অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তার স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নসরুল হামিদের ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ৩ হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ টাকা এবং মোট উত্তোলনের পরিমাণ ৩ হাজার ১৮০ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। একইসঙ্গে ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যও পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে তার নামে মামলা করা হয়েছে।
আক্তার হোসেন জানান, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরেকটি মামলায় নসরুল হামিদ ও তার ছেলে জারিফ হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ছেলে জারিফের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩১ টাকা জমা এবং ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৭ টাকা উত্তোলনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ছেলে জারিফের লেনদেনকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক উল্লেখ করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ এবং পিতার প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অপর মামলায় নসরুল হামিদ ও তার স্ত্রী সীমা হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় সীমা হামিদের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯১২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনসহ ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
+৮৮ ০৯৬০২১১১৮৭৪, +৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৮
+৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৯
[email protected]
©নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম