ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে স্টাম্পে লাথি মেরে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দেয়া হয়েছে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। সাকিব স্টাম্পে লাথি মারছেন এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ক্রিকেট বিশ্বে এমন দৃশ্য নতুন কিছু নয়। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি নজির থাকলেও সবচেয়ে বিখ্যাত স্টাম্প ভাঙ্গার ছবিটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংয়ের।
১৯৮০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ঘটে ওই ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জন পারকারকে কট বাহাইন্ড করেছেন ভেবে হোল্ডিং উদযাপন শুরু করেন সতীর্থদের সঙ্গে। ব্যাটিং ক্রিজ পেরিয়ে যাবার পর খেয়াল করেন আম্পায়ার আউট দেননি।
মেজাজ খারাপ করে কাছে থাকা স্টাম্পে লাথি মারেন এই কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার। সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক অ্যামেচার ফটোগ্রাফার। সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে হোল্ডিংয়ের লাথিতে উড়ন্ত স্টাম্পের ছবিটি বিখ্যাত হয়ে পড়ে ক্রিকেট বিশ্বে।
ওই ছবি দেখে ম্যাচের পর হোল্ডিংয়ের সতীর্থ ও আরেক ফাস্ট বোলিং কিংবদন্তি কলিন ক্রফট মন্তব্য করেছিলেন, ‘হোল্ডিংকে চাইলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের ট্রায়ালে ডাকতে পারে।’
হোল্ডিংয়ের সেই আবেদনেই শুধু নয়, ম্যাচ শেষে উইন্ডিজ ম্যানেজার অভিযোগ করেন নিউজিল্যান্ডের আম্পায়াররা শেষ দুই ব্যাটসম্যানের আউটও দেননি।
যে কারণেই হোক জেন্টলসম্যানস গেমে এমন আচরণ বরাবরই ছিল অগ্রহণযোগ্য। ওই ঘটনার প্রায় বছর দশেক পর হোল্ডিং দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে আইসিসির শৃঙ্খলা জনিত আইন শিথিল থাকায় কোনো শাস্তি পেতে হয়নি তাকে।
টেস্ট ক্রিকেটে স্টাম্পে লাথি মেরে শাস্তি না পেলেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবকে স্টাম্প উপড়ানোর জন্য পেতে হয়েছে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
১৯৮০ সালের ওই সিরিজে নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচ ও সিরিজ জেতে নিউজিল্যান্ড। ওই সিরিজের পর টানা ১৫ ম্যাচ কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
+৮৮ ০৯৬০২১১১৮৭৪, +৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৮
+৮৮০২ ৫৫০৫৫২৮৯
[email protected]
©নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম