× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Who are the victims of US Russia reciprocal sanctions?
google_news print-icon

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার শিকার কারা?

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার-পাল্টাপাল্টি-নিষেধাজ্ঞার-শিকার-কারা?
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বড় ব্যাঙ্কগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তের মতো বিধিনিষেধগুলো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে এর প্রভাব সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ে। অন্যান্য বিধিনিষেধ যেমন প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, রাশিয়ান শিল্প ও প্রতিরক্ষা খাতকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ফেলতে পারে।

ইউক্রেন অভিযানের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। রাশিয়ার আর্থিক খাত, বড় কোম্পানি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, রাশিয়ার অভিজাত শ্রেণি ও নর্ড স্ট্রিম টু প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনকে লক্ষ্য করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জবাব হিসেবে পাল্টা কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে রাশিয়া। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অবলম্বনে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার রাশিয়ায় আরও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে সৈন্য না পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য পদক্ষেপ পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিশোধ নেয়ার প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

বাইডেনের দাবি ছিল, এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে পঙ্গু করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্ররাও একই পথ অনুসরণ করে ভিন্ন ভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছ। এ কারণে পশ্চিমা দেশে পণ্য সরবরাহ ও লেনদেনে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা এবং কোনো ধরনের বিধিনিষেধ এড়াতে অ্যাপল, বোয়িং এক্সন-মবিল করপোরেশন ও পেপসিকোর মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য প্রত্যাহার করেছে বা দেশটিতে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে এনেছে।

রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলতে থাকায় প্রাথমিকভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়া কিছু সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথাও এখন বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বৈশ্বিক ব্যাঙ্কগুলোর সঙ্গে সংযোগকারী আর্থিক অবকাঠামো ব্যবস্থা সুইফ্ট থেকে কয়েকটি রাশিয়ান ব্যাঙ্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সায় দেয়েছে। তারা রাশিয়ার জ্বালানি খাতের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বড় ব্যাঙ্কগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তের মতো বিধিনিষেধগুলো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে এর প্রভাব সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ে। অন্যান্য বিধিনিষেধ যেমন প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, রাশিয়ান শিল্প ও প্রতিরক্ষা খাতকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ফেলতে পারে।

তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, রাশিয়া তার তেল ও গ্যাস রপ্তানিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। কয়েকজন রুশ কর্মকর্তা এমনটাই আভাস দিয়েছেন। এর ফলে জ্বালানি বাজার ব্যাহত হবে ও ইউরোপসহ অন্য ভোক্তাদের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করবে। তবে এমন পদক্ষেপে রাশিয়ার অর্থনৈতিক দুর্দশাও বাড়বে।

সবশেষ নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধগুলো কী?

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে রাশিয়ার আর্থিক ব্যবস্থা একটি অন্যতম লক্ষ্য। তারা রাশিয়ার জ্বালানি খাতকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তারা প্রায় সব দেশের জন্য প্রদত্ত অগ্রাধিকারমূলক, কম শুল্ক বাণিজ্যের মর্যাদা অপসারণের দিকেও তাকিয়ে আছে। মিত্রদের মতে এতে ক্রেমলিনের যুদ্ধ করার ক্ষমতা কমবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভের মজুদে ডলার, ইউরো ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করতে বাধা দিয়েছে। এটি রুবেলকে স্থিতিশীল করার ও মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। রাশিয়ার সার্বভৌম-সম্পদ তহবিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে দেশটির বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য ও কানাডা কয়েকটি রাশিয়ান ব্যাংককে সুইফ্ট নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা ব্যাংকগুলোর বিশ্বব্যাপী পরিচালনার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

এসবারব্যাংক ও ভিটিবিকে কালো তালিকাভুক্ত

বাইডেন প্রশাসন আমেরিকান নাগরিক ও সংস্থাগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে ঋণের লেনদেন করা থেকেও নিষেধ করেছে। এর মাধ্যমে ক্রেমলিনের মূল তহবিলের উত্স বন্ধ করা হয়েছে।

আমেরিকার ইউরোপীয় মিত্ররাও একই পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে থেকে রাশিয়ার ৭০ শতাংশ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বন্ধ করে দিচ্ছে। ইইউ তার ক্রেডিট-রেটিং সংস্থাগুলোর মাধ্যমে রাশিয়া ও রাশিয়ান সংস্থাগুলির রেটিং ও রাশিয়ান ক্লায়েন্টদের রেটিং পরিসেবাও নিষিদ্ধ করছে৷ যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তারা রাশিয়ান সরকার ও এর কয়েকটি বড় রাষ্ট্রীয় কোম্পানিকে ঋণ নিতে বাধা দেয়ার আইন পাস করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বিভিন্ন দেশ রাশিয়ায় প্রযুক্তির রপ্তানি সীমিত করেছে। রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের কাছেও প্রযুক্তি রপ্তানি করছে না যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও সামুদ্রিক শিল্পকে টার্গেট করেছে। বিধিনিষেধগুলো সেমিকন্ডাক্টর, কম্পিউটার, টেলিযোগাযোগ, তথ্য-নিরাপত্তা সরঞ্জাম, লেজার ও সেন্সরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বিধিনিষেধের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে উত্পাদিত পণ্যের পাশাপাশি আমেরিকান সরঞ্জাম, সফ্টওয়্যার ও ব্লুপ্রিন্ট ব্যবহার করে তৈরি বিদেশি পণ্যগুলোও অন্তর্ভুক্ত। একই কৌশল চীনা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল।

ইইউ রাশিয়ার কাছে বিমান ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি নিষিদ্ধ করছে। একইসঙ্গে জ্বালানি খাতের কিছু পণ্য বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমেরিকান কর্মকর্তাদের দাবি, এতে করে রাশিয়ার জন্য তেল শোধনাগারগুলোর আধুনিকায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল ও গ্যাস শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নিষ্কাশন সরঞ্জাম বিক্রি সীমিত করেছে।

ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া

আমেরিকান ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার পরও ভাবলেশহীন পুতিন। একাধিক ফ্রন্টে তিনি ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনীয়দের মনোবল ধ্বংস করার জন্য আবাসিক ও অন্যান্য বেসামরিক এলাকায় আঘাত করছেন।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করার সময় পুতিন অন্যদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বাইডেন, সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন, সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস ও প্রশাসনের অন্যদের সঙ্গে সাবেক সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটন ও বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

রাশিয়া জ্বালানি ও অন্য সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী। গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়েছিল তারা। পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি উদ্বেগ হলো, রাশিয়া এই সরবরাহ বন্ধ করতে বা কমাতে পারে। আর তেমনটি ঘটলে শুধু ইউরোপের ভোক্তা নয়, বিশ্ববাজার জুড়ে ধাক্কা অনুভূত হবে।

বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার তেল, নির্দিষ্ট পেট্রোলিয়াম পণ্য, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। আমেরিকার তেল ও পরিশোধিত পণ্যের প্রায় ৮ শতাংশ রাশিয়া থেকে আসে। ইইউ রাশিয়ার জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্য বলেছে, বছরের শেষ নাগাদ তারা রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত গ্যাসের ৮ শতাংশ রাশিয়ার।

জ্বালানি ছাড়াও ইইউ রাশিয়ায় উচ্চ মূল্যের বিলাসবহুল পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করছে এবং রাশিয়ার স্টিল আমদানি নিষিদ্ধ করছে। বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ান সি-ফুড, ভদকা ও হীরা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়ান পণ্যে কম শুল্ক সুবিধা বাতিলের জন্য বেশিরভাগ দেশ ও কংগ্রেসের সম্মতি প্রয়োজন।

সম্মিলিতভাবে গ্রুপ অফ সেভেনের নেতারাও মূল রাশিয়ান পণ্যের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য মর্যাদা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জি সেভেন নেতারা আরও বলেছেন, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অন্য সদস্যদেরও একই কাজ করার আহ্বান জানাবেন। জি সেভেন আরও বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ শীর্ষস্থানীয় বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে রাশিয়ায় যেন অর্থায়ন না হয় সে লক্ষ্য কাজ করছে।

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে সংযুক্ত করে নেয় এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহকে উসকে দেয়। সেবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, মস্কো তার অর্থনীতিকে নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।

রাশিয়া ডলার থেকে নিজেকে মুক্ত করেছে ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা ঋণের অংশ কমিয়ে এনেছে। সরকার একটি রক্ষণশীল রাজস্ব নীতি পরিচালনা করেছে। আইএমএফের তথ্য অনুসারে, সরকারি ঋণ জিডিপির ২০ শতাংশের নিচে রেখেছে তারা, যা যুক্তরাষ্ট্রে ১৩৩ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সোনার হোল্ডিং ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ আন্তর্জাতিক রিজার্ভ। ডিসেম্বরে যার মূল্য ৬৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও রাশিয়ার জন্য সর্বোচ্চ।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কী হতে পারে?

বাইডেন প্রশাসনের মতে, নিষেধাজ্ঞাগুলো রুবলকে দুর্বল করা, রাশিয়ার স্টক মার্কেটকে বিপর্যস্ত করা ও ধীরে ধীরে রাশিয়ান অর্থনীতি, যা মূলত জ্বালানি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, সেটি ধ্বংস করার জন্য করা হয়েছে।

পশ্চিমা মিত্ররা তার আর্থিক ব্যবস্থা ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিজার্ভের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় রাশিয়া তার স্টক মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে তারা প্রত্যাশিত দরপতন বন্ধ করতে পেরেছে। রুবলকে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে মূলধন নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও মুদ্রাটি এ বছর ডলারের বিপরীতে তার মূল্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ হারিয়ে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে রুশ অভিজাত শ্রেণির সদস্যরা। এর মধ্যে আছেন পুতিনের কাছের অন্যতম ব্যক্তিবর্গ- যেমন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং পুতিন নিজে। ইইউ পুতিন ও ল্যাভরভের ব্লকে থাকা যেকোনো সম্পদ বাজেয়াপ্ত করছে। তবে কূটনীতির উপায় খোলা রাখার জন্য তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে না।

হোয়াইট হাউসের ঘোষণা দেয়া পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে পুতিনের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও তার সম্পদ জব্দ করা। সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, বিশ্ব মঞ্চে পুতিনকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুতিনের সম্পদ মূলত সহযোগীদের নামে রাখা হয়েছে, যে কারণে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ছে না।

আমেরিকার বিচার বিভাগ বিশ্বজুড়ে লুকিয়ে রাখা রাশিয়ান অলিগার্কদের বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট, ব্যক্তিগত জেট, ইয়ট ও অন্য সম্পদ খুঁজে বের করতে ও বাজেয়াপ্ত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স চালু করেছে।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রাশিয়ান তেল উৎপাদনকারী রোসনেফ্টের প্রধান নির্বাহী ইগর সেচিনের মালিকানাধীন একটি ইয়ট আটক করেছে। এরপর যুক্তরাজ্য সেচিনের সম্পদ জব্দ করে তার উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র অতীতে রাশিয়ান অলিগার্কদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এবার ইউক্রেন সংকটের সময় তাদের আত্মীয়দেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রাশিয়ার ধনীদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান যুক্তরাজ্য এক হাজার জনের বেশি রুশ টাইকুন ও সহায়ক সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যুক্তরাজ্য আরও বলেছে, তারা রাশিয়ান নাগরিকদের ব্যাংকগুলোতে জমা হতে পারে এমন তহবিল ৫০ হাজার পাউন্ডে সীমাবদ্ধ করবে। তারা রাশিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন অ্যারোফ্লোটের বিমান ব্রিটেনের বিমানবন্দরে নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে হিথ্রোর মতো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অন্তর্ভুক্ত।

রাশিয়ার ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ, ইংল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব চেলসি এফসির আগের দফায় নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পেলেও যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে তা পালটে গেছে। বৃটিশ সরকার আব্রামোভিচের ইংল্যান্ডে অবস্থিত সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে ও তাকে ইংল্যান্ড ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান করেকজন বৃটিশ মন্ত্রী। আব্রামোভিচ তার আগে জানান যে, চেলসি ক্লাব বিক্রি করবেন। নিষেধাজ্ঞার অধীনে যে কোনো বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃটিশ সরকার বলেছে যে এটি চেলসিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ লাইসেন্স দেবে।

রাশিয়া কি আগে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রুশ সরকার ও এর সহযোগীদের উপর আগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। রাশিয়ান ভাড়াটে সৈন্য সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপ এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকেও কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

২০১৪ সালে দখলদারিত্ব ও ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করার পর ৮ শিল্পোন্নত দেশের গ্রুপ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে দেয়া হয়। গ্রুপটি এরপর থেকে গ্রুপ অফ সেভেন নামে পরিচিত।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, যুক্তরাষ্ট্র নর্ড স্ট্রিম টু নির্মাণে কাজ করা সংস্থাগুলোর অনুমোদন দিয়েছিল। এটি জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনকারী রাশিয়ার একটি বিশেষ পাইপলাইন, যাকে রাশিয়া যেকোনো সময় ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে আমেরিকান কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক বার্তা দিয়ে এসেছেন।

২০২১ সালের মে মাসে বাইডেন প্রশাসন প্রকল্প পরিচালনাকারী মূল সুইস প্রতিষ্ঠান নর্ড স্ট্রিম টু এজি ও এর প্রধান নির্বাহীকে বিধিনিষেধ দিতে চেয়েছিল। তবে বার্লিনের প্রতি সহায়তা হিসেবে আভাস হিসেবে তেমনটি আর করা হয়নি।

দুটি রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে পুতিনের ঘোষণার পর বাইডেন প্রশাসন নর্ড স্ট্রিম টু-এর জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো ফের আরোপ করেছে। জার্মানি প্রকল্পটি স্থগিত করার কথা বলার পরে এ নির্দেশনা আসে।

এক সুইস কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, এরপরই নর্ড স্ট্রিম টু এজি তার ১০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করে এবং এর কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন:
রাশিয়ার সঙ্গে মঙ্গল অভিযান স্থগিত করল ইউরোপ
ভারতে লাগামহীন হতে পারে ভোজ্যতেলের দাম
ভোজ্যতেল ও খাদ্যের তীব্র সংকটের মুখে বিশ্ব
ইউক্রেনীয়দের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তারা
ইউক্রেনে রুশ অভিযানে কেন ধীরগতি?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The US is secretly sending long range missiles to Ukraine

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস পরীক্ষা। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

বিবিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। চলতি বছরের মার্চে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। এপ্রিলে অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্তত একবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্যাকেজে সই করেছেন বাইডেন।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে বিভিন্ন সময়ে ওয়াশিংটনকে তাগিদ দিয়ে আসছিল কিয়েভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।

ইউরোপের দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হচ্ছিল না বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিতে বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে সবুজ সংকেত দেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
House of Representatives passes and26 billion aid bill for Israel

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য। এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধে থাকা ইসরায়েলের জন্য ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার সহায়তার বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে।

রিপাবলিকান পার্টির কট্টর অবস্থানে থাকা আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় সময় শনিবার দুই দলের সমর্থনে পাস হয় ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তার প্রস্তাবিত আইনটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিলটিকে পাঠানো হয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। দুই মাসের বেশি সময় আগে একই ধরনের একটি বিল পাস হয়েছিল উচ্চকক্ষে।

বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির জন্য প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসনকে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা মিচ ম্যাককনেল।

প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি মঙ্গলবার বিবেচনায় নেয়ার কথা রয়েছে সিনেটের। ওই দিন বিকেলে এ নিয়ে প্রাথমিক ভোট হওয়ার কথা আছে।

আগামী সপ্তাহে বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য।

এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

বিলটিতে ৮১২ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাইওয়ানসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A young man set himself on fire outside the court during Trumps trial

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।  ছবি: এএফপি
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।

ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Preparing to respond to Israeli attacks Iran tells US to withdraw

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের সাত সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতির মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলেছে ইরান।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রধান প্রক্সি হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

তিনি আরও বলেন, লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, হামলার শিকার হতে না চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সরে যাওয়া।

জামশিদি আরও বলেন, চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হানতে বলা হয়েছে ইরানকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বার্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের যেকোনো হামলার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The United States was shaken by the earthquake

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ জার্সির হোয়াইট হাউস স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাত হানার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bidens Ultimatum to Netanyahu to Protect Gaza Civilians

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের গাজার রাফাহতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত দুজনের স্বজনের আহাজারি। ছবি: আহমাদ হাসাবাল্লাহ/গেটি ইমেজেস
রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সত্যিকার অর্থে আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার ইসরায়েলি সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস আহ্বান এবং ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত খাদ্য সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বার্তা দিলেন বাইডেন।

গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত খাদ্য সহায়তা কর্মীকে হত্যার পর সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ইসরায়েল।

এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছে ঠিক কোন ধরনের পদক্ষেপ চায় এবং সেসব পদক্ষেপ না নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া ধীর করে দেয়া কিংবা জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল
গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
‘ভেটো না দেয়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে ইসরায়েল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The US is arming Israel despite its conflict with Netanyahu

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে শুক্রবার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার পর ঘটনাস্থলে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

নতুন এ চালানে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র যাবে ইসরায়েলে, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও বিমান থেকে ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ার মধ্যেই অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হঠাৎ বাতিল করেন নেতানিয়াহু। সেই বৈঠকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে পর্যালোচনার কথা ছিল।

গত প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের দৃশ্যত বিরামহীন হামলায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে রাফাহতে। এ মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
উত্তর গাজায় বিমান থেকে খাদ্য সহায়তা ফেলল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু
ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশু বাড়ছে গাজায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

মন্তব্য

p
উপরে