দুনিয়ায় মোট কয় প্রজাতির কাঁকড়া আছে, জানো? সাড়ে চার হাজার প্রজাতিরও বেশি!
ভাবা যায়?
কাঁকড়া ১০ পায়ের প্রাণী।
মানে, ওদের ১০টি পা! এর মধ্যে সামনের দুটি পায়ে শক্তি থাকে বেশি। পা দুটির নখের জায়গাটি অনেকটা চিমটার মতো!
কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে কিংবা কোনো কিছুকে থাবা দিতে তারা সামনের পা দুটি ব্যবহার করে।
তুমি-আমি-আমরা কাঁকড়ার এই দুটি পাকেই বেশি ভয় পাই। কেন ভয় পাই?
যারা কাঁকড়ার চিমটি খেয়েছো, তারা সেটা ভালোই জানো।
তাই না?
কাঁকড়ার ইংরেজি নাম যে ‘ক্র্যাব’ সে কথা তো তোমরা অনেকেই জানো।
জানো কী, নামের আগে ‘ক্র্যাব’ থাকলেই সব প্রাণী কিন্তু কাঁকড়া গোত্রের হয় না।
যেমন ধরো, হারমিট ক্র্যাব, কিং ক্র্যাব কিংবা হর্সশো ক্র্যাব এগুলো সত্যিকারের কাঁকড়া নয়।
বুঝলে?
কিছু কিছু কাঁকড়া সামনের বা পেছনের দিকে চলতে পারে; তবে ওরা সাধারণত একপেশে হয়ে চলতেই বেশি পছন্দ করে।
জলের প্রাণী হলেও সব কাঁকড়া যে সাঁতার জানে, তা কিন্তু নয়। তবে কিছু কিছু কাঁকড়া সাঁতারে বেশ পটু।
তুমি-আমি কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তো সাধারণত তার নাম ধরে ডাক দিই, তাই না?
কাঁকড়ারা একে অন্যের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে, জানো?
ওই যে, সামনের পা দুটির ডগায় থাকা চিমটা? সেটি দিয়ে শব্দ করে।
ভয়ঙ্কর চিমটার জন্য কাঁকড়াকে খুব ঝগড়াটে প্রাণী বলেই মনে হয়, তাই না?
হুম, তা ঠিক! কাঁকড়া খানিকটা ঝগড়াটে বটে!
তবে শুধু পুরুষ কাঁকড়াই ঝগড়াটে, নারী কাঁকড়া নয়।
বরং পুরুষ কাঁকড়াগুলো ঝগড়া করলে নারী কাঁকড়া বুদ্ধি করে গর্তে লুকিয়ে পড়ে!
চলো এবার জানি কাঁকড়ার আকারের কথা।
সবচেয়ে ছোট প্রজাতির একেকটি কাঁকড়া মাত্র কয়েক মিলিমিটার লম্বা হয়।
ওদের নাম, পি ক্র্যাব। খুব পুচকে, তাই না?
আর সবচেয়ে বড়গুলো?
জাপানিজ স্পইডার ক্র্যাব নামে পরিচিত এই কাঁকড়াগুলো পা ছড়ালে, আকারে প্রায় ১৩ মিটারের মতো হয়।
ভাবতে পারো, কত্তো বড়!
মাংস ও উদ্ভিদ- দু’ধরনের খাবারই খায় কাঁকড়া।
তবে জলজ উদ্ভিদ বা শেওলা খেতেই কাঁকড়ারা বেশি পছন্দ করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াও খেতে ভালোবাসে ওরা।
কাঁকড়ার মাথার শক্ত খুলিটি বাইরের দিকে থাকে।
ওদের খুলি এতো শক্ত হয় কেন জানো?
এই খুলিটি ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে তৈরি। এ জন্যই এত শক্ত!
এমনিতে জলের প্রাণী হলেও, সুযোগ পেলেই রোদ পোহাতে মাটিতে উঠে আসে কাঁকড়া।
সেজন্যই তো নদীর তীরে, পুকুর পাড়ে, কিংবা সমুদ্র সৈকতে কাঁকড়াদের দলবেঁধে ঘুরতে দেখি।
পৃথিবীর সব সমুদ্র ও মহাসমুদ্রে নানা জাতির কাঁকড়ার বিচরণ। আবার নদীতে বা পুকুরেও ওদের দেখা মেলে।
তবে ওরা কিন্তু পরিষ্কার পানিতে থাকতেই বেশি পছন্দ করে।
তুমি কোথায় প্রথম দেখেছো কাঁকড়া?
জানাও আমাদের সেই অভিজ্ঞতার কথা।