× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Market is hot will the fasting people get relief this time?
google_news print-icon

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?

বাজার-গরম-এবার-রোজাদাররা-স্বস্তি-পাবে-তো?
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রায়ই। রোজা উপলক্ষে বাজার হয়েছে আরও কিছুটা অস্থির। রাজধানীর একটি বাজার থেকে তোলা ছবি। নিউজবাংলা
সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, বাজার তদারকি বাড়িয়েছে। তবু নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতায় হেরফের নেই। রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

সংযমের আর আত্মশুদ্ধির মাস রমজান এলে জিনিসপত্রের দাম বাড়া একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রমজানকে সামনে রেখে ‘বাড়তি’ চাহিদার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসিপত্রের দাম অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দাম বাড়ার এই প্রবণতায় স্বল্প ও নির্ধারিত আয়ের চাকরিজীবীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেই হারে তাদের আয় বাড়েনি।

নিউজবাংলা সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

দাম বাড়ার জন্য আগের মতোই এবারও ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য পরিবহন খরচ বাড়ায় জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা-পরবর্তী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে– এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে দেশের বাজারে। তা ছাড়া জিনিসপত্রের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মার্চের শেষে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলেছে, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে চাল, ডাল,আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। এর জন্য দুর্বল বাজার ব্যবস্থা ও তদারকিকে দায়ী করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে সরকার কর ছাড়সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বাজার স্থিতিশীল হবে।

ইতোমধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রীর এ বক্তব্যের বাস্তব প্রতিফলন তেমন নেই, শুধু পেঁয়াজ ছাড়া।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রোজা আসার আগেই বজোরে বেড়েছে সবজির দামও। রাজধানীর একটি বাজার থেতে তোলা ছবি। নিউজবাংলা

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজা উপলক্ষে প্রতি কেজি ছোলার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

তালতলা বাজারে বৃহস্পতিবার এক কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

তালতলা বাজারের মাসুম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচও অনেক বেড়েছে। এসব কারণে ছোলার দাম বেড়ে গেছে।’
দেশে ছোলার বর্তমান চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই লাগে ৮০ হাজার টন।

তালতলা বাজারে সাধারণ মানের এক কেজি খেজুর বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। রোজার আগে দাম ছিল ২৫০ টাকা। কেজিপ্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা বা ২৫ শতাংশ। দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হলেও রমজানে লাগে ২৫ হাজার টন।

মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর খেসারি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। বাজারভেদে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। যেখানে রোজার আগে বিক্রি হতো ৭০ টাকায়। দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন।

বিপুল পরিমাণ করছাড় দেয়ার পরও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি এখনও। এক লিটার সয়াবিন তেল কোনো কোনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়। আবার কোথাও তা ১৬৪ টাকায়।

রমজানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে তদারকি ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে বলে জানালেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার আমরা নিয়মিত তদারকি করি। রমজানে সপ্তাহে সাত দিনই আমাদের টিম বাজার তদারকি করবে। অধিদপ্তরের ছয়টি আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটিসহ এবার মোট ১০টি টিম মাঠে থাকবে।’

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ছোলা, খেজুরের দাম সম্পর্কে খোঁজখবর করা হয়েছে এবং ভোজ্যতেলের বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রমজান মাসজুড়েই বাজার তদারিক করা হবে বলে জানান তিনি।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মশলার দামও। ছবি: নিউজবাংলা

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে ক্যাবের সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যসচিব গোলাম রহমান মনে করেন, ব্যবসায় মুনাফা অর্জন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব ধরনের পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে আরও বেশি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ পণ্যের বাজার বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহের উপর নির্ভর করে। সাধারণ নিয়মে বিশ্ববাজারে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক।

তিনি মনে করেন, ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ কিছু স্পর্শকাতর পণ্যের মূল্য কমিয়ে রেখেছে সরকার। তা না হলে দেশে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেত।

বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সম্প্রতি সিপিডি যে মন্তব্য করেছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের দেশে শুল্ক হার বেশি থাকার ফলে পণ্যের দাম বেশি পড়ে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভোক্তারা পৃথিবীজুড়ে অস্বস্তিতে আছে। অবশ্যই ভোক্তারা দুর্ভোগে আছেন। আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো, যদি ভর্তুকি না দিত সরকার।

আরও পড়ুন:
সুশাসনের চাবুকে সিন্ডিকেটকারীদের শায়েস্তা করুন: ইনু
নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপণ্যের আমদানি কর প্রত্যাহার করবে সরকার
দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘশ্বাস
নিত্যপণ্যের দাম ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Relatives of Minister MPs do not simplify the system from the upazila elections Kader

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে  নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।’

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।

‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’

চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’

বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।

‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no gas in Shanirakhra Jurain from noon

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না ফাইল ছবি
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।

এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।

আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fire at launch in Shyambazar

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে শ্যামবাজার ঘাটে আগুনে পুড়ল লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Emir of Qatar at the Prime Ministers Office

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার  দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের

তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।

পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।

সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League rally was also suspended on Friday

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।

অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Body recovered from Golapshah shrine

গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার

গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার প্রতীকী ছবি
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।

এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Unhealthy Dhaka air for sensitive population

সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা। ছবি: পনির হোসেন/রয়টার্স
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।

একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।

আরও পড়ুন:
ফাঁকা ঢাকার বাতাসও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে চতুর্থ
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা
সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
লাহোরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত, ঢাকা অষ্টম

মন্তব্য

p
উপরে