করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
রোববার জি কে শামীমের করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে সোমবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গত শনিবার কারাবন্দি জি কে শামীম বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। সেই সঙ্গে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্টও ছিল। সেসময় আমাদের কারাগারের আবাসিক চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা ও ইসিজি করেন। ইসিজি রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী আমরা জি কে শামীম কে পিজি হাসপাতালে পাঠাই।
‘সেখানে তার কোভিড টেস্ট করা হলে, রোববার তার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার করোনা আক্রান্তের খবর শোনার পর জি কে শামীম কারাগারে যে ওয়ার্ডে ছিলেন এবং হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছিলেন দুটি ওয়ার্ডই লকডাউন করা হয়েছে।’
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ জি কে শামীমকে তার নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে।
রাজধানী কুড়িল এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ইয়ামিন আহম্মদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। তিনি মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোড ও খিলক্ষেতের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন কনস্টেবল ইয়ামিন। এ সময় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বেড়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন নদী ও খালে।
এ কারণে দিনে দুইবার প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবনের বেশিরভাগ জায়গা।
জোয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুরে তলিয়েছে করমজলসহ বেশ কিছু এলাকা। তবে এতে কোনো প্রাণির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির এসব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গেল দুইদিন ধরে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজকে দুপুরে পানি আরও বেশি বেড়েছে। করমজলসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ভারতের মধ্য প্রদেশে অবস্থান করছে। ক্রমশ এটি দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। তারপরও লঘুচাপের প্রভাবে সুন্দরবন, মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ বঙ্গোপসাগর উপকূল জুড়ে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
‘এছাড়া জোয়ারের পানিও স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারও বৃষ্টি থাকবে। শনিবার নাগাদ কমতে পারে।’
আরও পড়ুন:তিন মাস আগেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক নেতা ছিলেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া। তবে জোট ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দাবি তুলেছেন তিনি।
সরকারবিরোধী এই অবস্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেন প্রতিষ্ঠিত দল গণফোরামের সঙ্গে (মন্টু) সংলাপ করেছে বাংলাদেশ জাসদ।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বে এই সংলাপ শেষে সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার কথা জানিয়েছেন দুই দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে আরামবাগে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংলাপে চলমান রাজনৈতিক সংকটে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংলাপে দুই দলের নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ফিরিয়ে এনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লড়াই অব্যাহত রাখবে গণফোরাম ও বাংলাদেশ জাসদ। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে আগামী নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন ও পূর্ববর্তী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুতরাং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
‘অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দল বসে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারলে দেশে মহা সংকট অনিবার্য। তাহলে জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়ী থাকব। তাই দেশের এই ক্রান্তিকালে সবাইকে একমত হয়ে জনগণের ভোটাধিকার আদায় করে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘দুঃশাসনের এই সরকার সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছে না। তারা অপকর্মের দায় এড়াতে জনগণের ওপর দুঃখ-দুর্দশা চাপিয়ে দিচ্ছে।
‘এই সরকার কোনোকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবকিছুর দাম বাড়ছে। সরকারের উচিত এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা। আমাদের লক্ষ্য সব সংকট কাটিয়ে উঠতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার ও মনজুর আহমেদ মনজু এবং গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা।
আরও পড়ুন:খুলনার রূপসায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এসব নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন।
প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বরকে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়ানোর সময় দীপ্তিস্বর ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করতেন। সবশেষ তিনি এক ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সবাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অফিস কক্ষে ঢুকে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তারা প্রধান শিক্ষককে মারধরেরও চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মোশাররফ বলেন, ‘ওই শিক্ষককে থানায় আনার পর তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর বাবা বুধবার রাতেই মামলা করেন। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।’
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট স্কুল শেষে প্রাইভেট পড়ানোর সময় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌনতার প্রস্তাব দেন দীপ্তিস্বর। তাতে রাজি না হওয়ায় ছুটির পর মেয়েটিকে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে শিক্ষক সেখান থেকে চলে যান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দীন বাদশা বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছিল। আমি সেটা থানায় ফরওয়ার্ড করেছি। ওই প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপ তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় ‘পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে’ তা চিহ্নিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ রচিত এক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ঘটনায় মনে হয়নি বাঙালিরা মানুষ হয়েছে। তার কারণ বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তারাও বাঙালি ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে যারা সামনে থেকে গুলি করেছে, যারা স্বীকার করেছে হত্যার কথা, শুধুমাত্র তারাই কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে? এর পেছনে অনেক বড় চক্র ছিল। এখন প্রয়োজন এর পেছনে কারা ছিল সেটি বের করা।’
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা ছিল তাদের শনাক্ত করতে কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
বিচার ব্যবস্থার গতি নিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। বিচার কাজে গতি বেড়েছে, দূর্গতি কমেছে মানুষের। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, যাতে মানুষকে আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।
‘আমার কাছে রোজ ৪০ থেকে ৫০টা চিঠি আসে। প্রত্যেকটা চিঠি আমি খুলে পড়ি। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট, দুঃখ দূর করা।’
বিশেষ অতিথি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের বিষয়ে মত দেন।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সহ অন্যরা।
'বিচারক জীবনের কথা মুনসেফ থেকে জেলা জজ’ নামে বইটি রচনা করেছেন বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ।
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হওয়া স্লোগান ‘খেলা হবে’ এবার শোনা গেল বিএনপি নেতার মুখে। নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবারের সমাবেশে এই স্লোগান দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে হুশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বক্তব্যের ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি সে সময় বেশ জনপ্রিয়তা পায়। দেশের সীমানা পেরিয়ে স্লোগানটি উঠে যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার মুখে ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি বার বার শোনা গেছে।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি ওই সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আব্দুস সালাম।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে জরুরি সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। বিএনপি যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা মাঠে নেই। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। খেলা হবে, রাজপথে মোকাবেলা হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘এবার খেলা হবে। মুজিব কোট পরে আর কেউ রাস্তায় নামতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে রাজি আছি আমরা। আমরা ভেসে আসিনি। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সামনে-পেছনে র্যাব-পুলিশ বাদ দিন। হাসিনা গণভবন থেকে বের হয়ে সুধা সদনে যান। আমাদের মতো পাবলিক হয়ে যান। তারপর হবে যুদ্ধ।
‘আওয়ামী লীগের এক নেতা আছেন না? বলেছেন, তিনি পুরনো খেলোয়াড়। আমরাও কিন্তু কম পাকা খেলোয়াড় না। খেলার দেখছেন কী? কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব দিয়ে যেতে হবে। আমরা কিছুই ভুলিনি। ধৈর্য্য ধরে আছি।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি গণ-মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগ তদন্ত করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
ইউএনও মো. সিফাত উদ্দিন বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ওই নারী প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অনেক দিন ধরেই অধ্যক্ষ ওই নারীকে যৌনতার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। স্বামীকে ছেড়ে তার কাছে যেতে বলেছিলেন। রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল।
এসব অভিযোগ নাকচ করে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, ‘এসব মিথ্যা। অভিযোগকারীকে পাঁচ হাজার টাকার একটি বিল না দেয়ার কারণে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন।’
ইউএনও জানান, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য