ব্লুমবার্গের সার্বভৌম ঋণ দুর্বলতা র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান এখন ৪ নম্বরে। এটি একটি দেশের ডিফল্ট ঝুঁকির যৌগিক পরিমাপ। পাকিস্তানের ঋণ জিডিপির ৭১ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান কি সামনে শ্রীলঙ্কা হবে? হংকংয়ের সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত নিবন্ধ ভাষান্তর করেছেন সারোয়ার প্রতীক।
যদিও উদ্বেগজনক অর্থনীতি পাকিস্তানের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ভগ্ন রাজনৈতিক পরিবেশ সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক এজেন্ডার মূল বিষয়, তা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠোর শর্তে নির্দেশিত হলেও।
একটি জোট সরকার বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যসহ অন্তত এক ডজন বিরোধী দল নিয়ে গঠিত। পার্লামেন্টে তারা সামান্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভোগ করে, যেখানে তারা ভয়ংকর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত।
একটি দুর্বল সরকার কি সম্ভাব্য খেলাপি ঋণের তরঙ্গের মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে? সুতরাং পাকিস্তানের প্রকৃত ডিফল্ট ঝুঁকি অর্থনৈতিক ফ্রন্টের পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই বেশি।
শ্রীলঙ্কা এপ্রিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয়েছে, তা শিক্ষামূলক। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিক্ষোভকারীদের তোলা ঝড় অর্থনৈতিক মন্দা থামাতে সরকারের ব্যর্থতার সঙ্গে জনসাধারণের হতাশাকে প্রতিফলিত করেছে; যা জ্বালানি, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতি সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানেও একই দশা। দেশটির ঋণের বোঝা বাড়ছে। ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে; চলতি হিসাবের ঘাটতি বাড়ছে এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে জ্বালানি ও পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে দেশটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং গভীরতর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হবে।
মার্চের শেষে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ও দায় বেড়েছে ১২৮ বিলিয়ন ডলার। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণ পরিষেবার জন্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের ২১ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে ইসলামাবাদকে।
আইএফএমের সঙ্গে ১৩ জুলাই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অর্থনৈতিক চুক্তি দেশটির জন্য একটি জীবনরেখা প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার পূর্বসূরির হাতে কার্যকর জ্বালানি ভর্তুকি ফিরিয়ে দিয়ে উল্লেখযোগ্য হারে দাম বাড়িয়েছিলেন। এপ্রিলে যখন খান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তখন পেট্রলের দাম ছিল লিটারপ্রতি প্রায় ১৫০ টাকা; এটি এখন ২৫০-এর কাছাকাছি।
উল্লেখযোগ্য এই বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পরিবহন খাতে। এতে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য খাবারের দাম বেড়েছে। পাকিস্তানিরা ২১ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির নিচে অবস্থান করছে এবং পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ঘন ঘন বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউটের শিকার হচ্ছে।
সরকার আইএমএফের নির্দেশে অর্থনীতি পরিচালনা করছে। তবে আগামী বছরের আগস্টে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘অজনপ্রিয়’ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। দারিদ্র্য, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ব্যাপক মূল্যস্ফীতির মধ্যে থাকা মানুষ ক্রমেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
এ পরিস্থিতি ইমরান খানকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে রাখছে। তারা দাবি করছে, সরকার দরিদ্রদের কথা চিন্তা না করেই আইএমএফের দাবিগুলো নিঃশব্দে মেনে নিচ্ছে। সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ এবং আমদানি করা’ আখ্যা দিয়ে তিনি নতুন নির্বাচনের দাবি করছেন।
ইমরান খানকে গত ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ করা হয়েছিল। তবুও তিনি দাবি করেন, এটি বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ; যা যুক্তরাষ্ট্র তার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ওপর নির্ভরশীল সরকারকে পতনের জন্য তৈরি করেছিল। এখনও জনসভায় বিদেশি ষড়যন্ত্রের বর্ণনা দিচ্ছেন ইমরান খান।
ইমরান খানের দাবির বিরোধিতা করে ১২টির বেশি রাজনৈতিক দল (ছোট এবং মূলধারা উভয়ই) নিরাপত্তা সংস্থায় যোগ দিয়েছে। তবুও জনগণ তার (ইমরান খান) অভিযোগ বিশ্বাস করছে, ‘আমদানি করা’ সরকার আসলে কী করছে, তা দেখছে না।
শিগগিরই নতুন নির্বাচন ঘোষণা না হলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে হাজার হাজার লোকের পদযাত্রার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। আর এই ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে পাকিস্তানের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা খুব প্রয়োজনীয় বহুপাক্ষিক সহায়তা আটকে রাখতে পারে, সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। রাজনীতি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব কর্মসূচিকে জিম্মি করবে, কারণ শ্রীলঙ্কার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঋণখেলাপি হওয়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:আবগারি শুল্কনীতি-সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়ার বাসাসহ ২১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে রাজধানী শহরে এ তল্লাশি চালানো হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি আবগারি শুল্কনীতি বিভাগের ইনচার্জ ও উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া বলেন, ‘আমরা সিবিআইকে স্বাগত জানাই। অনুসন্ধানে পূর্ণ সহায়তা করব, যাতে করে সত্য দ্রুতই প্রকাশ পায়।
‘এখন পর্যন্ত আমার নামে অনেক মামলা হয়েছে, তবে কিছুই বের হয়নি। এটাতেও (তল্লাশি) কিছু বের হবে না। দেশের সুশিক্ষার জন্য আমার কাজ বন্ধ করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের দেশে যারা ভালো কাজ করেন, তাদের এভাবে হেনস্তা করা হয়। এ কারণে আমাদের দেশে এক নম্বর হতে পারেনি।’
মনীষ সিসোদিয়ার বাড়িতে এমন সময়ে অভিযান চালানো হলো যখন দিল্লির স্কুলগুলো ঢেলে সাজানোয় আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে তাদের আন্তর্জাতিক সংস্করণে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও এএপির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সিবিআইয়ের তল্লাশিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে পূর্ণ সহায়তা করা হবে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘যেদিন দিল্লির শিক্ষার মডেল প্রশংসা পেয়েছে এবং আমেরিকার সর্ববৃহৎ সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় মনীষ সিসোদিয়ার ছবি ছাপা হয়েছে, সেদিন কেন্দ্রীয় সরকার তার বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়েছে।’
আরও পড়ুন:গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) হেফাজতে আছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
সুকন্যার বিপুল সম্পদের উৎস জানতে বুধবার ৪ সদস্যের সিবিআই টিম হানা দিয়েছিল বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতে। দলে একজন নারী তদন্তকারীও ছিলেন। তারা সরাসরি বাড়ির দোতালায় উঠে যান।
সুকন্যার নামে একাধিক সম্পত্তি, কোম্পানি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি দেখিয়ে তদন্তকারীরা জানতে চান তার উৎস। পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যা সব শুনে নিশ্চুপ থাকেন। এক পর্যায়ে কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন, মা মারা গেছেন। বাবা সিবিআই হেফাজতে। এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত মানসিক পরিস্থিতি তার নেই।
মানবিক ইস্যু সামনে আসায় মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তদন্তকারী দল কেষ্ট মন্ডলের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এর আগে ‘অসুস্থতার’ অজুহাত তুলে ৯ বার সিবিআই নোটিশ এড়িয়ে যান কেষ্ট। দশমবারে তাকে সুযোগ না দিয়ে সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে।
কেষ্টকে গ্রেপ্তারের পর পরই সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। তিনিও জেরা এড়াতে বাবার পথে হাটেন মানসিক কষ্টের কথা জানিয়ে।
তদন্ত সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, এএনএম অ্যাগ্রোচেন ফুডস এবং নীড় ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ও তার স্বজনদের নামে। কয়েক কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে।
এদিকে সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে শিক্ষকতা পেশায় তার নিয়োগ বিষয়ে। টেট পাশ না করেই তিনি পেশায় যোগ দেন এবং প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে অবৈধভাবে বেতন তোলেন। তার জন্য হাজিরা খাতা বাড়িতে আনা হতো বলেও অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার তাকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সুকন্যা সেখানে গেলে অবশ্য বিচারক তাকে চলমান মামলায় হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টকে রাখা হয়েছে কলকাতার নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই গেস্ট রুমে। সেখানেই তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সাতটি গ্রামের শত শত বাসিন্দা পিঁপড়ার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তারা বলছেন, পিঁপড়ার দল তাদের গবাদিপশুকে আক্রমণ করছে। তাদের ফসলি জমি, তাদের ঘরবাড়ি কিছুই উপদ্রব থেকে বাদ পড়ছে না।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার অনুসারে, হলুদ পিঁপড়া বা ইয়েলো ক্রেজি অ্যান্ট বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এই প্রজাতির পিঁপড়া কামড় দেয় না। তবে তারা এক ধরনের ফরমিক অ্যাসিড ছোড়ে, যা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এই পিঁপড়ার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানোপ্লোলেপিস গ্র্যাসিলিপস। এদের বাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে। তারা অনিয়মিত, সমন্বয়হীনভাবে চলাফেরা করে। তবে চলাফেরার সময় তারা কোনো বাধা পেলে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রজাতির পিঁপড়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। তারা দেশীয় বন্য প্রাণীর প্রচুর ক্ষতি করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার অনেক অংশে এই পিঁপড়ার উপদ্রবের খবর পাওয়া গেছে।
ড. প্রণয় বৈদ্য একজন কীটবিজ্ঞানী। তিনি হলুদ পিঁপড়ার ওপর অনেক গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রজাতির পিঁপড়া সুবিধাবাদী।
কোনো একটা খাবার তারা বেশি পছন্দ করে এমনটি নয়। তারা সবকিছুই খায়। এই হলুদ পিঁপড়ারা অন্য প্রজাতির পিঁপড়া, মৌমাছি কোনো কিছু খেতেই বাদ রাখে না।
তামিলনাড়ুর ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো ডিন্ডিগুল জেলার কারান্থামালাই বনের চারপাশে একটি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত। এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিকাজ করেন অথবা গবাদিপশুর মালিক।
তামিলনাড়ুর সেলভাম নামের এক কৃষক বলেছেন, হলুদ পিঁপড়ার উপদ্রবে তারা বনের কাছাকাছি কাজ করতে পারছেন না।
৫৫ বছর বয়সী সেলভাম বলেন, ‘বনের কাছাকাছি গেলেই পিঁপড়া আমাদের গা বেয়ে উঠতে শুরু করে। আমরা খাবার তো দূরের কথা, পানি পর্যন্ত সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি না। পিঁপড়া পানির পাত্রের মধ্যে গিয়েও বসে থাকে। আমরা জানি না এই উপদ্রব থেকে কীভাবে মুক্তি পাব।’
গ্রামবাসী জানান, তারা কয়েক বছর ধরে আশপাশের জঙ্গলে এই পিঁপড়া দেখছেন। কিন্তু সম্প্রতি গ্রামের মধ্যেও তাদের উপদ্রব বেড়েছে। পিঁপড়ার দল তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
বনের আশপাশে বসবাসকারী গবাদিপশু পালকরা বলছেন, উপদ্রবের কারণে তারা সেসব স্থান ছেড়েছেন।
নাগাম্মল নামের এক বাসিন্দা ছাগল পোষেণ। তার খামারের ছাগলগুলোকে পিঁপড়ার দল আক্রমণ করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে এই পিঁপড়ার দল হানা দিয়েছিল। তাই আমি গ্রামে চলে এসেছি। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তাদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছেই।’
স্থানীয় বন কর্মকর্তা প্রভু বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে কথা বলতে পারব।’
ডা. সিঙ্গামুথু একজন সরকারি পশু চিকিৎসক। তিনি বলেছেন, পিঁপড়াগুলো সাধারণ পিঁপড়ার মতোই দেখতে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না কেন পিঁপড়ার সংখ্যা এত পরিমাণে বাড়ছে। তাদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব সেটিও বুঝতে পারছি না। গ্রামবাসীকে আপাতত বনে গবাদিপশু চড়াতে মানা করা হয়েছে।’
গ্রামবাসীর অভিযোগ, পিঁপড়ার আক্রমণে শুধু গবাদিপশু নয়, ইতোমধ্যে সাপ এবং খরগোশও মারা গেছে।
কীটবিজ্ঞানী ড. প্রণয় বৈদ্য বলেছেন, শত শত পিঁপড়া যে ফরমিক অ্যাসিড ছুড়ে দেয় তা প্রাণীর চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে তারা বিশেষভাবে চোখকে লক্ষ্য করে কি না তা রেকর্ড করা হয়নি। এই অ্যাসিড মানুষের দেহে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তবে এটি প্রাণঘাতী না-ও হতে পারে।
পোকামাকড়ের এই বিস্তার অঞ্চলটির পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. বৈদ্য জানান, এই পিঁপড়াগুলো প্রথম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপে আক্রমণ করে। তারা প্রথম সেখানকার স্থানীয় পিঁপড়াদের আক্রমণ করে এবং তাদের খাদ্যের উৎস দখল করে নেয়। স্থানীয় পিঁপড়াদের স্থানচ্যুত করে। সেই সঙ্গে দ্বীপের লাখ লাখ লাল কাঁকড়াকে অন্ধ করে মেরে ফেলে।
ড. প্রিয়দর্শন ধর্মরাজন একজন কীটতত্ত্ববিদ। তিনি বলেছেন, এই পিঁপড়ার ফসলের রসচোষক ক্ষুদ্র এক ধরনের পোকা এফিডের সঙ্গে সহজীবী সম্পর্ক রয়েছে। এফিড রস চুষে ফসলের ক্ষতি করে।
ধর্মরাজন বলেছেন, ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পিঁপড়ার আক্রমণ এখন আরও বাড়তে পারে। কারণ যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন তাদের হজমক্ষমতা বাড়ে। যার ফলে তারা আরও বেশি খায়। এটি একটি কারণ হতে পারে।
তবে তিনি এও বলেছেন, এটি ধারণামাত্র। এ ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য আমরা পাইনি। আমাদের সংক্রমণের এলাকার আবহাওয়ার ধরন সম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এটি বিশ্লেষণ করতে হবে। তারপরই নিশ্চিত করে বলা যাবে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার মাগরিবের নামাজ চলাকালে এ হামলা হয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কাবুলে হাসপাতাল পরিচালনাকারী ইতালির বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ইমার্জেন্সি জানিয়েছে, তারা আহত ২৭ জনের চিকিৎসা দিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু রয়েছে।
আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়।
তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিস্ফোরণে হতাহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, তবে কতজন নিহত বা আহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করেননি তিনি।
তিনি এক টুইটবার্তায় বলেন, বেসামরিক লোকজনের হত্যাকারী ও অপরাধীদের শিগগিরই শাস্তি দেয়া হবে।
আফগান পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে একাধিক মৃত্যু হয়েছে, তবে কতজন মারা গেছে, তা জানায়নি বাহিনীটি।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘মসজিদে বিস্ফোরণ হয়েছে…বিস্ফোরণে একাধিক মৃত্যু হয়েছে, তবে কতজন মারা গেছে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমার থেকে ঢোকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিয়ে ভারতের দুই মন্ত্রণালয় থেকে দুই তথ্য এসেছে। এক মন্ত্রণালয় বলছে, ফ্ল্যাটে রাখা হবে তাদের। আরেক মন্ত্রণালয় বলছে, এই রোহিঙ্গাদের নেয়া হবে ‘বন্দিশালায়’।
সরকারের দুই মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের ভাগ্য নিয়ে সংকটময় অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে বুধবার জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
চেকপোস্টে হামলার অভিযোগ এনে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই বছরের ২৫ আগস্ট টেকনাফ এবং উখিয়া সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। একের পর এক রোহিঙ্গা মুসলিম ঢুকতে থাকে বাংলাদেশে।
সে সময় এবং তার আগে-পরে কিছু রোহিঙ্গা গেছে ভারতেও। এই সংখ্যা সব মিলিয়ে ১৭ হাজারের মতো। আর শুধু নয়াদিল্লিতে আছে ১ হাজার ১০০-এর মতো রোহিঙ্গা। এ রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা দেয়া নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়।
রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানিয়ে বুধবার প্রথমে একটি টুইট করেন ভারতের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। তিনি লিখেছেন, ভারতে এসে যে শরণার্থীরা আশ্রয় চান, সরকার তাদের স্বাগত জানায়। শরণার্থীদের নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের।
মন্ত্রী লেখেন, সেখানে বসবাসের মৌলিক সব সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করবে।
এই টুইটের কিছু সময় পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিয়ে অন্য তথ্য দেয়া হয়। আবাসন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের বিপরীত অবস্থান দেখা যায় এতে।
রোহিঙ্গাদের অবৈধ বিদেশি আখ্যা দিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রণালয়ের টুইট বলা হয়, বন্দিশালায় রেখে পরে আইন অনুযায়ী এসব রোহিঙ্গার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টুইটে লেখা হয়েছে, অবৈধ বিদেশি রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, নয়াদিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় ফ্ল্য়াট অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো নির্দেশ দেয়নি।
পরে আরেক টুইটবার্তায় বলা হয়, দিল্লি সরকার রোহিঙ্গাদের নতুন স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমান স্থানেই অবৈধ বিদেশি রোহিঙ্গাদের রাখতে বলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন:ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘খেলা হবে’ দিবসে রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নেমে ইডি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন তৃণমূল সমর্থকরা।
সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর মুখোশ পরা একজন লোকের কোমরে দড়ি বেঁধে মিছিলে ঘোরানো হয়। গায়ে লেখা আমি চোর। মিছিল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে কেন?
মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের খেলা হবে দিবসে টুইট করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘সবাইকে খেলা হবে দিবসের শুভেচ্ছা। গতবার এই দিনটি সাফল্যের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে। এ বছর আরও বেশি যুবক-যুবতী এতে অংশগ্রহণ করুক।’
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা হবে স্লোগানটিকে চিরস্থায়ী করতে প্রতি বছর ১৬ আগস্ট খেলা হবে দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন।
স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলে দল কারও পাপের দায় নেবে না বলে দলীয় ও প্রশাসনিক সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
এর মধ্যে আবার গরু পাচার মামলায় বীরভূমের প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত চাপের মুখে পড়ে যায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধাক্কা খায়।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার বেহালার একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৬ আগস্ট থেকে আন্দোলন আবার শুরু হবে । খেলা হবে দিবসে মিটিং মিছিল, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, কাজকর্মও করবেন। রাস্তায় নামতে হবে । রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে। সেই যুদ্ধটা হবে, খেলা দিবস থেকে । খেলা হবে। সকলে খেলা দিবসে অংশগ্রহণ করবেন। একটু খেলাধুলা করবেন । খেলতে খেলতে রাস্তায় মিছিল করুন না, ভালো লাগবে।’
অন্যদিকে জেলায় জেলায় চোর ধরো, জেলে ভরো কর্মসূচিতে পথে নেমেছে সিপিএম, বিজেপি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের দিবসটিকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরাও দেখব, কী খেলা হয়। খেলা তো শুরু হয়ে গিয়েছে। দুটো গোল খেয়েছে । তিন নম্বর হলেই চিৎ।’
এ দিন খেলা হবে দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে । অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী অচিন্ত্য শিউলি ও ব্রোঞ্জ পদকজয়ী সৌরভ ঘোষালকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
কয়েকদিন আগে কয়েক হাজার কোটি টাকার সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মূল হোতা সুদীপ্ত সেন সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ তোলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
আর সুদীপ্ত সেনের এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের প্রশ্ন, সুদীপ্ত সেন নিজে যখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না কেন? বিজেপিতে আছেন বলেই কি সিবিআই গ্রেপ্তারি থেকে ছাড়া পেয়ে চলেছেন শুভেন্দু?
আরও পড়ুন:
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির দিনে নিজের স্বপ্নের ভারতের কথা এক টুইট বার্তায় জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এমন এক ভারতের কথা বলেছেন, যেখানে বিভেদকামী শক্তি থাকবে না, বইবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ, যেখানে কোনো মানুষ অভুক্ত থাকবে না।
মমতা টুইটে বলেন, ‘ভারতের জন্য আমার একটা স্বপ্ন আছে। আমি এমন একটি দেশ গঠন করতে চাই, যেখানে কেউ অভুক্ত থাকবে না। যেখানে কোনো নারী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবে না । যেখানে প্রতিটি শিশু শিক্ষার আলো দেখবে। যেখানে সবাইকে সমান চোখে দেখা হবে। যেখানে কোনো বিভেদকামী শক্তি থাকবে না। সম্প্রীতির দিন আসবে।’
মমতা এদিনের টুইটে আরও লিখেছেন, ‘দেশের মহান মানুষের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি, আমি স্বপ্নের ভারতের জন্য প্রতিদিন চেষ্টা করে যাব।’
তবে মুখমন্ত্রীর এই টুইটকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাই এ ধরনের টুইট করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের নারীদের নিরাপত্তা নেই। পেটের জ্বালায় শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে কাজে যাচ্ছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী ভারত গড়ার দিবাস্বপ্ন দেখছেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য