গত ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের শুরুর দিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
এতদিন কোনো রকম সহিংসতায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করা এই ধর্মীয় আলেম বলেছেন, সেদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও কিছু ঘটনা ঘটেছে।
এসব সহিংসতায় সামনে এসেছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থানকে ঘিরে দিনভর চালানো তাণ্ডবের বিষয়টি। আর সংগঠনের ১০ জন শীর্ষ স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে আট বছর আগে ও পরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবুনগরীর নামে ফেসবুক পেজে এই ভিডিও দেয়া হয়।
হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী ভিডিও বার্তা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মার্চের শেষে সক্রিয় ছিল হেফাজতে ইসলাম। সফরের কয়েক দিন আগে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি সফর চলাকালে কোনো ধরনের কর্মসূচি না দেয়ার অঙ্গীকার করে। তবে ২৫ মার্চ দুপুরের পর বায়তুল মোকাররমের সমাবেশে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলেন, মোদি বাংলাদেশে এলে তারা সরকার পতনের ক্ষেত্র তৈরি করবেন।
২৬ মার্চ যখন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলছিল, তখন বায়তুল মোকাররম এলাকায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কওমিপন্থিরা।
এই সংঘর্ষ চলাকালে হেফাজতের সদরদপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা লাগোয়া মসজিদ থেকে মিছিল বের করে স্থানীয় ডাকবাংলোতে হামলা করে ছাত্ররা। সেখানে অবস্থানকারী এক পুলিশ কর্মকর্তাকে টেনে বের করে বেদম পেটানো হয়।
এরপর হামলাকারীরা ভাঙচুর চালায় স্থানীয় এসিল্যান্ড অফিসে। সেখান থেকে তারা লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায় হাটহাজারী থানায়। তখন পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় চার জন।
একই দিন বেপরোয়া হামলা চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। সেখানেও মাদ্রাসা ছাত্ররা মিছিল নিয়ে শহরে এসে রেল স্টেশন, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে রাখা বেশ কিছু গাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় আনসার ক্যাম্প। হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। তখন পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় এক জন।
এর প্রতিবাদে ২৮ মার্চের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব ছিল অবিশ্বাস্য। সেদিন জেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয়, ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহ্ন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ভেঙে আগুন দেয়া হয়। শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলায় আগুন দেয়া হয়, হামলা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি ঘরে।
একই দিন ব্যাপক সহিংসতা চলানো হয় নারায়ণগঞ্জে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর, বেশ কিছু গাড়িতে আগুনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও চলে হামলা।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানায় হামলা হয় মসজিদে মাইকিং করে। দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পেটানো হয় প্রকাশ্যে। কিশোরগঞ্জে ভাঙচুর চালানো হয় আওয়ামী লীগ অফিসে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে অবরুদ্ধ মামুনুল হককে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় হেফাজত কর্মীরা। সেখানে রিসোর্টে ভাঙচুর করার পাশাপাশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বাড়িঘরে হয় হামলা। ব্যাপক ভাঙচুর চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগ অফিসেও হয় হামলা।
এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সরকারি দলে। আর ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান। প্রথমে ধরা পড়েন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী আর রোববার ধরা পড়েছেন মামুনুল হক। মাঝে আরও আট জন গ্রেপ্তার হয়ে আছেন রিমান্ডে বা জেলখানায়।
মামুনুল গ্রেপ্তারের পর হেফাজত নেতারা করণীয় ঠিক করতে অনলাইনে বৈঠক করেন। আর পরদিন তিনি সংগঠনের বার্তা নিয়ে সামনে আসেন।
‘আমরা দুঃখিত’
স্বাধীনতা দিবসে তাণ্ডব প্রসঙ্গে বাবুনগরী বলেন, ’২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু অঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে। এর পরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত।
‘আবার বাহ্মণবাড়িয়ায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
কেবল ২৬ মার্চ নয়, তাদের কিছু কিছু বক্তা নানা কথা বললেও মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না বলেও জানান সংগঠনের আমির।
শান্তির আহ্বান
বাবুনগরী বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা, সংঘাতেও যেতে চায় না।
হেফাজত নেতারা যখন গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তখন তাদের সমর্থকদের ফেসবুক পেজগুলোতে ক্রমাগত উসকানিমূলক পোস্ট হতে থাকে। বাবুনগরীকে তারা বারবার আহ্বান জানাতে থাকেন কঠোর কর্মসূচি দেয়ার।
তবে এর বিপরীত অবস্থানে গিয়ে বাবুনগরী তাদের সমর্থকদের বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন, কোনও সংঘাতে যাবেন না। কোনও জ্বালাও পোড়াও করবেন না। হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুর আর জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে।’
দুনিয়ার জীবন আসল জীবন নয় উল্লেখ করে হেফাজত আমির বলেন, ‘আসল হায়াত শুরু হবে মৃত্যুর পর থেকে। কবরের হায়াত, হাশরের হায়াত, আখেরাতের হায়াত, বেহেস্তের হায়াত। নিরাশ হবেন না। হতাশ হবেন না। হিম্মত, সাহস রাখুন, বালা মুসিবত বিপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করুন। খবরদার কোনও ভাঙচুর করবেন না। জ্বালাও পোড়াও করবেন না। সংঘাতে যাবেন না।’
সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তারকে আল্লাহর পরীক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো হযরত আদম (আ.) এর যুগ থেকে চলে আসতেছে। যাদের ইমান আকিদা বেশি মজবুত, তাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাও শক্ত হয়। বিপদও শক্ত আছে। নবীগণের দ্বীন ও ইমান সবচেয়ে বেশি শক্ত ছিল, তাই নবীরা বেশি বিপদের শিকার হয়েছেন। এরপর সাহাবায়ে কেরাম, তাদের দ্বীন ও ইমান শক্ত ছিল বিধায় তারাও নবীদের পরে বেশি বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। এভাবে সিলসিলা চলতে থাকবে। আমাদের মধ্যেও যাদের দ্বীন-ইমান বেশি মজবুত, যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন, তার ওপর বিপদ আসে। তারা পরীক্ষার সম্মুখীন হন।’
‘রাজনীতি হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়’
সংগঠনের নেতারা প্রায়ই বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের কথা না শুনলে সরকার ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসলেও বাবুনগরী দাবি করেন, তাদের সংগঠন পুরোপুরি অরাজনৈতিক। বলেন, ‘কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।’
নেতাদের মুক্তি দাবি
ভিডিও বার্তায় সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে আনা সহিংসতা সম্পৃক্ততার অভিযোগও অস্বীকার করেন বাবুনগরী।
বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রশাসন বেধড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানি আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকড় ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
‘তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে তাদের নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
হেফাজতের যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি নেতা ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায় আসামি।
ওই ঘটনায় ৫৩টি মামলা হলেও ৪৭টি মামলার কোনো অগ্রগতি ছিল না।
বাবুনগরী বলেন, ৮/৯ বছর পর এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? আর এই ২০১৩ সালের মামলা হিসেবে যেগুলো সাজানো হয়েছে এগুলো ডাহা মিথ্যা। ২০১৩ সালের ডাহা মিথ্যা মামলায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকেও মুক্তি দিন। এটাও আমাদের দাবি।’
ভিডিও বার্তা বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজত হলো অরাজনৈতিক বড় একটি দল। বিগত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা হেফাজত ২০২১ সালে ১১ বছরে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না- কোনো পার্টির সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল।’
ভিডিওবার্তায় হেফাজত আমির আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলায় যেতে চায় না। হেফাজত কোনো সংঘাতেও যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়।’
হেফাজত আমির ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘কিছু কিছু বক্তা তাদের বক্তব্যে এ ব্যাপারে বললেও কিন্তু মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ মোদির সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ জুমার দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুর আর জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে। আপনারাও ধৈর্য ধারন করুন।’
বাবুনগরী বলেন, ‘২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু অঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে। এরপরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আবার বাহ্মণবাড়িয়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।’
বাবুনগরী কোনো ভাঙচুর ও জ্বালাও পোড়াও না করার জন্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জুনায়েদ বাবুনগরী ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘মাহে রমজানে প্রশাসন বেধড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানি আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকড় ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের মামলায় ৮/৯ বছর পর এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? আর এই ২০১৩ সালের মামলা হিসেবে যেগুলো সাজানো হয়েছে, এগুলো ডাহা মিথ্যা। ২০১৩ সালের ডাহা মিথ্যা মামলায় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকেও মুক্তি দিন। এটাও আমাদের দাবি।’
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বৃহস্পতিবার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”
ভাষণে সব ধরনের যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুধু হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা এর বলি হচ্ছে। অথচ আলোচনায় আসতে পারে শান্তি।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে। এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান দাবদাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।
ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।
ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
বৃহস্পতিবার শপথ
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।
মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।
এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।
মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।
মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য