× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Will the gold bag come on the market at all?
google_news print-icon

‘সোনালি ব্যাগ’ কি আদৌ বাজারে আসবে?

সোনালি-ব্যাগ-কি-আদৌ-বাজারে-আসবে?
বাজারে এখনও মারাত্মক হারে ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিন। ছবি: সংগৃহীত
পাট থেকে তৈরি পলিব্যাগ বাজারজাত করতে ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে সেই ব্যাগ ছয় বছরেও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা যায়নি। উদ্ভাবক মোবারক আহমেদ বলছেন, সোনালি ব্যাগ বাজারজাত করতে আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

উদ্ভাবনের পর ছয় বছর পেরিয়েছে, এখনও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসেনি পাট থেকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সোনালি ব্যাগ’।

পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ব্যাগের সীমিত উৎপাদন সম্ভব হয়েছে কেবল। এই অবস্থায় প্রকল্পের সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়; সে মেয়াদও শেষ হয়েছে বছরখানেক আগে।

কিন্তু সোনালি ব্যাগ বাজারে আসবে কবে? আদৌ কি তা আসবে? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কোনো কর্মকর্তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

এ পরিস্থিতিতে ৬ মার্চ রোববার পালিত হচ্ছে জাতীয় পাট দিবস। ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার পালিত হচ্ছে দিবসটি।

নির্ভরযোগ্য বিকল্পের অভাবে বাজার সয়লাব নিষিদ্ধ পলিথিনে। মাঝে হাতে ঝুলিয়ে ব্যবহার উপযোগী পলিথিন ব্যাগ বন্ধ ছিল। এখন সেই ব্যাগও বাজারে ফেরত এসেছে। কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, শপিং মল, চেইন শপ—সব জায়গায় পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই পণ্য নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়, কিন্তু তাতে পলিথিনের ব্যবহার কমেনি।

বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হয় ২০০২ সালে। পরিবেশবিদরা বলছেন, আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেই পলিথিন থেকে মুক্তি মিলছে না। শুধু বাংলাদেশ নয়, পলিথিন নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্ব। প্রতিদিন লাখ লাখ টন পলিব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে, বর্জ্য হিসেবে তা পরিবেশ দূষণ করছে।

‘সোনালি ব্যাগ’ কি আদৌ বাজারে আসবে?
পাট থেকে পলিথিন তৈরির উদ্ভাবক মোবারক আহমেদ খান ও তার তৈরি পলিথিন সোনালি ব্যাগ।

এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর পলিথিনের নির্ভরযোগ্য বিকল্প ভাবা হয়েছিল পাটের তৈরি পচনশীল সোনালি ব্যাগকে। এটি উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা মোবারক আহমেদ খান, ২০১৬ সালে। এটি একটি সেলুলোজভিত্তিক বায়োডিগ্রেডেবল বায়োপ্লাস্টিক, যা প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প। পাট থেকে সেলুলোজ সংগ্রহ করে তা দিয়ে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতোই, তবে তা পচনশীল।

বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসার আগেই ‘সোনালি ব্যাগ’ দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলেছিল। ব্যাগটি বাজারজাত করতে ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে সেই ব্যাগ ছয় বছরেও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা যায়নি।

ঢাকার ডেমরার শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে সরকারি পাটকল লতিফ বাওয়ানী জুট মিল। সেখানেই সোনালি ব্যাগ তৈরির কারখানা। ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এই ব্যাগ উৎপাদনের জন্য। ওই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য কেনা হয়েছে। বর্তমানে হাজারখানেক সোনালি ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিটি ব্যাগ ১০ টাকা দামে শুধু মতিঝিলে অবস্থিত বিজেএমসির কার্যালয় থেকে কেনা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসে নমুনা হিসেবে পাঠানো হয় এ ব্যাগ।

চার বছর আগে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান জানিয়েছিলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি খুব দ্রুতই এ ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবেন। কিন্তু সেই পৃষ্ঠপোষকতা মেলেনি, তাই বাজারজাত করাও সম্ভব হচ্ছে না।

উদ্ভাবক মোবারক আহমেদ এখন বলছেন, সোনালি ব্যাগ বাজারজাত করতে আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকারের কাছে এই টাকা চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাও খুঁজছেন তিনি।

বিজেএমসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিকভাবে সোনালি ব্যাগ বাজারে আনার ক্ষেত্রে মূল জটিলতা এখন একটি স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) ব্যাগ সিলিং মেশিন কেনা; আর দরকার বড় আকারের অর্থায়ন।

মোবারক আহমেদ খান শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইলট প্রকল্পে টার্গেট ছিল এক লাখ ব্যাগ উৎপাদন করা। তা সম্ভব হয়নি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যাগ সিলিং মেশিনের অভাবে। এখন ২৪ ঘণ্টা যন্ত্র চালিয়ে ৯০ হাজার ব্যাগ উৎপাদন করা যায়। বেসরকারি উদ্যোক্তারা যদি বিনিয়োগ করেন, তাহলে এটা আরও দ্রুত বাণিজ্যিক আকারে করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই ব্যাগ বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার জন্য যা যা করা লাগে, সরকারি অর্থায়ন থেকে শুরু করে বেসরকারি উদ্যোক্তা– কোনো কিছুতেই বাধা নেই। আমরা এখন সেমি আকারে (মাঝারি) বাজারজাত করার জন্য ১৫ থেকে ২০ টন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। আর এ জন্যই প্রয়োজন ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা।’

সরকারের কাছে অর্থ চেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘চাওয়া হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি নেই। সরকারও বুঝেছে, বিদেশে সোনালি ব্যাগের চাহিদা অনেক। কিন্তু কেন টাকাটা দিচ্ছে না, সেটাই বুঝতে পারছি না।

‘বাণিজ্যিকভাবে সোনালি ব্যাগ বাজারে আনার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) ব্যাগ সিলিং মেশিন কেনার জন্য চীনে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা আসলেই হবে না, পুরোদমে উৎপাদনের জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। আমার এখন মনে হচ্ছে, বেসরকারি খাত বিনিয়োগ না করলে সোনালি ব্যাগ বাজারে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।’

মোবারক আহমেদ বলেন, ‘পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে সারা বিশ্বে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগের প্রচুর চাহিদা দেখা দিয়েছে। আমরা যদি বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে এই ব্যাগ উৎপাদন করতে পারতাম, তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তৈরি পোশাকের মতো বিশ্ববাজারের বড় বাজার দখল করতে পারতাম। এদিকে সবাই কেন মনোযোগ দিচ্ছে না, সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।’

সোনালি ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।

বাজার সয়লাব পলিথিনে

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপড়া, শান্তিনগর বাজার, হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাটজাত মোড়কের বদলে প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তায় আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, আদা, রসুন বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে কিছু চালের দোকানে পাটের বস্তা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলিথিনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হোক, তারা তা চান না। কিন্তু পলিথিনের মতো সহজলভ্য কোনো পণ্য বাজারে নেই।

শেওড়াপাড়া বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী লতিফুর রহমানের সঙ্গে। তার হাতে হাতওয়ালা পলিব্যাগে কমলা। পলিথিনের দিকে ইঙ্গিত করতেই বললেন, ‘দোকানদার দিলে কী করব। চারদিকেই তো পলিথিন আর পলিথিন। বন্ধ করার ব্যবস্থা তো দেখি না।’

একই প্রশ্ন করা হলে শেওড়াপাড়া বাজারের মাছ বিক্রেতা শিপন বলেন, ‘কী করব, পলিথিন ছাড়া তো অন্য কিছুতে মাছ ভরে ওজন করা যায় না।’

দৈনিক পলিথিনের হিসাব

২০০২ সালে দেশে পলিথিন নিষিদ্ধের পর বিকল্প হিসেবে সে সময় কাগজের ঠোঙার ব্যবহার কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু পলিথিনের চাপে টিকতে পারেনি কাগজের ঠোঙাও। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ২০ বছর ধরে পলিথিন দূষণ নিয়ে চিন্তিত। ঢাকার জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে পলিথিনকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এসব নিয়ে কেবল আলোচনাই সার।

বাংলাদেশে প্রতিদিন কী পরিমাণে পলিথিন উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয় এবং শেষে বর্জ্য হিসেবে নালা-নর্দমা, খালবিলে কী পরিমাণ জমা হয়– এ নিয়ে সরকারি কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের প্ল্যাটফর্ম আর্থ ডে নেটওয়ার্কের ২০১৮ সালে করা ওই তালিকায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। প্রথমে আছে চীন, ভারত ১২তম অবস্থানে, পাকিস্তান ১৫তম ও মিয়ানমার ১৭তম অবস্থানে আছে।

‘প্লাস্টিক পলিউশন প্রিমিয়ার অ্যান্ড অ্যাকশন টুলকিট’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৭ লাখ ৯০ হাজার টন পলিথিন বর্জ্য জমা হয়। বাংলাদেশে একজন মানুষ দৈনিক ৪৩০ গ্রাম বর্জ্য তৈরি করে থাকে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ তথা প্রায় ৩৫ গ্রাম প্লাস্টিক বর্জ্য। অর্থাৎ বছরে একজন মানুষ প্রায় ১৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনভিত্তিক সংস্থা ‘দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্টস’ বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর পাঁচ লাখ কোটি পিস পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। এর মাত্র ১ শতাংশ পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়; আর সমুদ্রে ফেলা হয় ১০ শতাংশ। এসব পলিব্যাগ ১০০ বছরেও পচে না, মাটির সঙ্গে মেশে না। ওই সংস্থার গতকাল সন্ধ্যার হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৭৬ হাজার ৪৭৩ কোটি পিস পলিব্যাগ উৎপাদিত হয়েছে।

উদ্যোগ, অগ্রগতি নেই

২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার কমাতে আবারও উদ্যোগ নেয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সে বছর ও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ধান, চাল, ভুট্টা, সার, চিনিসহ ১৯টি পণ্যের মোড়ক হিসেবে প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। তখন কিছু অভিযানও চালানো হয়। কিন্তু জনবল ও তদারকির অভাবে অভিযানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। ফলে সরকারের সে উদ্যোগের সুফল আর মেলেনি।

পলিথিন বন্ধে ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে মামলা করে ১০৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানগুলোতে ১ হাজার ২৩৬ টন পলিথিন ও প্লাস্টিকের দানা জব্দ করা হয়।

দরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত

২০২০ সালের শুরুতে উচ্চ আদালত পলিথিন এবং একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধের ব্যবস্থা নিতে এক বছর সময় বেঁধে দেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। অধিদপ্তর আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নেয় এবং ১০ ফেব্রুয়ারি তা আদালতে জমা দেয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আদালত ওই আদেশ দেয়।

পলিথিন ঠেকাতে করণীয় জানতে চাইলে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লোকদেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করলে লাভ হবে না। নিয়মিত বাজার তদারকি, পলিথিনের বিকল্প বাজারে আনা, আইনের নিয়মিত প্রয়োগ ও শাস্তি নিশ্চিত করা– এই চার পদক্ষেপ দিয়েই পলিথিন বন্ধ করা সম্ভব। পাশাপাশি মানুষকে বোঝাতে হবে, পলিথিনের ক্ষতি কতটা গভীর।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
This years victory day is not a victory fair but a parade

এবারের বিজয় দিবসে হচ্ছে বিজয় মেলা, হচ্ছে না কুচকাওয়াজ

এবারের বিজয় দিবসে হচ্ছে বিজয় মেলা, হচ্ছে না কুচকাওয়াজ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: ইউএনবি
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন‍্যান‍্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।’

এবার বিজয় দিবসকে উৎসবমুখর করতে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

ইউএনবিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ইউএনবিকে বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতির জন‍্য অনন‍্য দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে জাতি এই বিজয় অর্জন করেছে। সারা দেশের মানুষ যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিল।

‘একসময় গ্রামে ও সারা দেশেই এই বিজয় উৎসব হতো। ধীরে এই উৎসব নিষ্ক্রিয় ছিল। এবার সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে চারু, কারুমেলার সঙ্গে কৃষি পণ্যের মেলা হবে। তার সঙ্গে দেশীয় পণ্য পরিবেশন করা হবে। মেলায়, শিশু, নারী, পুরুষ সবার অংশগ্রহণ থাকবে।

‘এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সবাই আনন্দ উপভোগ করবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে অনুষ্ঠান হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন‍্যান‍্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় প‍্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। কারণ সেনাবাহিনী এখন সারা দেশে ব‍্যস্ত।

‘এটার জন‍্য একটা প্রস্তুতির বিষয় আছে। তাই এবার প‍্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। এটার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন।’

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে প্রধানমন্ত্রী যেতেন। এবার প্রধান উপদেষ্টা যাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, উপদেষ্টা যাবেন না। এ রকম প্রোগ্রাম হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রোগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। তেমনই ঢাকায় এখানকার জেলা প্রশাসন করবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে প্রশাসন করত কুচকাওয়াজ, এখন প্রশাসন মেলার আয়োজন করবে। সেখানে স্ব স্ব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সব পর্যায়ের জনগণ অংশ নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে’
রপ্তানি বন্ধ করলে ভারতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আগামী বছর রাজনৈতিক পালাবদল: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যের ডাকে ধর্মীয় নেতাদের একাত্মতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BIREs discussion series to encourage constitutional thinking at the public level

‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’ উৎসাহিত করতে আলোচনা সিরিজ বিআইআরইর

‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’ উৎসাহিত করতে আলোচনা সিরিজ বিআইআরইর বিআইআরইর লোগো। ছবি: বিআইআরই
এই পর্বে বক্তব্য দেবেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার মো. মনযুর রাব্বি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’কে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে আলোচনা সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (বিআইআরই)।

এ সিরিজের প্রথম পর্বের শিরোনাম ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংবিধান ভাবনা’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে আগামী ৯ নভেম্বর বেলা তিনটায় পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে।

এই পর্বে বক্তব্য দেবেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার মো. মনযুর রাব্বি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

এ পর্বে সম্মানিত বক্তাদের পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরাও তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাবেন। তারা সংবিধান নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরতে পারবেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে এ লিংকে

আলোচনা সিরিজ আয়োজনের পাশাপাশি জরিপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরই। ছাত্র-জনতার সংবিধান ভাবনাকে বুঝতে এ জরিপ পরিচালনা হচ্ছে।

জরিপের প্রাথমিক ফল আগামী ৯ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন সংবিধান সংস্কার কমিশনে জমা দেয়া হবে।

জরিপে অংশ নিতে চাইলে এ লিংকে ক্লিক করতে হবে।

আরও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ
অল্প সময়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব নয়: হাসান আরিফ
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ শুনানি ১০ আগস্ট
’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাইলেন তারা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Drone Operating Workshop organized by TV Camera Journalists Association

টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ড্রোন অপারেটিং কর্মশালা

টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ড্রোন অপারেটিং কর্মশালা বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরা জার্নালিস্টরা এ কর্মশালায় অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা
কর্মশালায় ড্রোন ব্যবহারের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সরাসরি ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কর্মশালার প্রশিক্ষক তানভীর মোরশেদ।

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে গত ২২ অক্টোবর সংগঠনের কার্যালয়ে দিনব্যাপী বেসিক ড্রোন অপারেটিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরা জার্নালিস্টরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।

কর্মশালায় ড্রোন ব্যবহারের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সরাসরি ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কর্মশালার প্রশিক্ষক তানভীর মোরশেদ।

কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ওই সময় সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসিন মুকুল, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ূন কবির, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মিল্লাত জামি, প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক ফজলুল হক ও প্রতিষ্ঠাতা সহসাধারন সম্পাদক কামরুল আহসান লেলিনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালাটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দপ্তর সম্পাদক আল মাসুম সবুজ ও তফসির মোহাম্মদ হাসান।

আরও পড়ুন:
মাহবুবুল আলমকে বিটিভির মহাপরিচালক করে প্রজ্ঞাপন
বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টিভিতে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই: নাহিদ
হাতিরঝিল থেকে জিটিভি সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ
এবার বিটিভি ভবন পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National 8 Day is cancelled

বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস

বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘বাতিল হচ্ছে জাতীয় আট দিবস।’

জাতীয় আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ‘বাতিল হচ্ছে জাতীয় আট দিবস।’

কোন কোন দিবস বাতিল হচ্ছে, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পরীক্ষা স্থগিত
‘প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রিটি খামারিরা’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস কাল
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Blood Donation Program at Simon Beach Resort on Tourism Day

পর্যটন দিবসে সায়মন বিচ রিসোর্টে রক্তদান কর্মসূচি

পর্যটন দিবসে সায়মন বিচ রিসোর্টে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (সাটা) ২০২৪-এ পুরস্কৃত হওয়ায় সায়মন বিচ রিসোর্টের ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার পুবুদু ফার্নান্দোকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নেতারা। ছবি: সায়মন বিচ রিসোর্ট
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে হোটেলটির একটি সম্মেলনকক্ষে তিন শতাধিক ব্যাগ রক্তদান করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করেছে কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’।

কেক কাটার পাশাপাশি জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয় এ হোটেলে।

সায়মন বিচ রিসোর্টে শুক্রবার দুপুরে কেক কেটে উদযাপন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস।

ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (সাটা) ২০২৪-এ পুরস্কৃত হওয়ায় সায়মন বিচ রিসোর্টের ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার পুবুদু ফার্নান্দোকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নেতারা।

একই সঙ্গে প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।

দেশের পর্যটনে বড় অবদান রাখা সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ আন্তর্জাতিকভাবে বড় সাফল্য অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতারা।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সায়মন বিচ রিসোর্টের ফুড ‌ম্যানেজার ইমরান হোসাইন, সায়মন হেরিটেজের অপারেশন ম্যানেজার হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি জিএম আশেক উল্লাহ, কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খানসহ সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা।

এদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলার সবচেয়ে বড় রক্তদান কর্মসূচি হাতে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

ওই দিন হোটেলটির একটি সম্মেলনকক্ষে তিন শতাধিক ব্যাগ রক্তদান করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আরও পড়ুন:
পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা
ঈদ উপলক্ষে চাঙা সিলেটের পর্যটন খাত
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা
‘নষ্ট খাবারের’ বিল না দিতে চাওয়ায় পুলিশকে মারধর
ভরা মৌসুমে পর্যটকখরা শেরপুরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Special honor for visually impaired and third gender students on the occasion of Eid Miladunnabi

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের বিশেষ সম্মাননা

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের বিশেষ সম্মাননা রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে সোমবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী হয়। কোলাজ: নিউজবাংলা
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়সভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.) মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের তাফসির আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা।

ইনস্টিটিউট ২০০৪ সাল থেকে জাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনা মূল্যে শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

ইনস্টিটিউট এবার দ্বিতীয়বারের মতো সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোয় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে। সাতটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ২১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে সোমবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

বিশেষ অথিথিদেরর মধ্যে ছিলেন ঢাকায় ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম, জাকাত ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রধান উপদেষ্টা শেখ আবদুল লতিফ আল কাদি আল মাদানী, রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়সভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

প্রতিয়োগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকারের বিষয়ে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ তুলে ধরা।

আরও পড়ুন:
পাট খাতে অবদানের স্বীকৃতি ১১ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে
২৫ জনকে সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে শেষ হলো এনআরবি–পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংককে বিশেষ সম্মাননা
আবারও বাংলাদেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড হলো দারাজ
তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If Bangabandhu was alive he would have won the Nobel Peace Prize Afizur

ইসিটির সেমিনারে শান্তি, সম্প্রীতিতে জোর

ইসিটির সেমিনারে শান্তি, সম্প্রীতিতে জোর ঢাকার আসাদ গেটে অবস্থিত সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ: আস্থার নেতৃত্ব’। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন বঙ্গবন্ধু গবেষক হিসেবে আমি বলতে চাই, কোনো জায়গাতে কোনোখানে বঙ্গবন্ধুর কোনো রকম ঘাটতি পাই না আমি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন।’ 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. আফিজুর রহমান।

গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি) এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকার আসাদ গেটে অবস্থিত সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ: আস্থার নেতৃত্ব’।

এতে বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন বঙ্গবন্ধু গবেষক হিসেবে আমি বলতে চাই, কোনো জায়গাতে কোনোখানে বঙ্গবন্ধুর কোনো রকম ঘাটতি পাই না আমি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সময় এ দেশের সব ধর্মের মানুষ সম্পূর্ণ সম্প্রীতির বন্ধনে তাদের স্ব-স্ব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন।’

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ এর ফাদার লুক কাকন কোড়াইয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির দিকে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই তার সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খ্রিষ্ট ধর্মতত্ত্বের গবেষক এস এম তানভীর আহমদ বলেন, ‘আমরা যদি বাংলার ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব যে, গত ৫০০ বছরে এ অঞ্চলের ইতিহাস চর্চায় অন্যান্য ধর্ম যেভাবে চর্চিত হয়েছে, খ্র্রিষ্টান ধর্ম সেভাবে আলোচিত হয়নি।’

সেমিনারে বক্তারা শান্তি, সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ কীভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার নানা দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাদার তপন ডি রোজারিও, ইসিটির চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইমানুয়েল মল্লিক, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাসসহ অনেকে।

অনুষ্ঠান শেষে ইসিটির চেয়ারম্যান ইমানুয়েল মল্লিক স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা করেন।

আরও পড়ুন:
‘বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন’
‘নিজস্ব আয়েই প্রতিস্থাপন খরচ মেটাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’
রবীন্দ্রনাথে প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন: ঢাবি উপাচার্য
মে দিবসের মাধ্যমে শ্রমিকদের মানুষ বলে গণ্য করার নিয়ম পেয়েছি
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

মন্তব্য

p
উপরে