রায়হানের রাজহাঁস
রাতে রায়হানের রাজহাঁসটা মেরে ফেললো বনবিড়াল।
তারপর?
সোনা, বুলাকী, ফটকা, ইদ্রিস, রায়হানকে লৌহজং নদীর গল্প শোনায় রহমত দাদু।
বিদ্যাকানন স্কুলের ছাত্র সবাই।
মাঝে মাঝে লৌহজংয়ের নির্জন ঘাটে চলে যায় রায়হান।
কী সুন্দর দিন যাচ্ছে সবার।
হঠাৎ ন'বছর হওয়ায় তাদের থেকে আলাদা হয়ে গেলো বুলাকী।
বুলাকীকে ঘিরে রায়হানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হলো সোনা, ফটকা, ইদ্রিসের।
সেই শূন্যতা পূরণ করে দিলো পরী আপা।
তার বর বিলেত।
পরী আপার কি যেন অসুখ।
ওদিকে সোনা, ইদ্রিস, ফটকারা গিয়ে ভিড়লো সোনার মামা নিজামের সঙ্গে।
গুপ্তধনের জন্য ওরা ঠিক করলো মধুপুর জঙ্গলে যাবে।
পরী আপার সঙ্গে রায়হান চলে গেলো পরী আপার গ্রামের বাড়ি নলডাঙায়।
নলডাঙা থেকে এসে রায়হান শুনলো অ্যাডভেঞ্চারের জন্য গয়না চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে নিজাম, ইদ্রিস, সোনা, ফটকা।
সব যেন ভেঙে ভেঙে পড়ছে।
পাড়ায় পাড়ায় শুরু হলো ক্লাব খোলার প্রতিযোগীতা।
বিদ্যাকানন স্কুল আর আগের মতো নেই।
ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কও নেই সেই আগের মতো।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে মূল্যবোধ।
ছাত্ররা ঢিল মারছে লাইব্রেরীতে।
বড় অস্থির সময়।
হিমাদ্রীরা খুললো ইয়ং টাইগারস ক্লাব।
নিজামরা খুললো বক্সিং ক্লাব।
চেনা বন্ধুরা কেমন যেন পাল্টে যেতে লাগলো।
রামদার মতো জুলফি রাখলো ইদ্রিস।
একদিন সত্যি সত্যি দুই পাড়ার দুই গ্রপে রক্তারক্তি হয়ে গেলো।
ইদ্রিসের মাথায় আঘাত করলো রায়হান।
ইদ্রিস কি মরে গেলো?
ভয়ে পালাতে লাগলো রায়হান।
একদিকে পুলিশ অন্যদিকে নিজামরা।
কোথায় গেলো রায়হান?
পরী আপা, বুলাকী, রাজহাঁসটার সঙ্গে আবার কি দেখা হবে রায়হানের?
এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আবু কায়সারের লেখা 'রায়হানের রাজহাঁস' উপন্যাসে।
বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মামুন কায়সার।
প্রকাশ করেছে মুক্তধারা।
কুশল আর মৃত্যুবুড়ো
অদ্ভুদ মায়াবী চোখ, বয়সের তুলনায় গভীর, অপার্থিক কুশল।
বাবার সূত্রে কুশলের সঙ্গে পরিচয় হলো বকুল কাকুর।
বকুল কাকুর রুম ভর্তি মাছ বিষয়ক রঙিণ সব বই আর মাছের এ্যাকুরিয়াম।
কাকু আস্তে আস্তে কুশলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন সোর্ড, ফাইটার, প্লাটি, ব্ল্যাকমনি, গোল্ড ফিশ সহ নানান জাতের দামী মাছের।
সমুদ্রের তলার সুন্দর জগতের ভাবনায় ডুবে গেলো কুশল।
মা বাবার সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সত্যিই কুশল একদিন ডুবে গেলো সমুদ্রে।
সমুদ্রের নিচে বকুল কাকুর বইয়ে যেমন দেখেছিলো ঠিক সব মিলে যাচ্ছে।
ভাসতে ভাসতে প্রশান্ত মহাসাগরে এসে কুশলের সঙ্গে দেখা হলো শাদা চুল দাড়িওয়ালা মৃত্যুবুড়োর।
মৃত্যুবুড়ো তাকে সাগরের তলদেশটা ঘুরে ঘুরে দেখালো।
তারামাছ, অক্টোপাস, হাঙর, তিমি, স্কুইড।
ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ কুশলের বাড়ির কথা মনে পড়ে গেলো।
বাবার কাছে, মার কাছে, বোনের কাছে, আদরের পুষির কাছে যেতে ইচ্ছে করলো।
কিন্তু কিভাবে যাবে?
সে তো ডুবে মরে গেছে সাগরে।
মৃত্যুবুড়োর মন গলে যাওয়ায় কুশল কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে ঘুরে আসার সুযোগ পেলো।
পাখির মত বাতাসে ভাসতে ভাসতে ঘরে ঢুকলো কুশল।
তারপর কি হলো?
জানতে হলে পড়ো সৈয়দ ইকবালের লেখা 'কুশল আর মৃত্যুবুড়ো।'
বইটির প্রচ্ছদ ও ভেতরের ছবি এঁকেছেন লেখক নিজেই।
এটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।
কুশল ও চিক্কোর মারণ কাবুক
একটু ভিন্ন ধাতের ছেলে টুপু।
মাটিতে একটি আধুলি পড়ে টুং করে যে শব্দ হয় সে তার রং দেখতে পায়।
বাড়ির লোকজন তো বটেই, বন্ধুরাও খামোখা ওর পেছনে লেগে থাকে।
কিন্তু মামা ওকে রীতিমত মূল্য দেয়।
পাগল বলে মামারও কিছু কিছু দুর্নাম আছে।
একদিন আচমকা মামা ভাগ্নে হাওয়া বদলের জন্য বেরিয়ে গেলো খাগড়াছড়ির গহিন অরণ্যে।
মামার আছে শেকড় সংগ্রহ করার বিদঘুটে শখ।
আর টুপুর উদ্দেশ্য খাঁটি প্রাকৃতিক পরিবেশে শব্দের রং খোঁজা।
জঙ্গলের ভেতর তাদের সঙ্গে দেখা হয় স্থানীয় বাসিন্দা কোলাইয়ের।
কোলাইয়ের কাছে তারা জানতে পারে মিজোদের একটি দস্যু দল ধরে নিয়ে কোলাইয়ের আশ্রিত বাবা মা হারা চিক্কোকে।
জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে একসময় পথ হারিয়ে ফেলে মামা ভাগ্নে।
দস্যু সর্দার স্ট্যানলির দোকজন অপহরন করে টুপুকেও।
টুপুর ফেলে যাওয়া পাখির পালক অনুসরণ করে মামা এসে পৌঁছো স্ট্যানলির আস্তানার কাছে।
সেখানে দেখা হয় কুশল আর চিক্কোর সঙ্গে।
কুশলকেও স্ট্যানলির লোক তুলে এনেছে রাঙামাটি থেকে।
তারপর তিনজনে মিলে চিক্কোর নেতৃত্বে শুরু করে টুপুকে উদ্ধারের ভয়ংকর অভিযান।
কিভাবে স্ট্যানলির হাত থেকে উদ্ধার হয়েছিলো সে শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা জানতে হলে পড়তে হবে মাহমুদুল হকের লেখা উপন্যাস 'কুশল ও চিক্কোর মারণ কাবুক।'
বইটির প্রচ্ছদ ও ভেতরের ছবি এঁকেছেন শিল্পী রফিকুন নবী।
আর এটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।
নীল পাহাড়ের গান
ত্রিমুখী সম্পর্ক।
ত্রিমুখী সংঘর্ষ।
চিতা বাঘ, নীল গাই আর শিকারী মানুষ।
বাঘ শিকার করে নীল গাই, সুযোগ পেলে মানুষও।
মানুষ শখের বশে শিকার করে বাঘ, নীল গাই দুটোই।
অন্যদিকে নীল গাই রাতের আঁধারে কৃষকের ফসল খেয়ে সাবাড় করে।
বহুদিন ধরে জঙ্গলের রাজা সংহার।
তার সঙ্গী কিঙ্করী।
শীত নেমে আসায় উত্তর থেকে আশ্রয় ও খাবারের খোঁজে দক্ষিণের এই জঙ্গলে চলে এসেছে ঝাঁকে ঝাঁকে নীল গাই।
জয় ও চঞ্চল শখের শিকারি।
নীল গাই ধরে পোষ মানানোর ইচ্ছে তাদের।
সুযোগ পেলে বাঘ মেরে নাম কামাবে।
গহীন জঙ্গল।
শীতকাল।
পূর্ণিমা রাত।
শিকারে বেরিয়েছে জয়, চঞ্চল, আর্জান খান ও একজন ভাড়াটে শিকারি।
নীল গাই ধরতে ফাঁদ পেতেছে ওরা।
শিকারে বের হয়েছে দুটি চিতাবাঘও।
গভীর রাতে নীল গাইয়ের দল ফসল খেতে মাঠে নামতেই শুরু হলো ত্রিমুখী সংঘর্ষ।
গুলিতে প্রাণ গেলো চিতাবাঘ দুটোর।
আহত অবস্থায় ধরা পড়লো হিমেল নামের ছোট একটা নীল গাই।
শেষ পর্যন্ত কি হবে হিমেলের?
শওকত আলীর কিশোর উপন্যাস 'নীল পাহাড়ের গান।'
বইটি পড়ে জানতে পারো তোমরা।
এই বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী হাশেম খান।
প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।
নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়
গরমের ছুটিতে ঘরবন্দি আবীর।
সঙ্গে আছে আমেরিকা থেকে আসা চাচাতো ভাই-বন্ধু বাবু।
ঘরে বসে 'হাকলবেরী ফিন' পড়ে অ্যাডভেঞ্চারের গোপন ইচ্ছে মনে।
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো ঠিক সে সময় কক্সবাজার নেলী খালার চিঠি।
বিদেশ থেকে ফিরে নেলী খালা ঠিক করেছেন চাকরী নয় ব্যবসা করবেন।
কক্সবাজারের বাড়ি বিক্রি করে কক্সবাজার থেকে ৩০ মাইল দূরে সমুদ্রতীরে নুলিয়াছড়িতে পুরোনো একটা বাড়ি কিনেছেন অবকাশ যাপনকেন্দ্র বানাতে।
আবীরকে বেড়াতে যেতে চিঠি লিখেছেন খালা।
ট্রেনে চেপে চট্টগ্রাম।
তারপর খালার গাড়িতে কক্সবাজার।
সঙ্গে খালার দুজন ছোট্ট গেষ্ট।
লালি আর টুনি।
দূর্গের মতো পুরোনো বাড়িতে পৌঁছে খালা বললেন, সোনার খনির কথা।
বাড়ির অদূরে পাহাড়ি সোনাবালি নদীর বালিতে সোনার গুড়োর সন্ধান পেয়েছেন খালা।
কাছে কোথাও নিশ্চয় খনি আছে।
জিওলজিকেল সর্ভের অফিসে যোগাযোগ করেছেন খালা।
ওরা আসবে কয়েকদিনের মধ্যে।
পরিচয় হলো খালার বন্ধু মেজর জাহেদের সঙ্গে।
বর্ডারে স্মাগলার ধরতে গোপন আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বে আছেন তিনি।
এরই মধ্যে খালার অবকাশযাপন কেন্দ্রে অতিথি হয়ে এলো দুজন।
ফতে আর গোবর্ধন।
রহস্যময় সন্দেহজনক আচরণ দুজনের।
তাদের গতিবিধি গোপনে লক্ষ্য রাখলো আবীর, বাবু, লালি, টুনি, আর খালার পোষা কুকুর।
আন্নাকালী পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পরিচয় হলো স্থানীয় দানবীর, পাহাড়ের মালিক নিকুন্জ পাকশীর সঙ্গে।
একদিন রাতে ফতে আর গোবর্ধনের পিছু নিলো আবীর এবং বাবু।
গহীন জঙ্গল আর পাহাড়।
গাছের গায়ে কঙ্কালের মাথার খুলি আঁকা।
হাঁটতে হাঁটতে তারা এসে পৌঁছলো সাগরঘেষা একটা সুড়ঙ্গের মুখে।
দেখলো, সাগরপথে নৌকাযোগে স্বর্ণ চোরাচালানের দৃশ্য।
সামনে এগুতেই ধরা পড়লো বাবু এবং আবীর।
কি হবে এখন?
মেজর জাহেদ, নেলী খালা, লালি, টুনি আর স্ক্যাটরা মিলে কিভাবে উদ্ধার করবে বাবু আর আবীরকে?
স্বর্ণ চেরাকারবারী কারা?
কিভাবে ধরা পড়লো ওরা?
জানতে হলে পড়তে হবে শাহরিয়ার কবিরের রহস্যময় উপন্যাস 'নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়'।
বইটি প্রকাশ করেছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা।
প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেছেন হাশেম খান।
বইগুলো চাইলে অনলাইন থেকেও সংগ্রহ করতে পারবে।
পড়ে জানিও আমাদের, কেমন লাগলো...
শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য