× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Responsibility for 222 illegal level crossing accidents on Western Railway
google_news print-icon

পশ্চিমাঞ্চল রেলে ২২২ অবৈধ ক্রসিং, দুর্ঘটনায় দায় ‘নিজের’

পশ্চিমাঞ্চল-রেলে-২২২-অবৈধ-ক্রসিং-দুর্ঘটনায়-দায়-নিজের
পশ্চিমাঞ্চল রেলের একটি অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে আছে অটোরিকশা, ছুটে চলেছে ট্রেন, নেই কোনো গেটম্যান। ছবি: নিউজবাংলা
নোটিশ বোর্ডে লেখা, ‘সাবধান, এই গেটে কোনো গেটম্যান নেই, পথচারী ও সকল ধরনের যানবাহন চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করিবেন এবং কোনোরূপ দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিজেই বাধ্য থাকিবেন।’

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে গঠিত দেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে রেলপথ ১ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার। এই রেলপথে রয়েছে ২২২টি অবৈধ লেভেলক্রসিং।

বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় এসব ক্রসিংয়ে মারা গেছে অসংখ্য মানুষ। অবশ্য এসব দুর্ঘটনার দায় রেল কর্তৃপক্ষ সেরেছে একটি করে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে। রেলের নোটিশে বলা হয়, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায় নিতে হবে নিজেকেই।

সবশেষ বুধবার নীলফামারীর দারোয়ানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হন। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলিনগর হাজির মোড় এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের।

মাস দেড়েক আগেও নীলফামারীর সোনারায় ট্রেনে কাটা পড়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ প্রাণ হারান চারজন। এ ছাড়া ২০১৯ সালের জুলাইয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

রেলওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলে ১ হাজার ১৯৯টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের।

পশ্চিমাঞ্চল রেলে ২২২ অবৈধ ক্রসিং, দুর্ঘটনায় দায় ‘নিজের’
অরক্ষিত এক লেভেলক্রসিং পার হচ্ছেন মানুষজন। ছবি: নিউজবাংলা

রেল কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ের দায় নিজেরা না নিয়ে চাপাচ্ছেন এলজিইডি, সওজ ও জনপ্রতিনিধিদের ওপর।

রেলের কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী জোনে খুলনা স্টেশন থেকে টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত বৈধ রেলগেট বা লেভেলক্রসিং রয়েছে ৮০৮টি। এসব গেট বা লেভেলক্রসিং স্পেশাল, এ, বি, সি এবং ডি গ্রেড লেভেল করা হয়েছে। গ্রেড অনুযায়ী লোকবল রয়েছে সেগুলোতে।

পাকশী জোনের ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর থেকে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত অবৈধ লেভেলক্রসিং রয়েছে ১২৩টি।

লালমনিরহাট জোনের (রংপুর বিভাগ) সান্তাহার-মহিমাগঞ্জ হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সুলতানপুর পর্যন্ত বৈধ লেভেলক্রসিং আছে ৪১৭টি। সান্তাহার-আদমদীঘি হয়ে নয়নীবুরুজ পর্যন্ত অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ের সংখ্যা ৯৯টি।

এসব অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ের মধ্যে এলজিইডির ১৮৪টি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) পাঁচটি, বাকিগুলো ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের অধীনে।

পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৫৬৮টি লেভেলক্রসিং গেটের জন্য গেটম্যান ছিলেন ১৮৯ জন। তাদের মধ্যে এখন ১১৯ জন কর্মরত। বাকি ৭০ জনকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ৭০০ গেটকিপার অস্থায়ীভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছেন।

সে হিসাবে ৬৭৯টি লেভেলক্রসিং গেটে কোনো গেটকিপার নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ের দুই পাশে চারটি পিলার দেয়া আছে। আর দুই পাশে দেয়া আছে দুটি নোটিশ বোর্ড। তাতে লেখা, ‘সাবধান, এই গেইটে কোনো গেটম্যান নেই, পথচারী ও সকল প্রকার যানবাহন চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করিবেন এবং কোনোরূপ দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিজেই বাধ্য থাকিবেন।’

রংপুরের তাজহাট লেভেলক্রসিংয়ের কাছেই মুদি দোকান করেন মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘খুব ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার হয়। কোন দিন করি তো মনে হয়, এই বুঝি ধাক্কা লাগিল। বুককা সাৎ করি ওঠে। গেট থাকলে এই সমস্যাটা হইলনে হয়।’

মাহিগঞ্জ বালাটারী গেটের পাশেই বাড়ি মর্জিনা বেগমের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হামরা তো বড়, হামারগের সমস্যা নাই। কিন্তু টেন যকন আইসে, তকন তো ছৈলগুলে দৌড়াদৌড়ি করে। নাই গেট, নাই মানুষ। কাই কাক বাধা দেয়। কখন যে কী হয় কওয়া যায়।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলে ২২২ অবৈধ ক্রসিং, দুর্ঘটনায় দায় ‘নিজের’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে ভটভটিতে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন মারা যান। ফাইল ছবি

রংপুরের সাতমাথা রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ভুট্ট বলেন, ‘গেটও নাই, গেট ম্যানও নাই, টেনের হুইসেল শুনি মানুষ দাঁড়ায়। আবার যখন টেন চলি যায় তখন ফির যাওয়া-আইসে করে।’

বুধবার নীলফামারীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অহিদুল ইসলামের স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, ‘ওই গেট যদি থাকলি হয়, তাহলে কী এত বড় ক্ষতি হইল না হয়। হামরা মরলেই কী, বাঁচলেই কী, কাইও তো খোঁজ নিবের নয়।’

রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট শঙ্কর গাঙ্গুলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যেসব লেভেলক্রসিং রয়েছে, সেগুলোতে লোকবল রয়েছে। তারা শিফট ভাগ করে কাজ করে। বৈধ কোনো লেভেলক্রসিংয়ে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (লালমনিরহাট) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যেসব গেট আছে, সেগুলোতে লোকবল আছে। রেলপথে অবৈধ গেট যেন বন্ধ করা হয় এবং নতুন করে কোনো গেট তৈরি না করা হয়, সে জন্য এলজিইডি, সওজ, জেলা পরিষদ, মেয়রকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

তার দাবি, তারা অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী উদ্যোগ নিলেও অন্যরা নিষ্ক্রিয় থেকেছে। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছি বিষয়টি নিয়ে।’

নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এসব গেট যদি তারা রাখতে চায়, তাহলে তাদের অর্থায়নে লোক নিয়োগ দিতে হবে, সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এলজিইডি রংপুর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাইবান্ধার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না জানা নেই। তবে লেভেলক্রসিং নিয়ে চিঠি দেয়া-নেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দুই ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
নারীদের সেমিতে স্ফিয়নটেকের প্রতিপক্ষ কলিনস
৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলবে তো!
পাঁচ সেটের থ্রিলার জিতে সেমিতে নাদাল
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দলে নেই ওয়ার্নার-মার্শ
ঘাম ঝরিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে নাদাল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The allegation of BNP leader Hafiz Ibrahim to the home adviser is false and fabricated

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।

মন্তব্য

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shaheed Zia Memorial Football Tournament opens

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।

এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।

প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।

স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another wild elephant died in Sherpur

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।

এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।

এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two bus collision helpers killed in Sylhet

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।

তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

p
উপরে