পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্য। জুলাইয়ের এক বিকেলের তীব্র গরমে মধ্য ত্রিশের এক লোক মাঠের কোনায় দাঁড়িয়ে আছেন। ভীষণ নার্ভাস দেখাচ্ছে তাকে। পরনে গোলাপি শার্ট, কালো ট্রাউজার। কিছুর প্রত্যাশায় এই অপেক্ষা।
নির্ভয় চন্দ্র ঝার বয়স ৩৫। বেগুসরাই থেকে মধুবনী জেলায় আসতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি (৬২ মাইল) পথ। জেলার সৌরথ গ্রামে আজ বসেছে অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ‘বর বাজার’। নির্ভয় চন্দ্র নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খোঁজার আশায় এখানে উপস্থিত হয়েছেন।
যেকোনো মুহূর্তে একটি মেয়ের পরিবার তার কাছে আসবে, যৌতুকের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী বর ৫০ হাজার টাকার ট্যাগ নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন।
নির্ভয় বলেন, ‘বয়স যদি কিছুটা কম হতো তবে সহজেই ২-৩ লাখ টাকা চাইতে পারতাম।’
নির্ভয় একজন মৈথিল ব্রাহ্মণ। এরা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে বাসকারী হিন্দু ব্রাহ্মণদের একটি উপগোষ্ঠী। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় হলো জটিল হিন্দু বর্ণের শ্রেণিবিন্যাসের মধ্যে প্রভাবশালী সামাজিক গোষ্ঠী। তারা ঐতিহাসিকভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে আসছে।
হিন্দু এন্ডোগ্যামি নিয়মগুলো সাধারণত একই বংশের মধ্যে বিয়েকে সীমাবদ্ধ করে। মানে তারা একই বর্ণ-গোষ্ঠীর মধ্যে জোটকে উত্সাহিত করে; কারণ এ ধরনের বন্ধনগুলোর বেশির ভাগ পরিবার দ্বারা ‘বিন্যস্ত’ হয়।
নির্ভয় একটি কারখানায় ম্যানেজার পদে আছেন। এটা তার জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। কারণ তার আয় স্থিতিশীল। এ জন্য ভালো এবং উপযুক্ত কনে পাওয়ার আশায় আছেন তিনি।
যৌতুক যদিও ভারতে বেআইনি, তবে এটা প্রচলিত এবং এর সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে। বিশেষ করে বিহার এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশ রাজ্যে এই চর্চা অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে বছরে যৌতুকের অর্থ প্রদানের মোট মূল্য ৫ বিলিয়ন ডলার; যা জনস্বাস্থ্যের ভারতের বার্ষিক ব্যয়ের সমান।
অন্তত ২০ জন পুরুষ গাছের নিচে বসে ‘সৌরথ সভা’র এই মৌসুমে বরের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন। এটিকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ে সাইটগুলোর একটি।
যদিও এ ধরনের ঐতিহ্যগুলো ভারতে অনেকাংশে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে মধুবনীতে এটি টিকে আসছে সাবলীলভাবেই।
বর বাজার
এটা প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য। এখানে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বররা নিজেদের প্রদর্শনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কনের পুরুষ অভিভাবকরা সাধারণত বাবা বা ভাই বেছে নেন বর। সাধারণত কনের এ ক্ষেত্রে কিছু বলার থাকে না।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘এটা অনেকটা কেনাকাটার মতো। বর পছন্দ হলে উপযুক্ত যৌতুক দিয়ে এখানে বিয়ে ঠিক করা হয়ে থাকে।’
মৈথিল ব্রাহ্মণদের কাছে এটি পবিত্র অনুষ্ঠান। স্থানীয়রা বলছেন, সম্ভাব্য কনের পরিবার তাদের উদ্দেশ্য ঘোষণা না দিয়েই গ্রামে আসে। দূর থেকে গোপনে পুরুষদের পর্যবেক্ষণ করে। পছন্দ হলে নির্বাচিত বরের ওপর একটি মিথিলা গামছা, একটি লাল শাল পরিয়ে দেয়। এটার মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়া হয়।
মধুবনীর বাসিন্দা জ্যোতি রমন ঝা বলেন, ‘এটা বাসের সিটে রুমাল রাখার মতোই। যেমন গণপরিবহনে আগে আসলে আগে সিট পাবেন।’
প্রচলিত আছে, আগে বরদের জন্য উন্মুক্ত বিডিং হতো। বরের পেশা যত বেশি মর্যাদাপূর্ণ, যৌতুকের দাবি তত বেশি। প্রকৌশলী, ডাক্তার এবং সরকারি কর্মীদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল।
অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শহরে স্থানান্তর অনেক ভারতীয়কে পারিবারিক জমি থেকে উৎখাত করেছে। অভিভাবকদেরও এখন তাদের সন্তানদের বৈবাহিক পছন্দের ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেক কম। সস্তায় ইন্টারনেট সুবিধার সঙ্গে সাজানো ম্যাচমেকিংগুলো অনলাইনে এখন অহরহ। ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈবাহিক ওয়েবসাইটও রয়েছে।
সৌরথ সমাবেশের অনুষ্ঠানটি গ্রামের একটি পুকুরের পাশে হয়, যেখানে আছে বট ও আমগাছ। পাশেই একটি বিশাল অব্যবহৃত কূপ, যেটি পুরোনো দিনের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পুকুরের পাশেই প্রাচীন হিন্দু একটি মন্দির।
গাঢ় লাল রঙে হিন্দিতে লেখা ‘সৌরথ সভা’। একটি উজ্জ্বল হলুদ ব্যানারের নিচ দিয়ে আগন্তুকরা সেখানে প্রবেশ করেন। কিংবদন্তি আছে, এক লাখ ব্রাহ্মণ এখানে এলে, প্রাচীন বটগাছটির সব পাতা ঝরে পড়বে।
স্বরাজ চৌধুরী নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘আগে জনগণকে এখানে আনার জন্য রাজ্যজুড়ে বাসসুবিধা ছিল। এখন অনুষ্ঠানে খুব কম মানুষের আনাগোনা হয়।’
যৌতুকের হুমকি
শেখর চন্দ্র মিশ্র এই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা। এ আয়োজনের এমন পতনের জন্য মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন তিনি৷
শেখর বলেন, ‘মিডিয়া আমাদের সভাকে এমন একটি বাজার হিসেবে চিত্রিত করেছে, যেখানে বলা হয় পুরুষদের গবাদিপশুর মতো বিক্রি করা হয় এখানে।’
শেখর অবশ্য স্বীকার করতে পিছপা হননি যে এই ঘটনা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে উন্মুক্ত যৌতুকের সংস্কৃতি প্রচার করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আজকাল যৌতুককে সদয় দৃষ্টিতে দেখা হয় না। তবুও তা টেবিলের নিচেই হয়। যদি বাবা-মা তাদের ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার বানানোর জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তারা বিনিয়োগ ফেরত চান। যৌতুককে এটি করার অন্যতম উপায় হিসেবে দেখা হয়।’
বিহারে যৌতুক একটি বড় হুমকি। বিভিন্ন সরকার যৌতুকবিরোধী প্রচারাভিযান শুরু করলেও যৌতুকের কারণে মৃত্যু ও হত্যা কমছে না। ২০২০ সালের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, বিহারে এক হাজারের বেশি যৌতুকের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে; যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বিহার সরকারের একটি সাম্প্রতিক প্রচারাভিযান জনগণকে তাদের বিয়ের কার্ডে যৌতুকবিরোধী ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসের দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
এই হুমকি অঞ্চলে একটি অদ্ভুত প্রবণতার জন্ম দিয়েছে। এটিকে বলা হয় ‘পাকদওয়া বিভা’ বা বন্দি বিয়ে। এ ক্ষেত্রে যৌতুক এড়াতে বন্দুকের মুখে বিয়ে করার জন্য কনের পরিবারের দ্বারা পুরুষদের অপহরণ করা হয়। এখনও এ ধরনের অপহরণের খবর প্রায়শই পাওয়া যায়।
ইভেন্টের লোকেরা সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন, যখন হাজার হাজার বর লাল জামা পরে আসতেন, যৌতুকের আলোচনার পর বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত হতেন।
বিহারের দারভাঙ্গার মনীশ ঝার বয়স ৩১। তিনি তার বর্ণের বাইরে বিয়ে করেছেন। একজন রাজপুত নারীর সঙ্গে বিয়ে তার পরিবার এবং সম্প্রদায় মেনে নিতে পারেনি। অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে সবকিছু স্বাভাবিক করতে।
তিনি বলেন, ‘একবার আমাকে বন্দুকের মুখেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে অনেক ভালোবাসতাম। মৃত্যুর হুমকির মধ্যেও তাকে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের এখন একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
‘সমাজের নতুন প্রজন্ম নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। তারা যাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করতে চায়, তাদের জাত যাই হোক না কেন।’
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য
এসব সত্ত্বেও মনীশ বিশ্বাস করেন, সৌরথ সভাকে মিথিলাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সত্তা হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এটি দরিদ্রদের রাজস্ব তৈরিতেও সহায়তা করে। সভা চলাকালীন অনেক লোক পরের কয়েক মাসের জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে থাকেন।
ঘনশ্যাম একজন কাঠমিস্ত্রি। নিম্ন হিন্দু বর্ণের ঘনশ্যাম সভাস্থলের কাছে চা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘আগে দোকানদাররা এই সভার অপেক্ষায় বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকতেন। আমার বাবা বলতেন, এই সভা চলাকালীন বেচাবিক্রি করে ছয় মাস টিকে থাকার মতো সঞ্চয় করা যেত। কিন্তু এখন উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম।’
সোনু নামে আরেক দোকানদার বলেন, ‘ইভেন্ট চলাকালীন বিক্রি একপর্যায়ে বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। আজকাল তা খুব একটা হয় না।’
সমাবেশে উপস্থিত কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ইন্টারনেট ম্যাচমেকিংয়ের সহজতা তাদের খুব একটা আকৃষ্ট করে না।
একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী বরের বাবা মুক্তিনাথ পাঠক। তিনি বিশ্বাস করেন সৌরথ সভায় বিয়ে তার ছেলে অমরজিতের জন্য একটি বৈবাহিক ওয়েবসাইটের চেয়ে অনেক নিরাপদ।
তিনি বলেন, ‘যখন অনলাইনে বিয়ে হয়, তখন বিচ্ছেদের ঝুঁকি থাকে। তবে যখন ঐতিহ্যগুলো মানা হয়, সে আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে।’
সৌরথ সভার পদ্ধতিটি বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে দাবি করেন আয়োজকরা। কারণ এখানে স্থায়ী নিয়ম হলো একই বংশের মধ্যে বিয়ে এড়ানো। মনুস্মৃতির প্রাচীন হিন্দু পাঠে বলা আছে, একই বংশের মধ্যে বিয়ে ‘অশুদ্ধ’ সন্তানের জন্ম দেয়।
মধুবনীর বাসিন্দা জ্যোতি বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইভেন্টে একটি ম্যাচ খুঁজে পেতে একজনকে প্রথমে একজন পঞ্জিকারের কাছে যেতে হবে। একজন ঐতিহ্যবাহী রেকর্ড-রক্ষক বা রেজিস্ট্রার যিনি মৈথিল ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তা নিশ্চিত করার জন্য শতাব্দী ধরে রেকর্ড রাখেন।’
পঞ্জিকার পদ্ধতি কঠোরভাবে নির্দেশ করে যে বর এবং কনে তাদের পিতার পক্ষে সাত প্রজন্ম এবং মায়ের পক্ষ থেকে পাঁচ প্রজন্মের জন্য রক্তের সম্পর্কযুক্ত হতে হবে না।
প্রমোদ কুমার মিশ্র একজন পঞ্জিকার। তিনি সভার কাছে একটি তাঁবু স্থাপন করেছেন। প্রমোদ বলেন, ‘আমি বিয়ে করেছিলাম ২০০৩ সালে। আমাকে আমার স্ত্রীর পরিবার বেছে নিয়েছিল। আমরা এখন সুখে বসবাস করছি।’
পঞ্জিকাররা এখনও রেকর্ডের একটি মোটা বই সঙ্গে রাখেন। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম ও মৃত্যু লিপিবদ্ধ করতে তারা বাড়ি বাড়ি যান। ঐতিহ্যবাহী এ কাজের চাহিদা তেমন না থাকায়, তারা আয়ের বিকল্প পথ খুঁজছেন। তাদের সন্তানরা অন্য কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
কানহাইয়া কুমার মিশ্র নামে একজন বলেন, ‘আমরা সম্ভবত পঞ্জিকারদের শেষ প্রজন্ম।’
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এ সময় এক নারী সভায় এসে উচ্চ স্বরে ঘোষণা দেন, ‘আমার ভাইয়ের জন্য পাত্রী চাই।’
মেহেক পান্ডে উত্তরপ্রদেশ থেকে তার স্বামী এবং মায়ের সঙ্গে তার ৩৩ বছর বয়সী ভাই সুমিত মোহন মিশ্রের জন্য পাত্রী খুঁজতে এসেছেন। জুনে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তবে কনের পরিবার পিছিয়ে যাওয়ায় তা আর হয়নি।
শহরে উপযুক্ত পাত্রী খুঁজে না পেয়ে তারা সভায় যোগদানের জন্য ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাস এবং ট্রেনে করে মধুবনীতে এসেছেন।
মেহেক বলেন, ‘আজকাল অনলাইন বৈবাহিক অ্যাপের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না। কারণ এখানে অনেক ভুয়া কিছু থাকে।’
মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।
নানা মাধ্যমে এর ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আলোরী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।
রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।
এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্পে দফায় দফায় কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব কম্পন অনুভূত হয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশিমক ৩।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশিমক ৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র।
রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা গেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তীব্র এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।
তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।
এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দলকে পাঠানো হয়েছে।
কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আরও পড়ুন:কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে আরেক মরুর দেশ সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদের কিছু অঞ্চলসহ দেশটির অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাটও।
সৌদি আরবের আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার থেকে রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও দিরিয়াহ, হুরায়মালা, ধুর্মা থেকে কুয়াইয়াহ পর্যন্ত।
আবহাওয়ার চলমান এ পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময়কালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা ও জলাবদ্ধ এলাকা থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সবশেষ গেল সপ্তাহে অতি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় দুবাই ও শারজাহতে।
আরও পড়ুন:ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শেষ হতে না হতেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দফায় ভোটের হার আশানুরূপ না হওয়ায় তিনি সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটছেন বলে মত বিরোধীদের।
বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলো বলছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন মোদি।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এখন পর্যন্ত এ অভিযোগের কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
রোববার রাজস্থানের একটি জনসভায় গিয়ে মোদি বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে দেশের সম্পদ।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গহনার হিসাব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইছে ভারতজুড়ে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি। তার মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন।’
রাহুল লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের এবারের ইশতেহার বৈপ্লবিক। এ বিপ্লবের প্রতি বিপুল জনসমর্থন উঠতে শুরু করেছে। এবার মানুষ তার পরিবার, কর্মসংস্থান, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দেবে। অন্য ভাবনায় বিচ্যুত হবে না ভারতের জনগণ।’
আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্বৈরশাসকের আসল চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। এটি জনগণের নেতৃত্ব নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেয়া বাবা সাহেব আম্বেদকারের সংবিধানকে ধ্বংস করার আরেকটি পদক্ষেপ। আমি আবারও বলছি- এটা শুধু সরকার গঠনের নির্বাচন নয়, এটা দেশ বাঁচানোর নির্বাচন, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন।’
মোদিকে তোপ দেগেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।
তার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। আসলে ২০০২ সাল থেকে মুসলিমদের নির্যাতন করেই ভোট পেয়ে আসছেন মোদি। আমরা যদি দেশের সম্পদের কথা বলি, তাহলে মোদি সরকারের আমলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার তার ধনকুবের বন্ধুদের।
‘ভারতের এক শতাংশ মানুষ আজ দেশের সম্পদের ৪০ শতাংশ খেয়ে ফেলছে। সাধারণ হিন্দুদের মুসলমানদের ভয় দেখানো হচ্ছে, অথচ সত্য এই যে, আপনার টাকায় অন্য কেউ ধনী হচ্ছে।’
এদিকে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে ২০০৬ সালে মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যের একটি ভিডিওর ২২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ ছড়িয়ে দেয় বিজেপি। এর জবাবে পরে ওই ভাষণের ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ প্রচার করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মনমোহন বলেছিলেন ক্ষমতায়নের কথা, অথচ মোদি বলেছেন মানুষের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেয়ার কথা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পদত্যাগ করেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতার দায়ভার মেনে নিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে এএফপি।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে ৭ অক্টোবরের ঘটনার দায়ভার মাথায় নিয়ে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তাকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন।’
তিনি চিফ অফ জেনারেল স্টাফের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ায় মেজর জেনারেল আহারন হালিভার উত্তরসূরী নিয়োগ দেয়া হলে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) থেকে অবসর নেবেন।’
গত বছর হালিভা জানান, তিনি অক্টোবর ৭ এই হামাসের নজিরবিহীন হামলা সম্পর্কে আগে থেকে তথ্য না পাওয়া ও গোয়েন্দা বিভাগের অন্যান্য ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছেন।
টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, বর্তমানে সেনাবাহিনী হালিভার বিরুদ্ধে হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুনের শুরুতে তদন্তের ফল আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভির কাছে জমা দেয়া হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
সংবাদমাধ্যমে এমন খবর দেখে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞাার কোনো কথা উঠলে আমি আমার শক্তি দিয়েই লড়ব।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, আইডিএফের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তুতির নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কোনো ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে।
অবশ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যদি কেউ মনে করে যে তারা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া অবশ্যই উচিত হবে না। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের হাতে ১৫০ জিম্মি রয়েছে।
ওই হামলার পর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েল-হামাসের এ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইসরায়েলের পক্ষে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সাত দেশের জোট জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তারা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএনবি।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, যৌথ বিবৃতিতে তারা মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য উপকরণের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সব রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা একটি অর্থবহ ও টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে অবিলম্বে যেকোনো সহিংসতা বন্ধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের থেকে শুরু করে নির্বিচারে আটক সব বন্দিদের মুক্তি এবং সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে, যেকোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম থেকে বিরত থাকতে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও অভাবী মানুষের কাছে দ্রুত, নিরাপদ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’
মিয়ানমারে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য উল্লেখ করে জি-৭ দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৬৬৯ নম্বর প্রস্তাবের (২০২২) ব্যাপক বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছি। মিয়ানমার বিষয়ক নবনিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের নেতৃত্ব এবং দেশটিতে আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকটে জাতিসংঘের আরও সম্পৃক্ততা সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য