‘পুষ্টির অন্যতম সহজলভ্য উৎস হলো ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু দুঃখজনক হলো বাংলাদেশের মানুষ অনিরাপদ মনে করে এটি কম খেতে চায়।’
‘পুষ্টির সহজলভ্য উৎস হলেও’ মানুষ ব্রয়লার মুরগিকে অনিরাপদ মনে করে কম খায় বলে আক্ষেপ করেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে মানুষকে সঠিক বার্তা দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কোভিড পরবর্তী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ে সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘পুষ্টির অন্যতম সহজলভ্য উৎস হলো ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু দুঃখজনক হলো বাংলাদেশের মানুষ অনিরাপদ মনে করে এটি কম খেতে চায়।’
‘গবেষণা ও পরীক্ষা করে মানুষকে যদি ব্রয়লার মুরগির মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ এই বার্তা দেয়া যায় এবং এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায় তবে মানুষ কম খরচে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পাবে।’
গত দুই দশকে বাংলাদেশে খামারে উৎপাদন হওয়া ব্রয়লার মুরগি মাংসের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করছে। তবে এই মুরগিকে মানবদেহের জন্য অনিরাপদ খাবার খাওয়ানো হচ্ছে- এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নানা সময় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এ কারণে এ নিয়ে উদ্বেগ আছে।
গত এক দশকে সব ধরনের মাংসের দাম বাড়লেও ব্রয়লারের দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। খামারেই লালন পালন করা লেয়ার জনপ্রিয় হয়েছে এখন। আর এই মুরগির দাম ব্রয়লারের দেড় থেকে কখনও কখনও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
মন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিরাপদ- এই বিষয়টি প্রচার করতে পারলে সীমিত আয়ের মানুষেরা তাদের প্রাণিজ পুষ্টির অনেকটাই পূরণ করতে পারবে।
খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে প্রায় চার কোটি ৫৩ লাখ টন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজ্জাক বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাকে সব সময়ই মনে করা হতো অধরা হরিণের মতো, যা অর্জন করা কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু বিগত ১০ বছরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।‘
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুল আরেফিন।
কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জামানও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য