সৌদি আরব, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। শনিবার রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রোববার থেকে রোজা রাখবেন বাংলাদেশি মুসলিমরা।
এর বেশ আগেই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটির সূচি অনুযায়ী, ঢাকায় প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময় ৪টা ২৭ মিনিট। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৩৩ মিনিটে।
সূচিতে বলা হয়, ঢাকায় প্রথম রোজা শেষে ইফতারের সময় ৬টা ১৯ মিনিট। দ্বিতীয় রোজাতেও রাজধানীতে ইফতারের সময় একই, তবে সেহরির সময় ১ মিনিট কমে হবে ৪টা ৩২।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াহ ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ১ মিনিট যোগ হবে দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও ও বগুড়ায়। ইফতারে ১ মিনিট যোগ হবে মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনায়।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ২ মিনিট যোগ হবে মানিকগঞ্জ ও শরীয়তপুরে। ইফতারে একই সময় যোগ হবে নড়াইল ও টাঙ্গাইলে।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৩ মিনিট যোগ হবে মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা ও নওগাঁয়। একইভাবে ইফতারে ৩ মিনিট যোগ হবে মাগুরা, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও সাতক্ষীরায়।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৪ মিনিট যোগ হবে পাবনা, রাজবাড়ী, নাটোর ও ঝালকাঠিতে। একইভাবে ইফতারে একই সময় যোগ হবে জামালপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ৫ মিনিট যোগ হবে গোপালগঞ্জ, মাগুরা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর। ইফতারে একই সময় যোগ হবে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায়।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৬ মিনিট যোগ হবে নড়াইল, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও বরগুনায়। ইফতারে একই সময় যোগ হবে গাইবান্ধা, নাটোর ও বগুড়ায়।
ঢাকার সময়ের সঙ্গে সেহরিতে ৭ মিনিট যোগ হবে খুলনা, যশোর, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায়। ইফতারে একই সময় যোগ হবে রাজশাহী, নওগাঁ, মেহেরপুর ও কুড়িগ্রামে।
ইফতারে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৮ মিনিট যোগ হবে রংপুর, জয়পুরহাট ও লালমনিরহাটে।
সেহরিতে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ৯ মিনিট যোগ হবে সাতক্ষীরায়। ইফতারে ১০ মিনিট যোগ হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে।
ইফতারে ঢাকার সময়ের সঙ্গে ১২ মিনিট যোগ হবে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে।
ঢাকার সময় থেকে বাদ দিতে হবে
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ১ মিনিট বাদ দিতে হবে গাজীপুর, পঞ্চগড়, রংপুর ও চট্টগ্রামে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর ও পিরোজপুরে।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ২ মিনিট বাদ দিতে হবে নরসিংদী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা ও বান্দরবানে। ইফতারে দুই মিনিট বাদ দিতে হবে ঝালকাঠি, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও সুনামগঞ্জে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৩ মিনিট বাদ দিতে হবে লালমনিরহাট, শেরপুর, কুড়িগ্রাম ও রাঙ্গামাটিতে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে পটুয়াখালী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা, বরিশাল ও চাঁদপুর।
সেহরিতে চার মিনিট বাদ দিতে হবে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও কুমিল্লায়।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ৫ মিনিট বাদ দিতে হবে নেত্রকোণা ও খাগড়াছড়িতে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে নোয়াখালী ও মৌলভীবাজারে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৬ মিনিট বাদ দিতে হবে হবিগঞ্জে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে ফেনীতে।
ঢাকার সময় থেকে সেহরিতে ৮ মিনিট বাদ দিতে হবে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে খাগড়াছড়িতে।
সেহরিতে ঢাকার সময় থেকে ৯ মিনিট বাদ দিতে হবে সিলেটে। ইফতারে একই সময় বাদ দিতে হবে চট্টগ্রামে।
রাঙ্গামাটিতে ইফতারে ১০ মিনিট বাদ দিতে হবে ঢাকার সময় থেকে। বান্দরবান, কক্সবাজারে ইফতারে ঢাকার সময় থেকে বাদ দিতে হবে ১১ মিনিট।
আরও পড়ুন:‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’কে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে আলোচনা সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (বিআইআরই)।
এ সিরিজের প্রথম পর্বের শিরোনাম ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংবিধান ভাবনা’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে আগামী ৯ নভেম্বর বেলা তিনটায় পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে।
এই পর্বে বক্তব্য দেবেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার মো. মনযুর রাব্বি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এ পর্বে সম্মানিত বক্তাদের পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরাও তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাবেন। তারা সংবিধান নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরতে পারবেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে এ লিংকে।
আলোচনা সিরিজ আয়োজনের পাশাপাশি জরিপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরই। ছাত্র-জনতার সংবিধান ভাবনাকে বুঝতে এ জরিপ পরিচালনা হচ্ছে।
জরিপের প্রাথমিক ফল আগামী ৯ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন সংবিধান সংস্কার কমিশনে জমা দেয়া হবে।
জরিপে অংশ নিতে চাইলে এ লিংকে ক্লিক করতে হবে।
আরও পড়ুন:পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে গত ২২ অক্টোবর সংগঠনের কার্যালয়ে দিনব্যাপী বেসিক ড্রোন অপারেটিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরা জার্নালিস্টরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় ড্রোন ব্যবহারের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সরাসরি ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কর্মশালার প্রশিক্ষক তানভীর মোরশেদ।
কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ওই সময় সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসিন মুকুল, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ূন কবির, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মিল্লাত জামি, প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক ফজলুল হক ও প্রতিষ্ঠাতা সহসাধারন সম্পাদক কামরুল আহসান লেলিনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালাটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দপ্তর সম্পাদক আল মাসুম সবুজ ও তফসির মোহাম্মদ হাসান।
জাতীয় আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘বাতিল হচ্ছে জাতীয় আট দিবস।’
কোন কোন দিবস বাতিল হচ্ছে, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।’
বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করেছে কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’।
কেক কাটার পাশাপাশি জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয় এ হোটেলে।
সায়মন বিচ রিসোর্টে শুক্রবার দুপুরে কেক কেটে উদযাপন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস।
ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (সাটা) ২০২৪-এ পুরস্কৃত হওয়ায় সায়মন বিচ রিসোর্টের ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার পুবুদু ফার্নান্দোকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নেতারা।
একই সঙ্গে প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
দেশের পর্যটনে বড় অবদান রাখা সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ আন্তর্জাতিকভাবে বড় সাফল্য অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতারা।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সায়মন বিচ রিসোর্টের ফুড ম্যানেজার ইমরান হোসাইন, সায়মন হেরিটেজের অপারেশন ম্যানেজার হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি জিএম আশেক উল্লাহ, কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খানসহ সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা।
এদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি হাতে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ওই দিন হোটেলটির একটি সম্মেলনকক্ষে তিন শতাধিক ব্যাগ রক্তদান করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন:রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.) মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের তাফসির আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা।
ইনস্টিটিউট ২০০৪ সাল থেকে জাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনা মূল্যে শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
ইনস্টিটিউট এবার দ্বিতীয়বারের মতো সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোয় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে। সাতটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ২১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে সোমবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অথিথিদেরর মধ্যে ছিলেন ঢাকায় ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম, জাকাত ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রধান উপদেষ্টা শেখ আবদুল লতিফ আল কাদি আল মাদানী, রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়সভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিয়োগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকারের বিষয়ে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ তুলে ধরা।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. আফিজুর রহমান।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি) এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকার আসাদ গেটে অবস্থিত সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ: আস্থার নেতৃত্ব’।
এতে বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন বঙ্গবন্ধু গবেষক হিসেবে আমি বলতে চাই, কোনো জায়গাতে কোনোখানে বঙ্গবন্ধুর কোনো রকম ঘাটতি পাই না আমি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সময় এ দেশের সব ধর্মের মানুষ সম্পূর্ণ সম্প্রীতির বন্ধনে তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন।’
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ এর ফাদার লুক কাকন কোড়াইয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির দিকে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই তার সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খ্রিষ্ট ধর্মতত্ত্বের গবেষক এস এম তানভীর আহমদ বলেন, ‘আমরা যদি বাংলার ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব যে, গত ৫০০ বছরে এ অঞ্চলের ইতিহাস চর্চায় অন্যান্য ধর্ম যেভাবে চর্চিত হয়েছে, খ্র্রিষ্টান ধর্ম সেভাবে আলোচিত হয়নি।’
সেমিনারে বক্তারা শান্তি, সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ কীভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার নানা দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাদার তপন ডি রোজারিও, ইসিটির চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইমানুয়েল মল্লিক, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাসসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে ইসিটির চেয়ারম্যান ইমানুয়েল মল্লিক স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন:প্রতি মাসে দুইদিন সাইকেল চালানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গুলশান-২ গোলচত্বর পর্যন্ত সাইকেল র্যালি পেডাল ফর প্ল্যানেটে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাভাবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ বিভিন্ন যানবাহনের কারণে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। কিন্তু সাইকেল এমন একটি পরিবেশবান্ধব যান যেটি কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। তাই সাইকেল চালানোকে উৎসাহিত করছি। মাসে দুই দিন সাইকেল চালানোর জন্য আমরা নির্দিষ্ট সাইকেল লেন করে দেব।
‘যদিও সাইকেল লেন করে দিলেও দেখা যায় দখলদাররা সেখানে দখল করে ফেলে। স্বেচ্ছাসেবক ও যুবসমাজকে নিয়ে এ ধরনের দখলদারদের প্রতিহত করব।’
তিনি বলেন, ‘মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠনে শরীরচর্চা, খেলাধুলা আবশ্যক। সাইক্লিং অতি উত্তম শরীরচর্চা। সুস্থতার জন্য খেলাধুলা করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। যুবসমাজকে ঘরে বসে অলস সময় পার না করে মাঠে আসতে হবে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পার্ক ও মাঠগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কে শপিংমল করতে দেয়া হবে না। সেখানে পার্কই থাকবে। মানুষ এই পার্কে হাঁটবে, শরীরচর্চা করবে।’
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে সকাল ৮টার দিকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিজয় সরণি, মহাখালী ও বনানী হয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর গিয়ে শেষ হয়। ৩৫০ জন সাইক্লিস্ট এতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে র্যালিতে অংশ নেন। তিনিও সাইকেল চালিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে গুলশান-২ গোলচত্বর পর্যন্ত যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য