রাস্তার পাশে সাদা রঙের এক পুরোনো গাড়ি। ধুলার আস্তরণ জমে কাঁচগুলো ধূসর হয়ে আছে। তাতে কাচা হাতে আঙ্গুল ঘুরিয়ে লেখা ‘সাদিয়া+শরীফ’।
গাবতলী থেকে আসা এই রাস্তাটি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ে এসে মিলেছে। অন্য দুটির একটি সোয়ারীঘাট, নয়াবাজার, সদরঘাট আরেকটি কেরানীগঞ্জের দিকে গেছে।
পুরো এলাকায় ধুলায় ধূসর হয়ে আছে। গাছের সবুজ পাতাও আর সবুজ নেই।
তিনরাস্তা জুড়েই দেখা যায়, রাস্তার পাশে বালির স্তুপ, মাটি কেটে সেখানেই রেখে দেয়া হয়েছে।
পূর্বাচল থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত চলছে রাস্তার কাজ। কিছুদিন আগেও এটিকে মানুষ শহরের কাছে ‘মিনি অক্সিজেন’ গ্রাম হিসেবে ডাকতো। ছুটির দিনে ঘুরতে যেত এই ভেবে সেখনাকার বাতাস স্বাস্থ্যকর, প্রাণভরে নেয়া যায়। এখন সে রাস্তায় ধুলার কারণে সামনের রাস্তা ঠিক করে দেখা যায় না।
সেখানে ছুটির দিনে নিয়মিত ঘুরতে যাওয়া একজন স্যাম এনড্রিউ কোস্তা। পেশায় এনজিও কর্মী। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার আমার আর স্ত্রীর ছুটির দিন। একটা দিন দুজন একটু ভালো সময় কাটাতেই বাইক নিয়ে চলে যেতাম পূর্বাচল। শেষ যেবার গেলাম, সেদিনের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। ধুলায় মাখামাখি হয়ে ফিরেছি।’
জুরাইন রেল গেট থেকে একটু সামনে এগোলেই পোস্তগোলা ব্রিজ। বামে নারায়ণগঞ্জ সড়ক, ডানে সদর ঘাটের রাস্তা। নির্মাণ কাজ চলায় এ রাস্তায়ও ধুলার পরিমাণ বেড়েছ।
জুরাইন থেকে বামে পাগলা-ফতুল্লাহর মহাসড়কের অবস্থা আরও খারাপ। বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বালু তুলে রাখা হয় এ সড়কের যে পাশে নদী আছে সেখানে। সারা দেশে বালু যায় এখান থেকে। ২৪ ঘণ্টা ট্রাকের আনাগোনা। ট্রাকের ধোঁয়া আর বাতাসে বালু উড়ে পুরো রাস্তা ধোঁয়াশার মতো হয়ে গেছে।
এতো গেল রাজধানীর প্রবেশদ্বার ও পাশের এলাকার কথা। ভেতরর আবাসিক, বাণিজ্যিক সব এলাকার চিত্রও কম বেশি একই রকম।
আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিবেশ অধিদফতরের ভবনের থেকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে আগারগাঁও এলাকা। চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ। ধুলা যেন না উড়ে, সে জন্য কোনো ব্যবস্থাই নেই। অথচ এ ব্যাপারে নীরব পরিবেশ কর্মকর্তারা।
এমনকি যখন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় তখন অধিদফতর নাগরিকদের সতর্ক পর্যন্ত করে না।
অথচ বায়ু দূষণ কেড়ে নেয় বহু মানুষের প্রাণ। ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে ওই বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
মিরপুরের কাজীপাড়াতে মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি সোয়ারেজের লাইন ঠিক করতে মাটি খুঁড়ে রেখে গেছে কর্মীরা। দুই পাশে বালি ও মাটির স্তুপ নিয়ে ভ্যানে করে ফুচকা ও স্যুপ বিক্রি করছেন দুজন। পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে আর ধুলোবালিতে একাকার করে দিচ্ছে পুরো এলাকা।
এই পরিবেশে খাবার বিক্রি করেন?
ফুচকা বিক্রেতা জিল্লুর মিয়া বলেন, ‘ধুলাবালু তো মজার জিনিস। কোনো অসুবিধা অয় না।’
পাশে আসবাবপত্রের এক দোকানি বলেন, ‘টিভি ক্যামেরায় সাংবাদিকদের এ সব বললে ব্যবসা করতে দিব না। ডরাইয়াই থাকতে হয়। এই ধরেন মাস খানেক ধইরা এসব মাটি ফালায় দিয়া রাখছে। কতবার সময় দিছে যে আইসা ঠিক করব। আহেনাই। দেশ এমনেই চলে। গরিবের ধুলাতে কোনো হয় না।’
খালি চোখেই যেখানে দেখা যায় ধুলার রাজ্য, সেখানে বাতাসের মান খারাপ, সেটা বোঝাই যায় সহজে।
মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটার কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনায় লকডাউনের সময় ঢাকায় বায়ুর মান ভালো ছিল। এখন গণপরিবহনসহ, কলকারখানা, নির্মাণকাজ চালু করে দেয়ায় কিছুটা খারাপ হয়েছে।’
বায়ুতে ক্ষুদ্র বস্তুকণা ও চার ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ পরিমাপ করে তৈরি করা বায়ুমান সূচক বা একিউআই অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান খুবই খারাপ।
গত ৮ নভেম্বর ঢাকার বায়ুমান সূচক ছিল ১৯০। অথচ স্বাস্থ্যকর মান ৫০।
এই ১৯০ আবার সবচেয়ে খারাপ নয়। গত ৫ নভেম্বর এই মান ছিল ৩১৭।
সূচক ৩০০ এর বেশি হয়ে গেলে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি হয় সারা বিশ্বে। অথচ বাংলাদেশে তা হয় না। এর কারণ, বরাদ্দের অভাব
সেদিন এত খারাপ হওয়ার কারণ কী?
বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, ‘বায়ুমান খারাপ হওয়ায় কারণ শুধুমাত্রই ঢাকা নিজে তৈরি করে না। দেশের বাইরে থেকেও আসে। আমাদের দেশে দিল্লি থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়ে আমাদের দিকে আসে। তাই বেশি ছিল। এখন আবার কমে গেছে। আর কয়েকদিনে আরও কমবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২.৫ এর মাত্রা ১০ পর্যন্ত থাকাটা সহনীয়। তবে অধিদফতর বলছে, তারা মান ধরে ৬৫।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ১০ বছরে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
সতর্কতাও জারি হয় না
বায়ুমান সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
কোনো শহরের বায়ু মানের সূচক ২০০ ছাড়ালে ওই শহরের মানুষকে মাস্ক (মুখোশ) পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হয়, সাইকেলে চড়া নিষেধ করা হয়। আর শিশু ও বৃদ্ধদের খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, চীনের বেইজিং শহরে বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পৌঁছে গেলে সেসব দেশের সরকার বিশেষ স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা জারি করে।
তবে ঢাকায় এটা কখনও করা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বরাদ্দ না থাকায় শহরে ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ নিয়ে তাঁদের কোনো কার্যক্রম আপাতত নেই।
হাইকোর্টের আদেশও উপেক্ষা
একটি সংগঠনের আবেদনের পর ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে গত জানুয়ারিতে পরিবেশ অধিদফতরকে নয় দফা নির্দেশনা দেয় উচ্চ আদালত।
এর মধ্যে একটি ছিল, খোলা ট্রাকে করে ট্রাকে বালু বা মাটি পরিবহন বন্ধ করা, নির্মাণ কাজে ঢাকনা ব্যবহার নিশ্চিত করা, নিয়মিত পানি ছিটানো, কালো ধোঁয়া ছাড়লে গাড়ি জব্দ, সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ ও কার্পেটিংয়ের ক্ষেত্রে আইন কানুন মেনে চলা, অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো, ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধ প্রভৃতি।
রিট আবেদনটি করা হয়েছিল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষ থেকে। সংস্থাটির প্রধান মঞ্জুরুল মোরশেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের আদেশের পর তারা সক্রিয় ছিলেন, লকডাউনের সময় পরিবেশ ভালো ছিল। এখন আবার খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের কর্মী মতিন হায়দার বলেন, ‘দাঁতের ডাক্তারের দাঁতেই পোকা থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের হল সেই অবস্থা।’
উন্নত দেশেও নির্মাণ কাজ, যানবাহন চলে, কিন্তু সেসব দেশে দূষণ কম কেন, এই প্রশ্ন তুলে এই পরিবেশ কর্মী বলেন, ‘উন্নত দেশে যেসব শর্তা থাকে আমাদের দেশেও তা থাকে। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করে আমরা শুধুই চিঠি পাঠিয়ে বসে থাকি।’
পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহম্মদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অধিদফতরের আশেপাশেই ধুলাবালিতে নাকাল, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সামনের সপ্তাহে এই নিয়ে একটি মিটিং আছে। তারপরে এটি নিয়ে কথা বলব।’
অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্টের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী জানান, গত এক বছরে ৭০০ এর বেশি ইটভাটা বন্ধ করেছেন তারা। গত কয়েক মাসে কালো ধোঁয়া ছাড়ায় ১৯৫ টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণে নির্দেশনা না মানায় ১৫ টি মামলা করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কমিটিতে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপরেশনের পরিবেশ সার্কেলের প্রধান প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সকল ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে নির্দেশনা দিয়ে।’
রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানো হয় না কেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে উপর থেকে তো আদেশ আসতে হবে। আমাদের মেয়র মহোদয় করোনায় আক্রান্ত হলেন। সব মিলিয়ে একটু সময় লাগছে।’
দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী সানজিদা আক্তার মারা গেছেন।
মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র বৃহস্পতিবার এমন তথ্য নিশ্চিত করে।
তারা বলেন, ‘এইচএমপিভির একটা কেসই আমরা এ বছর পেয়েছি। এ রোগী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান। শুধু এইচএমপিভির কারণে মারা গেছেন, তা মনে হচ্ছে না।
‘এর সঙ্গে আরও একটি অর্গানিজম পেয়েছি। এ ছাড়া তার অনেকগুলো জটিলতা ছিল। শুধু এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে তিনি মারা গেছেন এমনটি বলা যাবে না। এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ব্রিফ করবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) রোববার জানায়, ভাইরাসটিতে একজন নারী আক্রান্ত হন, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতি বছরই দু-চারজন রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন।’
চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং বলেন, শীত মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।’
পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা গেছে। কিন্তু রোগটি যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
২. হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন
৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন
৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুইতে হবে(অন্তত ২০ সেকেন্ড)
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না
৭. আপনি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজনে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানান, বাংলাদেশের এক নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এইচএমপিভি না, নিউমোনিয়ার কারণে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।
চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং জানান, শীত মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।
পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে নিপা ভাইরাস লক্ষ্মণ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে এটি পাওয়া যায়।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা আমরা ২০২৪ সালে পেয়েছি। আক্রান্তদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। চিকিৎসার পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতি বছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে, তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিল।
তাদের শনাক্ত করা হয় ২০২৪ সালে। সে সময় রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই পাঁচজনই প্রথম।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা করার দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সোমবার সরকারের তরফ থেকে জুলাই মাস থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা মানেননি আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে শাহবাগ অবরোধ করার আগে বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর মুভমেন্ট ফর জাস্টিস-এর সভাপতি ডাক্তার জাবির হোসেন। সেই বৈঠকে প্রস্তাব করা হয় আপাতত ৩০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা করার যে সিদ্ধান্ত সেটি মেনে নিতে। জুলাই মাস থেকে তাদের এই ভাতা ৩৫ হাজার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
প্রতিনিধিরা আন্দোলনস্থলে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান।
এরপর বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল। এ সময় সবাই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। চিকিৎসকরা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করলে তারা অবরোধ ছেড়ে দেবেন। যতক্ষণ এটি করা না হবে ততক্ষণ অবরোধ না ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ সিলেটের পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার আশানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই দাবি শুনে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাদের আন্দোলনস্থলে আসছেন। আমরা ওনার জন্য অপেক্ষা করে আছি।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ এক হাজার ১৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে নির্মাণ করা হয় সিলেট জেলা হাসপাতাল। নাগরিক সমাজের আপত্তি উপেক্ষা করে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ দায়িত্বশীলরা অনেকটা জোর করে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন এই হাসপাতাল।
২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখন এটির দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ।
স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্টদের মতামত না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করায় এই হাসপাতাল ভবনের দায়িত্ব নিতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতাল কমপ্লেক্স বুঝিয়ে দেয়ার মতো কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে না গণপূর্ত বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জন অফিসসহ কেউই এর দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে হাসপাতাল চালু করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নির্মাণ কাজের শুরুতে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এটি চালু হলে ওসমানী হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। সিলেট অঞ্চলের রোগীরা এখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ৯৮ একর জায়গার ওপর এই জেলা হাসপাতাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণপূর্ত অধিদপ্তর হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণসহ রংকরণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভবনে হাসপাতালের কোনো যন্ত্রপাতি আনা হয়নি। এর চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীও দেয়া হয়নি।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক মওদুদ আহমদ জানান, তাদের কাজ শেষ। তারা ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে তুলে দিতে প্রস্তুত।
জানা গেছে, হাসপাতাল ভবন নির্মাণ শেষ হলেও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয় নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা পরিচালনা করবে, সেটি এখনও নির্ধারণ হয়নি। হাসপাতাল হস্তান্তরের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ না পাওয়ায় গণপূর্ত বিভাগ এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ১৫ তলা হাসপাতাল ভবনে আটতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রঙের কাজ, ইলেক্ট্রিক, টাইলস, গ্লাস, দরজা, জানালা লাগানোও সম্পন্ন। হাসপাতাল ভবনের বেসমেন্টে রয়েছে কার পার্কিং; প্রথম তলায় টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম; দ্বিতীয় তলায় আউটডোর, রিপোর্ট ডেলিভারি ও কনসালট্যান্ট চেম্বার; তৃতীয় তলায় ডায়াগনস্টিক; চতুর্থ তলায় কার্ডিয়াক ও জেনারেল ওটি, আইসিসিইউ, সিসিইউ; পঞ্চম তলায় গাইনি বিভাগ, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিক্স ও ইএনটি বিভাগ এবং ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় ওয়ার্ড ও কেবিন। এর মধ্যে আইসিইউ বেড ১৯টি, সিসিইউ বেড ৯টি এবং ৪০টি কেবিন রয়েছে।
জেলা গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে দেব। বাই মিসটেক এখানে যেহেতু লোকাল অথরিটি পাওয়া যায়নি। সেহেতু আমরা অথরিটি নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘টেন্ডার সিডিউল, নকশাসহ কাগজপত্র সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়েছে। প্রতি তলায় ছাদ ঢালাইয়ের সময় তারা এসেছিল। এই হাসপাতালের জমি, ভবন, টাকা- সব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; আমরা শুধু কাজ করে দিচ্ছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে হাসপাতালটি পরিচালনা বা তদারকির কথা ছিল। আমরা মন্ত্রণালয়কে সেভাবেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব যখন মন্ত্রণালয়ে যায়, তখন গণপূর্ত বিভাগ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেনি। শুনেছি, হাসপাতালের কাজ শেষ। এখন তারা আমাদের গছাতে চাচ্ছে। অথচ এখানে কী আছে না আছে- সেটি আমাদের জানা নেই। তাই এ অবস্থায় আমরা হাসপাতালের দায়িত্ব নিতে পারি না।
‘কারণ, আমাদের আগের পরিচালক (ডা. হিমাংশু লাল) এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে গেছেন মন্ত্রণালয়ে। তাতে তিনি লিখে যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অগোচরেই সিলেটে অনেক স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। তারা যেন না বুঝে এসব স্থাপনার দায়িত্ব কোনোভাবেই না নেন।’
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘হাসপাতালের স্থাপত্য নকশা, কর্মপরিকল্পনা, সেবা প্রদানের জন্য সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় কক্ষের সুবিন্যাসকরণ ইত্যাদির কাগজপত্র সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালক অথবা ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের কাছে দাখিল করা হয়নি। বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। এটি বাসাবাড়ি নয়; আমাকে দায়িত্ব দিয়ে দিল আর নিয়ে নিলাম। এটি একটি হাসপাতাল। এটি নির্মাণে আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করা হয়নি।’
হাসপাতালটি নির্মাণের আগে কোনো মতামত নেয়া হয়নি জানিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এভাবে হুট করে আমরা কোনো হাসপাতালেল দায়িত্ব নিতে পারি না। এই ভভনের অবকাঠামো হাসপাতালের উপযোগী কী না তাও আমাদের জানা নেই।
‘তাছাড়া ওসমানী হাসপাতালের অধীনে আরও কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। সীমিত জনবল ও যন্ত্রপাতি নিয়ে এগুলো পরিচলানা করতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। নতুন করে কোনো হাসপাতালের দায়িত্ব নেয়া এখন সম্ভব নয়।’
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এমন ঠেলাঠেলি বন্ধ হোক। এখানে কারও স্বার্থ বা কোনো কুচক্রী মহল আছে কিনা, সেটি খুঁজে দেখা দরকার। এ প্রকল্প যখন পাস হয়, তখনই বলে দেয়া হয়েছে কারা পরিচালনা করবে। নির্মাণের পর কেউ দায় নিতে না চাওয়া অন্য অর্থ বহন করে।’
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৬৪ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
মন্তব্য