সামাজিক বা রাজনৈতিক কঠোর আন্দোলনে অনশন বিশ্বজুড়ে একটি প্রচলিত হাতিয়ার। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনেও অনশন কর্মসূচি পালন করছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোজাসাপ্টা কথায় অনশন হচ্ছে না খেয়ে থাকা। অনশনকারীরা তাদের দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত খাবার না খেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের হাতিয়ার এই অনশনে শরীরে কী প্রভাব পড়ে এবং অনশনে মৃত্যুঝুঁকি কতটা সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পর্যালোচনা করেছে নিউজবাংলা।
দেখা গেছে অনশনে মৃত্যুর নজির খুব বেশি না থাকলেও মানবশরীর ও মনস্তত্ত্বে এ ধরনের কর্মসূচির প্রভাব ব্যাপক।
যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথের সহযোগিতায় ২০০৮ সালে দেশটির অন্যতম শীর্ষ মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয় অনশন নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
সেখানে বলা হয়, ‘সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কেউ অন্তত ছয় থেকে আট সপ্তাহ কম খাবার খেয়ে বা না খেয়ে থাকতে পারেন। তবে যাদের স্বাস্থ্য খারাপ তারা তিন সপ্তাহের মধ্যে মারা পড়তে পারেন।
‘আর পানি ছাড়া অবস্থা খুব দ্রুত খারাপের দিকে যেতে পারে। আবহাওয়া উষ্ণ থাকলে সাত থেকে ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুও হতে পারে।’
সবচেয়ে দীর্ঘ অনশন
ভারতের ‘আয়রন লেডি অফ মনিপুর’ খ্যাত ইরম চানু শর্মিলা প্রায় ১৬ বছর অনশন করেছিলেন। ‘আর্মড ফোর্সেস অ্যাক্ট নাইন্টিন ফিফটি এইট’ এর প্রতিবাদে তিনি ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর অনশন শুরু করেন। শেষ করেন ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট।
কারাগারে খাবার ও পানি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রায় পুরোটা সময় তাকে নাকে নল দিয়ে জোর করে খাবার দেয়া হয়েছে।
তবে একেবারেই খাবার গ্রহণ না করে অনশনের রেকর্ড ববি স্যান্ডের। বিতর্কিত আইরিশ রিপাবলিক আর্মির এ সদস্য কারাগারে টানা ৬৬ দিন না খেয়ে ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি কোমায় চলে যান।
ক্ষুধার কষ্ট বেশিক্ষণ থাকে না
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া কারেকশনাল হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস বলছে, অনশন বা না খেয়ে থাকার যে কষ্ট সেটা দুই বা তিন দিন পর আর থাকে না।
কারণ, তিন দিনের অনশনের পর মানবদেহ নিজের পেশিতে থাকা প্রোটিন ব্যবহার করে কোষের সক্রিয়তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ সংগ্রহ করে। এতে করে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট বা খনিজ যেমন, পটাশিয়ামের মাত্রা দেহে ভয়ংকর পরিমাণে কমে যায়। একই সঙ্গে দেহ চর্বি ও পেশির আয়তন হারিয়ে ফেলে।
দুই সপ্তাহ পর অনশনকারীদের দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। প্রচণ্ড মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, হাত-পা নাড়তে বা কথা বলায় ধীরগতি, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া ও শীতের অনুভূতি হতে পারে।
দুই বা তিন সপ্তাহের মাথায় শরীরে থায়ামিনের (ভিটামিন বি-ওয়ান) মাত্রা কমে মারাত্মক স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পাওয়া, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া ও নড়াচড়ার সক্ষমতা কমে যাওয়া।
সাউথ আফ্রিকান সাংবাদিক ডেভিড বেরেসফোর্ড ববি স্যান্ডের মৃত্যু নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে লিখেছেন। তিনি লেখেন, ‘মৃত্যুর আগে স্যান্ডস মাথার ভেতরে বিভিন্ন কিছুর প্রতিধ্বনি শুনতে পেতেন। স্ট্রোকের রোগীর মতো তার মুখ বেঁকে যায়। তার পায়ে কোনো অনুভূতি ছিল ন। শুধু ফিসফিসিয়ে কথা বলতে পারতেন।’
স্থায়ী জটিলতা ও মৃত্যু
এক মাস না খেয়ে থাকলে বা শরীরের ১৮ শতাংশ ওজন হারালে, মারাত্মক ও স্থায়ী জটিলতা দেখা দিতে পারে। পানি খেতে সমস্যা, দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। বিকল হয়ে পড়তে পারে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
৪৫ দিন পার হয়ে গেলে, হৃদযন্ত্র অচল হয়ে বা মারাত্মক কোনো সংক্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
অনশনের সময় শারীরিক ক্ষতির পাশপাশি মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় আগ্রাসী এবং আবেগী প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা।
জার্নাল অফ মেডিক্যাল এথিকসের মতে, ‘এই প্রভাবগুলো কখনো এমন পর্যায়ে যায় যে অনশনকারীরা না খেয়ে মারা যেতে পারেন।’
১৯৮১ সালের যে অনশনে ববি স্যান্ডস মারা যান, ওই অনশনে অংশ নেয়া আরও ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অনশনে একসঙ্গে এত বেশি মৃত্যুর নজির নেই।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে অনশনের সময় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এক পাটকলশ্রমিক। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। পাটকলশ্রমিক মজুরি কমিশন, বকেয়া মজুরিসহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলশ্রমিকদের আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছিলেন সাত্তার।
ইরানের রাজনৈতিক বন্দি ভাহিদ সায়েদি নাসিরি প্রায় ছয় মাস অনশনে থাকার পর ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মারা যান।
নেপালের নাগরিক নন্দা প্রসাদ অধিকারী ছেলের খুনের বিচারের দাবিতে অনশন শুরু করেন ২০১৩ সালে। ৩৩৩ দিন অনশনের পর তিনি ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মারা যান।
এর আগে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী ও তামিল টাইগারদের মধ্যে শান্তিচুক্তির দাবিতে ১৯৮৮ সালের ১৮ মার্চ অনশন শুরু করেন শ্রীলঙ্কার গৃহবধূ পুপাথি কানাপাতিপিল্লাই। এর এক মাস পর ১৯ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
দীর্ঘ অনশন শেষে খাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ
অনশন শেষ করার পর অনশনকারীদের খাওয়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ অনশনের সময় দেহের মেটাবলিজম বা বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টেরোলজি রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিস জার্নালে ২০১১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে থাকা মানুষের দেহে ফের ইলেকট্রোলাইট ও পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
আরও পড়ুন:এক্স সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ভিভো। দেশের বাজারে শুক্রবার তারা ভিভো এক্স৮০ ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। সে সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রি-অর্ডার।
ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি দেশের বাজারে আগামী ৫ জুন থেকে পাওয়া যাবে।
এক্স৮০ ফাইভজি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা। উন্নতমানের ফটোগ্রাফি-সিনেমাটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা দিতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে ভি১+চিপ।
মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯০০০ পরিচালিত কুলিং প্রযুক্তিও যুক্ত করেছে ভিভো। বাষ্প চেম্বারের মাধ্যমে ডিভাইসটি ঠান্ডা থাকে। ৪৫০০ এমএএইচের ব্যাটারির সঙ্গে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার প্রযুক্তি। ফলে ৩৫ মিনিটেই শতভাগ চার্জ হবে ফোনটি।
এক্স৮০ ফাইভজি স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে কসমিক ব্ল্যাক ও আরবান ব্লু রঙে। দেশে ফোনটির দাম হবে ৭৬ হাজার ৯৯০ টাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সেমিনার।
গত বৃহস্পতিবার হলের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
হলের প্রভোস্ট ড. লাফিফা জামালের সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল পুলিশ সুপার (ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স) মাহফুজা লিজা।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি ম্যাসেজের মাধ্যমে আপত্তিকর অথবা হুমকির বার্তা পায়, অনলাইনে যদি তাদের ব্যাপারে গুজব ছড়ানো হয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে যদি হুমকিস্বরূপ পোস্ট অথবা মেসেজ ছড়ানো হয় তবে তারা অবশ্যই যেন থানায় জিডি করেন এবং সম্ভব হলে অনলাইনে রিপোর্ট করেন।’
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, টেইক ব্যাক দ্য টেক (টিবিটিটি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সহ-সভাপতি কানিজ ফাতেমা।
শিক্ষা, বিনোদন ও জীবনযাপনে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। যত বেশি অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার হয়, ততই সাইবার ওয়ার্ল্ডের সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। এ জন্য সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
এই আয়োজনে উঠে আসে- ফেক লিঙ্ক এবং সাইবার ক্রাইম থেকে সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, অনলাইন হয়রানি, অপরাধ এবং সমাধান, সাইবার বুলিং, সাইবার অপরাধীদের মনোবিজ্ঞান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষা ব্যবহারের পদ্ধতির মতো বিষয়গুরো।
ইন্টারনেট সুবিধাসহ প্রযুক্তির নানামাত্রিক ব্যবহার যতোই সহজলভ্য হচ্ছে ততোই সাইবার জগতে নারীদের সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। সাইবার জগতের ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়।
বাংলাদেশে সাধারণত ১৬ থেকে ২৪ বছরের নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের শিকার হয়। অনলাইনে নারীদের ৭৩ শতাংশ বুলিংয়ের শিকার হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা তাদের এ সমস্যা প্রকাশ করে না; বরং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে সেমিনারে তুলে ধরা হয়।
প্যানেল ডিসকাশনটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক।
ভেন্যু সহযোগিতায় ছিল শামসুন নাহার হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্লাউড-নেটিভ সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম সোফোস সম্প্রতি তাদের ‘স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার ২০২২’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
রিয়েল-ওয়ার্ল্ড র্যানসমওয়্যার অভিজ্ঞতার বার্ষিক পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রিপোর্টে দাবি করা হয়, জরিপে অংশ নেয়া ৬৬ শতাংশ সংস্থা ২০২১ সালে র্যানসমওয়্যারের শিকার হয়েছিল।
এশিয়া-প্যাসিফিক, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা এবং আফ্রিকা জুড়ে প্রায় ৩১টি দেশের ৫ হাজার ৬০০টি সংস্থার জরিপ করার পর সোফোস প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। সমীক্ষা চলাকালীন ৯৬৫টি কোম্পানি তাদের র্যানসমওয়্যার পেমেন্টের বিবরণ শেয়ার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, র্যানসমওয়্যার আক্রমণে ডেটা এনক্রিপ্ট করা সংস্থাগুলো তাদের ডেটা ফেরত পেতে মোটামুটিভাবে ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৬০ ডলার বা প্রায় ৭ কোটি টাকা খেসারত দিয়েছে।
আর ৪৬ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ডেটা এনক্রিপ্টেড ছিল এবং ব্যাকআপসহ অন্য ডেটা পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও তারা মুক্তিপণ পরিশোধ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিন দিন মুক্তিপণ দেয়ার মাত্রা বাড়ছে, কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক বৈশ্বিক সংস্থা র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকে তাদের ডেটা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য সাইবার বিমার উপর নির্ভর করে।
ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি র্যানসমওয়্যার আক্রমণগুলো সংস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে, যেহেতু সাধারণত ডেটা পুনরুদ্ধার করতে এবং আক্রমণ পরবর্তী জটিলতাগুলো দূর করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে ৷
সম্ভাব্য র্যানসমওয়্যার এবং সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নিয়মিতভাবে সিকিউরিটি কন্ট্রোল পর্যালোচনা করা, যাতে তারা সংস্থার অন্যান্য সব সিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। অযাচিত যেকোনো তথ্য ফাঁস আটকাতে সব তথ্যের ব্যাকআপ রাখা।
আরও পড়ুন:তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। শুধু তিস্তা নয়, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদও এই দুই দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নদীকেন্দ্রিক সম্পর্ক উন্নয়নে তিন বছর ধরে আয়োজন হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নদী সম্মেলন।
শনিবার ভারতের গুয়াহাটিতে শুরু হচ্ছে দুদিনের এই সম্মেলন। এতে যোগ দিতে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব, নেতা, অন্য বিশিষ্টরা ইতোমধ্যে গুয়াহাটিতে পৌঁছাতে শুরু করেছেন।
বাংলাদেশের ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ এই অনুষ্ঠানে কান্ট্রি পার্টনার এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার-আইআইটি, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এই সম্মেলনের নলেজ পার্টনার।
শনিবার দুদিনের এই নদী সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বিভিন্ন দেশের কমিশনার, রাষ্ট্রদূত, বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্য দেবেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।
ভারতের এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয় যে এবারের নদী সম্মেলন হচ্ছে গুয়াহাটিতে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নদী অববাহিকার দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকার সংযোগ বৃদ্ধি করে এই অঞ্চলকে সবুজ বাণিজ্যের কেন্দ্র করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’
যাত্রার চার বছরের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্লাউড সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে চীনা প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ক্লাউড। চীন, থাইল্যান্ড ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজারে এখন তাদের অবস্থান যথাক্রমে দুই, তিন ও চারে।
সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের এই সেবা নিতে যুক্তি হচ্ছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারও ডিজিটাল সল্যুশন সংক্রান্ত চাহিদা পূরণে হুয়াওয়ে ক্লাউড ব্যবহার করছে বলে জানায় হুয়াওয়ে।
সরকারের বিসিসি ক্লাউডের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য সমন্বিত বাজেট ও অ্যাকাউন্ট সিস্টেম, ভ্যাকসিন সিস্টেম ও ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্পও শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং বাংলাদেশের বাজারে ক্লাউড সেবার মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করেছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউড ছয়টি কৌশল গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ওয়াই সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ওয়াই০১ উন্মোচন করেছে ভিভো।
ফোনটিতে রয়েছে ৬ দশমিক ৫১ ইঞ্চির হেলিও ফুলভিউ ডিসপ্লে ও শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। ফোনের ওজন ১৭৮ গ্রাম।
ভিভো ওয়াই০১ ফেইস ওয়েক আনলক ফিচারে চেহারা শনাক্ত করে ফোনটি আনলক করা যাবে।
হেলিও পি৩৫ প্রসেসরের সঙ্গে দেয়া হয়েছে ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি স্টোরেজ।
ওয়াই০১ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
এলিগেন্ট ব্ল্যাক ও স্যাফায়ার ব্লু রঙের স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ভিভো বাংলাদেশের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর ডেভিড লি বলেন, ‘ভিভো সবসময় ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করে। সাশ্রয়ী মুল্যে আকর্ষণীয় ফিচারের অল-রাউন্ডার ডিভাইসগুলোর চাহিদা সব সময়ই বেশি। ওয়াই০১ বাজারে আনার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতাদের জন্য সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত করছি।’
আরও পড়ুন:ছবি ও ভিডিওতে আমরা যেভাবে জোর দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই স্মার্টফোনের ক্যামেরার উন্নয়নে জোর দিয়েছে কোম্পানিগুলো। বেশি মেগাপিক্সেলের, নতুন সব ফিচার দিয়ে ফোনে ক্যামেরা দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো।
অনেক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তাদের ফোনের ক্যামেরা এবং তাতে থাকা ফিচার পেশাদার ফটোগ্রাফারদের কাজ করতেও দিচ্ছে। তাই কদর বাড়ছে এমন ফোনের। বাংলাদেশের বাজারে থাকা এমন কিছু স্মার্টফোন দেখে নেয়া যাক।
রেডমি নোট ১১এস
রেডমি নোট ১১এস ডিভাইসটিতে পাওয়া যাবে ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ফটোগ্রাফি, সঙ্গে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ, যা দিয়ে নেয়া যাবে অবিশ্বাস্য সব শট ও ছবি।
১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরার পাশাপাশি এতে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, যা দেবে ১১৮ ডিগ্রি ভিউ অ্যাঙ্গেল, রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর যা দেবে ন্যাচারাল লুক প্রোর্ট্রেইট এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা, যা দেবে ডিটেইলসহ ক্লোজ ছবি নিতে দেবে। আর সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্লিয়ার অ্যান্ড ক্রিপস সেলফি ক্যামেরা।
রেডমি নোট ১১এস রয়েছে দুর্দান্ত ৬.৪৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে, অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর, ফলে রেডমি নোট ১১এস দেবে স্মুথ পারফরম্যান্স।
দীর্ঘ ব্যাকআপ দেবে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি, সঙ্গে ৩৩ ওয়াটের প্রো চার্জিং। যা ডিভাইসটিকে অল্প সময়ে চার্জ করার পাশাপাশি দেবে দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখার সুবিধা। রেডমি নোট ১১এস ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি ৯
ক্যামেরায় জোর দেয়া হয়েছে রিয়েলমির নতুন ফোন রিয়েলমি ৯ ফোরজিতে। ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। সঙ্গে থাকছে আইসোসেল এইচএম সিক্স সেন্সর। ফলে লো-লাইটেও চমৎকার ও ঝকঝকে ছবি তোলা যাবে ফোনটি দিয়ে।
এর প্রাথমিক ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা। সেলফি তোলার জন্য সামনে দেয়া হয়েছে ২৬ ন্যানোমিটারের ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। রয়েছে এইচডিআর ও প্যানারোমা ফিচার।
রিয়েলমি ৯ ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৯০ হার্টজের সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেসহ পাওয়ার অ্যাফিশিয়েন্ট অত্যাধুনিক ৬ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংসহ ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। যা চার্জ হবে ৭৫ মিনিটে।
৮ জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধার এই ফোনটির দাম ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা।
রেডমি নোট ১০ প্রো
শাওমি ক্যামেরা ফোন হিসেবেই বাজারে এনেছে রেডমি নোট ১০ প্রো। ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেল। একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের সুপার-ম্যাক্রো এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর।
সামনে আছে খুব ছোট পাঞ্চহোলের ১৬ মেগাপিক্সেলের ডিসপ্লে ক্যামেরা। ক্যামেরায় করা যাবে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড। এছাড়া এমআইইউআই ক্যামেরা অ্যাপে পাওয়া যাবে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটরস, নাইট মোড ফিচার ২.০, ভ্লগ মোড, ডুয়াল ভিডিও, প্রো ভিডিও, ম্যাজিক ক্লোন, লং এক্সপোজার মোড।
রেডমি নোট ১০ প্রোতে রয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২জি প্রসেসর। রয়েছে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার সেটআপ, যা উচ্চ, স্পষ্ট সাউন্ড দেবে; রয়েছে ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক, সঙ্গে আইআর ব্লাস্টার।
নিরাপত্তার জন্য সাইডে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সঙ্গে ডাবল-ট্যাপ জেসচার। ৫০২০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোনটি অনায়াশে এক দিনের সাপোর্ট দেবে। ৩৩ ওয়াটের চার্জারে ০ থেকে ৫৯ শতাংশ চার্জ হবে ৩০ মিনিটে। ৬+১২৮জিবি সংস্করণের ফোনটির দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৭৩ ফাইভজি
স্যামসাং তাদের ফাইভজি স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে বাজারে ছেড়েছে গ্যালাক্সি এ৭৩ মডেলের স্মার্টফোনটি। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস ইনফিনিটি-ও সুপার অ্যামোলেড প্লাস ডিসপ্লে। যা দেবে ৮৮০০ নিট ব্রাইটনেস এবং ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট। ডিসপ্লে সুরক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে গরিলা গ্লাস ৫ সুরক্ষা।
স্মার্টফোনটিতে অক্টা-কোর কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি প্রসেসর দেয়া হয়েছে। কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স।
১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের ডেফথ এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর। সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংসহ ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৫০০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রমের গ্যালাক্সি এ৭৩ ফাইভজির দাম ৫৯ হাজার ৪৯৯ টাকা।
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ফোনটি রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডটড্রপ ডিসপ্লে। ফোনের স্ক্রিনের সুরক্ষা দিতে রয়েছে গরিলা গ্লাস ৫।
হাইপারচার্জ ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রো-গ্রেড ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, যা স্বল্প আলোতেও অসাধারণ সব ছবি উপহার দেবে। এর প্রাথমিক ১০৮ মেগাপিক্সেলে ক্যামেরার সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্র-ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা।
এ ছাড়া সব অসাধারণ মুহূর্ত ধরে রাখতে সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় রেকর্ড করা যাবে ফোর-কে, ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ভিডিও।
ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির ৯২০ প্রসেসর। ফাইভজি এক্সপেরিযেন্স দিতে এতে দেয়া হয়েছে ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি, যাতে সাপোর্ট করে ৮টি ব্যান্ড। শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজির ডুয়েল সেমেট্রিক্যাল স্পিকারের সঙ্গে ডলবি অ্যাটমসে দেবে অসাধারণ অডিও অভিজ্ঞতা।
১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ৩৬০ হার্জ টাচ স্যামপ্লিং রেট দেবে অসাধারণ ডিসপ্লে ও দেখার অভিজ্ঞতা। ফোনটির দাম ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৪২ হাজার ৯৯৯ টাকা ।
মটোরোলা এজ ২০ ফিউশন
৬.৭ ইঞ্চির ওএলইডি ডিসপ্লের ফোনটিতে রয়েছে ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন। ডিসপ্লেটির রেশিও ২০:৯। এর ডিসপ্লেতে দেয়া হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট। ডিভাইসটির অন্যতম ফিচারএফ/১.৯ অ্যাপারচারের ওয়াইড ১০৮ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা।
প্রাথমিক এই ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে একটি এফ/২.২ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেলের ১১৮ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের এফ/২.৪ অ্যাপারচারের ডেফথ ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ,এইচডিআর, প্যানারোমা ফিচার।
ফোর-কে ৩০এফপিএসে এতে ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব। সেলফি তুলতে ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের এফ/২.৩ অ্যাপারচারের ক্যামেরা।
ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেকের এমটি৬৮৫৩ ডাইমেনসিটির ৮০০ ইউ ৭ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির অক্টা-কোর প্রসেসর।
৬ ও ৮ জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। দীর্ঘস্থায়ী পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য দেয়া হয়েছে ৫০০০ এমএএইচের ৩০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারি। এই ডিভাইসটির দাম ৩৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য