালাইজড সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সে কারণেই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা।’

আরও পড়ুন:
বুয়েটে বৈশাখী আল্পনায় মুগ্ধতা
যেসব দেশে পালিত হয় ‘নওরোজ’
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ‘দেশাত্মবোধক গান’-এর পেছনে কী?
বর্ষবরণের উৎসবে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস
রবীন্দ্রসরোবরে বৈশাখী সরবতা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Eid reunion of 2011 batch at Saitshaila High School

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরের পরদিন সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid card making competition

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা শনিবার মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিযোগিতায় মাগুরা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘ঈদ কার্ড বানিয়ে খোলা উদ্যানে, শৈশবে ফিরে যাই নব উদ্যমে’ স্লোগান নিয়ে মাগুরায় ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘পরিবর্তে আমরাই’ নামক একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মজুমদার।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, চিত্রশিল্পী আবুল আজাদ ও মনিরুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এ প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন।

‘পরিবর্তে আমরাই’ সংগঠনের পরিচালক নাহিদুল রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সপ্তম বার্ষিকীতে এ আয়োজন। মাগুরাতে এ সংগঠন বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ নানা উৎসবে আমরা সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। মাগুরাতে আমরাই বির্তকের নানা কলাকৌশল শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে থাকি। আগামী দিনে মাগুরায় আরও ভালো কিছু সৃজনশীন কাজ আমরা করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:
শুনানিতে কমিশনের প্রশ্ন- কোন ধানে কোন চাল
চালের ব্যবসা না থাকার দাবি বসুন্ধরার
বাজার কারসাজি: শীর্ষ আরও ৩৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
র‍্যাম্পে হাঁটায় বদলি ৫ পুলিশ সদস্য
বর্ষা নিয়ে ফাউন্টেন পেন কালচারের প্রতিযোগিতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Iftar of the DU Journalists Association united the Chhatra League Chhatra Dal

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় শুক্রবার ইফতার মাহফিলে পাশাপাশি ছাত্রলীগ (বাঁয়ে) ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়সহ সব দল-মতের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গিয়ে কম হামলার শিকার হতে হয়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে। তবে শুক্রবার ছিলো ভিন্ন দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রায় ২০০ নেতাকর্মী প্রবেশ করলেও তারা কোনো বাধার মুখে পড়েননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ইফতারে যোগ দিতে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন নির্বিঘ্নে।

এই ইফতার এক ছাদের নিচে এনেছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠনকে। ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেই ফেললেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই দায়িত্ব ছিলো এ ধরনের আয়োজন করার। আর সেই দায়িত্ব পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এজন্য সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানাই।’

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে
ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপাচার্যসহ শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়সহ সব দলমতের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ইফতার-পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ‘শিক্ষাঙ্গনে সংকট: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক, সমাজ বিশ্লেষক, রাষ্ট্রচিন্তক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের মতানৈক্য দেখি। ক্যাম্পাসে তাদের সহাবস্থান সেভাবে লক্ষ্য করি না। তবে আজ ডুজার আয়োজনে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে আমরা এক ছাদের নিচে আনতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য একটা বিশেষ প্রাপ্তি।

‘ক্যাম্পাসে সবসময় রাজনৈতিক সহাবস্থান বিরাজ করুক, এটাই আমরা চাই। যাতে শিক্ষার্থীরা সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ পায়।’

আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য ডুজার সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচনকে অস্বীকার করি না। মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে কখন ডাকসু নির্বাচন দেয়া যায় তা বিবেচনায় নেয়া হবে।’

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘এখানে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের সবার উপস্থিতি দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। এটি আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যিকার গণতান্ত্রিক চর্চার উদাহরণ।’

মূল আলোচনায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘১৯২১ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল এবং পাকিস্তান আমলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন আনা জরুরি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়ন এবং নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের অবাধ রাজনৈতিক চর্চায় ডাকসুর ভূমিকা রয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের অধিকারও। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র রাজনীতিকে আরও স্মার্ট ও যুগোপযোগী করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ভায়োলেন্স অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট, লাইব্রেরি সংকট ও অন্যান্য সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রশাসনকে ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক সংগঠনের নিরাপদ ও অবাধ বিচরণের সুযোগ প্রদানের দাবি জানান। তিনি বলেন, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে রাখা হয়েছে, যা আধুনিক যুগের ছাত্র রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমরা চাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাকসুর নির্বাচন যেন অতিসত্বর দেয়া হয়।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিউজ্জামান ফরিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডুজা সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তরুণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। এর সদস্যরা প্রত্যেকে মুক্তমনা, নিরপেক্ষ, অনুসন্ধানী মনোভাব ধারণ করে সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সফলতা, অর্জন ও নানা ইতিবাচক কর্মকাণ্ড দেশ-জাতির সামনে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সমাধানের উদ্দেশ্যে যৌক্তিক সমস্যাও তুলে ধরেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা এক অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পাচ্ছি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দল-মত খুবই কাছাকাছি ও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের খুবই প্রত্যাশিত এক চিত্র। নিঃসন্দেহে এই শিক্ষাঙ্গনকে ঘিরে জাতির যে প্রত্যাশা সেটি আরও বাড়িয়ে দেবে।’

ইফতার-পূর্ব এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান, নীল দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সাবেক সদস্য ও নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) রাগীব নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক জাবির আহমেদ জুবেল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব নাহিদ হাসানসহ সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protest mass iftar in Jabi

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বুধবারের গণ-ইফতারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই গণ-ইফতারের আয়োজন করা হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৪৯তম আবর্তনের (২০১৯-২০২০ সেশন) শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

গণ-ইফতার কর্মসূচি আয়োজকদের একজন গণিত বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাফায়েত মীর বলেন, ‘দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় আবেগ ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে তারই প্রতিবাদে আজকের এই আয়োজন। যারা অসাম্প্রদায়িক দেশে এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে যুগ যুগ ধরে ইফতার পার্টি হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সে রেওয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তারই প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করেছি।

‘বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে ধর্মীয় আবেগের ওপর হস্তক্ষেপ এদেশের মানুষ কখনোই পরোয়া করে না।’

আরও পড়ুন:
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
শ্রুতি লেখক পরিবর্তনের অভিযোগে জাবিতে ছয়জনের উত্তরপত্র বাতিল, গ্রেপ্তার ১
জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাবি শিক্ষক জনি বরখাস্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Who won the Oscar

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

যাদের হাতে উঠলো অস্কার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কার পুরস্কার হাতে সেরা অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত সিনেমা ‘ওপেনহেইমার-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। একই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন কিলিয়ান মার্ফি। আর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলতি বছরে অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

সেরা ছবি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সম্মানজনক অস্কার জয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ ছবির কিলিয়ান মার্ফি।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পুরস্কার জয়ী এমা স্টোনের প্রাপ্তির কান্না। ছবি: সংগৃহীত

একই ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এছাড়া সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘দ্য হোল্ডওভারস’ ছবির দা’ভাইন জয় র‌্যান্ডল্ফ।

সেরা পরিচালক হিসেবে এ বছরের অস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)।

লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগারে’।

ধ্বনি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য জোন অফ ইন্টারেস্ট’-এর টার্ন উইলার্স ও জনি বার্ন।

অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন ‘ওপেনহাইমার,’-এর লুডভিগ গোরানসন।

এছাড়া মৌলিক সংগীত ক্যাটাগরিতে ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’-এর ‘বার্বি’; ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ক্যাটাগরিতে ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’; চলচ্চিত্র সম্পাদনা ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার জেনিফার ল্যাম; প্রামাণ্যচিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ’; ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে ‘২০ ডে ইন মারিউপোল’; সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’-এর হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমা পুরস্কার জিতেছেন।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ওয়ার ইজ ওভার! ইনসপায়ারড বাই দ্য মিউজিক অব জন ও ইয়োকো’; অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’; মূল চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য জাস্টিন ট্রিয়েট ও আর্থার হারারি; অভিযোজিত চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকান ফিকশন’-এর জন্য কর্ড জেফারসন এবার অস্কার জয় করেছেন।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং-এ ‘পুওর থিংস’-এর নাদিয়া স্টেসি, মার্ক কুলিয়ার ও জশ ওয়েস্টন; প্রোডাকশন ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংস’-এর জেমস প্রাইস, শোনা হিথ ও জুসা মিহালেক; কস্টিউম ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংকস’-এর হলি ওয়াডিংটন পুরস্কার পেয়েছেন।

আর আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ (যুক্তরাজ্য) অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
অস্কারে প্রতিযোগিতা করার জন্য সিনেমা আহ্বান
অস্কার কমিটিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কাজল-সুরিয়া
যার জন্য চড়কাণ্ড সেই স্ত্রীর সঙ্গেই স্মিথের বিচ্ছেদ!
অস্কারে ১০ বছর নিষিদ্ধ উইল স্মিথ
থাপ্পড়কাণ্ড: অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ ‍উইল স্মিথের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Science Festival begins at St Gregorys School

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৃহস্পতিবার বেলুন উড়িয়ে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসব। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই মেলা।

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব এই আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞান মেলায় সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার্স, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ৫টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির জন্য কিডস গ্রুপ, পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য জুনিয়র গ্রুপ, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির জন্য ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপ, নবম-দশম শ্রেণির জন্য সিনিয়র গ্রুপ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য কলেজ গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সি. এস. সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোতোয়ালি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা শাহীন লিপি।

মেলায় প্রায় ২৫০-৩০০টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি আয়োজক কমিটি প্রায় ৩৩৫টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছে। প্রজেক্টগুলো মূল্যায়ন করবেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ জন শিক্ষক।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

৯ই মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. শৌকত আকবর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক গ্রেগরিয়ান ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং সিএসআরএম-এর পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh is showing the way to the world to deal with the climate crisis

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বুধবার আলোচনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট। ছবি: নিউজবাংলা
ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট বলেন, ‘জলবায়ু সংকট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ যে সমস্যায় ভুগছে এবং তা থেকে উত্তরণে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

বুধবার রাজধানীতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট এসব কথা বলেন।

‘টক উইথ স্টুডেন্টস: জেরম ওবেরিয়েট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে লেকচার সেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতারা অংশ নেন।

জেরম ওবেরিয়েট এই আলোচনায় বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাকের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। সে সঙ্গে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশল নিয়ে কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে জেরোম ওবেরিয়েটের। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশলের উন্নয়ন, সম্পদের ব্যবহার এবং কর্মের উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি।

লেকচার অনুষ্ঠানে ‘এক্সপ্লোরিং ব্র্যাকস ডিসটিংটিভ অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড গ্লোবাল সলিডারিটি’ শীর্ষক বক্তব্যে ব্র্যাকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন জেরম ওবেরিয়েট।

তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশে কাজ করছে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এবং মানবিক ক্ষেত্রে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে ব্র্যাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরির মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করেছে।’

জেরম ওবেরিয়েট তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং প্রশমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জেরম ওবেরিয়েট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি গ্রুপ ফটোসেশনেও অংশ নেন।

মন্তব্য

p
উপরে