× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Why did Iran explode like this after Mahsas death?
google_news print-icon

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান

মাহসার-মৃত্যুতে-কেন-এভাবে-বিস্ফোরিত-ইরান-
ইরানজুড়ে বিক্ষুব্ধদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন মাহসা আমিনি। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের কট্টরপন্থি শাসকদের প্রতি ক্ষোভের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অর্থনীতি, দুর্নীতি ও সামাজিক বিধিনিষেধ নিয়ে ব্যাপক হতাশা এই অস্থিরতার সঙ্গে মিশে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পেটাচ্ছেন।

ইরানে ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তুমুল বিক্ষোভ।

রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮০টি শহর এখন অগ্নিগর্ভ। পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি।

১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে নারীর পোশাক ইস্যুতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ওই বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশটির ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। ছবি: সংগৃহীত

নারীর জন্য কঠোর পোশাকবিধি দেখভালের দায়িত্বে আছে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ ইউনিট, ফারসি ভাষায় যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘গাস্ত-ই এরশাদ’। নিবর্তনমূলক ভূমিকার কারণে এই ইউনিট দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত অজনপ্রিয়। মাহসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশ’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। পাশাপাশি দেশটির শাসকগোষ্ঠীর প্রতিও বিপুলসংখ্যক মানুষের অনাস্থার প্রকাশ ঘটেছে এবার।

বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি কারণ বিশ্লেষণ করেছেন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক গোলনার মোতিভেলি। তার প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।


১. বিক্ষোভের কারণ কী?

তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু। ১৬ সেপ্টেম্বর এ খবর প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার তথ্য অনুসারে, মাহসা কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ভ্রমণে এসেছিলেন।

গাস্ত-ই এরশাদ-এর একটি দল তাকে আটকের সময় দাবি করে, মাহসার পোশাক ‘সঠিক নয়’। সংস্কারপন্থি শার্গ সংবাদপত্রের বিবরণ অনুসারে, মাহসার ভাই এ সময় পুলিশের কাছে তার বোনকে সতর্ক করে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তবে পুলিশ তা কানে নেয়নি। মাহসাকে একটি মিনিভ্যানে জোর করে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তার মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, মাহসা একটি চেয়ারে বসা ও সেখান থেকে মেঝেতে পড়ে যাচ্ছেন। তেহরানের পুলিশ বাহিনী বলেছে, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তবে পরিবারের দাবি, মাহসার আগে কোনো শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল না এবং কর্তৃপক্ষ তাকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

২. ক্ষোভ কতটা তীব্র?

ইরানের বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। তারকা, রাজনীতিক ও খেলোয়াড়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে পুলিশের নিন্দার পাশাপাশি গাস্ত-ই এরশাদ-এর সমালোচনা করেছেন। তরুণীরা মাসহার প্রতি সংহতি জানাতে তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলেছেন ও পুড়িয়ে দিচ্ছেন।

ইরানের কট্টরপন্থি শাসকদের প্রতি ক্ষোভের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অর্থনীতি, দুর্নীতি ও সামাজিক বিধিনিষেধ নিয়ে ব্যাপক হতাশা এই অস্থিরতার সঙ্গে মিশে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পেটাচ্ছেন।

৩. বিক্ষোভকারীদের দাবি কী?

বিক্ষোভকারীরা ৯ বছর বয়স থেকে সব নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হিজাবের আইনকে বদলাতে চান। এই পোশাকবিধি অনুযায়ী নারীদের জনসমক্ষে চুল সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে হয় এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়।

এ আইন ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর কার্যকর হয়। ওই বছর নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি পশ্চিমপন্থি শাহকে হটিয়ে ইরানের ক্ষমতায় বসেন। তবে তার সরকার দ্রুত দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও বিপ্লবী নারী কর্মীদের মধ্যে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে অসংখ্য পুরুষও যোগ দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর ধরে নারীরা ধীরে ধীরে অনুমোদনযোগ্য পোশাকের সীমানা বাড়িয়েছেন। খোলা ও লেগিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা শাল ও পোশাক বেশিরভাগ শহরে সাধারণ পোশাক হয়ে উঠেছে। মাহসাকে যখন আটক করা হয় তার পরনেও ছিল তেমন একটি পোশাক।

৪. হিজাব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কি এই প্রথম?

১৯৭০ দশকের শেষে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই পোশাকবিধির বিরোধিতা দেশটির কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সুশীল সমাজের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। তবে ২০১৭ সালের শেষের দিকে তেহরানের পাবলিক ইলেকট্রিকাল কেবিনেট ও বেঞ্চে বেশ কয়েকজন নারী তাদের মাথার স্কার্ফ খুলে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পর থেকে ভিন্নমত আরও জোরালো হয়।

তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশকে আগ্রাসীভাবে তাদের মাটিতেও ঠেসে ধরে রাখতেও দেখা গেছে। ওই বছরের আগস্টে সেপিদেহ রাশনো নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাশনো এক ধার্মিক, চাদরে ঢাকা ব্যক্তির সঙ্গে তর্ক করছিলেন, যিনি এক তরুণীকে তার পোশাকের জন্য হয়রানি করছিলেন।

এ দৃশ্য জাতীয় টিলিভিশনে প্রচার হওয়ার পর রাশনোকে টিভিতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। রাশনোর চেহারা ছিল ফোলা ও তাকে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল।

৫. কর্তৃপক্ষ কীভাবে জবাব দিয়েছে?

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সহজাত প্রবৃত্তি হলো, অনুমোদনহীন জমায়েতকে বেআইনি দাবি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে দাঙ্গা পুলিশ সাধারণত লাঠি ব্যবহার করে বা শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।

সাদা পোশাকধারী, স্বেচ্ছাসেবী মিলিশিয়ারাও বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করে এবং পরে তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করার জন্য প্রায়ই ছবি তুলে রাখে। তবে মাহসাকে নিয়ে বিক্ষোভের মাত্রা কিছুটা ভিন্ন।

ইরানি পার্লামেন্টের প্রধান (একজন কট্টরপন্থী ও সাবেক পুলিশ কমান্ডার, যিনি ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে বিক্ষোভকারীদের মারধর করার জন্য অভিযুক্ত) গাস্ত-ই এরশাদ আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মাহসার বাবা-মাকে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভের সময় হিজাব খুলে পুড়িয়ে দিচ্ছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

৬. আগের প্রতিবাদগুলো কী নিয়ে ছিল?

সরকারের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট। ওই বছর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের পুনর্নিবাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ওই বিক্ষোভ হয়। রাজনৈতিক ইস্যুতে তেহরানে একের পর এক সমাবেশ ও মিছিল হতে থাকে এবং তাতে যোগ দেন লাখ লাখ মধ্যবিত্ত ইরানি।

এই বিক্ষোব দমনে বহু মানুষকে হত্যা করা হয় ও শতাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। ইন্টারনেট ব্যবহারে দেয়া হয় বিধিনিষেধ। তবে এরপরও বিক্ষোভ চলমান ছিল:

  • মে, ২০২২: দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে একটি ১০ ​​তলা ভবন ধসে পড়ার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটির অনুমতি দিয়েছিলেন এক সরকারি কর্মকর্তা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হন।

    জানুয়ারি, ২০২০: ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ভুল করে একটি যাত্রীবাহি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এতে বিমানের ১৭৬ আরোহী মারা যান। নিরাপত্তা সংস্থার অদক্ষতা ও রাষ্ট্রের দোষ লুকানোর প্রচেষ্টায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে।

  • নভেম্বর, ২০১৯: জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে থাকা সরকার হঠাৎ করেই পেট্রলের দাম বাড়িয়ে দেয়। ইরানিরা সে সময় আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল। বিক্ষোভকে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে।

  • ২০১৭ সালের শেষদিক: অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় হতাশা প্রকাশ করতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে।

  • তেল সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে আরবদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা পারস্য ইরানে সংখ্যালঘু। খুজেস্তানে চলমান দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়মিত বিষয়। নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো ক্রমাগত দমন করছে।

৭. ইরানে বিরোধীদের অবস্থান কেমন?

ইরানে কোনো সংগঠিত বিরোধী দল নাই। মানুষ ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্বের সমালোচনা করে। তবে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াতে তার প্রতিফলন ঘটে খুবই কম। ইরানে একমাত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধকে সমর্থন করা রাজনৈতিক দলগুলোই কাজ করতে পারে।

ধর্মনিরপেক্ষ, কমিউনিস্ট ও ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের প্রচারক দল সেখানে নিষিদ্ধ। ইরানের রাজনীতিবিদদের মোটামুটিভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

চরম রক্ষণশীল: যেমন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, মধ্যপন্থি বা বাস্তববাদি রক্ষণশীল: যেমন সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বা আলি লারিজানি। আর রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির মতো সংস্কারপন্থি।

সংস্কারপন্থিরা বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থাটি আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। তবে চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তি বাতিল এবং ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে তাদের জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব কমেছে।

৯. বর্তমান ব্যবস্থার রক্ষাকবচ কী?

খামেনি ইরানের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী শাখা ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এটি তার অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে।

অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র নীতিসহ রাষ্ট্রের সমস্ত বড় সিদ্ধান্তের পিছনে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব খামেনির। তিনি বেশ কয়েকটি বড় ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের ডি ফ্যাক্টো প্রধান। এ ফাউন্ডেশনগুলো দেশের কিছু বৃহত্তম সংগঠন ও পেনশন তহবিল পরিচালনা করে।

সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক প্রভাবের এই একত্রীকরণ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে রাজনীতিতে একটি শক্ত দখল বজায় রাখতে সাহায্য করছে। ইরানের সমস্ত প্রধান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম থেকে বিচার বিভাগ- সবই সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত বা রাজনৈতিকভাবে তার সঙ্গে সংযুক্ত।

গত বছরের রাইসির নির্বাচনের পর থেকে ইরানের রাষ্ট্র ও সরকারের সমস্ত কিছু কট্টরপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা ইসলামিক মতাদর্শকে কঠোরভাবে রক্ষা করছে।

আরও পড়ুন:
মাহসা আমিনির ২৩তম জন্মদিনে কবরে ফুল আর কেক
উত্তাল ইরানের এক শহর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতছাড়া
ইরানে পোশাকের স্বাধীনতার বিক্ষোভে মৃত্যু বেড়ে ৫০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
A Bangladeshi youth was killed by police in the United States

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
81 Palestinians were killed in 24 hours of Israeli attacks in Gaza

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১ গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় আক্রমণ থেমে নেই। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জনেরও বেশি।

গাজায় এসব হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।

প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি পরিবারের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে প্যালেস্টাইনের বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে রাফাহ শহরের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নয় শিশুসহ ১৮ জন নিহত হন।

এ ছাড়া রাফাহ শহরের উত্তর-পূর্বে নাসর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র গোলাবর্ষণেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ছয় মাসের টানা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্ত্যুচ্যুত ১৪ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে শরণার্থী হিসেবে রাফাহতে অবস্থান করছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি, রাফাহসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘ভ্রান্তিমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন, বন্দিদের মুক্তি ও হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
গাজার শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে তীব্র অপুষ্টি: জাতিসংঘ
যুদ্ধ শুরুর পর ত্রাণবাহী প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Radical Islamists behind Moscow attack Putin

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন সন্ত্রাসীদের হামলায় জ্বলছে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল (বাঁয়ে); রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে। তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে হামলায় ‘উগ্র ইসলামপন্থিদের’ হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই নৃশংসতার পেছনে ইউক্রেনের হাত থাকতে পারে।

শুক্রবার ওই হামলার ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি এমনটা বলেছেন। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করা আইএস-এর কথা উল্লেখ করেননি পুতিন।

শুক্রবারের ওই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা ক্রোকাস সিটি হলে ঢুকে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়। হামলায় ১৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৯৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

টেলিভিশনে সোমবার সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে, যাদের আদর্শের বিরুদ্ধে শত শত বছর ধরে লড়াই করছে মুসলিম বিশ্ব।’

পুতিন বলেন, ‘তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- অপরাধ করার পর সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকবার বলেছে যে, তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং আইএসআইএল-অনুমোদিত মিডিয়া চ্যানেলগুলো হামলার সময় বন্দুকধারীদের গ্রাফিক ভিডিও প্রকাশ করেছে।

আইএস হামলার দায় স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাদের দাবির পক্ষে সাফাই গায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, এর জন্য আইএসআইএল নামে একটি সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে।’

এর আগে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের রাশিয়ায় তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান।

এই হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭ মার্চ মস্কোকে সতর্ক করেছিল বলে যে খবর বেরিয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য গোপনীয়।’

আরও পড়ুন:
মস্কোয় হামলার ঘটনায় যা বললেন পুতিন
মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Greetings from the Prime Minister of Russia on Independence Day

স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কোলাজ: নিউজবাংলা
রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশি জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মিখাইল মিশুস্টিন বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী এবং উভয়ের স্বার্থরক্ষা হবে।’

রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশি জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In the United States many casualties are feared due to the impact of the ship on the bridge in the river

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা ছবি: আলজাজিরা
স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর ওপর থাকা অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে এর একাংশ পানিতে ধসে পড়ে।

জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরের প্যাটাপস্কো নদীর ওপর নির্মিত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতু। এ ঘটনায় বহু হতাহতের শঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর ওপর থাকা অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে এর একাংশ পানিতে ধসে পড়ে।

এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট।

প্রাথমিক বিবৃতিতে মেরিল্যান্ড পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ) জানিয়েছে, ‘আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের ওপর নির্মিত আই-৬৯৫ কি ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। তাই প্যাটাপস্কো নদীর সংযোগ সড়ক এড়িয়ে চলতে চালকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।’

শুরুতে তারা জানায়, ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুতে একটি দুর্ঘটনার কারণে আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাল্টিমোর মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

বাল্টিমোর ফায়ার বিভাগের কমিউনিকেশন পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সাতজন পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে জরুরি নম্বরে কল আসে। এতে বলা হয় বাল্টিমোর সেতুতে বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কা দেয়ায় এক কলাম ভেঙে সেতুটি ধসে পড়েছে। ওই সময় সেতুটিতে একাধিক যানবাহন ছিল।

কার্টরাইট বলেন, ‘আমরা এখন ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কতজন মানুষ পানিতে পড়ে গেছে সে সম্পর্কে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Debt of crores after losing bet in IPL suicide of wife

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা ছবি: এনডিটিভি
জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।

তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।

যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।

তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে