ফাইল ছবি
সমঝোতা করে ম্যাচ ঠিক করার ব্যাপারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছে এএফসি। ফেডারেশন সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ঘরের মাঠে খেলতে আফগানিস্তানকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি)। বৈঠক করার পরও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেউ।
বাংলাদেশে আসতে চায় না আফগানিস্তান। আর ঘরের মাঠের সুবিধা হারাতে চায় না বাংলাদেশ।
তাই সমঝোতা করে ম্যাচ ঠিক করার ব্যাপারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছে এএফসি। ফেডারেশন সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ঘরের মাঠে খেলতে আফগানিস্তানকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
এ নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে এএফসি। কী উল্লেখ ছিল সেই চিঠিতে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে চিঠি পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা ঘরের মাঠে ম্যাচটা খেলতে চাই বলে জানিয়েছি। আফগানিস্তান বাংলাদেশে ম্যাচটা খেলতে চায় না, জুনে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে চায়।
‘আফগানিস্তানের চিঠি ফরোয়ার্ড করা হয়েছে আমাদের। এএফসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ বিবেচনায় রেখে, বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যনীতি, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ নানান বিষয় রয়েছে। এএফসি বাফুফেকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রয়োজনীয় আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্য।’
ঘরের মাঠে সুবিধা হাতছাড়া করতে নারাজ ফেডারেশন। এমনটিই প্রতিউত্তরে জানানো হবে বলে জানান সোহাগ, ‘বাফুফের পক্ষ থেকে ফারদার ফিডব্যাক তারা চেয়েছে। সো আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকব। বাংলাদেশেই খেলতে চাইব।’
এএফসি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে নেবে বাফুফে। সোহাগ যোগ করেন, ‘দুয়েকদিনের মধ্যে এএফসি তার সিদ্ধান্ত জানাবে। এএফসি যা জানাবে আমরা তাই করব।’
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনে প্রতিবার জিমনেসিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়ে ওঠেনি। ১২ বছরে না হলেও এবার কথা রেখেছেন সভাপতি। মার্চের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জিমনেসিয়াম।
শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের জন্য জিমনেসিয়াম নির্মাণ করলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চতুর্থবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বহুল কাঙ্ক্ষিত জিমটি এখন বাফুফে ভবনের সামনে দৃশ্যমান।
নির্বাচনে প্রতিবার জিমনেসিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়ে ওঠেনি। ১২ বছরে না হলেও এবার কথা রেখেছেন সভাপতি। মার্চের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জিমনেসিয়াম।
বাফুফে জানায়, জিমনেসিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ। যন্ত্রপাতির সকল সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্তত ৩০ জন ফুটবলার একসঙ্গে জিম করতে পারবেন।
অগ্রাধিকার পাবে জাতীয় ফুটবলাররা। লকডাউন শেষ হলে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হবে জিমনেসিয়াম।
জাতীয় ফুটবলারদের ছাড়া বাকী ফুটবলারদের কীভাবে জিমের সুবিধা দেয়া যায় সেজন্য একটি নীতিমালা করবে ফেডারেশন।
উদ্বোধনের বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। নির্মাণ কাজ শেষ। মন্ত্রী, মেয়র ক্লাব কর্মকর্তাসহ সাবেক-বর্তমান ফুটবলার নিয়ে জিমনেসিয়াম উদ্বোধনের চিন্তা আছে। লকডাউন শেষ হলেই উদ্বোধন করব।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি দলের জিমনেসিয়ামের আদলে নির্মাণ করতে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। পুরো টাকাই দিয়েছে তমা গ্রুপ। তাই জিমনেসিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফুফে-তমা এলিট ট্রেনিং সেন্টার।’
এই উদ্যোগ সফল হওয়ার পেছনে ছিলেন তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূঁইয়া (মানিক)। তিনি বাফুফের সহ-সভাপতিও।
ফেডারেশনের চাহিদামতো নির্মাণ কাজ করেছে তমা গ্রুপ। আর জিমের যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে বাফুফে কোটেশনের মাধ্যমে।
ছবি: সংগৃহীত
ফুটবলবিশ্বে ঝড় তোলার দুই দিনের মাথায় প্রতিষ্ঠাকালীন ১২ ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগ ছেড়ে গেছে নয় ক্লাব। প্রথমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাবের পর ইতালির এসি মিলান ও ইন্টার মিলান এবং স্প্যানিশ লিগের দল অ্যাথলেতিকো মাদ্রিদ।
ইউয়েফাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ভাবনা রীতিমত মৃত্যু পথযাত্রী। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপার লিগের সাজানো স্বপ্ন ভেঙে চুরমার।
ফুটবলবিশ্বে ঝড় তোলার দুই দিনের মাথায় প্রতিষ্ঠাকালীন ১২ ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগ ছেড়ে গেছে নয় ক্লাব। প্রথমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাবের পর জোট ছেড়েছে ইতালির এসি মিলান ও ইন্টার মিলান ও স্প্যানিশ লিগের দল আতলেতিকো মাদ্রিদ।
বাকী থাকা তিন ক্লাবের মধ্যে আছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তাস। এবার লিগের এক প্রতিষ্ঠাতা টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও ইতালের জায়ান্ট ইউভেন্তাসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেলি কোনো ভবিষ্যত দেখছেন না এই টুর্নামেন্টের।
মাত্র তিন দল নিয়ে ইউয়েফাকে টেক্কা দিয়ে প্রজেক্ট মাঠানো সম্ভব কী না জানতে চাইলে রয়টার্সকে ইউভেন্তাসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেলি বলেন, ‘সৎ ও খোলাভাবে বলতে গেলে ভবিষ্যত নাই। তবে স্পষ্টভাবে ঘটনা এটা না।’
আগনেলি মনে করেন, ইউরোপের ফুটবলে বদল দরকার ও যেভাবে সুপার লিগ থেকে দলগুলো চলে গেছে তাতে কোনো লজ্জার কিছু নেই।
‘আমি এই প্রজেক্টের সৌন্দর্যে এখনও বিশ্বাসী। এই টুর্নামন্ট বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট হতে পারত। কিন্তু স্বীকার করে নিচ্ছি, মনে হয় না এই প্রজেক্ট আর থাকছে।’
ইতালির একমাত্র ক্লাব হিসেবে এখনও সুপার লিগ থেকে বের না হওয়ার তালিকায় আছে ইউভেন্তাস। ইতালির বাকী দুই ক্লাব সরে এসেছে প্রজেক্ট থেকে।
সমর্থকদের বিদ্রোহের মুখে ১২ ক্লাবের নয় ক্লাবই সরে এসেছে। সব মিলে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে বাকী থাকল আর তিন ক্লাব। যার মধ্যে বার্সেলোনা তখনই সুপার লিগে খেলতে পারবে যখন এর সদস্যরা চাইবেন।
সুপার লিগে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রিমিয়ার লিগে ছয় দল- ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম। আর এই সিদ্ধান্তের পর নিজেদের এক বিবৃতিতে সুপার লিগকে আপাতত স্থগিত করেছে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ।
সোমবার কেঁপে উঠেছিল পুরো ফুটবল বিশ্ব। ইউরোপের শীর্ষ ১২ ক্লাব মিলে ঘোষণা করে, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বদলে নতুন একটি ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আয়োজন করবে তারা।
সেই ঘোষণার পর থেকেই ভক্ত-সমর্থকদের চাপের মুখে পড়েছিল সবকটি ক্লাব। কেবল সমর্থক নয়, চাপ আসছিল সাবেক এবং বর্তমান ফুটবলারদের থেকেও।
এত কিছুর পর তাই সুপার লিগে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রিমিয়ার লিগে ছয় দল- ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম।
আর এই সিদ্ধান্তের পর নিজেদের এক বিবৃতিতে সুপার লিগকে আপাতত স্থগিত করেছে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ।
ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে সবার আগে ম্যান সিটি আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ালেও, সবার আগে সুপার লিগ ত্যাগের আলোচনায় বসে চেলসিই।
মঙ্গলবার বিক্ষোভরত চেলসি সমর্থকদের থামাতে চেলসির কিংবদন্তি গোলকিপার ও বর্তমান উপদেষ্টা পিটার চেক এগিয়ে আসেন এবং বলেন, ‘আমরা আপনাদের ক্ষোভের কারণ বুঝি। আমাদের একটু সময় দিন।’
কাজ আগে চেলসি শুরু করলেও সবার আগে ঘোষণা দেয় ম্যানচেস্টার সিটি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘সুপার লিগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন না তারা।’
একে একে নিজেদের যুক্ত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম। সবার শেষে ঘোষণা দেয় চেলসি। তবে সেটির কারণে হিসেবে অনেকেই ধারণা করেছেন ব্রাইটনের বিপক্ষে তাদের ম্যাচকে। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছেন রোমান আব্রামোভিচ।
এই ছয় ক্লাবের মধ্যে কেবল আর্সেনালই এরকম একটি প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছে তাদের সমর্থকদের কাছে।
ছয় ইংলিশ ক্লাব ছেড়ে যাবার পর প্রস্তাবিত টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে সুপার লিগ। বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে, বহিরাগত চাপে সুপার লিগ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এই ছয় দল। আপাতত স্থগিত করলেও তারা এই টুর্নামেন্টকে ঢেলে সাজাবেন। ও নতুন আঙিকে ফুটবল ভক্তদের সামনে নিয়ে আসবেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাব সুপার লিগ ছাড়ার পর অন্য দুই দেশের ছয় ক্লাবও থাকছে কি না, সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। গুঞ্জন আছে সুপার লিগ ছাড়তে যাচ্ছে দুই ইতালিয়ান দল এসি ও ইন্টার মিলান।
এই সিদ্ধান্ত নেবার কথা ভাবছে স্পেনের আতলেতিকো মাদ্রিদও। বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা সুপার লিগকে জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাবের সদস্যরা না চাইলে কোনোভাবেই এই প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে না বার্সা।
শুরুর মাত্র দুই দিনের মাথায়ই তাই এমন ধাক্কা খেলো সুপার লিগ। এমনকি এমন গুঞ্জনও আছে, সুপার লিগের চেয়ারম্যান ফ্লোরেন্তিনো পেরেস রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি হিসেবে বহাল থাকলে ইউয়েফার কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে দেওয়া হবে না তাদের।
ফুটবলে পরিবর্তন আনতে গিয়ে ভালোই বিপাকে পড়েছেন পেরেস।
The Super League announces that they are reconsidering the appropriate steps, in order to reshape the project. pic.twitter.com/qIEvoULFyk
— ESPN FC (@ESPNFC) April 20, 2021
যে ১২ দলের জোট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ছিল সেখান থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুপার লিগ ছাড়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দুই ইংলিশ হেভিওয়েট।
শুরুর আগেই ভাঙনের সম্ভাবনায় সুপার লিগ। যে ১২ দলের জোট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ছিল সেখান থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুপার লিগ ছাড়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দুই ইংলিশ হেভিওয়েট।
এই দুই ক্লাব ছাড়াও ইংল্যান্ডের দুই শীর্ষ ক্লাব লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও মাঝ টেবিলের দুই ক্লাব আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম হটস্পার আছে ১২দলের জোটে। ক্লাবগুলোর যোগ দেয়ার ঘোষণার পরপরই সমালোচনায় ফেটে পড়ে ফুটবল জগত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউয়েফা সভাপতি ও সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় সবাই এই সুপার লিগকে বলছেন ফুটবল ধ্বংসের হাতিয়ার। ফ্যানরা আন্দোলন করেন ক্লাবের স্টেডিয়ামের বাইরে।
চেলসির স্টেডিয়ামের বাইরে মঙ্গলবার প্রায় এক হাজার সমর্থক সুপার লিগে যোগ দেয়ার জন্য ধিক্কার জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। চেলসিতে ক্লাব সভা হয় এদিন। বিবিসির মতে সেখানে সিদ্ধান্ত আসতে পারে সুপার লিগ ত্যাগ করার।
একই অবস্থা ম্যানচেস্টার সিটিরও। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ক্লাব সুপার লিগে যোগ দেয়ার দুই দিন পর সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ক্লাবের ম্যানেজার ও বিশ্বসেরা কোচ পেপ গার্দিওলা।
সুপার লিগের বিপক্ষে গার্দিওলা বলেন সাফল্য নিশ্চিত থাকলে খেলা আর খেলা থাকে না।
‘খেলা আর খেলা থাকে না যখন প্রচেষ্টা ও পুরস্কারের কোনো সম্পর্ক না থাকে।সাফল্য যদি নিশ্চিত হয় বা হার যদি কোনো প্রভাব না ফেলে তাহলে সেটা আর খেলা থাকে না।’
গার্দিওলা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে মঙ্গলবার বলেন,তার সবসময়ের প্রত্যাশা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রিমিয়ার লিগ। নির্দিষ্ট কিছু দলের প্রাধান্য নয়।
‘আমি সবসময়ই চেয়েছি প্রিমিয়ার লিগ সফল হোক। দুই-একটা ক্লাবের সফলতা চাইনি। সুপার লিগ করা হলো কীভাবে করা হলো কেউ কি জানে? আয়াক্স চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে তারা কেনো নেই? সুপার লিগের আয়োজকেরা কি পুরো বিশ্বকে জানাবেন কীভাবে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন?’
সুপার লিগ ঘোষণার পরদিন ইউয়েফা হুুুঁশিয়ারি দেয় অংশগ্রহণকারী দল ও খেলোয়াড়দের সর্বস্তরের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
এমন পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে ক্লাব দুটি টুর্নামেন্ট ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কি না সেটা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি বিবিসি।
এদিকে, মঙ্গলবার স্পেনের নিম্ন আদালত রায় দেয় সুপার লিগকে মাঠে গড়ানো থেকে রুখতে পারবে না ফিফা ও ইউয়েফা। এক লিখিত রায়ে স্পেনের ওই বানিজ্যিক আদালত এই আদেশ জারি করে বলে জানায় রয়টার্স।
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার ঠিক ইফতারের আগে আগে গোধূলীর সময়টাতে নিজের বাসার পেছনে ছোট্ট ফুটবল মাঠে ভাতিজার সঙ্গে নেমে পড়েছেন। বল নিয়ে তার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন। কখনও ভাতিজার দু পায়ের ভেতর দিয়ে বল নাটমেগ করার চেষ্টা করছেন।
ইফতারের আগ মুহূর্তে বাসার পেছনে ছোট্ট মাঠে ভাতিজার সঙ্গে ফুটবল খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ঠিক সূর্য ডুববে ডুববে এমন প্রাকৃতি সৌন্দর্যের সামনে ফুটবলে মজেছেন জেবিসিক্স।
স্বজনদের টানে ডেনমার্কে গিয়ে সময়টা ভালোই কাটছে জাতীয় দলের অধিনায়কের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে সমর্থকদের সঙ্গে খুশির মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন এই ফুটবলার।
এই যেমন মঙ্গলবার ঠিক ইফতারের আগে আগে গোধূলীর সময়টাতে নিজের বাসার পেছনে ছোট্ট ফুটবল মাঠে ভাতিজার সঙ্গে নেমে পড়েছেন। বল নিয়ে তার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন। কখনও ভাতিজার দু পায়ের ভেতর দিয়ে বল নাটমেগ করার চেষ্টা করছেন।
ফেসবুকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন জামাল। ক্যাপশনে লেখেন, ‘ইফতারির আগে ১০ বছর বয়সী ভাতিজার সঙ্গে বাসার পেছনের মাঠে ফুটবল খেলছি।’
ভিডিওতে দেখা যায়, চাচা যেমন, ভাতিজাও তেমন। বল পায়ে নিয়ে কারিকুরি করছেন ১০ বছর বয়সী ছেলেটি। জামালকে নাকানিচুবানিও খাওয়াচ্ছেন! ভাতিজার পা থেকে বল কেড়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকেও। পরিবারে আরও একজন যে ফুটবলার হতে চলেছে সেটা জামালের ভাতিজার ফ্রিস্টাইল দেখে আঁচ করা যাচ্ছে।
ফুটবলের পাশাপাশি নিজের বাগানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য হাতে কাঁচি তুলে নিতে দেখা গেছে জামালকে। মালির ভূঁমিকায় বাগানে নামার সেই মুহূর্তের ছবি ইন্সটাগ্রামে দিয়েছিলেন জেবিসিক্স।
সবকিছু মিলিয়ে লকডাউনের সময়টা ভালোই কাটছে জামালের।
গেল বছরের নভেম্বরে নেপালের সঙ্গে সিরিজ শেষে ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই, পরে আই লিগ খেলতে কলকাতার মোহামেডানের হয়ে ভারতে মাস দুয়েক খেলার পর আবারও ত্রিদেশীয় সিরিজে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে নেপালে গমন। যেন দম নেয়ার ফুরসত ছিল না জামাল ভূঁইয়ার।
নেপাল থেকে ঢাকায় ফিরে তিন দিনের মাথায় গত ৫ এপ্রিল ডেনমার্কে ফিরে যান জামাল।
সুপার লিগের বিপক্ষে মুখ খুললেন অন্যতম বিদ্রোহী দল ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা। বিশ্বসেরা এই ফুটবল কোচের কাছে সাফল্য নিশ্চিত থাকলে খেলা আর খেলা থাকে না।
বিদ্রোহী সুপার লিগ ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক তোপের মুখে পড়ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়, বিশ্লেষক ও ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো একের পর এক প্রত্যাখ্যান করছে ২০ দলের এই আসরকে।
এবারে সুপার লিগের বিপক্ষে মুখ খুললেন অন্যতম বিদ্রোহী দল ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা। বিশ্বসেরা এই ফুটবল কোচের কাছে সাফল্য নিশ্চিত থাকলে খেলা আর খেলা থাকে না।
‘খেলা আর খেলা থাকে না যখন প্রচেষ্টা ও পুরস্কারের কোনো সম্পর্ক না থাকে।সাফল্য যদি নিশ্চিত হয় বা হার যদি কোনো প্রভাব না ফেলে তাহলে সেটা আর খেলা থাকে না।’
গার্দিওলা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে মঙ্গলবার বলেন,তার সবসময়ের প্রত্যাশা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রিমিয়ার লিগ। নির্দিষ্ট কিছু দলের প্রাধান্য নয়।
‘আমি সবসময়ই চেয়েছি প্রিমিয়ার লিগ সফল হোক। দুই-একটা ক্লাবের সফলতা চাইনি। সুপার লিগ করা হলো কীভাবে করা হলো কেউ কি জানে? আয়াক্স চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে তারা কেনো নেই? সুপার লিগের আয়োজকেরা কি পুরো বিশ্বকে জানাবেন কীভাবে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন?’
একইরকম কটাক্ষ ঝড়েছে আরেক প্রিমিয়ার লিগ কোচ মার্সেলো বিয়েলসার কণ্ঠেও। আর্জেন্টাইন এই কোচকে ধরা হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা ট্যাকটিশিয়ান ও গার্দিওলা নিজেই তাকে গুরু মানেন। লিডস ইউনাইটেডের দায়িত্বে থাকা বিয়েলসা সুপার লিগ সম্পর্কে স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘এতে করে গরীব আরও গরীব হবে। ধনীদের সম্পদ আরও বাড়বে।’
তার মতে, ‘আমি অবাক হইনি। বড় দলগুল সবময়ই তাদের সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে। যে কোনো প্রতিযোগিতাকে অর্থবহ করে তোলে ছোট দলগুলোর উন্নতি,বড় দলগুলোর একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।কিন্তু বর্তমান বিশ্বে যেহেতু গরীব আরও গরীব হচ্ছে ও ধনীরা আরও ধনী তখন আসলে আমাকে এই সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেনি।’
“It is not a sport if success is guaranteed.”
— ESPN FC (@ESPNFC) April 20, 2021
Pep Guardiola breaks his silence on plans for a European Super League. pic.twitter.com/KiRztj0PNv
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ লিগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি জানায় তারা ‘দ্বিধাহীন ও তীব্রভাবে’ সুপারলিগের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।একই রকম সমালোচনা করেছে লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।
ইউয়েফার বিদ্রোধী লিগ ও এতে অংশ নিতে যাওয়া ১২টি দলের তীব্র বিরোধীতা করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ লিগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি জানায় তারা ‘দ্বিধাহীন ও তীব্রভাবে’ সুপারলিগের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।একই রকম সমালোচনা করেছে লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।
রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ শীর্ষ ক্লাব লিভারপুল, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটস্পার ও আর্সেনাল একজোট হয়ে সুপার লিগে যোগদান করে। এরপর যোগ দেয় ম্যানচেস্টার সিটি।
কয়েক ঘণ্টা পরই স্পেন থেকে যোগ দেয় রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। আর ইতালিয়া থেকে যোগ দেয় মিলান, ইন্টারনাৎসিওনাল ও ইউভেন্তাস।
তারপর থেকেই ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর ফেডারেশন ঘরোয়া ক্লাবগুলোর সঙ্গে সভায় বসে। মঙ্গলবার ছয়টি ক্লাবকে বাদ দিয়ে বাকি ১৪ দল নিয়ে জরুরী সভা করে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। এতে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও যোগ দেয়।
সভা শেষে এক বিবৃতিতে এই বিদ্রোহী লিগের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে সংস্থাটি জানায় তারা এই আসর বাতিলের সব চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
‘সভায় উপস্থিত ১৪টি ক্লাব তীব্র ও দ্বিধাহীন এই আয়োজনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আসর যেন হতে না পারে সে জন্য প্রিমিয়ার লিগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ও অংশগ্রহণকারীদের নিয়মানুযায়ী জবাবদিহি করবে।’
ক্লাবগুলোর সমর্থকেরা শুরু থেকেই সুপার লিগের বিরোধীতা করে আসছেন। এর সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্রোহী ক্লাবগুলোকে নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
‘প্রিমিয়ার লিগ ফ্যানগ্রুপ, সরকার, ইউয়েফা, এফএ, ইএফএল, পিএফএ ও এলএমএর মতো সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত আসর থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করতে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হলো।’
একইভাবে লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাস সমালোচনা করেছেন প্রস্তাবিত লিগটির। তার তির ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের দিকে। পেরেস সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন ‘সুপারলিগ ফুটবলকে বাঁচাতে এসেছে, ধ্বংস করতে নয়।’
তার এই মন্তব্যের বিরোধীতা করে মঙ্গলবার এক টুইট করেন তেবাস। তাতে লেখেন, ‘তার কোনো ধারণা নেই সে কি বলছে। তার মাথা পুরো গেছে! সে যেভাবে বলেছে ফুটবল সেভাবে ধ্বংসের মুখে নেই। সুপার লিগ ফুটবলের জন্য বড় একটা সমস্যা। এটির একটাই ফল, ফুটবলের মৃত্যু।’
En diciembre de 2020 ya dije que Florentino Peréz estaba muy DESPISTADO, ahora esta PERDIDO, ni el fútbol esta arruinado como el dice, ni la SUPERLIGA que es uno de los problemas puede ser la solucion, es la muerte del futbol.#MalaExcusa#FlorentinoPerezSalvadorNoGracias pic.twitter.com/kSk824kqoA
— Javier Tebas Medrano (@Tebasjavier) April 20, 2021
মন্তব্য