× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
PBI is successful why others in the police failed?
google_news print-icon

পিবিআই সফল হলো, পুলিশের অন্যরা কেন ব্যর্থ?

পিবিআই-সফল-হলো-পুলিশের-অন্যরা-কেন-ব্যর্থ?
ঈগল পরিবহনে টিকেট কেটে শম্পা বেগমের মৃতদেহভর্তি ট্রাঙ্কটি তারই কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপন তুলে দেন বাসের লকারে। ছবি: নিউজবাংলা
এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহের পরিচয় উদঘাটনে নেমে পিবিআই যেখানে সফল হয়েছে, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ছিল?

গাবতলীতে বাসে এক পরিত্যক্ত ট্রাংকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ। তার পরিচয় বের করাই তদন্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চার বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও থানা পুলিশ ও সিআইডি বের করতে পারেনি তরুণীর পরিচয়।

পুলিশের আরেকটি বিভাগ পিবিআই দায়িত্ব পেয়ে অল্প কিছু দিনের মধ্যে শুধু তরুণীর পরিচয়ই উদঘাটন করেনি, হত্যাকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে।

প্রশ্ন হলো, এটি কি পুলিশের সাফল্যের নাকি ব্যর্থতার কাহিনি? পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) যেখানে সফল হলো, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে কি গাফিলতি ছিল?

সিআইডি বলছে, অজ্ঞাত তরুণীর ট্রাঙ্কবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের পরিচয় উদঘাটনে যে যে স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া অনুসরণীয়, তার সবকটি ধাপই তারা অনুসরণ করেছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সফল হয়েছে পিবিআই।

থানা পুলিশ বলছে, তারাও চেষ্টা করেছে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা ও অন্যান্য কিছু কারণে তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরিচয় না পাওয়ায় আসামিকেও বের করা সম্ভব হয়নি।

ছয় বছর আগে যা ঘটেছিল

২০১৫ সালের ৩ মে বিকেলে ঈগল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারে একটি ট্রাংক থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে দারুসসালাম থানা পুলিশ। বাসটি এসেছে চট্টগ্রাম থেকে। ট্রাংকটিও সেখান থেকে আসা।

ট্রাংকটি ওইদিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের এ কে খান মোড়ে এক ব্যক্তি তুলে দিয়েছিলেন ওই বাসে। ওই ব্যক্তি একটি টিকিট কেটে বলেছিলেন, পরবর্তী স্টপজে এক নারী যাত্রী উঠবেন। ওই নারী যাত্রী এই ট্রাংকসহ ঢাকা যাবেন। কিন্তু পরের স্টপেজে কোনো যাত্রী ওঠেনি। মালিকবিহীন অবস্থায় ট্রাংকটি এসে পৌঁছায় গাবতলীতে।

ট্রাংকটি অনেক ভারি হওয়ায় সন্দেহ হয় হেলপার ও অন্যদের। তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে তরুণীর মরদেহ পায়। তাৎক্ষণিক ওই মরদেহের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তা সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে সেচ্চাসেবী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে।

দারুসসালাম থানার এসআই জাহানুর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা থানা পুলিশই তদন্ত করে। তদন্তে করতে গিয়ে তারা কী কী করেছিল, কোন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, তা এখনকার দারুস সালাম থানা জানাতে পারেনি।

তারা বলছে, অনেক আগের ঘটনা। তখনকার দায়িত্বশীলরা এখন অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এ কারণে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না।

এ মামলার তিন মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি ঢাকা মেট্রোর পশ্চিম বিভাগ। তারা চার বছর ধরে তদন্ত করে।

সিআইডি অপরাধ তদন্তে পুলিশ বাহিনীর সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বিভাগ। তারা অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে ফরেনসিক টিমের সহায়তায় ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। সে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।

একই সঙ্গে চট্টগ্রামের যে এলাকা থেকে ট্রাংকটি বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়, সেই এলাকার বিভিন্ন থানায় ওই সময়ে দায়ের হওয়া নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরিগুলোর খোঁজ করেছে সিআইডি। সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। নিহত তরুণীর ছবি ওই এলাকার বাসিন্দাদের দেখানো হয়। কেউ ছবি দেখে তরুণীকে চিনতে পারেনি।

তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডির নিজস্ব সাময়িকীতে ছবিসহ পোস্টার প্রকাশ করা হয়। ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতি দুটোই প্রয়োগ করে তরুণীর পরিচয় এবং তার হত্যাকারীকে বের করার চেষ্টা করা হয় বলে সিআইডির পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে জানানো হয়। দীর্ঘ সময়েও কোনো অগ্রগতি করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তারা।

সিআইডি পারেনি, পিবিআই পেরেছে – এমনটা মানতে নারাজ সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেটা অন্য সংস্থা পারেনি, কিন্তু সিআইডি উদঘাটন করেছে। পরিচয় শনাক্তে আমরা ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতিতেই চেষ্টা করেছি, সিআইডি সেটা করে থাকে।’

যেভাবে সফল হলো পিবিআই

আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটি তদন্তভার পায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এটির শীর্ষ কর্মকর্তা ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় মামলাটি তদারকি করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। আর মামলাটি তদন্ত করেন পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান।

চার বছরের বেশি সময় আগের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তিনি কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন, তা নিয়ে রোববার কথা হয় বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত এবং জড়িত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে তাদের নানা কৌশল অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন।

সিআইডি যে পথে হেঁটে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে, সেই একই পথে পিবিআইও হেঁটেছে। তবে ‘সময় ও ধৈর্য্য’ নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে অনুসন্ধান চালানোয় সফলতা এসেছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

নিখোঁজ জিডিতেই আটকে ছিল জট

ঢাকায় অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয় ২০১৫ সালের ৩ মে। সাধারণত কাউকে খুঁজে পাওয়া না গেলে যে এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, সেই এলাকার থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। আর এই নিখোঁজ ডায়েরিটা নিখোঁজ হওয়ার পর কাছাকাছি সময়েই হয়ে থাকে। কিন্তু এই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে ১০ জুলাই পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়।

এই দীর্ঘসূত্রতার কারণেই বাধে বিপত্তি। থানা পুলিশ ও সিআইডি নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি খুঁজেছে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার পরবর্তী এক মাসের বেশি সময়ের ব্যাপ্তিতে। তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।

কিন্তু পিবিআই এক মাসের ব্যাপ্তিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা আরও বড় সময়ের ব্যাপ্তির সব নিখোঁজ জিডি সংগ্রহ করেছে। বিচক্ষণতার সঙ্গে সময় নিয়ে জিডিগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে গিয়ে ৭ দিন সেখানে অবস্থান করে আশপাশের ১৪টি থানার জিডি সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ শুরু করি। বাকি থানাগুলো জিডি পরবর্তী সময়ে সংগ্রহের টার্গেট ছিল। ১৪ থানার জিডিগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিখোঁজের ডায়েরি পাওয়া যায়।’

আশরাফুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ওই সময়ে যেগুলো মিসিং ডায়েরি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে প্রথম দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, যাদের নিখোঁজের বিষয়ে ডায়েরি হয়েছিল, তাদের পাওয়া গেছে। তৃতীয় জিডিটির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি, তরুণীটি এখনও নিখোঁজই রয়েছে। গাবতলীতে ‍উদ্ধার হওয়া তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ তরুণীর বর্ণনা মিলে যায়।

‘তখনই আমরা জানতে পারি, উদ্ধার হওয়ার তরুণীর নাম শম্পা বেগম। এবং পরবর্তীতে তাকে হত্যায় জড়িত কে বা কারা তা তদন্ত করে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করি।’

মামলাটির তদারকি কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শম্পা নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের একদিন পর। শম্পার পরিবারকে আসামী স্বপন জানান যে, শম্পা খুলনা যাওয়ার জন্য বাসে রওনা হয়েছে। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও শম্পা আর পৌঁছায়নি। খুলনায় না যাওয়ায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। আত্মীয়-স্বজন ও নানান জায়গায় খোঁজার পর শম্পার ভগ্নিপতি চট্টগ্রামে এসে পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাধারণত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের কয়েক দিনের মধ্যে হওয়া জিডিগুলো খুঁজে দেখা হয়। আমরা কাছাকাছি সময়ের জিডিগুলো বের করার পাশাপাশি এক মাসের বেশি সময় পর কোনো মিসিং জিডি হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখেছি। আমরা বিস্তৃত সময় ধরে হওয়া জিডিগুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে সফল হয়েছি।’

শম্পার পরিচয় শনাক্তের পর আসামি গ্রেপ্তারেও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান পিবিআই-এর এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আসামি স্বপনকে শম্পার পরিবার মেয়ের স্বামী হিসেবে জানত। শম্পা তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন, স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু মূলত তারা বিয়ে করেননি। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে স্বপনের ঠিকানা চাইলে শম্পার পরিবার তা যথাযথভাবে দিতে পারেনি। কারণ তাদের কাছে তা ছিল না। আমরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আসামির স্থায়ী ঠিকানা পাই। কিন্তু ওই ঠিকানায় আসামি স্বপন থাকতেন না। থাকতেন কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায়। সেখান থেকে তাকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই আমরা। স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।’

কেন শম্পাকে হত্যা

স্বপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শম্পাকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর গ্রিনভিউ এলাকার একটি বাসায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ২ মে গভীর রাতে তাকে হত্যা করেন স্বপন।

২০১৩ সালে খুলনা নৌঘাঁটিতে ল্যান্স করপোরাল (মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন স্বপন। শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। শম্পার মা চিকিৎসা করাতে গেলে স্বপনের সঙ্গে শম্পার পরিচয় হয়।

পিবিআই জানায়, এই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক সময় স্বপনে বিয়ের জন্য চাপ দেন শম্পা। স্বপন আগে থেকে বিবাহিত ছিলেন এবং তার সংসারে এক সন্তান ছিল, যা তিনি শম্পার কাছে গোপন করেন। বিয়ের চাপ দেয়ায় স্বপন খুলনা থেকে বদলি হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসেন।

এরপর শম্পাও চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে এক ফুফুর বাসায় কিছু দিন থাকেন শম্পা। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করেন তিনি। পরবর্তীতে পাহাড়তলীর উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে এক সঙ্গে থাকা শুরু করেন দুজন। তখন শম্পা তার পরিবারকে জানান স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন, যদিও তারা বিয়ে করেননি।

এভাবে তারা ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ২ মে পর্যন্ত একত্রে বসবাস করছিলেন। এক সময় শম্পা বিয়ের জন্য রেজাউল করিম স্বপনকে চাপ দেন। এ নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়।

এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বপন। মরদেহ গোপন করার জন্য শম্পার মরদেহ একটি ট্রাংকে ঢুকিয়ে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেন তিনি এবং কৌশলে শম্পার বাবাকে জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে শম্পা তার বাবার বাড়িতে না পৌঁছলে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১০ জুন পাহাড়তলী থানায় জিডি করা করেন।

এদিকে জিডি করার পাশাপাশি নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চেয়ে স্বপনের কর্মস্থল চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর অফিস এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় অভিযোগ করেন শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফা অভিযোগ করেও মেয়ের সন্ধান পাইনি। তবে দ্বিতীয়বার অভিযোগের পর স্বপনের পদের অবনতি করা হয়। কিন্তু আমার মেয়েকে আর পাইনি। ২০১৯ সালে স্বপনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তবে আমার মেয়ের সন্ধান দিতে পারেনি কেউ। পিবিআই ২২ সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে গেলে আমার মেয়ের বিষয়ে প্রথম কোনো খবর পাই।’

আরও পড়ুন:
‘ঘুষ গ্রহণ’: সেই পিবিআই কর্মকর্তাকে বদলি, তদন্তে কমিটি
পিবিআই কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার প্রমাণ ফোনালাপে
ছয় বছর পর বের হলো হত্যা রহস্য
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এসআই কারাগারে
হত্যার তদন্তে ব্যর্থ পুলিশ, ‘সফল’ পিবিআই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The wounded and martyred family began to provide financial assistance to the martyr family

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

বৈঠকে তিনটি শহীদ পরিবার ও তিনজন যোদ্ধা বক্তব্য দেন। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্তি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের ইতিহাসের স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। এই স্বীকৃতিটা জাতির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা।’

শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।’

সব হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে।

‘আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামব না। আমরা যারা অপরাধী, তাদের পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব। যারা অপরাধী নয়, পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো নয়, তাদের মানুষ করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাব। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’

ওই সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আহ্বান জানান, দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে।

বৈঠকে আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন এবং আহতগণ ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

প্রতিটি শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাইয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

জুলাই যোদ্ধারা দুটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন।

গুরুতর আহতদের ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী এককালীন ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন ও মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।

‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন।

জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তারা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এখন পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন:
শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি শহিদ পরিবারের স্বজনদের
জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত চায় সরকার
জুলাই ঘোষণাপত্র: অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Operation will continue until the Devil is over Home Advisor

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।

পরে শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Justice Abdur Rauf left

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ। ছবি: ইউএনবি
সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রবিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।

সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

আবদুর রউফ ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।

এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে আজ বাদ আছর মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাই স্কুল মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি
দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু
গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Vandalism TIB urges the government to take effective role

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির টিআইবির লোগো। ফাইল ছবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনের ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের ‘বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।

সংস্থাটি শনিবার এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।

‘তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে।

‘তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন:
বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, আগুন নিয়ে সরকারের বিবৃতি
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Conspiracy with the chief adviser Press Secretary

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
শফিকুল আলম বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benazirs statement is deep conspiracy and sedition BPA

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করেছেন মন্তব্য করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সকল সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

‘পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য একমত পোষণ করে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের গোচরীভূত হয়।

‘ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।’

বিপিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।

‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ জাতীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
সদরদপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ
পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক
পুলিশ সদস্যকে গুলি করে পানিতে ফেলে দিল সন্ত্রাসীরা
সারদায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআইয়ের পদায়ন প্রশ্নে রুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Steps in the ban on Awami League ban Advisor Asif

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, ‌‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’

বার্তা সংস্থা বাসসকে শুক্রবার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

আরও পড়ুন:
পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চাইলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলবে ডিসিসির নগর ভবনে
আমাদেরকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকে ছাড় নয়

মন্তব্য

p
উপরে