কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে সংগঠন থেকে বিদায় নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আরমিন মিয়া। তিনি দাবি করছেন, দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।
২২ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশু জগ ভর্তি দুধ ছাত্রলীগ নেতার মাথায় ঢালছে আর তা সারা শরীরে মেখে নিচ্ছেন তিনি। যিনি ভিডিওটি ধারণ করছেন তিনি প্রশ্ন করছেন আরও রাজনীতি করবা? এ সময় হাত নেড়ে না করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়ার ধারণা প্রাচীনকাল থেকে বিদ্যমান। তবে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটে ‘দুগ্ধস্নানের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত’ হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অবশ্য আছে। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন জনপদের মানুষ তাই এ ধরনের গোসলকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রাচীন রোমানরা মুখের ত্বক কোমল রাখতে নিয়মিত দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসল করতেন। কিংবদন্তি আছে, ফারাও ক্লিওপেট্রা দুধ এবং মধু মিশ্রিত গরম পানিতে গোসল করে তার অপরূপ সৌন্দর্য ধরে রেখেছিলেন। চলতি শতাব্দীর শুরুতে আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল বাটারমিল্কে মুখ ধোয়া।
কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়, একজিমা, সোরিয়াসিস এবং শুষ্কতাসহ ত্বকের বেশ কয়েকটি রোগের জন্য দুধ মিশ্রিত পানি উপকারী বলে ধরা হয়। তবে দুধ দিয়ে গোসল সবার জন্য উপকারী নাও হতে পারে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকের অধিকারীরা ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতে। তাই দুধ গোসলের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
শুষ্ক ত্বক
ত্বক শুষ্ক হলে দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসল উপকারী হতে পারে। কারণ দুধে রয়েছে প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড। এসব ত্বকের হারানো আর্দ্রতা পূরণে সহায়ক।
প্রোটিন এবং চর্বি ত্বককে নরম ও প্রশমিত করতে সাহায্য করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃদু এক্সফোলিয়েটর। মৃত ত্বকের কোষ ঝড়িয়ে ফেলতে এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ; এতে ত্বক তুলতুলে হয়।
ত্বকের যত্ন নিয়ে ৬৫ ঊর্ধ্বে নারীদের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসলের পর প্রুরিটাস বা চুলকানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা।
একজিমা
একজিমার কারণে প্রায়ই ফুসকুড়ি, খসখসে ত্বক এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। একজিমা চিকিৎসায় দুধ স্নানের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা সীমিত।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মানুষের বুকের দুধ থেকে তৈরি হাইড্রোকোর্টিসোন মলম একজিমায় আক্রান্ত শিশুর চিকিথসায় বেশ কার্যকর। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
প্রাপ্তবয়স্কের একজিমা চিকিৎসায় দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসলের কার্যকারিতার প্রমাণ নেই। তাই একে ওষুধের বিকল্প হিসেবে মনে করেন না চিকিৎসকেরা।
সোরিয়াসিস
সোরিয়াসিসের উপসর্গ যেমন চুলকানি, ত্বকের শুষ্কতা নিরাময়ে কার্যকর হতে পারে দুধের মিশ্রিত পানিতে গোসল; যদিও এ ব্যাপারে শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
পয়জন আইভি
পয়জন আইভির উপসর্গ, যেমন ত্বকে লালভাব, চুলকানি এবং প্রদাহ প্রশমিত করতে পারে দুধ গোসল।
রোদে পোড়া
দুধে থাকা প্রোটিন, চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ এবং ডি রোদে পোড়া ত্বকের জন্য প্রশান্তিদায়ক হতে পারে। রোদ থেকে ঘুরে আসার পর ২০ মিনিট ধরে দুধ দিয়ে গোসল করুন। আরও ভালো ফলাফলের জন্য অ্যালোভেরা বা অন্য ময়েশ্চারাইজার যোগ করতে পারেন পানিতে।
দুধে গোসল কি সবার জন্য নিরাপদ?
দুধ মিশ্রিত পানিতে গোসল সবার জন্য নিরাপদ নয়। ত্বক সংবেদনশীল হলে, তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলেও দুধ গোসল এড়িয়ে যাওয়া উচিত। গর্ভবতীদের এই গোসল করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এ ছাড়া মাথা ঘোরা বা অসুস্থবোধ করলে অবিলম্বে দুধ গোসলের চিন্তা ছেড়ে দিন। একটি কথা সব সময়েই মাথায় রাখতে হবে, দুধ গোসলের পানি কখনই পান করবেন না, এটি নিরাপদ নয়।
যে ধরনের দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে
বিভিন্ন ধরনের দুধ যেমন : গাভীর দুধ, বাটারমিল্ক, নারিকেলের দুধ, ছাগলের দুধ, পাউডার দুধ, চাল বা সয়া দুধ পানিতে মিশিয়ে গোসল করা যেতে পারে।
এসব দুধের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর তা নিশ্চিত নয়। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের দুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারেন। ত্বকের প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
যেভাবে প্রস্তুত করবেন
কুসুম গরম পানি দিয়ে বাথটাব বা বালতি ভরুন। তারপর ১ বা ২ কাপ দুধ এবং ঐচ্ছিক উপাদানগুলো (তেল, গোসলের লবণ, মধু বা বেকিং সোডা মেশান। ভালো করে পানিতে মিশিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন।
শুষ্ক, চুলকানিযুক্ত ত্বকের অধিকারীরা এই গোসলে প্রশান্তি পেতে পারেন। তবে এটি কখনও স্বাভাবিক ত্বকের ওষুধের বিকল্প হিসেবে নেয়া উচিত নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, দুধ গোসলের আগে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেয়া।
সন্ধ্যায় চা-কফি পান করতে করতে চিন্তা করলেন, আজ রাতে দেরি না করে আগেই ঘুমিয়ে পড়বেন। সেই চিন্তা থেকে রাত ১১টার মধ্যেই বিছানা করে শুয়েও পড়লেন। এর পর হাতে মোবাইলটা নিয়ে ভাবলেন ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে নেই। এরপর কখন রাত দুইটা বেজে গেল খেয়ালই নেই।
রাত দুইটা-তিনটার সময় ঘুমিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে ঠিকই কাজে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। এতে করে ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না; সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যাচ্ছে। থাকছে না কাজে মনোযোগ; বিরক্ত লাগছে সবকিছু।
এর পর দেখা যায়, ক্লান্তিভাব নিয়ে বাসায় ফিরে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় ঘুম দিচ্ছেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠে আবার সেই চা-কফির অভ্যাস। আবারও ঘুমাতে দেরি হয়ে গেল আজ।
ঘুম না আসার এ ‘অনিদ্রা চক্রে’ আটকে আছি আমরা অনেকেই, যা দিন দিন ক্ষতি করছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে।
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কীভাবে এ অনিদ্রা চক্র থেকে বের হওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাফিকা আফরোজ।
তিনি লিখেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মন খারাপ থাকা, কাজকর্মে অনীহা ও মনোযোগ না থাকার অন্যতম কারণ হলো অনিদ্রা।’
অনিদ্রা কাটানোর কিছু সহজ উপায়
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাত জেগে না করে দিনের বেলা করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে ভালো ঘুমের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:নারীর সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে গয়না। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে নারীদের চাই মানানসই গয়না, তবে পছন্দের গয়নাটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এবং এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিতে হবে সঠিক যত্ন।
গয়নার যত্ন সম্পর্কে অনেকেরই তেমন একটা ধারণা নেই। একেক ধরনের গয়নার যত্ন একেক রকম। যদি সঠিকভাবে গয়নার যত্ন নেয়া যায়, তবে পুরানো গয়নাতেও ফিরিয়ে আনা যায় চমক।
ইউএনবি বাংলার এক প্রতিবেদনের দীর্ঘদিন গয়নার চাকচিক্য ধরে রাখার কয়েকটি টিপস তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১. গয়নার ওপরে সরাসরি পারফিউম স্প্রে করবেন না।
২. রূপার গয়না সুন্দর রাখতে প্রথমে গয়নাটি ভালোভাবে মুছে তার ওপর ট্যালকম পাউডার লাগান। এরপর শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। সঠিকভাবে যত্ন নিলে আপনার রূপার গয়নাও ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
৩. মুক্তার গয়না ব্যবহার শেষে নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, তবে খুব বেশি ময়লা হলে পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তার গয়না সবসময় মখমলের কাপড়ে মুড়িয়ে রাখবেন। গরমের সময় মুক্তার গয়না না পরাই ভালো, কারণ ঘাম লাগলে মুক্তার দ্যুতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কুন্দন বা হীরার গয়না নরম তুলা লাগানো প্লাস্টিকের বাক্সে রাখবেন, যাতে তা ভাঙার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
৫. পান্না খুবই নরম ও ঠুনকো পাথর, পান্নার গয়না সবসময় বসে পরিধান করবেন, যেন হাত থেকে পড়লেও তা ভেঙে না যায়।
৬. সব গয়না এক সাথে রাখবেন না, তা আলাদা বাক্সে রাখুন বা একই বাক্সের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে রাখুন। কারণ একই বাক্সে রাখলে তা জড়িয়ে গিয়ে ছিঁড়ে যেতে পারে বা ঘষা লেগে চমক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. হীরার গয়না ছাড়া আর কোনো গয়নায় পানি বা সাবান লাগাবেন না।
আরও পড়ুন:সাজ সামগ্রীর মধ্যে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় প্রসাধনী হচ্ছে লিপস্টিক। ঠোঁট রাঙাতে এই প্রসাধনীর জুড়ি মেলা ভার। লিপস্টিক কেনার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রংকেই গুরুত্ব দেয়া হয়, তবে লিপস্টিকের টেক্সচার কেমন সেটা দেখাও খুব জরুরি।
ইউএনবি বাংলার এক প্রতিবেদনের কার কোন টেক্সচারের লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি মানাবে তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
ক্রিমি লিপস্টিক
যাদের ঠোঁট ছোট ও পাতলা তারা এই ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ক্রিম থাকায় এই লিপস্টিকে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখায়। এই লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কভাবও কাটিয়ে দেয়। যেকোনো সাজে যেকোনো সময়ই মানাবে এই ক্রিমি লিপস্টিক।
স্যাটিন ফিনিশ বা শিয়ার লিপস্টিক
এই লিপস্টিকে আবার অয়েল কনটেন্ট অনেক বেশি। তাই ঝলমলে গ্লসি লুক পাওয়ার জন্য এই লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতেই পারে, তবে এই লিপস্টিক যা রং দেখায় ঠোঁটে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে যায়। এই লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটিয়ে দেয়, তবে এই লিপস্টিক দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল।
ম্যাট লিপস্টিক
এই লিপস্টিক যার ঠোঁট যেমন তেমন টেক্সচারই দেখায়, তবে যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক তাদের এই লিপস্টিক এড়িয়ে চলায় ভাল। ম্যাট লিপস্টিক লাগালে ওপরে লিপবামও লাগাতে পারেন, তবে এই লিপস্টিকের স্থায়িত্ব অনেক বেশি তাই সারাদিনের অনুষ্ঠানে এই লিপস্টিক খুবই ভাল।
ট্রান্সফাররেজিস্ট্যান্ট লিপস্টিক
অনেকে অফিস বা ক্লাসের উদ্দেশে সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরেন। আর এই লিপস্টিক তাদের জন্য একেবারে আদর্শ। এই লিপস্টিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একইরকম থাকে, এমনকি জলেও উঠে না। এই লিপস্টিক তোলার জন্য সলিউশন পাওয়া যায়। তেল কিংবা ময়েশ্চারাইজার দিয়েও তুলতে পারেন এই লিপস্টিক। এই লিপস্টিকে ময়েশ্চারাইজার কনটেন্টও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ঠোঁটও শুষ্ক হয় না।
ফ্রস্টেড লিপস্টিক
এই লিপস্টিক খুব হালকা হয়। এই লিপস্টিক স্পার্কেল করে, তবে এই লিপস্টিক ঠোঁটও শুষ্ক করে না। দিনের যেকোনো সময়ই ব্যবহার করতে পারেন এই লিপস্টিক।
আরও পড়ুন:বর্তমানে বহু মানুষই ঘরের কোণে কোণে সুগন্ধি ব্যবহার করেন। আপনিও কি তাদেরই দলে? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে কোনো সমস্যা নেই, তবে সারা বছর একই রকম সুগন্ধি ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে তা বদলের সময় এসেছে। এ ছাড়াও ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের আগে আপনার জানা প্রয়োজন কী করবেন আর কোন কাজ ভুলেও করবেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত এবং যে ভুলগুলো একদমই করা উচিত নয় তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করবেন
১. বাড়ির প্রত্যেক ঘরে একই ধরনের সুগন্ধীর ব্যবহার কখনও হতে পারে না। তারও কিছু বৈপরীত্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রান্নাঘরে যেহেতু চড়া মশলার গন্ধ অনেক সময় আপনাকে বিব্রত করে তাই সেখানে লেবুর গন্ধওয়ালা সুগন্ধি ব্যবহার করাই ভাল। আবার টয়লেটের ক্ষেত্রে সুগন্ধি ফুলের মতো হলে মন্দ হয় না, তবে আপনার শোবার ঘরের ক্ষেত্রে সুগন্ধি যাতে একেবারে হালকা হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
২. আমরা কোন জায়গায় যাচ্ছি, তার উপর নির্ভর করেই পোশাক বাচাই করি। ঠিক তেমনই অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বাড়ির সুগন্ধিতেও বদল আনুন। দেখবেন মেজাজটাই হয়ে যাবে একেবারে অন্যরকম।
৩. এসেনশিয়াল অয়েল আপনার ঘরে সুগন্ধির কাজ করতেই পারে, তবে গন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এসেনশিয়াল অয়েলের মাধ্যমে তৈরি মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফুলকে সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তা যেন বিশেষ উজ্জ্বল না হয়।
ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করবেন না
১. ঘরে সুগন্ধের জন্য অনেকেই মোমবাতি ব্যবহার করেন, তবে এই ধরনের মোমবাতি অনেক ক্ষেত্রেই ধুলাবালি শুষে নিয়ে দুর্গন্ধও ছড়ায়। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন হিতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া যেন না হয়।
২. এসেনশিয়াল অয়েল ঘরকে সুগন্ধে ভরে দেয়ার জন্য অবশ্যই ভাল পদ্ধতি। কিন্তু দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহারের ফলে তা আপনার কাছে হয়ে উঠতে পারে একঘেয়ে।
৩. ঘরকে সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে গিয়ে আপনার শারীরিক কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমন জায়গায় সুগন্ধি রাখুন যাতে আপনার চোখের কাছাকাছি না হয় তা লক্ষ্য রাখুন।
আরও পড়ুন:অনেকেই ঘর সাজাতে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করেন। অনেকেই মনে করেন ইনডোর প্ল্যান্ট মানেই অল্প দেখভাল করলেই হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনি গাছের তুলনায় ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন করতে হয় বেশি। তাই ঘরে থাকা গাছের যত্ন নিতে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে ইনডোর প্ল্যান্ট বাঁচাতে যে পাঁচটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১) ঘরে আছে বলে নিয়মিত পানি দিবেন না, তা কিন্তু নয়। রোজ অল্প অল্প করে পানি দিন, তবে নজর রাখবেন পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে।
২) অল্প আলোয় কখনই গাছ রাখবেন না। আবার বেশি আলোতেও নয়। গাছ এমন জায়গায় রাখুন, যাতে হালকা আলো সবসময় পায় গাছটি।
৩) কখনই এসির নিচে গাছ রাখবেন না। চেষ্টা করুন গাছ রাখার জায়গাটা এসির থেকে দূরে রাখার। এতে গাছ ঠিকঠাক বাড়বে।
৪) পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মাঝে মধ্যে পরিষ্কার করুন গাছের পাতা। কিংবা কাঁচা দুধ তুলাতে ভিজিয়ে গাছের পাতা মুছে দিন। এ উপায়ে তরতাজা থাকবে গাছ।
৫) লক্ষ্য রাখুন গাছের টবে যেন পোকামাকড় না আসে। কাঁচা দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন এতে, পোকামাকড় হবে না।
আরও পড়ুন:গুড়ের কদর শীতকালে বাড়লেও সারা বছর বাঙালির রান্নাঘরে গুড়ের আনাগোনা চলতেই থাকে। অনেকে চিনি খান না। বিকল্প হিসাবে একটু-আধটু গুড় খেয়ে থাকেন, তবে শীতকালে গুড় সংরক্ষণ করার আলাদা করে কোনো প্রয়োজন পড়ে না। ঠান্ডা আবহাওয়ায় গুড় নষ্ট হয় না। কিন্তু গরম পড়লে গুড় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, তবে কিছু উপায় জানা থাকলে সারা বছরই গুড় ভালো রাখতে পারেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে সারা বছর গুড় ভালো রাখার তিনটি উপায় তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১) বাজার থেকে গুড় কিনে আনার পর তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন অনেকেই। দীর্ঘ দিন ফ্রিজে গুড় রেখে দিলে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজে রাখলেও মাঝেমাঝে গুড়ের কৌটো বের করে রোদে দিন। এতে গুড় অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। গুড়ে ফাঙ্গাস ধরার ভয়ও থাকবে না।
২) রোদে দেয়ার পাশাপাশি, কিছুদিন পরপর গুড় জ্বাল দিয়ে নিতেও পারেন। একটি পাত্রে গুড় ঢেলে নিয়ে গ্যাসে অল্প আঁচে বসিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে কৌটোয় ভরে আবার ডিপ ফ্রিজে তুলে রাখুন।
৩) ঝোলা গুড় ছাড়াও অনেকের বাড়িতে পাটালিও মজুত করে রাখেন। রাতে দুধ-রুটির সঙ্গে এক টুকরো পাটালি মেখে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। বেশি দিন রাখলে বর্ষার আবহাওয়ায় পাটালিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাটালিতে যদি ফাঙ্গাস ধরে যায়, তা হলে ওই অংশটুকু ফেলে দিয়ে গুড়ের বাকি অংশটুকু ধুয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তুলে দিন। মাঝেমাঝে বের করে বাতাসে রেখে দিতে পারেন। দীর্ঘ দিন ভালো থাকবে আপনার সাধের পাটালি।
'অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে'। বহুল প্রচলিত উক্তিটির সেই তেলাপোকার উপদ্রবে আমরা কম-বেশি সবাই অতিষ্ঠ।
কিন্তু তাই বলে পতঙ্গটির ক্ষতি করতে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনও হুমকির মুখে ফেলছেন কি না তাও ভাবতে হবে।
ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে এক দিনের মধ্যেই ঘরের তেলাপোকার বংশ ধ্বংস করতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করবেন না।
কারণ, বাজারে তেলাপোকা নিধনের যেসব স্প্রে ও পাউডারজাতীয় রাসায়নিক পাওয়া যায়, সেসব মূলত প্রাণনাশের জন্য তৈরি। ওই বিষে তেলাপোকা যেমন মরবে, তেমন সংস্পর্শে এলে আপনার প্রাণও যেতে পারে।
লাইভ স্পেস সাময়িকীর প্রতিবেদনে তেলাপোকা নিধনের কিছু ঘরোয়া উপায় উঠে এসেছে। সেসবে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক-
তেজপাতা
তেলাপোকা তাড়ানোর সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে বিবেচিত তেজপাতা। তেজপাতার তীব্র ও ঝাঁঝালো ঘ্রাণ তেলাপোকা সহ্য করতে পারে না। তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে গেলে, কিছু তেজপাতা গুঁড়া করে ঘরের কোনাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন। সপ্তাহে দুই-একবার এটি করলে তেলাপোকা উধাও হয়ে যাবে।
চিনি ও বেকিং সোডা
বেকিং সোডা তেলাপোকার বিষ হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে সমপরিমাণ চিনি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘরের প্রতিটি কোনায় ছিটিয়ে দিন। চিনির গন্ধে তেলাপোকা আকৃষ্ট হবে। ফলে চিনি খেতে এসে বেকিং সোডা খেয়ে সব তেলাপোকা মারা যাবে। সপ্তাহে দুই দিন করে অন্তত তিন সপ্তাহ এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে তেলাপোকা নিধন হয়ে যাবে।
অ্যালুমিনিয়াম ও শসা
কিছু শসার খোসা নিন। খোসাগুলো একটি অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানে ঢুকিয়ে যেদিক থেকে তেলাপোকা আসতে পারে, সেসব স্থানে রেখে দিন। শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, তাতে তেলাপোকা মরে যায়।
সাবানপানি
ঘরের যেসব স্থানে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি, সেখানে কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখুন। খাবারের টানে আকৃষ্ট হয়ে যখন তেলাপোকা জমবে, তার ওপর সাবানপানি দিয়ে দিন। এতে তেলাপোকাগুলো মরে যাবে।
বোরিক পাউডার
বোরিক পাউডার এক ধরনের অ্যাসিডিক উপাদানে তৈরি। এই উপাদান পোকামাকড় ও পতঙ্গ নিধনে সহায়ক। তাই তেলাপোকা নিধনেও এটি কার্যকর। ১ চামচ বোরিক পাউডারের সঙ্গে ২ চামচ আটা বা ময়দা মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘরের চারপাশে ছিটিয়ে দিন। আটা-ময়দার ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে তেলাপোকা আসবে এবং বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে।
মসলার স্প্রে
একটি বোতলে পানির সঙ্গে রসুন, পেঁয়াজের পেস্ট এবং গোলমরিচের গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ঘরের কোনায় এবং চিপা জায়গাগুলোতে স্প্রে করে দিন। এতে তেলাপোকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য