× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Why the spread of dengue before the monsoon?
google_news print-icon

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?

বর্ষা-না-আসতেই-ডেঙ্গুর-বিস্তার-কেন?
রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারের চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা
সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

বর্ষা আসতে আরও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু বর্ষার রোগ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘আগের বছর ডেঙ্গুর সিজনটা দেরিতে শুরু হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এই ধারাটা নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এসেছে।

‘বর্তমান সময়ে এসে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে যা দেখেছি সেটি হলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নগরায়নের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত একদমই বৃষ্টিপাত থাকে না। আমরা বার বার বলে এসেছি যে বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার একটি সম্পর্ক থাকলেও এখন আর সেটি নেই। ডেঙ্গু এখন আর মৌসম বুঝে হবে না, এটি সারা বছরই বাংলাদেশে থাকবে। বহুতল ভবনগুলোতে পার্কিং স্পেস তৈরি করা হয়েছে। পার্কিংয়ের এই জায়গাতে গাড়ি ধোয়া-মোছা করা হয়। সেখানে যে পানি জমে তাতে আমরা এডিস মশার লার্ভা পাই।

‘একেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ ১০-১২ বছর ধরে চলে। নির্মাণাধীন সেসব ভবনের বেসমেন্টে আমরা এডিস মশা পাই। ঢাকায় যেসব জায়গায় পানির সংকট আছে, ওয়াসার পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নেই, সেসব এলাকায় ভবন মালিকরা সার্বক্ষণিক পানির সরবরাহ দেন না। এ অবস্থায় ওইসব ভবনের বাসিন্দারা পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। সেখানেও আমরা এডিস মশা পাই।’

কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস মশার এই যে তিনটি প্রজনন ক্ষেত্রের কথা বললাম সেগুলোর সঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ক্ষেত্রগুলো সারা বছর বিদ্যমান। বাংলাদেশের তাপমাত্রা সারা বছরই এডিস মশা প্রজননের উপযোগী। তাই বৃষ্টিহীন সময়েও স্থায়ী প্রজনন ক্ষেত্র থাকার কারণে আমাদের দেশে মৌসুম ছাড়াও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

‘মে মাসে যখন বৃষ্টি হয়েছে তখন এডিস মশা নতুন প্রজনন ক্ষেত্র পেয়েছে। প্রকৃতিতে যেহেতু এডিস মশা ছিলোই, তাই এদের প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। তাই মে মাসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে, যেটা আমাদের দেশে আগে কখনোই ছিল না।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ব্যান-ম্যাল এবং ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ইকরামুল হক বলেন, ‘এডিস মশা বংশ বিস্তারের জন্য যে আবহাওয়া দরকার বাংলাদেশে এখন সেটিই বিরাজ করছে। বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে শীর্ষ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে। বলা হচ্ছে, দেশের গড় যে তাপমাত্রা তার চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ডেঙ্গু চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়তে পারে।

‘গত বছরের তুলনায় এবার মে মাসেই ডেঙ্গু রোগী পাঁচ গুণ বাড়ার প্রথম কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। দ্বিতীয়ত, বাতাসে যে আর্দ্রতা থাকে, সেটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে ৫০-৮০ শতাংশ। সেটা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য খুবই সহায়ক। অর্থাৎ আমাদের দেশের তাপমাত্রা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী।

‘এই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব উষ্ণ দেশেই পড়ছে। আর এর প্রভাবে সেসব দেশেও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সার্ভে করে দেখেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সেসব নির্মাণস্থল এবং বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি জমে থেকে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে।’

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ১৪ রোগী
মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে ৬৫ ডেঙ্গু রোগী
ডেঙ্গুতে ৬৭ জন হাসপাতালে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
11 more deaths due to dengue in hospital

ডেঙ্গুতে আরও ১১ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৫৯৬

ডেঙ্গুতে আরও ১১ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৫৯৬ ফাইল ছবি
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮৯ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৫৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮৯ জন।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ১২০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৮৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৪ হাজার ৪৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৪২৬ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৪ জন। ঢাকায় ৮০ হাজার ৬৮৩ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ৫৭৭ জন ও পুরুষ ৪৪০ জন।

আরও পড়ুন:
৯ মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Avoid food wrapped in paper to reduce the risk of serious diseases

কাগজে মোড়ানো খাবার এড়িয়ে চলুন, কমবে জটিল রোগের ঝুঁকি

কাগজে মোড়ানো খাবার এড়িয়ে চলুন, কমবে জটিল রোগের ঝুঁকি বছরের পর বছর ধরে খবরের কাগজের মোড়কে খাবার খাওয়ায় শরীরে ঢুকছে বিষ। প্রতীকী ছবি
গবেষণা বলছে, ভাজাপোড়া থেকে যে তেল বের হয়, তা কালির সঙ্গে মিশে গিয়ে শরীরে মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সার, মূত্রাশয়ের ক্যান্সার, লিভার-ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি খবরের কাগজে থাকা ন্যাফথাইলামাইনের কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমে যায় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

দৈনন্দিন বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ-খবর রাখতে পত্রিকা পড়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। খবর পড়ার পরও পত্রিকার রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। বিশেষ করে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বিক্রিতে খবরের কাগজের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।

ঝালমুড়ি হোক বা সিঙ্গাড়া, লুচি থেকে পুরি বা রোল, পত্রিকায় পেঁচিয়ে খাবার দেয়ার চল আমাদের উপমহাদেশে বেশ পুরনো। আগে কলাপাতা কিংবা পদ্মপাতায় এসব খাবার বিক্রি করা হলেও কালের আবর্তে সেই স্থানটি দখল করেছে পুরনো খবরের কাগজ।

রাস্তার পাশে তৈরিকৃত খাবার খেলেও অনেকেই দোকানের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাছবিচার করেন। কিন্তু কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই কাগজে মোড়ানো খাবার খেতে শুরু করে দেন। তেলে ভাজা খাবার থেকে তেল কমাতেও অনেকে এই কাগজগুলো ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে খাবারের স্বাস্থ্যগত মান কোথায় যাচ্ছে, তা খেয়াল করেন না কেউ।

গবেষণা থেকে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে খবরের কাগজের মোড়কে খাবার খাওয়ার এই চল একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে প্রতিনিয়ত শরীরে ঢুকছে বিষ।

আসলে পত্রিকা ছাপতে যে কালি ব্যবহার করা হয়, মূলত তাতেই সমস্যা। এ কালিতে থাকে ন্যাফথাইলামাইন, অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোজেন ও কার্বন যৌগের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ পদার্থ। খবরের কাগজে পেঁচিয়ে রাখা খাবারে এসব যৌগ সহজেই মিশে যায়। আর দীর্ঘদিন এগুলো শরীরে ঢুকলে দেখা দিতে পারে বিষক্রিয়া বা বিষক্রিয়ার প্রভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।

তাই গবেষণা বলছে, ভাজাপোড়া থেকে যে তেল বের হয়, তা কালির সঙ্গে মিশে গিয়ে মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ এই পত্রিকায় ব্যবহৃত কালি। অন্তত এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের। এক্ষেত্রে, কালিতে থাকা কার্বন যৌগ বেঞ্জোপাইরিনকে দায়ী করেন তারা।

এছাড়া খবরের কাগজে ব্যবহৃত কালি মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। কালিতে থাকা অ্যামিনোবিফিনাইল, বেনজিডিন ও ন্যাফথাইলামাইন মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান উপাদান।

শুধু ক্যান্সার নয়, এ কালি শরীরে ঢুকে একাধিক রোগের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে- খবরের কাগজে ব্যবহৃত রং, পিগমেন্ট, প্রিজারভেটিভ, রাসায়নিক, প্যাথজেনিক মাইক্রো অরগ্যানিজম পেটে গেলে হজমের সমস্যা হয়। এছাড়া হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ, লিভার-ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, হাড় দুর্বল হওয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণও এই কালি। কালিতে থাকা ন্যাফথাইলামাইন যৌগ শরীরে প্রবেশ করলে যৌনজীবনের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ন্যাফথাইলামাইনের কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমে যায় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

তবে শুধু কালিই ক্ষতিকর নয়, সংবাদপত্র প্রিন্ট থেকে শুরু করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ায় অনেকভাবে সেগুলো দূষিত ও ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। ফলে খবরের কাগজে পেঁচানো খাবার খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

তাই নিজে সুস্থ থাকতে চাইলে কাগজে মোড়ানো খাবার খাওয়া বন্ধ করতে চেষ্টা করুন। একটু সচেতন হলে সুস্থ থাকার প্রক্রিয়ায় অনেকটা এগিয়ে থাকবেন আপনি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two researchers won the Nobel Prize in medicine

করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক

করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক চিকিৎসায় এবারের নোবেল পুরস্কারজয়ী কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যান। কোলাজ: নোবেল প্রাইজ আউটরিচ
নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখা গবেষণার জন্য চিকিৎসায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই গবেষক।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।

চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেলজয়ী কাতালিন কারিকোর জন্ম ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির সয়নক এলাকায়। তিনি হাঙ্গেরির সিইজড’স ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।

১৯৮৫ সালে সিইজডের হাঙ্গেরিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি এবং বেথেসডার ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন এ ব্যক্তি।

১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন কাতালিন কারিকো। ২০১৩ সাল নাগাদ সেখানে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সাল থেকে সিইজড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন কাতালিন। একই সঙ্গে তিনি পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবেও কাজ করছেন।

এবার চিকিৎসায় আরেক নোবেলজয়ী ড্রু ওয়েইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকনেস মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা চালান তিনি।

১৯৯৭ সালে পেনসিলভ্যানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনে গবেষণা দল গড়েন ওয়েইজম্যান। তিনি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।

চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।

আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।

আরও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে মঞ্চে উঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শিল্পী নোবেলের
মরণোত্তর হলেও নোবেল পাবেন খালেদা জিয়া: গয়েশ্বর
শান্তির নোবেল হস্তান্তর
‘অর্থনীতির নোবেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় হুঁশিয়ারির বার্তা’
ব্যাংকধস ঠেকানোর গুরুত্ব জানিয়ে ৩ আমেরিকানের নোবেল জয়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Nobel laureates in medicine announced today

চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণা বিকেলে

চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণা বিকেলে নোবেল পুরস্কারের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।

চিকিৎসা শাস্ত্রে এবারের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেলে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোষণা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।

আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।

এক্স-রে, পেনিসিলিন, ইনসুলিন ও ডিএনএর মতো যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল দেয়া হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।

এ ছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কারটি পেতে পারেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত কাতালিয়ান কারিকো এবং যুক্তষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েসম্যান। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকার এমআরএনএ নিয়ে গবেষণায় তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।

আরও পড়ুন:
জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
BPA protests objectionable comments about physiotherapy doctor

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ প্রতিবাদ বিপিএর

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ প্রতিবাদ বিপিএর সংবাদ সম্মেলনে বিপিএ নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
ডা. প্রদীপ কুমার সাহা উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অস্থায়ী ফিজিওথেরাপিস্ট নিবন্ধন কার্যালয় থেকে স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশাদার’ হিসেবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রদান করে।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদারের ‘আপত্তিকর ও অপমানজনক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি ডা. প্রদীপ কুমার সাহা।

তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর ডিপিআরসি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের হয়রানির উদ্দেশে ডা. সফিউল্লাহ প্রধানকে ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়। এতে ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছেন। পরিচালকের বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগকে অবমাননা করা হয়েছে।

ডা. প্রদীপ কুমার সাহা উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অস্থায়ী ফিজিওথেরাপিস্ট নিবন্ধন কার্যালয় থেকে স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশাদার’ হিসেবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রদান করে।

২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের সব সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়, যাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের পেশাগত কাজে হয়রানি করা না হয়, যা সব জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলা হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি বিএমডিসি আইন ২০১০-এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগ স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাতে যেকোনো আইনগত সংস্থা থেকে হয়রানি করা না হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকসহ সব রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ নামে একটি আইন পাস হয়।

প্রদীপ কুমার সাহা জানান, জাতীয় সংসদে পাসকৃত ফিজিওথেরাপিস্টসহ অন্যান্য রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ অনুযায়ী পরিচালিত হবে, বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০ দিয়ে নয়। অথচ প্রায় সময়ই বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০ এর ক্ষমতাবলে ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা হয়।

তিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএর মহাসচিব ডা. তৌহিদুজ্জামান লিটু, সহসভাপতি ডা. আরিফ জোবায়ের, সহসভাপতি ডা. মহসীন কবির লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং বিপিএর সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আলাউদ্দিন।

আরও পড়ুন:
নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার, মিলল চিরকুট
দুই দিন পর ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধে দুর্ভোগে রোগীরা, ওসমানী হাসপাতালে বেড়েছে চাপ
শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা ৫ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধি মানতে নারাজ
আন্দোলনে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ল ৫ হাজার

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Khaleda Zia should go abroad according to the law Law Minister

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মতামত আজই: আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মতামত আজই: আইনমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কাছে ফাইলটা আছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের বিষয়ে রোববারই আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রোববার কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কাছে ফাইলটা আছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। এই ক্ষেত্রে ভিন্নমত দেয়ার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা আইনের অবস্থান। আমি মনে করি সেটাই সঠিক।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত করেছেন, তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা ওপেন করার কোনো উপায় নাই আইনগতভাবে। সেটা তিনি পরিষ্কারই বলেছেন।’

প্রয়োজনের তাগিদে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা একটা খারাপ নজির হিসেবে সৃষ্টি হয়। বিদেশে গেলেও আইনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সেই নির্বাহী আদেশ হতে হবে।’

শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মতামত দেয়ার জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে প্রশাসনিক আদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যে আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে, সেখানে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়া আছে। তার একটি শর্ত হলো বিদেশে যাওয়া যাবে না। এই শর্তটি তুলে দিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে আবার দেশে আসতে পারবেন।’

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন:
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dengue has killed thousands

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজার ছুঁইছুঁই

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজার ছুঁইছুঁই ফাইল ছবি
এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪২৫ ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭৪ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৮৯ জনের প্রাণ গেল।

এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪২৫ ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭৪ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৩৭৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৩ হাজার ২২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন। ঢাকায় ৭৯ হাজার ২০৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও পড়ুন:
‘দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়েছে’

মন্তব্য

p
উপরে