× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
সৌদি যুবরাজকে নিষিদ্ধে ইলহাম ওমরের বিল
google_news print-icon

সৌদি যুবরাজকে নিষিদ্ধে ইলহাম ওমরের বিল

সৌদি-যুবরাজকে-নিষিদ্ধে-ইলহাম-ওমরের-বিল
সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ইলহাম ওমর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায়, গণতন্ত্রে ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে সে ক্ষেত্রে মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিষিদ্ধ না করার কোনো কারণ নেই। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে পেয়েছে, লোকটি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যায় অনুমোদন দিয়েছে।’

সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভার সদস্য ইলহাম ওমর।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অবস্থানের বাইরে গিয়েই এ উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ও সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর সমালোচক খাশোগজি।

খাশোগজি একসময় সৌদি রাজপরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল তার হত্যার পেছনে হাত রয়েছে এমবিএসের। ট্রাম্পের শাসনামলে এ হত্যা প্রতিবেদনের ধামাচাপা দিয়ে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে অবস্থান পাল্টায় হোয়াইট হাউস।

গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয় খাশোগজি হত্যা নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ডিএনআই) প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, এ হত্যায় নির্দেশ ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি কার্যত দেশটির শাসক।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই এ হত্যায় জড়িত ৭৬ জন সৌদি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। কিন্তু এই তালিকায় যুবরাজের নাম উল্লেখ রয়েছে কি না, তা জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে সামলানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে কি না, তা-ও উল্লেখ করা হয়নি।

সৌদি যুবরাজের প্রতি এমন শিথিলতা মেনে নিতে পারছেন না সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহাম ওমর। ডেমোক্র্যাটদের টিকিটে মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেস ওম্যান বলেন, ‘এটা আমাদের মানবতার জন্য পরীক্ষা।

‘যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায়, গণতন্ত্রে ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে সে ক্ষেত্রে মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিষিদ্ধ না করার কোনো কারণ নেই। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে পেয়েছে, লোকটি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যায় অনুমোদন দিয়েছে।’

সৌদি যুবরাজকে নিষিদ্ধে ইলহাম ওমরের বিল
ইলহাম ওমর। ছবি: এএফপি

আল জাজিরা লিখেছে, ইলহাম ওমরের এই প্রস্তাবে তার সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।

সৌদি যুবরাজের বিষয়ে বলতে গিয়ে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদ সম্মেলনে জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে ‘যথার্থ সম্পর্ক’ রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দুই দেশের সম্পর্কে ‘ফাটল’ না ধরিয়ে বরং ‘মজবুত’ করার দিকেই নজর তাদের।

খাশোগজি হত্যা নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কড়া ভাষায় একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন পেলোসি। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে যে, মোহাম্মদ বিন সালমানসহ সৌদির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশে জামাল খাশোগজিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি যুবরাজের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রসঙ্গে সুর পাল্টালেন পেলোসি। তার আহ্বান এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করায়। তবে খাশোগজির স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে প্রস্তাব তোলা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি যুবরাজ কি নিষিদ্ধ
খাশোগজি হত্যা: যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা নাকচ সৌদির
সৌদি বাদশাহকে ফোন বাইডেনের
খাশোগজি হত্যা: সৌদি বাদশাহকে ‘ফোন করবেন’ বাইডেন
জি২০ সম্মেলন বর্জনের আহ্বান খাশোগজির বাগদত্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
If someone extorting it will say on the face Sarjis Alam

কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস আলম

কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস আলম

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন- জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তা মুখের ওপর বলে দেওয়া হবে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।

সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে আবারও নতুন করে মুজিববাদী, ভারতপন্থী শক্তিগুলো এখন সক্রিয় হচ্ছে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী ব্যতীত অন্য কোনো দেশপন্থী, কোনো বাদপন্থী শক্তির আর জায়গা হবে না। ‘আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল গত জুলাইয়ের, ওই আগস্টের ৫ তারিখে আমাদের যেই স্বপ্ন ছিল, আরেক আগস্ট আসতে চলেছে, আমাদের সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা সুশীল সরকারের ভূমিকা চাই না। আমরা তাদের অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের ভূমিকায় দেখতে চাই,’।

সারজিস আরও বলেন, এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের জায়গা হতে দেওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো দেশের নামের কোনো আধিপত্যবাদের জায়গা বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।

‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের বিচার লাগবে। এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচার হতেই হবে, তার বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই দেশের বিচার বিভাগকে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামোদ করা বাহিনী হিসেবে আমরা দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানকে একপাশে রেখে কোনোদিন এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী বাংলাদেশ সম্ভব নয়। আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে, আমাদের গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে, আমাদের নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংখ্যালঘু ভাইবোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

সারজিস বলেন, আমাদের ১৯৪৭ সালের উপনিবেশবিরোধী যে আকাঙ্ক্ষা, একাত্তরের স্বাধীনতার যে আকাঙ্ক্ষা, চব্বিশের মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা—সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।

‘ফ্যাসিস্টবিরোধী চব্বিশের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ মানে এই নয়, আমরা অন্ধভাবে কারো দালালি করব। কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, তা আমরা মুখের উপরে বলব। কেউ যদি সিন্ডিকেট চালায়, আমরা সেটাও বলব। কেউ যদি দখলদারিত্ব করে, আমরা সেটাও বলব। তবে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাব,’ যোগ করেন সারজিস।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু রাজনীতির যে সৌন্দর্য, এই সৌন্দর্য যেন আমরা ধারণ করি—তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন ব্যক্তি আক্রমণে রূপ না নেয়। ফ্যাসিস্টবিরোধী ২৪-এর শক্তি আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মুজিববাদের প্রশ্নে, স্বৈরাচারের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Humayun Ahmeds 5th death anniversary is celebrated in Gazipur

নানা আয়োজনে গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

নানা আয়োজনে গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

নানা আয়োজনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও মোনাজাত শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, সব লেখকদেরই স্বপ্ন থাকে বই থাকবে পেঙ্গুইন পাবলিকেশনে। হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় ইচ্ছে ছিল তার বই পেঙ্গুইন প্রকাশণী থেকে প্রকাশিত হবে। আজ আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পেঙ্গুইন পাবলিকেশনের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে, খুব শিগগিরই পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশিত হতে দেখবো।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠা করা নুহাশ পল্লীকে তিনি যে ভাবে রেখে গেছেন সেটা সে ভাবেই সংরক্ষণ করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। নুহাশপল্লী স্যুটিং স্পট নয়, এটি গাছে ও ও পাখির অভায়রণ্য। গত ১৩ বছরে অন্তত ৫০টি বিরল প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। এখনো কোথাও দূর্লভ গাছ পেলে তা নুহাশ পল্লীতে এসে লাগানো হয়।

শাওন আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর তৈরির কথা বারবার বরা হয়। স্মৃতি যাদুঘর করতে যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা থাকা দরকার তা নুহাশ পল্লীর এখনো গড়ে উঠেনি। আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চলছে। আমরা না পারলে হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম সেটা করতে পারবে।

দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

সকাল থেকে আশপাশের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লীতে এসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেন। কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুক্রবার হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশ পল্লীতে এসে অবস্থান নেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ছেলে নিষাদ, নিনিতসহ নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা কর্মচারি এবং হুমায়ূনভক্ত ও দর্শনার্থীরা হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এসময় অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ধী প্রকাশণীর প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ নাছের, কাকলি প্রকাশনীর নাসির আহমেদ সেলিম, নুহাশপল্লীর তত্ত¡াবধায়ক সাইফুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে নুহাশ পল্লীতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Noor will give a maximum of five out of ten to the interim government

অন্তর্বর্তী সরকারকে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ দেবেন নূর

অন্তর্বর্তী সরকারকে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ দেবেন নূর

গেলে এগারো মাসে বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পুনর্বহাল ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সরকার প্রত্যাশিত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মূল্যায়ন করতে গেলে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ চার কিংবা পাঁচ দেব।

শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে। মূলত গেল বছরের ১৯ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার স্মরণেই এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এগারো মাসে সরকারের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে দশের মধ্যে যদি তাদের নম্বর দিতে বলেন, তাহলে সর্বোচ্চ চার বা পাঁচ দেব। এই নম্বর দিতেও কষ্ট হয়। কারণ তারা দেশের এতটুকু পরিবর্তনও করতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখ লাগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এগারো মাসেও শুধু বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনে পুনর্বহাল ছাড়া আর কোনো কার্যকর পরিবর্তন হয়নি। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না।

‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভূমি কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওি) কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে মানুষে সেবা পেতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। যেসব রাজনৈতিক নেতার ক্ষমতা আছে, এসব অফিস তাদের কথাই চলছে। আমরা এই ব্যবস্থারই পরিবর্তন চেয়েছিলাম,’ যোগ করেন তিনি।

নুর বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংসদের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রীর এককেন্দ্রিক ও স্বৈরাচারী ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধনসহ যেসব পরিবর্তনের কথা বলেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের সময়ে এসেছে আজ।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও গাছাড়া-লাগামছাড়া ভাব এসেছে বলে মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, কিন্তু কিছু কিছু মৌলিক সংস্কারে আমাদের একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান এই তরুণ রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, এটা যদি করা যায়, তাহলে কিছু ভিন্নমত পার্লামেন্টে থাকবে। নাহলে এই পার্লামেন্ট আগের মতোই থাকবে।

এ সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
As the day goes on the situation is getting more complicated Fakhrul

দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল

দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল

অযথা বিলম্ব না করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্র ও শোষণহীন সমাজে বিশ্বাস করে না; তারা ফের জোট পাকাচ্ছে।’

শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান করব, অযথা বিলম্ব না করে সমস্যা চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। এরপর সমস্যা শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান। সেটিই বোধহয় একমাত্র পথ।’

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্রে, জনগণের অগ্রাযাত্রায় ও একটি শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা আবার জোট পাকাচ্ছে। যে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম, তারা ভেতরে ভেতরে আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’

দেশে মবতন্ত্র, হত্যা, ছিনতাই ও গুম ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, এটা যদি হারিয়ে ফেলি, তাহলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যাবে। প্রতিবার জনগণ ও আমাদের ছেলেরা প্রাণ দেবে, একটা সুযোগ তৈরি হবে, আর নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সুযোগ হারাব—সেটা হতে পারে না।’

তাই দেরি না করে সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে যত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তার দাবি, ‘নিঃসন্দেহে সেই দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে যত দেরি করছেন, ততই পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। এতে অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা রয়েছে, তারা আবার সংঘটিত হয়ে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে কাজ শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।’

‘বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। অতীতে যেমন সব বাধা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, আগামী দিনগুলোতেও কোনো আমাদের বাধা ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ ও স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের মূল কথা। সেখানে আমাদের কোনো আপস নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও আমাদের কোনো আপস নেই। আলোচনা, সহনশীলতা ও অন্যের মতকে মেনে নেওয়া—সবকিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যেখান আমরা নতুন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারি।’

এ সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The dead body will be lifted in Gopalganj if necessary Home Advisor to Home Affairs

প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহতের লাশ প্রয়োজনে কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে চাননি, তাই হয়নি। কিন্তু যদি সরকার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে এখনো ময়নাতদন্তের সুযোগ আছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জের পুরো ঘটনা সাংবাদিকরা লাইভ করেছেন। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। যা হয়েছে, সবার সামনেই হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে দায় কার—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যা প্রতিবেদন দেবে, সেখান থেকেই জানা যাবে আসলে কেন এমন ঘটনা ঘটল।

থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, এ টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে যাত্রীদের বিদ্যমান অনেক সমস্যা লাঘব হবে। টার্মিনালের ইমিগ্রেশন পুরোপুরি কার্যকর করতে মন্ত্রণালয় প্রস্তুত আছে। ইমিগ্রেশনে ৪০০-এর মতো সদস্য থাকবে।

টার্মিনালের উদ্বোধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি অন্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়ত্তে যা আছে, সেখান থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Film exhibition nationwide to commemorate the mass uprising in July

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আগামীকাল

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আগামীকাল

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আগামীকাল দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘পিপল হু ফট ফর আস’ ও ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট: স্টোরি অব মুসতাক আহমদ’সহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

ঢাকায় মিরপুর ১০ ও বসিলায় শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব আয়োজন করা হবে।

আগামীকাল (রোববার) ২০ জুলাই ‘গণহত্যা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও শেয়ার করা হবে। যার থিম মিউজিক হবে ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ‘একটি শহিদ পরিবারের সাক্ষ্য’ ডকুমেন্টারির পার্ট-৬ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণের ভিডিও শেয়ার করা হবে।

সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।

সকল মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিও’র ইউআরএল পাঠানো হবে। এদিনে ঢাকায় মোহাম্মদপুরে উর্দুভাষী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাওয়ালী সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Government and UN negotiations to establish human rights missions in Bangladesh

বাংলাদেশে মানবাধিকার মিশন স্থাপনে সরকার ও জাতিসংঘের সমঝোতা

বাংলাদেশে মানবাধিকার মিশন স্থাপনে সরকার ও জাতিসংঘের সমঝোতা

বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)-এর মধ্যে মানবাধিকার মিশন স্থাপন সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এই মিশনের লক্ষ্য হবে দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়াই হবে মানবাধিকার মিশনের মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পালনে বাংলাদেশকে সহায়তা করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। আর সেজন্য দক্ষতা, আইনগত সহায়তা এবং প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে মিশন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে জবাবদিহি ও সংস্কার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক অঙ্গীকার হিসেবেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আমরা জানি, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশে কিছু গোষ্ঠী উদ্বেগ জানিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সংস্কৃতি ও দৃঢ় ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে এই মূল্যবোধগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে মত দিয়েছেন নাগরিকরাও।

সেই প্রেক্ষাপটে, ওএইচসিএইচআর-এর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোর দেবে। বিশেষত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে। এই মিশন দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশা করি, মিশন সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পুরোপুরি সম্মান জানিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সরকার স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সার্বভৌম কর্তৃত্ব অনুযায়ী যেকোনো সময় এই চুক্তি থেকে সরে আসতে পারবে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যদি পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সময় এমন একটি কার্যালয় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও প্রকাশ্যে গণহত্যার মত অনেক অপরাধ সঠিকভাবে তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচারের আওতায় আনা যেত।

শেষে বলা হয়, মানবাধিকারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আদর্শে নয়, ন্যায়ের ভিত্তিতে হতে হবে।

বাংলাদেশ সরকার এই অংশীদারিত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। যার মাধ্যমে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী হবে এবং আইনের শাসন ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সক্ষমতা বাড়বে। এটি আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।

মন্তব্য

p
উপরে