× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
সালমান রহমানের মন্তব্যে মর্মাহত বুয়েট
google_news print-icon

সালমান রহমানের মন্তব্যে মর্মাহত বুয়েট

সালমান-রহমানের-মন্তব্যে-মর্মাহত-বুয়েট
সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে সিইটিপি নকশার কাজ বুয়েট ঠিকভাবে করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহিত
প্রকল্পে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন জানিয়েছেন, ‘সালমান এফ রহমান একজন সিনিয়র লোক। বুঝে-না বুঝে কথা বলেন। সঠিকভাবে শতভাগ দায়িত্ব পালনের পরও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্যে আমি খুবই মর্মাহত।’  

সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরী প্রকল্পে ভুল কনসালটেন্সির কারণে দেশ সাংঘাতিক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

প্রকল্পে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন জানিয়েছেন, ‘সালমান এফ রহমান একজন সিনিয়র লোক। বুঝে-না বুঝে কথা বলেন। সঠিকভাবে শতভাগ দায়িত্ব পালনের পরও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্যে আমি খুবই মর্মাহত।’

তিনি দাবি করেন, ‘সরকারি কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সম্পৃক্ত হলে দায়িত্বের ভার অনুযায়ী কাজ করে। চামড়া শিল্প নগরীতে বুয়েটের দায়িত্ব ছিল কারিগরি পরামর্শ ও কাজে মান বজায় রাখার বিষয়ে তদারকি সহায়তা দিয়ে যাওয়া। পরামর্শক হিসেবে বুয়েট সঠিক কাজটি করেছে বলেই শত বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে দেশ আজ বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কমপ্লিট রূপ দেখতে পাচ্ছে।’

‘কিন্তু তিনি (সালমান এফ রহমান) শুধু আমাকেই খাটো করেননি, দেশের প্রকৌশল জগতে সবচেয়ে মর্যাদার প্রতিষ্ঠান স্বনামধন্য বুয়েটকেও কলুষিত করেছেন। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, এটা অনৈতিক ও অন্যায়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার সাভার চামড়া শিল্প নগরী কমপ্লায়েন্ট না হওয়ার পেছনে বুয়েটকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শিল্পটিকে কমপ্লায়েন্ট না করতে পারার অন্যতম কারণ হলো যে চাইনিজ ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা সঠিকভাবে কাজটি করেনি। আরেকটা কথা আমি বলতে চাই। এই সাভার সিইটিপির হোল থিংক, একটা তো ছিল কন্ট্রাক্ট বা কন্ট্রাক্টর। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, কন্ট্রাক্টরের চেয়ে বড় দোষ হলো কনসালটেন্টের। এখানে কনসালটেন্টটা ছিল আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার যখনই কিছু করতে চায় তখন বুয়েটকে বলা হয়। তারা একটা সুপারিশ দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করি। এটাই হলো গর্ভমেন্টের মাইন্ডসেট।’

‘কিন্তু এই সিইটিপি কেইসে আমি কিন্তু মনে করি বুয়েট আমাদেরকে কিন্তু সাংঘাতিকভাবে লেটডাউন-ই করে নাই, দেশের সাংঘাতিকরকম ক্ষতি করেছে। আই হ্যাভ অ্যাট ট্রিমেন্ডাস নাম্বার অফ মিটিং দ্যাট—বুয়েটের যে কনসালটেন্ট আছেন, উনি সব সময় আমাদেরকে এনশিউর করতেছে আগামী ১৫-২০ দিনে এটা ঠিক হয়ে যাবে। লাস্টে যখন এটা হলো না তখন উনি ব্লেম করতে শুরু করলেন, যারা এটা ব্যবহার করেন তারা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না। ওনাদের বুয়েটের নিজের ডিজাইনে যে ফল্ট আছে, কন্ট্রাক্টরদেরকে কন্ট্রোল করার যে ফল্ট আছে—ওইগুলো নিয়ে কিন্তু ওনারা কোনো দিন এটা স্বীকার করতে রাজি হন নাই।’

উপদেষ্টার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্পের বুয়েট কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন এর কাছে মতামত জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

এর জবাবে অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমার ভুল থাকলে আমাকেই বলতে পারতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ধরে কথা বলা উচিত হয়নি। আমাকেও এভাবে বলতে পারেন না। সালমান এফ রহমান যা করেছেন তা ভালো হয়নি, এটা মানহানিকর। মানহানির মামলা করলেই ভালো হতো। যদিও সেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।’

ওই অনুষ্ঠানে শিল্পনগরীর বেহাল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপদেষ্টা আরও জানান, ‘যেহেতু একটা ইনভেস্টমেন্টটা হয়ে গেছে। এটাকে এখন বাদ দিয়ে ভেঙে দিয়ে আবার নতুন করে করাটা ইজ নট পসিবল। এটা নট প্র্যাকটিক্যাল। কিন্তু যেটা করা যায়, যা ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে, এটার ম্যানেজমেন্ট এবং এটাকে আমরা বিএমআরইই যদি আমরা করতে পারি, এটাকে যদি আমরা একটা প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল কাউকে দিয়ে পিপিপি ভিত্তিতে দিয়ে ঠিক আছে তুমি এটা টেকওভার করো, এটাকে ঠিক করার জন্য যা টাকা-পয়সা লাগবে তুমি এটাতে ইনভেস্ট করো আর তুমি এটা ওভার অফ পিরিয়ড টাইম চার্জ করে তা রিকোভার করে। এটা একটা হতে পারে।’

‘আরেকটা মডেল হতে পারে, ঠিক আছে তুমি আমাদেরকে এটা বলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এলডব্লিউজি স্ট্যান্ডার্ডে, এলডব্লিউজি কমপ্লায়েন্সে এলডব্লিউজি সার্টিফিকেশনে -যা যা করার জন্য আর কত টাকা লাগবে কত ইনভেস্টমেন্ট লাগবে সেটা তোমরা আমাদেরকে জানাও, এবং এটা ভবিষ্যতে কীভাবে ম্যানেজ করা যাবে সেটা তোমরা আমাদেরকে বলো।’

বর্তমান স্ট্যাকচার যা রয়েছে তার সক্ষমতা কতটা এ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা হলে তো হলই। না হলে যতোটা ট্যানারির জন্য এর ক্যাপাসিটি আছে, তা দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। বাকিগুলোর জন্য পৃথক আরেকটি শিল্পনগরীর বিষয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের।’

এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন জানান, ‘আসলে ট্যানারির লোকেরা চায় না একটা আন্তর্জাতিকমানের কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী হোক। তারা উপদেষ্টাকে কী বুঝিয়েছেন, তিনি কী বুঝেছেন সেটি তিনিই ভাল বলতে পারবেন। আমি মনে করি, আরও শিল্প নগরী তৈরি করা হলেও সেখানেও একই সমস্যা থাকবে। যদি না আমরা সিইটিপি ব্যবহারবিধি যথাযথ অনুসরণ না করি। সময় সময়ে এর ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পরিবর্তন না করি। একইভাবে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সক্ষম কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করতে না পারি। তার চেয়ে বড় কথা হলো এ সবের সার্বিক কর্মকাণ্ড যদি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে কোনো উদ্দেশ্যই সফল হবে না। সেখানে আরেকটি প্রকল্প হতে পারে। সেখানে সরকারের আবারও টাকা খরচ হবে। কিছু লোকের পকেট ভরবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না।’

প্রশ্ন রেখে প্রকল্পে বুয়েটের পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন দাবি করেন, ‘আমাকে ২১ মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আমি যদি ব্যর্থই হতাম, তাহলে আমাকে এক্সটেনশন করে বছরের পর বছর রাখা হলো কেন? শতভাগ প্রফেশনালিজম থেকে দায়িত্ব পালন করেছি।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চামড়া শিল্প নগরী নিয়ে যা হয়েছে, বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় যা করেছে এবং চানিজ কোম্পানি যেভাবে অসহযোগিতা করেছে, ওই পরিস্থিতিতে বুয়েট পরামর্শক হিসেবে ছিল বলেই দেশ আজ একটি কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী পেয়েছে। নতুবা কী হতো আল্লাহই ভাল জানেন।’

তাহলে পরামর্শক হিসেবে আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘প্রকল্পটির টেন্ডার আহ্বান করেছে বিসিক। এর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও ছিল তারাই। সেখানে সিইটিপি নির্মাণ কাজের সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পায় বুয়েট। যেখানে সিইটিপিকে আরও সুযোপযোগী করতে সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্লুয়েজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও যুক্ত হয়।’

‘কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম অসহযোগিতা সত্বেও শতভাগ চেষ্টা করেছি প্রকল্পটিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার। সুপারভিশনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছি বলেই দায়িত্বে থাকা চাইনিজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নানা অনিয়মের কারণে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করতে পেরেছি। এভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলতি বছর ৩০ জুন অর্পিত দায়িত্বও শেষ হওয়ার আগেই চামড়া শিল্প নগরীর একটি পরিপূর্ণ কাঠামো রূপ পায়। যার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে।’

বুয়েটের এই পরামর্শক জানান, ‘এখানে সিইটিপি কমপ্লিট। ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ফাংশনাল প্রবলেম থাকতেই পারে। সব যন্ত্রপাতিরই সক্ষমতার একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এরপর তা পরিবর্তন করতে হয়। তারপর আবার কাজ করে। আবার ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নতুবা প্রবলেম থাকবেই।’

তবে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচল থাকলেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সমস্যা এখনও আছে। এই বর্জ্য অপসারণে শিল্পনগরীর ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে কঠিন বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করে আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ড ফিল গ্রাউন্ডে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন ওই বর্জ্যে রাসায়নিক থাকার কারণে তা নিতে রাজি হয়নি। পরে পরিবেশসম্মতভাবে এই সলিড ওয়েষ্ট বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা (এসপিজিএস) কাজ করতে নিয়োগ দেয়া হয় হেলেন নামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রতিষ্ঠানকে। তারা দায়িত্ব পেয়েও কিছুই করেনি।

এই পরিস্থিতিতে ভিক্টরি জিলেটিন নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের প্রতিদিন ১০০ টন কঠিন বর্জ্য কনজিউ্যম করার কথা। কিন্তু তারা সেটি করছে দৈনিক মাত্র ২০ টন। অথচ বর্তমানে সময়ের ভিন্নতায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এখানে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয় রয়েছে। আর প্রকল্পের অন্যান্য অবকাঠামো ঠিক রাখার বিষয়টি তো রুটিন ওয়ার্ক এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়।

তিনি বলেন, ‘বুয়েট বা আমি তো কোনো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নেই। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটি হচ্ছে বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয়। সেখানে বুয়েটের দোষটা কোথায়? ভুলটাই বা কী করল।’

আরও পড়ুন:
ফের স্থগিত বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

জাতীয়
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

জাতীয়
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

জাতীয়
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

জাতীয়
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

জাতীয়
Ziaur Rahman was an employee of the Mujibnagar government Foreign Minister

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ‘নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগ দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নভোটেল এথেন্স হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের।

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।

এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহ্বান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাথে বৈঠকে জানিয়েছেন যে, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতাদের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Is this April heat unusual?

এপ্রিলের এ গরম কি অস্বাভাবিক

এপ্রিলের এ গরম কি অস্বাভাবিক তীব্র গরমে শরীরকে প্রশান্ত করার চেষ্টা। ফাইল ছবি
গরম বাড়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে; গাছগাছড়া কমে যাচ্ছে। মানুষের এসি (এয়ার কন্ডিশনার), ফ্রিজ ব্যবহার বেশি হয়ে যাচ্ছে।’

দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ মাসে সাধারণত অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে গরম। চলতি বছরের এপ্রিলে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে বিভিন্ন জেলায়, যার ফলে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছেন বিভিন্ন বয়সীরা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, দেশের ছয়টি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র দাবদাহ।

এমন বাস্তবতায় অধিদপ্তরের এক আবহাওয়াবিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ সময়ে এমন গরম অস্বাভাবিক কি না। জবাবে খন্দকার হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাবনরমাল (অস্বাভাবিক) কোন সেন্সে বলবেন? আমাদের দেশে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রারও রেকর্ড আছে কিন্তু। এখন তো গ্রীষ্মকাল। মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রাটা কম হবে।

‘বৃষ্টিপাত যখনই বন্ধ হবে, তাপমাত্রাটা বাড়বে, তবে এখন তাপমাত্রা যেটা স্বাভাবিক কথার কথা, তার চাইতে বেশি আছে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা দুইটাই বেশি আছে স্বাভাবিকের চাইতে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি আছে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় এক থেকে দুই ডিগ্রি বেশি আছে।’

দুপুর দুইটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় অ্যাকুওয়েদার ডটকম নামের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ।

একই সময়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ুগতভাবে কিন্তু এপ্রিল মাসটা আমাদের উষ্ণতম মাস। এ সময়ে দিনের স্থায়িত্বটা বড় (বেশি)। সূর্য মাথার ওপর। তা ছাড়া বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বৃষ্টিপাত যে এলাকাগুলোতে, সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে।

‘আর যে জায়গাগুলোতে বৃষ্টিপাত নাই, সেই জায়গাগুলোতে কিন্তু আপনার তাপমাত্রার ইয়েটা বেশি হচ্ছে। গরমটা বেশি হচ্ছে।’

গরম বাড়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে; গাছগাছড়া কমে যাচ্ছে। মানুষের এসি (এয়ার কন্ডিশনার), ফ্রিজ ব্যবহার বেশি হয়ে যাচ্ছে।’

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্লাইমেট চেঞ্জে (জলবায়ু পরিবর্তন) অবদান রাখছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ তো আছেই।’

আরও পড়ুন:
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও
ঈদের দিনে ‘সহনশীল’ থাকতে পারে আবহাওয়া

মন্তব্য

p
উপরে