× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কিড জোন
পান্তা বুড়ি
google_news print-icon

পান্তা বুড়ি

পান্তা-বুড়ি
ছবিটি এঁকেছেন কাওছার মাহমুদ
এক চোর টের পাইয়া রাত্রে বুড়ি ঘুমাইলে ঘরে ঢুকিয়া তাহার পান্তা খাইয়া যায়। বুড়ি সকালে উঠিয়া শোরগোল করে। চোরের চৌদ্দপুরষ ধরিয়া গাল দেয়। শুনিয়া চোর মনে মনে হাসে। রাতে বুড়ি ঘুমাইলেই সে আবার ঘরে ঢুকিয়া আগের মতোই তাহার পান্তা ভাত খাইয়া যায়। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়?

পান্তা বুড়ি রোজ পাতিল ভরিয়া ভাত রাঁধে। তার কতেকটা খায়, আর কতেকটায় পানি ঢালিয়া পান্তা করিয়া রাখে। পানির ঠান্ডায় ভাত পচিয়া যায় না। রোজ সকালে উঠিয়া সে সেই পান্তাভাত খায়।

এক চোর টের পাইয়া রাত্রে বুড়ি ঘুমাইলে ঘরে ঢুকিয়া তাহার পান্তা খাইয়া যায়। বুড়ি সকালে উঠিয়া শোরগোল করে। চোরের চৌদ্দপুরষ ধরিয়া গাল দেয়।

শুনিয়া চোর মনে মনে হাসে। রাতে বুড়ি ঘুমাইলেই সে আবার ঘরে ঢুকিয়া আগের মতোই তাহার পান্তা ভাত খাইয়া যায়। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়?

বুড়ি সকালে উঠিয়া রাজার বাড়ি চলিল নালিশ করিতে।

যাইতে যাইতে বুড়ি দেখিতে পাইল, পথের ওপর একটি শিঙ্গিমাছ নড়িতেছে। সে বুড়িকে বলিল, ‘বুড়িমা, আমাকে পুকুরে ছাড়িয়া দিয়া যাও। এখানে থাকিলে আমি মরিব।’

বুড়ির বড়ই দয়া হইল। সে মাছটি উঠাইয়া পুকুরে ছাড়িয়া দিল। তারপর হনহন করিয়া সে পথে যাইতে লাগিল।

খানিক যাইয়া দেখিতে পাইল, পথের মধ্যে একখানা ছুরি পড়িয়া আছে। ছুরিখানা বুড়িকে বলিল, ‘বুড়িমা, এই পথ দিয়া কত লোক যাইবে। অসাবধানে কেউ আমার ওপড় পা ফেলিলে পা কাটিয়া যাইবে। আমাকে ওই কাঁটাগাছের মধ্যে ফেলিয়া যাও।’

বুড়ি ছুরি খানা হাতে লইয়া কাঁটাগাছের মধ্যে ফেলিয়া দিল।

আরও খানিক যাইতে বুড়ি দেখিতে পাইল- একটি গাই লতাপাতার মধ্যে জড়াইয়া আছে।

গাইটি বলিল, ‘বুড়িমা, আমি লতাপাতার মধ্যে জড়াইয়া আছি। আমাকে ছাড়াইয়া দাও।’

শুনিয়া বুড়ির দয়া হইল। সে দুই হাতে লতাপাতা ছিঁড়িয়া দিল। গাইটি খুশি হইয়া এদিক-ওদিক ঘুরিয়া ঘাস খাইতে লাগিল।

আরও খানিক যাইতে পথের ধারের একটি বেলগাছ বুড়িকে ডাকিয়া বলিল, ‘বুড়িমা, একটু শুনিয়া যাও।’

বুড়ি থামিয়া বলিল, ‘কি বলিবে বাছা! শিগগিরই বলো। আমি রাজার বাড়ি যাইব। রাজসভা ভাঙিল বলিয়া। শিগগির বলো কী বলিবে।’

বেলগাছ বলিল, ‘আমার চারিধারে এত আগাছা জন্মিয়াছে যে আমি ভালো করিয়া দম লইতে পারিতেছি না। আর মাটির ভেতর যা কিছু রস আছে, আগাছারা খাইয়া ফেলে। আমার জন্য কিছু থাকে না। দিনে দিনে আমি শুকাইয়া যাইতেছি।’

শুনিয়া বুড়ির দয়া হইল। সে বহু কষ্টে বেলগাছের চারি ধারের আগাছা টানিয়া উপড়াইয়া ফেলিল। বেলগাছ ভালো করিয়া নিঃশ্বাস লইয়া বুড়িকে দোয়া করিতে লাগিল।

সেখান হইতে বুড়ি আরও তাড়াতাড়ি পথ চলিতে লাগিল।

রাজসভা তখন ভাঙে ভাঙে। বুড়ি আগাইয়া যাইয়া বলিল, ‘এক চোর রাত্রে আসিয়া রোজ আমার পান্তাভাত খাইয়া যায়, তুমি ইহার বিচার করো।’

রাজা বলিল, ‘তুমি যদি চোর ধরিয়া আনিতে পারো, আমি তাহার বিচার করিতে পারি। কে তোমার পান্তা ভাত খাইয়াছে না জানিয়া কাহার ওপর বিচার করিব?’

রাগিয়া-মাগিয়া বুড়ি বলিল, ‘তবে তুমি কেমন রাজা হে? চোর ধরিতে পারো না? তোমার আশিগণ্ডা পাহারাদার কি নাকে সরিষার তেল দিয়া রাতে ঘুমায়? তাহারা থাকিতে আমার বাড়িতে কেমন করিয়া চোর ঢোকে?’

রাজাকে গাল দিতে দিতে বুড়ি চলিল। বেলগাছের কাছে আসিলে বেলগাছ জিজ্ঞাসা করিল, ‘বুড়িমা! বড় যে বেজার হইয়া ফিরিয়া চলিয়াছ, খবর কী?’

বুড়ি উত্তর করিল, ‘এক চোর আসিয়া রোজ আমার পান্তাভাত খাইয়া যায়। রাজার কাছে গিয়াছিলাম বিচার চাহিতে। রাজা বিচার করিল না।’

বেলগাছ বলিল, ‘আমার একটি বেল লইয়া যাও। রাত্রে চুলার মধ্যে পোড়া দিয়া রাখিও।’

এরপর একটি বেল ঝোলার মধ্যে পুরিয়া হনহন করিয়া বুড়ি পথ চলিতে লাগিল।

খানিক যাইতে গাই জিজ্ঞাসা করিল, ‘বুড়িমা, বড় যে বেজার হইয়া চলিয়াছ?’

বুড়ি বলিল, ‘এক চোর আমার পান্তাভাত খাইয়া যায়। রাজার কাছে এর বিচার চাহিয়াছিলাম। রাজা বিচার করিল না।’

গাই বলিল, ‘আমার একনাদা গোবর লইয়া যাও। তোমার দরজার সামনে রাখিয়া দিও।’
কলাপাতায় করিয়া একনাদা গোবর লইয়া বুড়ি আবার পথ চলিতে লাগিল।

খানিক যাইতে ঝোপের ভিতর হইতে ছুরি জিজ্ঞাসা করিল, ‘বুড়িমা, তোমার মুখখানি যে বড় বেজার বেজার?’

বুড়ি বলিল, ‘এক চোর আসিয়া রোজ রাতে আমার পান্তাভাত খাইয়া যায়। রাজার কাছে গিয়াছিলাম বিচার চাহিতে। রাজা বিচার করিল না।’

ছুরি বলিল, ‘বুড়িমা, আমাকে লইয়া যাও। গোবর নাদার মধ্যে আমাকে লুকাইয়া রাখিও।’

বুড়ি ছুরিখানা ঝোলার মধ্যে লইয়া আবার পথ চলিতে লাগিল। আরও খানিক যাইতে পুকুরের ভিতর হইতে শিঙ্গিমাছ বলিল, ‘বুড়িমা! মুখখানা যে বেজার বেজার?’

বুড়ি তাহাকে সব খুলিয়া কহিল।

শিঙ্গিমাছ বলিল, ‘বুড়িমা! আমাকে লইয়া যাও। আমাকে তোমার পান্তাভাতের হাঁড়িতে রাখিয়া দিও।’

বুড়ি শিঙ্গিমাছটি তাহার ঝোলার মধ্যে পুরিয়া লইল।

দুপুরবেলা তখন গড়াইয়া পড়িয়াছে। এত পথ চলিয়া ক্ষুধায় বুড়ির পেটে আগুন জ্বলিতেছে। সে আরও জোরে জোরে পথ চলিতে লাগিল।

বাড়ি আসিয়া বুড়ি একপাতিল ভাত রাঁধিয়া কতেক খাইল আর কতেক সেই হাঁড়ির মধ্যে রাখিয়া পানি ঢালিয়া পান্তাভাত করিল।

পানি সমেত সেই পান্তা ভাতের মধ্যে শিঙ্গিমাছটি ছাড়িয়া দিল। তারপর দরজার সামনে গোবরের নাদা রাখিয়া তাহার ভিতরে ছুরিখানা লুকাইয়া রাখিল।

বেলটি চুলার মধ্যে পোড়া দিয়া কাঁথা-কাপড় মুড়ি দিয়া বুড়ি নাক ডাকিয়া ঘুমাইতে লাগিল।

এদিকে রাত্রে চোর আসিয়া যেই পান্তাভাতের হাঁড়িতে হাত দিয়াছে, অমনি শিঙ্গিমাছ তাহার হাতে কাঁটা ফুটাইয়াছে।

ব্যথার জ্বালায় চোর লাফ দিয়া পালাইবে আর গোবরের নাদায় পা পিছলাইয়া পড়িয়া গিয়াছে। গোবরের নাদায় পড়িয়া যাইতেই ছুরিতে লাগিয়া পা কাটিয়া গেল।

পায়ের আঘাতে গোবর ছিটিয়া চোখে-মুখে আসিয়া লাগিল। চোর সামনে পুকুরে হাত-পা ধুইয়া ভাবিল, বুড়ির চুলার ওপর যাইয়া হাত-পা গরম করিয়া লই।

যেই সে চুলার ওপরে হাত-পা গরম করিতে গিয়াছে, অমনি বেলটি ফাটিয়া চোরের চোখে-মুখে লাগিয়া ফোস্কা করিয়া দিয়াছে।

বেল ফাটার শব্দ পাইয়া বুড়ি ‘কে রে! কে রে!’ করিয়া জাগিয়া উঠিল। চোর তখন দে দৌড়।

সেই হইতে চোর আর বুড়ির ত্রিসীমানায় আসে না। মজা করিয়া বুড়ি পান্তাভাত খায় আর সারা দিন বসিয়া ছেঁড়া কাঁথায় জোড়াতালি দেয়।

গল্পটি জসীমউদ্দীনের বাঙালির হাসির গল্প বই থেকে নেয়া

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কিড জোন
Sisimpurs special initiative in sign language for hearing impaired children

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।

সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।

২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।

‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

কিড জোন
One day at the police station

এক দিন থানায়

এক দিন থানায়
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।

ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।

ভদ্রলোক: চার্জ কী?

ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
নতুন সিইও
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু

মন্তব্য

কিড জোন
The wisdom of the lawyer

উকিলের বুদ্ধি

উকিলের বুদ্ধি
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, ‌'৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।

এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'

চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, ‌'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'

উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'

চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'

চাষা বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'

হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'

চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।

হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'

তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"

দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।

হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'

মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'

চাষা বলল, 'ব্যা-!'

মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'

চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'

চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'

উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'

চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'

উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'

বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।

আরও পড়ুন:
বড় দিদি
লোভী কুকুর
সিন্ড্রেলা
বাবুর্চির বুদ্ধি
সুখু আর দুখু

মন্তব্য

কিড জোন
Smile and Ismail

স্মাইল ও ইসমাইল

স্মাইল ও ইসমাইল
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।

ইসমাইল: জি স্যার?

সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।

ইসমাইল: ঠিক আছে।

সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।

ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?

সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?

ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি

মন্তব্য

কিড জোন
father and son

বাবা-মেয়ে

বাবা-মেয়ে
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?

বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?

মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা

মন্তব্য

ভুলোমনা

ভুলোমনা
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র

মন্তব্য

নতুন চাকরি

নতুন চাকরি
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’

‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।

যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’

‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।

‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র
আম চোর

মন্তব্য

p
উপরে